নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Fake world, fake life

ত্রিকোণমিতি

পাপিষ্ঠের দলে প্রথম সারির একটি মেরুদণ্ডী প্রাণী

ত্রিকোণমিতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে যা করার আমাদেরকেই করতে হবে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫


রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার আর ফিরিয়ে নেবে না, ওদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে: এরশাদ (বাংলা ট্রিবিউন সেপ্টেম্বর ২৪)

সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের এই ধারণার সাথে আমি একমত। চীন-রাশিয়া-ভারতের অবস্থান সেটাই নির্দেশ করছে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশের পাশে থাকা, বিভিন্ন দেশের টনকে টন খাদ্য সাহায্য পাঠানো, তুরস্কের এক লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা এ সবই রোহিঙ্গা সমস্যা সহজে না মেটার বার্তা বহন করে। কারণ একই সাথে এসব দেশ মায়ানমারের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে। স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বহাল রাখছে। তারা মুখে যাই বলুক, সম্পূর্ণ দায়টা তো বাংলাদেশের কাঁধেই বর্তেছে।

যুক্তরাষ্ট্র কি চায় সেটা যেমন ধোঁয়াশার তেমনি তার ক্ষমতার বহরও। বর্তমান বিশ্ব নেতৃত্ব যে আর যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্বে নেই সে তো বলাই বাহুল্য। এক্ষেত্রে ইসরাইলের সাথে মায়ানমারের সম্পর্কও ধর্তব্যের বিষয় যার উপর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিদ্ধান্তই নির্ভর করে।

এদিকে চীন মায়ানমারকে সম্পূর্ণরূপে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়ার একটি মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে। তারা সেটি সফলভাবে কাজেও লাগিয়েছে। রাশিয়া-ভারতও এই সুযোগটি হাতছাড়া করবে না তাতো তারাও স্পষ্ট করেছে। সারা বিশ্বে যত নিন্দা যত প্রতিবাদই উঠুক না কেন তাতে মিয়ানমারের কিছুই যায় আসে না।

বাংলাদেশের থিংক ট্যাঙ্করা যদি এখনই এটা বুঝতে সক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে সেটা অবশ্যই স্বস্তির। কাজেই এখন দীর্ঘসময় ধরে এমনকি স্থায়ীভাবে এই লোকগুলোর নিরাপত্তা সহ মৌলিক চাহিদা সমূহ মেটানোর ব্যবস্থা কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। তারা যদি মনে করে অনন্তকাল ধরে পূর্বাপর মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে সেটা যেমন অসম্ভব, তেমনি অসম্ভব এই সমস্যাকে মাথা থেকে ঝেরে ফেলা।

আমাদের ভাবতে হবেঃ

যতদিন পর্যন্ত এই লোকগুলোকে আশ্রয় দিতে হবে ততদিন পর্যন্ত যেন তারা এ দেশের জন্য বোঝা হয়ে না থাকে।
আমরা কিভাবে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রেখেও কর্মমুখী করে তুলতে পারি। যাতে তারা কোন জঙ্গি সংগঠনের পাল্লায় না পড়তে পারে কিংবা আভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।

একই সাথে এদের দেখভাল করতে গিয়ে বাংলাদেশও যেন কোনরকম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে না পরে যায়। অনেকেই হয়ত প্রশ্ন করবেন, এত কম আয়তনের দেশ হিসেবে কিভাবে এদেরকে মূল জনগোষ্ঠীর থেকে আলাদা করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রেখে কর্মমুখী করা সম্ভব? আমি বলব সে সুযোগ কিন্তু আমাদের আছে। আমরা চাইলে এই বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে হাতিয়া সংলগ্ন সাগরের বুকে জেগে ওঠা বিশাল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করতে পারি।


নির্দিষ্ট স্থানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের উৎপাদনমুখী নানা কাজে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। তারা যতদিন এখানে থাকবে আত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকুক। বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে বলে তারা কি বাংলাদেশকে ছিবড়ে খাবে! বাংলাদেশের পক্ষে এর পূর্বে আশা পাঁচ থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গার বোঝা কাঁধে নিয়ে আরও পাঁচ লাখের বোঝা এভাবে বহন করা যায় না। আর সেটা এ দেশের আর্থ সামাজিকতার প্রতিও এক সময় হুমকি হয়ে দেখা দিতে বাধ্য। দিনের পর দিন বছরের পর বছর তো এভাবে তাদের হাতে তুলে খাওয়ানো যাবে না। আমরা আটকে পড়া পাকিস্তানীদের বোঝা বইছি অর্ধ শতাব্দী ধরে। কে আমাদের সাহায্য করছে? এই রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও দু’এক বছর পর আমরা ভিন্ন চিত্র দেখব সে নিশ্চয়তা কে দেবে?

মায়ানমারে যদি কোনদিন তাদের পাঠানো সম্ভব হয় সেদিন ওখান থেকেও জাহাজ ভড়ে পাঠানো যাবে। অতএব কক্সবাজার-টেকনাফের মত এমন একটি পর্যটন এলাকায় তাদের রাখা মানে আমাদের পর্যটন শিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলা। আর কিছুদিন পরেই হয়ত আমরা দেখব পাহাড়ি-বাঙালির সাথে এদেরকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ভেবে দেখবেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.