নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Que sera, sera

আমি , আমার ভাবনা এবং আমার দেশ *আমার সোনার বাংলাদেশ ****** Life is not about counting the breaths you take it is measured by the moment that take your breath away***** ইমেইল: [email protected]

নতুন

ইমেইল [email protected] স্বপ্ন দেখি নতুন বাংলাদেশের, সোনার বাংলা।শখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। অবসর সঙ্গী আমার কম্পিউটার আর বই। ভালবাসি-আমার জানটুপুটুস কে, নিজেকে, আমার মা, মাটি আর দেশকে

নতুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কতটা অধ:পতন হলে জাতি হবে লজ্জিত? বুঝতে পারবে বাঙ্গালীর নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। খুবই বড় একটা সমস্যা আছে আমাদের সমাজে।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭


Something is very Wrong in our Society. কিছু দিন ধরে দেশে যেই সব ঘটনা আমরা ঘটিয়ে চলছি তা দেখে কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা।

* ৭ বছরের বাচ্চাকে লিফটে দেখে ধষ`নের ইচ্ছা জাগে যুবকের, তাকে মেরে ফেলে কিছুক্ষন পরে!!!!
* বিয়ের আগের সম্পকের জেরে প্রকাশ্যে কুুপিয়ে হত্যা, তারপরে স্ত্রীর জড়িত থাকার প্রমান, প্রধান সাক্ষী এখন আসামী!!!
* কাটা মাথা পদ্ম্ সেতুতে দিতে হবে এবং ৪১টা টিম তা সংগ্রহ করছে সারা দেশে,এমন গুজবে অনেক মানুষ বিশ্বাস করছে !!!!
* স্কুলের সামনে হাজার মানুষের মাঝে মহিলাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে!!!
* শত শত মানুষ মোবাইলে সেই ঘটনা ভিডিও করে!!!
* ধষ`ন করে সমাজে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু ছেলে ধরা সন্দেহে মানুষ গনপিটুনি দিয়ে মানুষ মারে!!!
* বাবা মেয়েকে ধষ`ন করে!!!
* শিক্ষক হয়ে ছাত্রীদের ধষন করে ভিডিও করে রাখে, ব্লাকমেইল করে!!!

এই রকমের সমস্যা এখনই হুট করে বেড়েগেছে সেটা আমি বলবো না কিন্তু এখন সবার সামনে আসছে দ্রুত কারন সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

কিন্তু আমরা ইন্টারনেটে কি ব্যবহার করছি? শুধুই ফেসবুক,ইমু,ই্উটিউব?

সরকারের দোষ দিয়ে লাভ নাই, উপরের ঘটনার মতন শত শত ঘটনা প্রতিমাসেই আমাদের সমাজে ঘটছে তার কয়েকটা সবার নজরে আসে এবং কিছুদিন ভাইরাল থাকে এবং তারপরে নতুন কাহিনির পেছনে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

মানুষের মাঝে জ্ঞান, মন মননের ঘাড়তিই মুলত এর জন্য দায়ী।

মানুষ আইনের কাছে বিচার পাচ্ছেনা, রাজনিতিক ক্ষমতা সবার সামনে অন্যায় করছে সেই ক্ষোভ থেকেও অনেকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়।

কিন্তু যারা পিটিয়ে মানুষ মারে তারা আগে থেকেই এই রকমের কাজে অভস্ত। কারন আপনার মানুষের গায়ে হাত তোলার অভিঙ্গতা না থাকলে আপনি একজন মানুষকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে পারবেনা।

ক্রসফায়ারের প্রতি সমথ`নের পাল্লা আমাদের দেশে ভারী, মনে হয় ৬০%-৮০% মানুষই চায় বিনা বিচারে ক্রসফায়ারে দেওয়া দরকার আছে।

আমাদের দেশের মানুষের ভেতরের মনুষত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। যৌক্তিক ভাবনার শিক্ষা দিতে হবে নতুবা গুজব সবার মনে স্থান করে নেবে।

গুজব এবং মানুষকে আইনের প্রতি স্রদ্ধা বাড়াতে জন সচেতনা বৃদ্ধির জন্য সবাইকে কাজ শুরু করতে হবে।

* সব ধমিয় স্থান, মসজিদ, মন্দির সব খানের ইমাম, পুরহিতের মাধ্যমে সারা দেশের সব স্থানে মানুষকে পিটিয়ে মারার মতন কাজ থেকে বিরত থাকতে বলতে হবে, কোন কিছু হলে সাথে সাথে ৯৯৯ এ কল করে জানাতে হবে, পুলিশ এসে সন্দেহমলক ভাবে ঘোরা ফেরা করা মানুষকে দেখবে, গনপিটুনি দেওয়া না।
* সেলিব্রেটিদের এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে ভিডিও ফেসবুক,ইউটিউব এবং টিভিতে দিতে হবে, এটা ভাইরাল বার সম্ভভনা বেশি।
* পুলিশের দূনিতি বন্ধে সরকারের কাজ করতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে যে পুলিশে ধরিয়ে দিলে বিচার হবে।
* আদালতে দুনিতি বন্ধ করতে হবে।
* ধষকদের নিয়ে কিছু গবেষণা করা দরকার, যেই সব ধষ`ক জেলখানায় বন্ধি আছে তাদের সাথে কথা বলা দরকার এবং জানা দরকার কি কি কারনে তারা এই কাজ গুলি করছে। শুধুই পোষাকের দোষই দিচ্ছে আমাদের দেশের ধামিক গোস্টি।
* সমাজে রাজনিতিক ক্ষমতার অপব্যবহার কিন্তু ইভ টিজিং, ধষ`ন, চাদাবাজী,দূনিতির অন্যতম কারন। রাজনিতিক ক্ষমতায় থাকা কিছু পোলাপাইনই বেশি অন্যায় করে ।
* সমাজের নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য,বিজ্ঞান,ইতিহাস,দশ`ন, বিশ্বসাহিত্য পাঠ করার জন্য উদ্ভদ্ধ করতে হবে। শুধুই ফেসবুকে ভিডিও আর কালেকটেট লেখা সেয়ার করে বড় হয়ে উঠা জাতী ভালো কিছু করতে পারবনা।

জাতি হিসেবে আমরা ভালো, আন্তরিকতা আছে, জজবা আছে দেশের প্রতি দরদও আছে, কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে এখন ঘুমিয়া আছে, সেই বোধ জাগ্রত করার চেস্টা করা দরকার।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই,
সর্বপ্রথম দেশে গনতান্ত্রিক শাষনব্যবস্থা চালু করতে হবে। বিচার বিভাগকেও স্বাধীন হিসেবে কাজ করতে দিতে হবে।
দেশে পুলিশের উপর মানুষের শ্রদ্ধা বোধ একবারেই চলে গেছে। এটাও ফিরিয়ে আনতে হবে। পুলিশকে ভাল হতে হবে।
ধর্মীয় শাষন ছোট বেলা থেকে বাচ্চাদের শিখাতে হবে আর এই কাজটা করতে হবে বাবা মামা কেই।
দারুন সময়োপযুগী লেখা লেখার ধন্যবাদ আপনার পাওনা ।
শুভ কামনা রইল!


২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

নতুন বলেছেন: যেই দেশের মানুষ যেমন সেই দেশে সেই রকমের নেতা ও হয় তেমন।

আমাদের দেশে মানুষ বেশির ভাগই সুবিধাবাদী তাই তারাই আয়ামীলীগকে ক্ষমতায় নিতে আর রাখতে ততপর।

পুলিশে কিন্তু আমাদের আপানার আত্নীয়রাই চাকুরি করে, সমাজের মানুষেই অন্যায় করতে পুলিশকে ব্যবহার করে। আমাদের নিজেদের ভালো হতে হবে।

নিজেদের ভন্ডামী ছাড়তে হবে তবেই সমাজে সমস্যা কমবে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তো এই ধরণের কোন অপকর্ম করেননি নিশ্চয়, বাকীরা এই ধরণের মনোভাব কোথায় পেলো?

শৃংখলা ফিরায়ে আনার জন্য, দেশে সীমিত সময়ের জন্য বিনা ঘোষণায় সাদা পোশাকে কিছু সামরিক গ্রুপকে ব্যব হার করতে হবে।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

নতুন বলেছেন: পুলিশের উপরে আস্থা নেই বলেই গনপিটুনীর মতন ঘটনা ঘটে।

পুলিশকে এই কাজে দিলে তাদের টারগেট হবে প্রতিদিন প্রতি সদস্য কতহাজার টাকা করে কামাই করা যায়। জনগন ধরে মামলায় চালান করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় শুরু করবে :(

ঐখানে হাজার খানেক মানুষ ছিলো। তারা কেউই কি ৯৯৯ এ কল কলে পুলিশে জানায় নাই?

সমস্যায় আক্রন্ত মানুষ এখন কোনটা ঠিক বেঠিক সেটা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে?

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে এত বেশী ধর্মীয় জ্ঞানের মানুষ এর আগে কখনো ছিলো না: কোটি কোটী মানুষ আররী জানেন, সবার ঘরে কোরান আছে, মসজিদ ও মাদ্রাসায় দেশ ভরে গেছে; একমাত্র ঢাকা ইউনিভার্সিটি ব্যতিত সব ইউনিভার্সিটিগুলোর ছাত্ররা নিজের সাবজেক্ট থেকে ধর্মী বই বেশী পড়ছে; বুয়েটকে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হিসেবে ঘোষণা দিলে ভুল হবে না। সেক্রেটারিয়েটকে বিশ্বেরসেরা নামাজের জামাত বলা সম্ভব।

মনে হয়, এতে মানুষের সামাজিক জ্ঞান ও নৈতিক জ্ঞানের স্হান বেদখল হয়ে গেছে।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

নতুন বলেছেন: ভন্ডামীতে ভরে গেছে দেশ।

নামে ধামি`ক কিন্তু আসলে কয়জন ধমের নিদেশ পালন করছে?

সরকারী অফিসে ঘুষ খোর ধামিকের অভাব নাই। ভ্যাজাল দেওয়া ব্যবসায়ীর মাঝে ধামিকের অভাব নাই। নেতারা সবাই ধমীয় কাজে এগিয়ে থাকে কিন্তু সব আকাজ তাদের নিদেশেই হচ্ছে।

সাধারন জ্ঞানের ঘারতি আছে, যৌক্তিক ভাবনা কেউ ভাবেনা।

পদ্মাসেতুতে মাথা লাগবে গুজব যেই হারে প্রচার হয় আর মানুষ এই পযন্ত ৪/৫ জন মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলে এই সন্দেহে তাতে বোঝা যায় যে হুজুগে বাঙ্গালী গুজবে কত বিশ্বাসী।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

লেখোয়াড়. বলেছেন: হে হে হে হে ......... বাংলাদেশে এখন ধর্মের কল বাতাসে নড়ছে...... গায়ে তো একটু লাগবেই?

কোথায় কোথায় যেন বর্তমানে ধর্মের অপব্যবহার হচ্ছে বেশি বেশি?

মিঃ নতুন?
আপনার দুঃখটা বুঝি, কিন্তু কিছুই করার নেই।
অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।
এই ব্লগেই ১০ বছর আগে তা বলেছি, হা হা হা .....

মিসেস হাসিনাও এখন ধর্মের কল...... হা হা হা .....

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

নতুন বলেছেন: বিদেশে থাকি, এখানে নিয়ম মানাই সাধারন, অন্যায় করলে সবাই তাকিয়ে থাকে, আইনী ছাকনিতে অবশ্যই সাজা পায় অন্যায় কারি।

সবাই সবাইকে সাহাজ্য এগিয়ে আসে, আমাদের দেশের মানুষ দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছে কেন?

সবাইতো মুখে নীতি কথা বলে....

শেখ হাসিনাও এখন হাল ছেড়ে দেবেন, তার একার পক্ষে কতটুকু করা সম্ভব। আর তাক পাশের চাটুকারের দলের জন্য তিনি ও সত্যিটা জানতে পারেন না।

বিশ্বের সব দেশেই উন্নতি করছে কিন্তু আমাদের মানুষিকতার অধপতন হচ্ছে দিন দিন।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ গুলো পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

নতুন বলেছেন: ভালো মানুষও অনেক আছে কিন্তু তারা সাহস হারিয়ে ফেলছেন।

অনেক ভালো মানুষ ও এখন সমাজে আছে আমাদের চারপাশে।

কিন্তু কিছুদিন শুধুই খারাপ ঘটনাই ঘটছে চারপাশে... :(

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "নামে ধামি`ক কিন্তু আসলে কয়জন ধমের নিদেশ পালন করছে? "

-নামের হোক, কিংবা কামের হোক, সবটা মিলে ধর্ম এতটুকুই; মানুষ যতটুকু ধর্ম পালন করছেন, এর বাইরে কিছু নেই।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন বলেছেন: সেই হিসেবে দেশে ৫% ধামিক বাকি সব ধমের নামে ভন্ড।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি বলেছেন, "নামে ধামি`ক কিন্তু আসলে কয়জন ধমের নিদেশ পালন করছে? "

-নামের হোক, কিংবা কামের হোক, সবটা মিলে ধর্ম এতটুকুই; মানুষ যতটুকু ধর্ম পালন করছেন, এর বাইরে কিছু নেই। ফলে, ধর্ম কোনভাবে সাহায্য করবে না; মসজিদের ইমাম ফিমাম কিছু করতে পারবে না। মানুষকে অশিক্ষিত করে রেখেছে আমাদের ব্যুরোক্রেটরা ও সরকারগুলো; সেটার ফল পাচ্ছেন জাতি।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

নতুন বলেছেন: সেটা অবশ্য ঠিক মসজিদের ইমামের কথা এক কানে শুনে অপর কানদিয়ে বের হয়ে যাবে। এন্টেনাতে কিছুই ক্যাচ করাবেনা।

এই ট্রানজিসন পিরিওডে একটা জ্ঞানহীন জাতিতে পরিনত হচ্ছি আমরা।

প্রশ্নপত্র ফাস জেনারেসন, ফেসবুকের স্টেটাস ওয়ালা জেনারেসন, কপি পেস্ট বুদ্ধি নিয়ে চলে। ফেসবুকের পোস্টের ৯৫% অন্য জনের লেখা কপিকরে সেয়ার করে.... নিজে লেখে না।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

গরল বলেছেন: আমি রীতিমত আতংকিত, মানুষ এত হিংশ্র হতে পারে ভাবতে পারি না। ভিডিওটা দেখার পর থেকে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

নতুন বলেছেন: সব এলাকাতেই কিছু বখাটে থাকে, তারা এই সব কাজে নেত্রীত্ব দেয়, চোর পেটানো আগে ছিলো একটা সময় সেখানে এই সব মানুষেরা হাত মসক করতো।

এরাই মারামারি করে, ছিন্তাই করে, নেশা করে, ইভটিজিং করে।

আপনার পক্ষে কারুর গায়ে হাত তোলা সম্ভবনা যদিনা সেটা আপনার ভেতরে অভ্যাস থাকে....

ঐভিডওতে কয়েকজন মহিলাকে লাঠি দিয়ে মারছে, লাথি দিচ্ছে তারা সবাই এই রকমের বিষয়ে অভ্যস্ত.....
সমাজে এই রকমের হাজারো খুনি ঘুরে বেরাচ্ছে সবার সাথে....

এই মনভাবের মানুষের দেখা পাবেন ফেসবুকে ক্রসফায়ার, বা খারাপ কাজের প্রতিবাদ হিসেবে ঐ লোককে নিমম` ভাবে সাজার কথা বলবে তারা....

ভদ্র মানুষ বলবে আইনী পদ্বতীতে সাজার কতা.... এরা বলবে পুড়িয়ে দেও, ক্রসফায়ার দেও....

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ইনাম আহমদ বলেছেন: কে যেন কয়েকদিন আগে গলা বড় করে বলেছিলেন, "পশ্চিমারা নিজেদের ইয়ের সাথে ইয়ে করে।"
বিগত কয়েক বছরে আমি অন্তত তিন চারটা ঘটনার পেপার কাটিং দিতে পারবো যেখানে বাংলাদেশে বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, সবগুলি মুসলিম ফ্যামিলি।
নিজেও একবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নেশাখোর ছাত্রদের গণধোলাইয়ের মধ্যে পড়েছিলাম, ব্লগে সে গল্পও বর্ণনা করা আছে। এইসব ঘোলাচোখের নেশাখোর তরুণেরা মারামারির সুযোগ পেলে মুহূ্র্তে কতখানি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে ফার্স্টহ্যান্ড অভিজ্হতা আছে আমার।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নতুন বলেছেন: যারা মানুষের গায়ে হাত তোলে তাদের অভ্যাস থাকলেই করতে পারে।

যারা নেশা করে, মাস্তানি করে এরাই আগে মারধোর শুরু করে।

সভ্য মানুষ কখনোই কারুর গায়ে হাত দিতে পারেনা।

ঐটা তো ছিলো আরেকট বেয়াদব মূখ, হলিউড মুভি দেখে যদি পশ্চিমা সমাজ সম্পকে ধারনা নিয়ে বসে থাকে তবে কিভাবে হবে। ভালো মন্দ সবখানেই আছে।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি আবারও পড়লাম। মন্তব্য সহ।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৩

নতুন বলেছেন: আবারও পড়তে পারেন, আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি আমি... ;)

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও করা জনতা হচ্ছে পাকিস্তানী রক্ত।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৪

নতুন বলেছেন: মোবাইল ফোন সবারই আছে আর সবাই ভিডিও করে তাই সবাই পাকিস্তানী রক্ত হয়ে যায় না। :(

মানুষের জ্ঞানের অভাব, তাই তারা বোঝেনা কোনটা ঠিক আর বেঠিক। তারা স্রোতে গা ভাষায় নিজের চিন্তা করে কম।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

আধাপাগল বলেছেন: একটা জিনিস দেখুন, ছেলেধরা সন্দেহে কিছু পুরুষ/মহিলাকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। মারা যাবার পরে আমরা বুঝতে পারি যে সেটা ছেলেধরা ছিল না। কিন্তু মারার আগে তো তার গায়ে লেখা থাকে না যে সে ছেলেধরা নয়। ঠিক কিনা? তো, আমরা যদি ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে কিছু না বলি, এড়িয়ে যাই, তাহলে কিন্তু প্রকৃত (আসল) ছেলেধরারা কিন্তু লাই পেয়ে মাথায় উঠবে। তখন প্রতিদিন অনেক অনেক শিশু ছেলেধরার বলি হবে।

ফলে, এক দিকে যেমন ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা অন্যায়, আবার ছেলেধরা সন্দেহ না করে ডোন্ট কেয়ার করাটাও অন্যায়। কারণ আসল ছেলেধরারা কিন্তু সমাজে অলিতে গলিতে ওৎপেতে আছে।

আবার, যাকে সন্দেহ হচ্ছে, তাকে না পিটিয়ে পুলিশে দিলে সেটাও আরেক ঝামেলা। পুলিশ তার পদ্ধতিতে খোজ খবর নিবে যে ধৃত লোক/মহিলাটি কি আসলেই ছেলেধরা, নাকি নিরিহ। এজন্য সরকারকে নতুন এক ডিপার্টমেন্ট খুলতে হবে। যাইহোক, সব মিলিয়ে বিষয়টা এক ঘোলাটে আকার ধারণ করেছে। যার সহজ সমাধান সম্ভব নয়। তবে ছেলেধরা সন্দেহে তাৎক্ষনিক পিটিয়ে হত্যা না করাউ উত্তম/উচিৎ। যতটুকু সম্ভব যাচাই বাছাই করা উচিৎ। সমস্যা যে দেশের মধ্যে প্রকৃত ছেলেধরা/মাদক/পকেটমার/ডাকাত এত ভুড়ি ভুড়ি যে সরকার যদি সবাইকে জেলে পুরে রাখে নতুন নতুন অনেক জেল বানাতে হবে। যাইহোক, সরকার এবং জনগনই ভালো বুঝে কি করা উত্তম/উচিৎ।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৭

নতুন বলেছেন: অবশ্যই আপনার সন্দেহ লাগলে তাকে জিঙ্গাসাবাদ করবেন দরকার হলে পুলিশ ডাকবেন।

কিন্তু কোন মানুষের গায়ে হাত তোলার অধিকার কারুর নাই। পিটিয়ে মেরে ফেলা তো দুরের কথা।

ঐ দিন যদি কেউ ৯৯৯ এ কল করে জানাতো যে এখানে ছেলে ধরা সন্দেহে নারীকে আটক করা হয়েছে এবং জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপরে আক্রমন করতে পারে তবে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যেতো। ছোট্ট শিশুটি তার মাকে হারাতো না।

১৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

পুলক ঢালী বলেছেন: শিক্ষার মান ভয়ানক নিচে নেমে গেছে কারন শিক্ষকেরই মান নেই । জানিনা কয়শো বৎসর পর আমরা মানুষ হবো । পোষ্টে ভাললাগা রইলো।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৯

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

দেশে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার বা অন্য কোথাও চান্ছ না পেয়েই প্রাইমারির টিচার হবার কথা চিন্তা করে সবাই।

দেশে সরকার থেকে প্রাথমিক পযায়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পাকিস্তানি রক্ত বলতে একটি নোংরা গালী হিসেবে ব্যাবহার হয়েছে। কারো মৃত্যু হচ্ছে আর কেউ কেউ মোবাইল ফোনে তার ছবি তুলছে ভিডিও করছে !!! দেশে ভয়ংকর ক্রান্তিকাল চলছে। এর থেকে মুক্তি আছে কি? - আপাতত মনে হচ্ছে নাই !!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

নতুন বলেছেন: হুম মানুষ তার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলছে।

আপাতত মুক্তির পথ দেখছিনা।

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: এর পর আর কী কী হবে কে জানে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৫

নতুন বলেছেন: জানিনা কিন্তু ভালো কিছু আশা করছিনা খুব শীগ্রহী.

সমাজে বড় পরিবত`ন না আসলে ভালো কিছু হবেনা। আরো নতুন নতুন ভয়ংকর খবর আসবে....

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৭

আরোগ্য বলেছেন: একটা গল্প বলি,
রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সিংহ কতগুলো হায়েনা নিয়ে দল গঠন করে। হায়েনাদের উদরপূর্তির জন্য রাঘব বোয়ালের ব্যবস্থা করে, সোনার ডিম দেয়া হংস হাতে এনে দেয়। অন্যদিকে নিরীহ গরুগুলো ষাঁড় গরুর তাড়নায় শান্তিতে থাকতে পারে না। কুকুরের ভয়ে মুরগীগুলো খাঁচা থেকে বের হতে হিমশিম খায়। কুকুরগুলোকে কেউ কিছু বলতে পারে না কারণ তারাই হায়েনাদের পাহারা দিয়ে রাখে। এদিকে শিয়ালের পাল হায়েনাদের সকল কিছুর তদারকি করে রাখে, হায়েনাদের মনেরমত শিকার হাতের নাগালে এনে দেয়। অপরদিকে গরুগুলোর মন রাখার জন্য রূপকথার গল্প পড়ে শুনায়। আবার নিজের মনোরঞ্জনের জন্য লড়াই বাধিয়ে দেয়। রাজ্যের বিশৃঙ্খলা দুর করার জন্য সিংহ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা কারণ সিদ্ধান্ত যদি হায়েনাদের বিরক্ত যায় তবে সিংহকেই তারা সরিয়ে দিবে। তাই সিংহাসন বহাল রাখার জন্য সিংহ হায়েনাদের কথা মত রাজ্য পরিচালনা করে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫২

নতুন বলেছেন: সহমত ভাই। এই চক্র থেকে কবে আমাদের মুক্তি মিলবে?

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ধরনের ছেলেরা আগে এককালে বাসের সিটের পিছনে আজে বাজে লিখতো। পাবলিক বাথরুমে অকথ্য জিনিষ লিখতো।
এরা সামান্য চান্স পেলেই ধর্ষন করে, সামান্য চান্স পেলেই গণপিটুনিতে অংশগ্রহন!
বর্তমানে স্মার্টফোন হাতে পেয়ে যা ইচ্ছে তাই লিখছে, করছে, আর আমিন আমিন তো আছেই এক ঘন্টায় 17K আমিন।

এরাই আবার বড় গলায় বলে - "দেশে গনতান্ত্রিক শাষনব্যবস্থা চালু করতে হবে। বিচার বিভাগকেও স্বাধীন হিসেবে কাজ করতে দিতে হবে"।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

নতুন বলেছেন: দেশের অনেক সমস্যা সমাধান হবে যদি আয়ামীলীগের সন্ত্রাস কমাতে পারে।

প্রতিটা জেলাতে কয়েকজন সন্ত্রাসী টেন্টারবাজি, থানা নিয়ন্ত্রন করে। পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারেনা। উপর থেকে ফোন আসে.....

যদি পুলিশ যদি চাপ ছাড়া কাজ করতে পারে তবে তারা ফেয়ার হতে বাধ্য। তারা চাকুরী করে তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখা কঠিন কাজ না।

কিন্তু যদি পুলিশ জেলায় টেন্ডারবাজী করতে না দেয়ে, দখল বাজী করতে না দেয়, বাসস্টান্ডে চাদাবাজী বন্ধ করে দেয়ে তবে কেউই আর রাজনিতি করবে না। তাই রাজনিতিবিদরা পুলিসকে নিয়ন্ত্রন করে, দুদুক যদি প্রতি সংস্থায় টেন্ডারের কাজ ঠিক মতন হয়েছে কিনা তদারকি করে তবে ঠিকাদারীতে মজা থাকবেনা।

দেশে গনতান্ত্রিক শাষনব্যবস্তা আছে , বিচার বিভাগ স্বাধীন এই মিথ্যা কথা কেউ বিশ্বাস করেনা।

সভ্য দেশে জনগন পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে পারে ঘুষ লাগে না। আদালতে বিচার চেয়ে পায়। কারন রাজনিতিক নেতারা এখানে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেনা।

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৮

রাকু হাসান বলেছেন:

সারা দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে । ভয়ঙ্কর রকমের আতঙ্ক । আজ পাশের মসজিতে মাইকিং করলো দুজন মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না । খুব কাছেই আমার । তারপর কিছুক্ষণ পর খোঁজ নিলাম ওরা আসলে একটু দূরে খেলতে গিয়েছিল । মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হলে এভাবে পিটিয়ে মারতে পারে!! আহ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার কি পৈশাচিক আনন্দ । :(
তবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তা বন্ধ করতে সরকার সহ সবার এগিয়ে আসতে হবে ।
১। অচেনা জায়গায় এখন ঘুরা ফেরা বন্ধ করতে হবে ।
২। নতুন জায়গাতে না যাওয়া ভালো ।
৩ । সংশ্লিষ্ট এলাকাতে গেলে ,সেখানকার পরিচিত কারও সহায়তা নিলে ভালো ।
৪। তৃতীয় পক্ষ,স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যেন গুজব কে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার না করতে পারে .সে জন্য সচেতন হতে হবে।
৫। গুজবদূরীকরণে বা সচেতনতা সৃষ্টিতে নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীরা কা করতে পারে ।
৬। পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো যেতে পারে বা নির্দিষ্ট সময় টহল দিলে জনমনে সাহসের সঞ্চার হবে।

দোষ যারই হোক জন মনে যে আতঙ্ক হয়েছে সেটার কবলে পড়েলে যে কেউ প্রাণ হারাতে পারে । সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন । ছেলাধ:রা আতঙ্কে ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসা কমিয়ে দিচ্ছে ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

নতুন বলেছেন: দেশে খুব সাধারন কিছু বিষয় মানুষ ভুলে গেছে,

কেউ কারুর গায়ে হাত তোলার অধিকার নাই। যে কেউই তাকে একটা থাপ্পর দিলে মামলা করতে পারে এবং বিচারে প্রমান হলে অন্যায় কারীর সাজা হবে।

দেশে অন্যায় এখন সাভাবিক বিষয় হয়ে গেছে। তাই কাউকে পিটিয়ে হত্যার খবর প্রতিদিন আসছে।

জনগনকে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই।

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সময় সায়িক পোস্টটির বর্তমান প্রেক্ষাপটের একটি ছবি মাত্র। কিন্তু জাতি যেমন করে পচে গেছে তা প্রতিকার করা কষ্টকর। আইন করে কাউকে আই মানানো যায়না।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

নতুন বলেছেন: অবশ্যই আইন করে কাউকে মানানো যায়না। যদি সবাই না মানতে চায়।

দেশে কিছু ভন্ড মানুষ বেড়ে গেছে যারা তাদের কাজ করছেনা। এবং নিজেরাই আইন ভাংছে তাই বাকিরাও আইন মানছেন না।

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মায়ের ভয়ে আছে তার বাচ্চার কল্লা কাটা নিয়ে, বাচ্চারা ভয়ে আছে তাদের মায়ের গণপিটুনি নিয়ে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

নতুন বলেছেন: দেশে গুজবে আর হুজুগের পেছনে দৌড়ানোর লোক বেশি।

জনগনকে সচেতন করতে হবে।

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আইনের প্রয়োগ যথাযথ হলে সব বন্ধ হবে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

নতুন বলেছেন: অবশ্যই পুলিশ যদি তার কাজ ঠিক মতন করতে পারে, আদালত যদি সময় মতন বিচার করে। প্রতি সংস্থা যদি তার কাজ ঠিক মতন করে জনগনও পুরাই সোজা থাকে।

বিদেশের অনেক দেশেই এর উদাহরন আছে।

আমরা বিদেশীদের খারাপ কাজগুলিই দেখি, ভালো কাজ দেখিনা।

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখাটিকে একটি বাক্যে পঙ্গু করে দিয়েছেন। আপনি লিখেছেন,'সরকারের কোনো দোষ নেই'। বহু শিক্ষিত মানুষের মধ্যে আমি এই রোগ দেখছি যে তাঁরা সব দোষ জনগণের ঘাড়ে চেপে দিয়ে সরকারের 'আইনের শাসনের অভাব'কে ক্লিনচিট দিয়ে দিচ্ছে।

আচ্ছা, এটা কি কখনও ভেবে দেখেছেন, যে ব্যক্তি বাংলাদেশে বিরাট বদ প্রকৃতির, সেই একই ব্যক্তি কীভাবে দুবাই, আবুধাবি, রিয়াদ, লন্ডন, টরেন্টোতে রাতারাতি বিরাট সাধুতে পরিনত হচ্ছে। এটার উত্তর যে দিন শিক্ষিতরা খুঁজে পাবে, সেদিনই দেশ থেকে সকল অনাচার, নৈরাজ্য বহুলাংশে কমে যাবে।

আপনি তো দুবাই থাকেন। সেখানের সরকার প্রধানকে বলেন তো যে এক সপ্তাহের জন্য সকল প্রকার আইন শিথিল(আইনের শাসনের অভাব) করা হল, যেমন, প্রকাশ্যে ড্রিংক করা, পাবলিক সী বিচে যেমন খুশি তেমন সাজে থাকা, রাস্তায় অধিক স্পিডে গাড়ি চালনো, চুরি-চামারি হলেও ব্যবস্থা না নেওয়া, ধর্ষন-টর্ষনে অপরাধীকে আটকের ব্যাপারে ঢিলেমী করা, ঘুষ-দুর্ণীতির ব্যাপারে না দেখার ভান করা ইত্যাদি ইত্যাদি অপরাধগুলোকে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে গড়মড়সি করবে তারা। তারপর যদি সেখানের অপরাধ বাংলাদেশরে চেয়ে কম হয় তাহলে বুঝবেন যে বাংলাদেশের মানুষই আদতেই খারাপ।

আপনার কি মনে হয় দুবাইয়ের শিথিল আইনে বাংলাদেশের চেয়ে অপরাধ কম হবে। আমি হলফ করে বলতে পারি আপনি পরের দিন বিমান টিকেট কেটে বাংলাদেশমুখী হবেন। ইতিহাস তাই বলে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

নতুন বলেছেন: আমি সরকারকে ক্লিন চিট দিতে চাইনা। সেটা আমি বোঝাতে চাইনি ঐ লাইনে।

আমার কথা হলো আমরাই সরকার। আমাদের জনগনের সমথ`নেই সরকার। তাই জনগন যখন নিজেদের দায়ীত্ব না দেখে সরকারকে সব কিছু করতে বলে তখন আমি এটাই বলি সরকার কে? সরকারে কাজ করছে আপনার আমার আত্নীয় বন্ধু পরিচিত জনগন।

অবশ্যই একটা সভ্য জাতী এমন ভাবে ভোট নিয়ে গব` করে বলেনা যে আমরা গনতান্ত্রিক সরকার।
আমার বন্ধু গল্প করেছে যে থানার ওসি তাকে পিস্তল পাঠিয়েছে এবং তিনি বাড়ির পাশের কেন্দ্রে পিসাইডিং অফিসারের টেবিলে অস্র্র রেখে তার সাথে কথা বলেছে। এটা যদি আমাদের শহরে হতে পারে তবে সমস্যা পূণ` এলাকাতে কি হতে পারে সেটা সবাই বুঝতে পারে।

সরকার প্রধানের ভুমিকা খুবই বড় একটা দেশের আইনের স্বাসন প্রতিষ্টা করতে।

দেশের জন্য একটা বড় ঝড় দরকার এবং সেটা শেখ হাসিনা ইচ্ছা করলে পারে। দেশে আইনের স্বাসন থাকলে সবাই দুবলের উপরে হাত তুলার আসে দশ বার ভাববে। পুলিশ আর আদালতে বিচার হলে দূবলের উপরে অণ্যায় করতে কেউই সাহস পাবেনা।

২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবারও পড়তে পারেন, আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি আমি...

কেউ আমার মন্তব্যের জবাব দিলে আমার খুশি লাগে খুব।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

নতুন বলেছেন: জবাব দেবার চেস্টা করি। যদি জবাব দেবার কিছু থাকে তবে অবশ্যই জবাব দেই।

ব্লগ লিখে কমেন্টের জবাব না দেয়া চরম অসভ্যতা। ব্লগ লেখার মানেই হয় না যদি যৌক্তিক আলোচনার ইচ্ছা না থাকে।

২৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: :(

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

নতুন বলেছেন: :(

২৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের সবার বিবেক বোধ জাগ্রত হওয়া দরকার কিভাবে হবে জানি না। সবাই সৎভাবে তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন থাকলে হারানোর কিছু নেই।

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

নতুন বলেছেন: কিভাবে হবে তা ভেবে পাইনা।

২৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: আমার কথা হলো আমরাই সরকার। আমাদের জনগনের সমথ`নেই সরকার। তাই জনগন যখন নিজেদের দায়ীত্ব না দেখে সরকারকে সব কিছু করতে বলে তখন আমি এটাই বলি সরকার কে? সরকারে কাজ করছে আপনার আমার আত্নীয় বন্ধু পরিচিত জনগন। -- আবার মিসটেক করলেন। আমরা বা জনগণ কখনই সরকার নই। সরকার একটি আলাদা এনটিটি। একটি আলাদা অথোরিটি যারা জনগণকে শাসন করে(A group of people with the authority to govern a country or state)।

জনগণ তাদের নির্বাচিত করে সেই ক্ষমতা প্রদান করে বটে কিন্তু জনগণ কখনই সরকার নয়। এই ভুল ভাবনার কারণেই আমরা জনগণকে দোষ দিতে পারি।

জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে তারা আইন প্রণয়ন করে এবং সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ জনগণের উপর করে একটি শৃঙ্খলা বজায় রাখে সমাজে। আর এটির ঘাটতিতেই আমরা ভুগছি।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৪

নতুন বলেছেন: জনগনের দোষ তারা ভুল মানুষদের ক্ষমতায় পাঠায়। সমাজে বড় একটা অংশ এখন আয়ামীলীগের সাথে যুক্ত তারা সরকারলকে সমথ`ন দিচ্ছে আর সরকারী দল ক্ষমতায় গিয়ে টেন্টারবাজী আর নিজেদের কমী`দের অন্যায়কাজ করতে মমদ দিচ্ছে।

সমাজে বেশির ভাগই যখন এদের বিরুদ্ধে দাড়াবে তখন কিন্তু সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার কমবে। সরকার পাল্টাবে।

২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখার মধ্যে কিন্তু কিছুটা কন্ট্রাডিকশান আছে। যেমন,

সরকারের দোষ দিয়ে লাভ নাই, উপরের ঘটনার মতন শত শত ঘটনা প্রতিমাসেই আমাদের সমাজে ঘটছে তার কয়েকটা সবার নজরে আসে এবং কিছুদিন ভাইরাল থাকে এবং তারপরে নতুন কাহিনির পেছনে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সরকারেরই দোষ। সমাজ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের।

মানুষের মাঝে জ্ঞান, মন মননের ঘাটতিই মুলত এর জন্য দায়ী। এটা নিশ্চিত করবে কে? সরকার।

মানুষ আইনের কাছে বিচার পাচ্ছেনা, রাজনিতিক ক্ষমতা সবার সামনে অন্যায় করছে সেই ক্ষোভ থেকেও অনেকে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। এখানে আপনি নিজেই সরকারকে দোষ দিচ্ছেন।

আমাদের দেশের মানুষের ভেতরের মনুষত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। যৌক্তিক ভাবনার শিক্ষা দিতে হবে নতুবা গুজব সবার মনে স্থান করে নেবে। সরকার কি এটা করতে পারছে? তাহলে দোষ কার?

* পুলিশের দূনিতি বন্ধে সরকারের কাজ করতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে যে পুলিশে ধরিয়ে দিলে বিচার হবে।
* আদালতে দুনিতি বন্ধ করতে হবে।
* সমাজে রাজনিতিক ক্ষমতার অপব্যবহার কিন্তু ইভ টিজিং, ধষ`ন, চাদাবাজী,দূনিতির অন্যতম কারন। রাজনিতিক ক্ষমতায় থাকা কিছু পোলাপাইনই বেশি অন্যায় করে ।
এ'কটার জন্য কিন্তু সরকারই দায়ী।

আরো কিছু বলার ছিল, ব্লগার আখেনাটেন বলে দিয়েছেন। :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২২

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষের আসল শিক্ষার দরকার সেটা সরকারের কাজ কিন্তু আমাদের দেশের কোন সরকারই শিক্ষা ব্যবস্তার উপরে আসল কাজ করেনাই। অথবা করতে পারেনাই। তাই শুধুই এক সরকারকে দোষ কিভাবে দেই.... সব সরকারের আমলেই সবাই মিলেই এই ব্যথ`তার জন্য দায়ী।

সাধারন মানুষই কিন্তু তার নিজের জায়গায় পদে থেকে দূনিতি করছে।

রাজনিতিক দলের সদস্য যারা সরকারের থাকে তারা নিজেদের জন্য টাকা পয়সা আর ক্ষমতার পেছনে থাকে। #কিন্তু যারা বিভিন্ন প্রতিষ্টানে বিভিন্ন পদে কাজ করছেন তারাও দূনিতির করতে ব্যস্ত থাকেন....

সব মিলিয়ে দেশের বড় একটা ভাগ দূনিতিতে ব্যস্ত ....

সেই হতাশা থেকেই এই লেখা।

২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৭ নং মন্তব্যের উত্তরে আপনি যেটা বলেছেন, সেটাই আসল কারন। যেই রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলেছেন, এরাই সরকার চালায়, কিংবা সরকারই এদের চালায়। কাজেই ভুত কিন্তু সর্ষেতেই। আমি কোন একক সরকারকে দোষ দিচ্ছি না, দোষ দিচ্ছি সরকারী সত্ত্বাটাকে।
সাধারন মানুষই কিন্তু তার নিজের জায়গায় পদে থেকে দূনিতি করছে। ভাই, মানুষ যখন কোন পদে থাকে, তখন সে সাধারন জনতার কাতারে থাকে না, ক্ষমতাসীনদের একজন হয়ে যায়। তফাৎ আছে না?

আপনার হতাশা আমি বুঝতে পারছি, কিন্তু এটাই আমাদের নিয়তি। আমিও হতাশা থেকে দু'টা লেখা লিখেছিলাম। পড়লে খুশী হবো। লিঙ্ক দিচ্ছি,

জনগন নাকি সরকার; কে আগে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা খোলা চিঠি


২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৩

নতুন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখতে হবে, তার সাথে দেখা করে দূনিতি বিরোধি যুদ্ধ আর আইনের শাসন চালুর কথা বলতে হবে।

২৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আঁধারের যাত্রী কি পারে আঁধার সরাতে

চাই আলোক পথের বিপ্লবী

সত্য, ন্যায় আর বিবেকের ডাক শুনে যে জেগে উটবে আপনাতেই।
স্বৈরাচারিতার অব্যবহিত পরিণাম তো এমনই হয়, হয়েছে অতীতে। সারা বিশ্বেই।
প্রধান বিচারপতি যেখানে রাতের আঁধারে দেশ ছাড়তে হয়- আমজনতা সেখানে কোথায় ভরসা রাখবে?
যে প্রশাসনকে ঠাকা দিয়ে কিনে রাতের আঁধারে ভোট কাষ্ট হয় ! সেই পুলিশ কি জনগণরে প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে পারে?
যে মিডিয়া দলান্ধতায় অন্ধ হয়ে সেল্প সেন্সরশিপে টাকা কামানোর ধান্ধায় থাকে -সেখানে সত্য বলবে কে?
যে সামান্য ভিন্নমত সামুতে প্রকাশ হয়, তাই ঠেকাতে যেখানে সাইট বন্ধ করে দেয়া হয়- তাদের কাছে নীতিবোধ দূরাশা নয়?
যে বিরোধীদলের বড় পান্ডা বিদেশের এসিতে বসে মাতৃদরদই বুঝে না ! সে আর দেশমাতার কষ্ট কি বুঝবে?

মানুষ এখন পূন্য শুন্যতার বোধে শংকিত! ভরসার, বিচারের, অন্যায়ে শাস্তি আর ণ্যায়রে পুরস্কার এখন রুপকথা সম।

যাতনার এক যুগসন্ধিক্ষনে পুরো জাতি ভায়া।
মুক্তির আশায় ছটফট করছে

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২২

নতুন বলেছেন: সহমত আপনার প্রতিটি লাইনে....

এই সাধারন কথা গুলি যখন জনগন বোঝে না তাদের কাছে কি আশা করতে পারি আমরা।

৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না।
তাই আমাদের এত অধঃপতন!

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

নতুন বলেছেন: ভাল আছি ভাই, ধন্যবাদ..

প্রকৃত শিক্ষা নতুন প্রযন্ম পাওয়া শুরু করে পরিবার থেকে, শিক্ষক থেকে আর পরে সে নিজেই ভালো জিনিস সেখা শুরু করে....

আমাদের দেশের জনগনের মাঝে এটা হচ্ছে না কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.