নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Que sera, sera

আমি , আমার ভাবনা এবং আমার দেশ *আমার সোনার বাংলাদেশ ****** Life is not about counting the breaths you take it is measured by the moment that take your breath away***** ইমেইল: [email protected]

নতুন

ইমেইল [email protected] স্বপ্ন দেখি নতুন বাংলাদেশের, সোনার বাংলা।শখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। অবসর সঙ্গী আমার কম্পিউটার আর বই। ভালবাসি-আমার জানটুপুটুস কে, নিজেকে, আমার মা, মাটি আর দেশকে

নতুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন কি করিলে কি হইতে পারিতো না ভাবিয়া কি করিলে কি হইবে এটা ভাবি।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৬



দেশে জটিল ভোট হইলো। কিছু ব্লগার খুবই খুশি। কয়েকজন বেজার হয়ে বসে আছেন।

ব্লগারদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেশের আলোকিত মানুষের অংশ বলে বিশ্বাস করতে চাই।

বর্তমানের টিকটক, ফেসবুক আর ইউটিউব র্সটের যুগে এখনো ব্লগে সময় দিয়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আলোচনা করতে আসা অল্প কয়েকজন এখনো বিশ্ব রাজনিতি, দেশ, মানুষ নিয়ে ভাবেন এটাও বিরাট জিনিস।

নিবার্চনের এই নাটক মন্চস্থ হতে দেখে একটা জিনিস মাথায় আসলে যে অন্য কোন কোন দেশের জনগন এখনো নিজের ভোট দিতে পারেনা অথবা দিতে যায়না?

তবুও মুখে নিজেদের ভদ্র সভ্য জাতি দাবী করে?

বর্তমানে আফ্রিকার কিছু একনায়কতন্ত্র ওয়ালা দেশ ছাড়া অন্য কোন খানেই সম্ভবত আমাদের দেশের মতন ভন্ডামী হয় না।

এমনকি প্রতিবেশি ভারতেই মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে।

বিজেপি মানুষকে সন্তুস্ট করেই তাদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারা কেন্দ্র দখল করে নিজেদের কর্মীর ভোটে ক্ষমতায় আসেনাই।

বিষয়টা নিয়ে আমার ভারতীয় কলিগের সাথে আলাপ করেছি। ওখানে ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে মেনুপুলেট করার চেস্টা দলগুলি করে কিন্তু দলগুলি কেন্দ্র দখলের চেস্টা করেনা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনি সরকারের পকেটে থাকেনা। ( যেমনটা টিভিতে দেখলাম ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভুয়া ভোটার চলে গেলো আর তিনি টিভি রিপোরটারকে বললেন আপনার কাছে প্রমান থাকলে অভিযোগ করুন)

কি কি পদক্ষদেপ নিলে জনগন ভোটের ক্ষমতা ফিরে পেতে পারে?
আমাদের দেশের রাজনিতিক দলগুলিকে কিভাবে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের দিতে বাধ্য করা যায়?
কিভাবে রাজনিতিক দলের নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়?

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:




১৯৭৭ সাল থেকে দেশে ভয়ংকর গোজামিল দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে; গোজামিল দেয়াতে রাজনৈতিক দলের লোকেরা, ব্যুরোক্রেটরা মিলিটারীর অফিসারেরা, পুলিশ অসৎ হয়ে গেছে। ফলে, সেই অসৎরা এমপি, চেয়ারম্যান হচ্ছে!

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯

নতুন বলেছেন: কেন্দ্র দখল
ভোটারকে মার্কা দেখিয়ে ভোট দিতে বলা
অন্য দলের সর্মথকদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া
পিজাইডিং অফিসার পুতুলের মতন দলের পোলাপাইনের কথা শোনে। কতটা অপমান বোধ করে তারা ঐ দিন? ( কিছু হয়তো দলের সমর্থন করে)

কিভাবে রাজনিতিক নেতাদের বাধ্য করা যায় এই সব থেকে বিরত থাকতে?

বিদেশে এমন ভোট কেন্দ্র দখল হয় না। কেন হয় না?

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: If you look to our Constitution mandates u'll find in clause number 11 that, "The Republic shall be a democracy in which fundamental human rights and freedoms and respect for the dignity and worth of the human person shall be guaranteed, and in which effective participation by the people through their elected representatives in administration at all levels shall be ensured."


So this Govt should'nt allowed as an elected govt, as it's running "by the hasina, for the hasina, to the hasina"

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২১

নতুন বলেছেন: দেশে জনগন নিজেদের ভোট দিতে পারছেনা। এটাকে কিভাবে গনতন্ত্র বলে?

এই দুস্ট চক্র থেকে বের হবার উপায় কি?

জনগন কি করলে রাজনিতিকরা বাধ্য হবে ভোটের মাধ্যমে নিবাচিত হতে।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সোনাগাজী সাহেব বলেছেন: ১৯৭৭ সাল থেকে দেশে ভয়ংকর গোজামিল দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে।

তিনি সঠিক সাল লিখতে ভুল করেছেন। ব্লগে রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি থেকে আমি ইস্তফা নিয়েছি। সোনাগাজী সাহেব জানেন সেই সময়ের দুই একজন মানুষ ব্লগে আছেন। দেশে ভোটচুরি কেলেংকরী কখন থেকে শুরু হয়েছে তা সোনাগাজী সাহেব ভালো জানেন। তাঁর কাছেই সত্যটি জানতে চাই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

নতুন বলেছেন: রাজনিতি নিয়ে লিখা উচিত। নতুবা এমন নিবাচন করে আবার জাস্টিফাই করতে আসে অনেকে।

আপনার মতে জনগনের এখন কি কি করা উচিত?

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের দেশ থেকে পশ্চিম বাংলা সবদিক থেকেই ছোট।ভোটে মারামারি ওখানে বেশি হয়।ভোট গননা হয় ভোট গ্রহনের মাস খানিক পর।যখন সকল উত্তেজনা থেমে যায়।ওরা ভোট সম্পর্কে যতটা সচেতন, আমরা ততটা না।আমি অনেকবার ভোটের সময় পশ্চিম বাংলায় ছিলাম।আমার কিছু বন্ধুবান্ধব ভোটে অংশ গ্রহন করেছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

নতুন বলেছেন: বিজেপি, কংগ্রেস, তৃনমুল সবাই বেশ সক্ত বিরোধী দল। তাদের জনগনের সামনে কেন্দ্র দখল করে ভোট নেওয়া এতো সহজ না।

কিন্তু ঐ দেশে সরকার আইনশ্রংখলা বাহিনি নিজেদের দখলে রেখে নিবাচনে যায়না। কেন?

কিভাবে ওরা জনগনের ভোটাধিকার নিস্চিত করেছে কিন্তু আমরা এখনো পারিনাই?

কি করলে আমাদের জনগনের কাছে রাজনিতিকরা জবাবদিহি করবে?

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: একটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন করেছেন - কী ভাবে আমরা ভোটাধিকার ফেরত পেতে পারি?

ভারতের সাথে একেবারে মূল যে জায়গায় আমাদের প্রভেদ এটা খুব প্রণিধানযোগ্য। ভারতে রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে মানুষকে খুশি করার চেষ্টা করে। আর বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো জনগনের উপর আত্যাচার করে - হাতুড়ি হেলমেট দিয়ে আমাদের চালিত করে।

রাজনৈতিক দলগুলো কী করে জনমূখী হতে পারে, কী করে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরি হতে পারে এটা আমাদের জানতে হবে এবং সেখানে আগে পৌঁছতে হবে।

আরেকটা বিষয় হলো জামাতী মৌলবাদি দলগুলো গনতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়। অতএব নির্বাচন সুস্থ হয়নি তাদের এই নাকি-কান্না, কুমিরের কান্না দেখে বিগলিত হওয়ার কিছু নেই।

(আমার আগের মন্তব্যটি মুছে দিন)

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

নতুন বলেছেন: ভারতের সাথে একেবারে মূল যে জায়গায় আমাদের প্রভেদ এটা খুব প্রণিধানযোগ্য। ভারতে রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে মানুষকে খুশি করার চেষ্টা করে। আর বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো জনগনের উপর আত্যাচার করে - হাতুড়ি হেলমেট দিয়ে আমাদের চালিত করে।

ভারতেও হেলমেট পাওয়া যায়। কিন্তু কেন হেলমেট বাহিনি নেই?

রাজনৈতিক দলগুলো কী করে জনমূখী হতে পারে, কী করে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরি হতে পারে এটা আমাদের জানতে হবে এবং সেখানে আগে পৌঁছতে হবে।


আমার জিঙ্গাসা এটাই, কিভাবে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরি হতে পারে?

আরেকটা বিষয় হলো জামাতী মৌলবাদি দলগুলো গনতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়। অতএব নির্বাচন সুস্থ হয়নি তাদের এই নাকি-কান্না, কুমিরের কান্না দেখে বিগলিত হওয়ার কিছু নেই।

জামাতী এবং অন্য ধর্মভিক্তিক দলও ধান্দাবাজ তাদের প্রতি কোন সহানুভুতি আমার নাই।

কিন্তু দেশের জনগনের জন্য রাজনিতিক দলের কোন জবাবদিহিতা নেই। সেটা কিভাবে ফিরিয়ে আনা জায়?

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো পোস্ট, তবে আমি এক্ষুণি দেশে ভোটের রাজনীতি চালু করার পক্ষাপতি নই তাই এ বিষয়ে তেমন কোন মতামত দিতে পারতেছি না। দেখি কে কি সমাধান দেয়।

তবে আমার কাছে সরকারের পতন ঘটানোর ওয়ে আছে, চাইলে দিতে পারি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

নতুন বলেছেন: তবে আমার কাছে সরকারের পতন ঘটানোর ওয়ে আছে, চাইলে দিতে পারি।


সরকার পতন সমাধান না। আগামী কাল যদি বিএনপিকে সরকার গঠন করে আগামী ৫ বছর চালাতে বলেন তবে ওরা ভালো কিছু করবেনা। বরং বর্তমানে খারাপ চলছে না।

কেন আপনি বর্তমানে ভোটের রাজনিতি চালুর বিপক্ষে?

দেশের জনগন সচেতন না তাই যদি হয় তবে দেশে একনায়কতন্ত্র আনা দরকার।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো পোস্ট,
তবে আমার কাছে সরকারের পতন ঘটানোর ওয়ে আছে, চাইলে দিতে পারি। --- আমিন

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

নতুন বলেছেন: আগামী ৫ বছর আর এদের ঠেকায় কে।

আমেরিকা ঝামেলা করে শেখ হাসিনাকে চীনের দিকে ঠেলে দেবেনা।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভোটের অন্যরকম স্যান্ডার্ড দাড়া করা হয়ে গেছে,শুধু সময়ে সময়ে মডিফাই করা বাকি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২

নতুন বলেছেন: জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে রাজনিতিক দলের।

তবেই রাজনিতিকরা বিনয়ী হবে, আকাম করলেও অনেক সাবধানে করবে। এতো দূনিতি করবেনা।

দূনিতি কমে যাবে... দেশ সহী পথে হাটা শুরু করবে...

কিন্তু কিভাবে শুরু করা উচিত বলে আপনি মনে করেন। এখন জনগন কি কি করতে পারে....

জনগন টিকটক আর ইউটিউব রোস্টিং ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত...

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

শ্রাবণধারা মন্তব্য শেষে বলেছেন
জামাতী মৌলবাদি দলগুলো গনতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয়। অতএব নির্বাচন সুস্থ হয়নি তাদের এই নাকি-কান্না, কুমিরের কান্না দেখে বিগলিত হওয়ার কিছু নেই।

হ্যাঁ দেশে পাকিস্তানপন্থী জয় বাংলা অস্বীকারকারী দলগুলোর ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

নতুন বলেছেন: পাকিজুজু দেখানো বন্ধ করুন।

আয়ামীলীগের লজ্জা করা উচিত এমন ভোটের নাটক করার পরে। আপনিও খুব ভালো করেই জানেন সুস্ঠ ভোট হলে আয়ামীলীগের গুটি কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগেরই জামানত থাকতো না..

আয়ামীলীগের ভুলের কারনে শেখ হাসিনার পরের আয়ামীলীগ অনেক বড় সংকটে পড়বে...

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



@ঠাকুরমাহমুদ ,

১৯৭৩ সালেও স্হানীয়ভাবে, কোন কোন প্রার্থী নিজের এলাকায় জাল ভোট টোট দিয়েছে; তবে, তাতে শেখ যুক্ত ছিলো না; ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোটের রেজাল্ট মিলিটারী বদলায়েছে, সেটাতে জেনারেল জিয়া যুক্ত ছিলো।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

নতুন বলেছেন: ক্ষমতা থাকলে সেটার অপব্যবহার করতে সবাই চায়।

কিন্তু এখন কি কি করলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টাবে...

জনগন কিভাবে দলের নেতাদের বাধ্য করতে পারে?

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশীরা ভোট বিমুখ হয়ে গেছে। রাজনীতিবিদদের উপর চরম বিরক্ত ! কোন আশ্বাসেই কাজ হবে না মনে হয়।
আপাতত এ থেকে বের হবার রাস্তা থাকলেও উপায় নেই- সেটা কোন না কোন ভাবে আটকে যাবে। সবার ক্ষমতা জরুরি-পরামর্শ কেউ শুনবে না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

নতুন বলেছেন: বেড়ালের উপরে রাগ করে মাছ বাইরে ফেলে দিলে বেড়ালেরই লাভ।

দেশের ক্ষমতা জনগনের কাছে ফিরে না আসলে রাজনিতিকরা দূনিতি বন্ধ করতে সচেস্ট হবেনা।

কিভাবে শুরুটা করা যায়?

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৩

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: কি কি পদক্ষেপ নিলে জনগণ ভোটের ক্ষমতা ফিরে পেতে পারে?

বাংলাদেশে জনগণের ভোটের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি জটিল ও বহুমুখী। বিভিন্ন কারণে বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য একটি ব্যাপক কর্মকাণ্ডের প্রয়োজন।

কিছু সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হল:

১. নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার:

(ক) স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা বৃদ্ধি:

এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন তদারকি ব্যবস্থা, প্রচারণার অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং ভোটারদের ভয়ভীতি ও জবরদস্তি মোকাবেলার মতো ব্যবস্থা।

(খ) ভোটার নিবন্ধন ও শনাক্তকরণকে শক্তিশালী করা:

একটি নির্ভরযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার নিবন্ধন ব্যবস্থা, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র সঠিক ভাবে প্রয়োগ করলে ভোটার জালিয়াতি এবং ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করণ হ্রাস করতে পারে।

(গ) নির্বাচনী মানচিত্র সংস্কার:

সব নাগরিকের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে নির্বাচনী এলাকার সীমানা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

(ঘ) বিকল্প ভোটিং সিস্টেম বিবেচনা করা:

জনমতের বৈচিত্র্যকে আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করে এমন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা অন্যান্য সিস্টেমগুলি অন্বেষণ করা উপকারী হতে পারে।

২. সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ক্ষমতায়ন:

(ক) স্বাধীন মিডিয়া:

দায়বদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ভোটারদের অবহিত করার জন্য একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন মিডিয়া আউটলেটগুলিকে শক্তিশালী করা এবং সাংবাদিকদের হয়রানি থেকে রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

(খ) নাগরিক সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করা:

ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম, ভোটার সংগঠিত করণের প্রচেষ্টা এবং নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে কাজ করছে এমন নাগরিক সংগঠনগুলিকে নাগরিকদের অংশগ্রহণের জন্য ক্ষমতায়ন করতে পারে।

(গ) প্রযুক্তি ব্যবহার:

অনলাইন ভোটার নিবন্ধন, অনলাইনে ভোটারদের তথ্য পাওয়ার অধিকার এবং নির্বাচনী ফলাফলে অনলাইন অ্যাক্সেস স্বচ্ছতা ইত্যাদি সুবিধা বাড়াতে হবে।

৩. অন্তর্নিহিত সমস্যা সমাধান:

(ক) দুর্নীতি দমন:

প্রচারাভিযান খরচের স্বচ্ছতা, শক্তিশালী দুর্নীতিবিরোধী আইন এবং স্বাধীন দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে। যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থাকে বাড়াতে পারে।

(খ) রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি:

সংখ্যালঘু, নারী এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

(গ) আইনের শাসন জোরদার করা:

স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী বিরোধ সুষ্ঠুভাবে এবং দ্রুত আইনগত ভাবে সমাধান করা। সকল নাগরিককে আইনের সামনে সমান আচরণ করা।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে:

এই জটিল সমস্যার কোন একক সমাধান নেই, এবং এই পদক্ষেপগুলির একটি সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে।

যেকোনো সংস্কার সফল হওয়ার জন্য কার্যকরী বাস্তবায়ন এবং ফলো-থ্রু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে ঐকমত্য ও সহযোগিতা গড়ে তোলা অপরিহার্য।

এগুলি কেবলমাত্র কিছু সম্ভাব্য পদক্ষেপ যা নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও প্রেক্ষাপটের ওপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ভর করবে। জনগণের ভোটের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারে এমন সমাধানের জন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে খোলামেলা এবং গঠনমূলক সংলাপ করা অপরিহার্য।

মনে রাখবেন, আমি একজন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নই, এবং এই তথ্যকে ব্যাপক বা নির্দিষ্ট পরামর্শ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। এই জটিল সমস্যাটি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে আরও তথ্য এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন৷

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

নতুন বলেছেন: আপনি অনেক ভালো বিশ্লেষন করেছেন। অনেক জিনিসই কিতাবে আছে কিন্তু গোয়ালে নাই। :(

নিবাচনে সিসিটিভির প্রস্তাব ছিলো। কিন্তু ইসি সেটা থেকে সরে এসেছে।

বিশ্বের অনেক দেশে সিসিটিভির কল্যানে অপরাধ কমে গেছে... আর আমাদের নিবাচনের মতন বিষয়েও এই জিনিস করতে চাইনা।

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




জবাবদিহিতা নেই বলেই কোন দায়বদ্ধতা নেই।
তাই অন্যায় করলেও কারো কোন ভয় নেই।
জোর যার মুল্লুক তার এরকম হয়ে গেছে।

আইন আছে কাগজে কলমে, সেটার কোন প্রয়োগ নেই।
যারা দেশের মানুষের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করবে, তারা নিজেরাই দুর্নীতি করে।
তাহলে কিভাবে কি হবে!!!!

আমাদের দেশের জন্মলগ্ন থেকে এভাবেইতো চলছে।


১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

নতুন বলেছেন: হুম জনগন এখন নিবার্চনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অপমানিত হতে চায় না তাই ভোট দিতে যায় না।
দলীয় নেতারা অন্যায় করে জানে তাদের নেতা ফোন করবে...

কিন্তু কিভাবে জনগনের কাছে ভোটের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়?

অন্য দেশে যদি ভোট কেন্দ দখল না হয় আমাদের দেশে কেন হয়?

ওরা কিভাবে ঐ খানে গেলো... আমরা কিভাবে পৌছাতে পারি...

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নতুন ভাই @

ভোট সুষ্ঠু হওয়ার পর ধরেন বিরনপি ক্ষমতায় আইল।
এতে দেশের ঠিক কি কি ফায়দা হবে বলে আপনি মনে করেন।
কিছু রাস্তা ঘাট ব্রীজ এয়ারপোর্ট এর নাম পরিবর্তন!
এইতো।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

নতুন বলেছেন: বিএনপি/জামাতের জুজু আর কতদিন দেখাবেন।

দেশে আয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর চেতনা বিক্রি করে টাকা কামিয়েছে মাত্র।
দেশের মানুষ যদি বিএনপির চেতনায় উদ্ভুদ হয়ে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে তবে সেটা আপনার আর আপনার দলের ব্যর্থতা।
তখন আয়ামীলীগ জনগনের মন পাবার জন্য আবার কাজ করবে।

যেমনটা কংগ্রেস করছে.... কিন্তু তাই বলে কংগ্রেস জোর করে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় থাকছেনা।

আয়ামীলীগ আর বিএনপির মাঝে পার্থক্য কি দেখাবেন কি?
জিয়া আন্তজাতিক বিমান বন্দরের নাম কে পাল্টালো?

দেশে জনগনের ভোটে ক্ষমতায় সরকার বদল হলে রাজনিতিক নেতারা বাধ্য হবেন জনগনের মন যুগিয়ে চলতে।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৪

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ১৯৭৩ এর নির্বাচনে এমনিতেই আওয়ামীলীগ বিশাল জয় পেতো। তবু হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যালট পেপার তুলে নিয়ে এসেছিলো ঢাকাতে ,হেরে যাওয়া মোস্তাককে জেতাতে ( তার প্রতিদান সে দিয়েছিলো দুইবছর পরে )। বিপক্ষের আর একজনকে কিডন্যাপ করে নির্বাচনের পরে ছেড়েছে। এই সবই তৎকালীন সরকার প্রধানের ইচ্ছানুযায়ী হয়েছিল( যেহেতু উনি কোনো ব্যবস্থা নেননি তাই এটা বলা যায় )। নির্বাচন কলুষিত করার যে বীজ উনি বুনেছিলেন পরবর্তী সব সরকার তাতে সার দিয়েছে। আর তার কন্যা সেটাকে মহীরুহ বানিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু মানুষ ছিলেন তার কন্যার মতো ,আওয়ামীলীগ চাইলেই উনাকে দেবতা বানাতে পারবে না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০০

নতুন বলেছেন: আমাদের মানুষও সম্ভবত রাজা/জমিদারের অধীনে থাকতে চায়।

অনেকেই দেখেছি আলোচনা করতে জয়/তারেক জিয়া কেমন প্রধানমন্ত্রী হবে...

আলোচনার বিষয় হউয়া উচিত দলের ভেতরে নিবার্চনের মাধ্যমে কিভাবে পরবর্তি নেতা উঠে আসবে...

যেই দলে গনতন্ত্র নাই তারা কিভাবে দেশে গনতন্ত্রের কথা বলে?

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২২

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @লেখক বলেছেন: ব্লগারদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেশের আলোকিত মানুষের অংশ বলে বিশ্বাস করতে চাই।


- আলোকিত বটে ! সবার চোখের সামনে তামাশার নির্বাচন করলো ,শিশুরা পর্যন্ত ভোট দিলো। বিবিসি ,ডয়েস ভেলে তে সব বিস্তারিত দেখালো তবু কিছু ব্লগার ৪০% ( ! ) নিয়ে অশ্লীল উল্লাস করে ,স্বদম্ভবে বলে যে ,এই দেশের মানুষের সুষ্ঠ ভোট দেবার অধিকার নেই !

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন: আমি বিশ্বাস করতে চাই বলেছি।

শুধুই হাকা ভাই ছাড়া আর কেউই অন্ধ আয়ামীলীগার না, এরা বুঝতে পারবেন।

আর হাকা ভাই কে এই সরকারের তথ্য মন্ত্রী পদের জন্য আমি সুপারিস করছি।

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @লেখক বলেছেন: হাকা ভাই কে এই সরকারের তথ্য মন্ত্রী পদের জন্য আমি সুপারিস করছি।

-উনার চাইতে ভালো তথ্য মন্ত্রী শেখ হাসিনা কোথাও পাবেন না। গোফরান স্বগোষিত অন্ধসমর্থক ! উনাকে বিনোদন বা খাদ্য মন্ত্রী( উনি ভোজন রসিক মানুষ ) করার সুপারিশ করছি।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

নতুন বলেছেন: গোফরান ভাইকে মন্ত্রী বানালে উনি মোল্যাদের বনবাসে পাঠাবেন এবং সেই অনুস্ঠানের শুরু করবেন কোরান তেলাওয়াত করে।

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

বিজন রয় বলেছেন: শেষে যে তিনটি প্রশ্ন রেখেছেন, আমার কাছে তার উত্তর হলো দেশের জনগণকে বিজ্ঞানমন্স্ক ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করলে তবেই এটার সমাধান হবে।

অনেক সময়ের ব্যাপার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

নতুন বলেছেন: বাঙ্গালী বড়ই সেয়ানা।

যখন টেন্ডার অনলাইনে হইলো তখন থেকে নেতার অফিসে লটারি শুরু হইলো। সবাই ১০০০ টাকা দিয়ে নাম লটারি দেয় যার নাম উঠে সে অনলাইনে টেন্ডার কিনে জমা দিয়ে কাজ পায়। প্রতিকাজের ৫%-১০% নেতা ভাগে। লটারিতে অংশ নিতে ৪০-৫০ জন্য অর্থ ৪০-৫০ হাজার টাকা ঐ দিনের অফিস খরচ...

যতই মুসকিল তত আছান... :P

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কিছু বলব না।
আপনার পোষ্ট পড়লাম। মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

নতুন বলেছেন: আপনি তো অলরেডি ৩ লাইব বলেইছেন।

আপনি ঢাকার মানুষদের কাছ থেকে দেখেন।

আপনার কি মনে হয় ? কি ভাবে রাজনিতিকদের ঠিক করা যায়?

জনগন কি করলে নেতারা জবাবদিহি করতে শুরু করবে?

২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫০

সোহানী বলেছেন: যে যায় লংকা সে হয় রাবন B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.