![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী কাউন্টার টেরোরিজম বলতে ‘অফিসিয়ালী’ কোন সংজ্ঞা বুঝতে পারে।
কিন্তু আমার ভাষায়- কাউন্টার টেরোরিজম মানে – “যে টোরোরিজমকে প্রথমে অমুসলিমরা তৈরী করে এবং পরবর্তীতে সেটাকে কাউন্টার দেয়ার নাম করে মুসলমানদের দমন করে তাকেই কাউন্টার টেরোরিজম বলে।”
কাউন্টার টেরোরিজমের সবচেয়ে সহজ সংজ্ঞা পাওয়া যায় ২০১২ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশী তরুণ নাফিসকে গ্রেফতারের ঘটনায়। খবরে আসে- নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে গিয়ে এফবিআই’র কাছে গ্রেফতার হয়েছে বাংলাদেশী তরুণ নাফিস।
যদিও পরবর্তীতে সত্য বের হয়, নিতান্তই একজন গো-বেচারা তরুণ ছিলো নাফিস। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্য মুসলিম পরিচয় দিয়ে নাফিসের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করে এবং তাকে প্ররোচিত করে এই বোমা হামলার জন্য। এবং এক পর্যায়ে গাড়ি ভর্তি করে ভুয়া বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ে আসে নাফিসের জন্য। নাফিস সেটা রিসিভ করে এবং হামলার জন্য তৈরী হয়। তখনই তাকে বিষ্ফোরকসহ গ্রেফতার করে এফবিআই। ঐ ঘটনায় নাফিসের ৩০ বছরের জেল হয়।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা নাফিসকে প্ররোচিত করতে দায়ী, এমন কথা উঠলে গোয়েন্দা বিভাগ বলে, নাফিসের মনের ভেতর আমেরিকায় হামলার কথা গুপ্ত অবস্থায় ছিলো। এটাই তার অপরাধ।
অর্থাৎ
একজন মুসলমানকে প্ররোচিত/উত্তেজিত করে তারাই,
এরপর তারাই হামলা করতে বলে/অথবা নিজেরাই হামলা করে,
এরপর সেই অজুহাত দিয়ে ঐ মুসলমানকে গ্রেফতার করে।
এটাই হলো কাউন্টার টেরোরিজম
২০০১ সালে আফগানিস্তানে যখন আমেরিকা হামলা করে তখন আমি ছোট ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম- ভালোই তো আমেরিকা সন্ত্রাস দমন করছে।
কিন্তু ২০০৩ সালে যখন ইরাকে মরনাস্ত্র আছে এমন অজুহাতে হামলা করে, তখন আমি সেটা বিশ্বাস করি নাই। বলেছিলাম- “না এইসব কথিত সন্ত্রাস-মরণাস্ত্র কিছু না। সব মুসলিম মারার অজুহাত। ঠিকই দেখা গেলো পরবর্তীতে আমেরিকা স্বীকার করলো ইরাকে মরণাস্ত্র বলে কিছু নাই।
এরপর একের পর এক মুসলিম দেশে হামলা/আক্রমণ চললো। প্রত্যেক ক্ষেত্রে কথিত কাউন্টার টেরোরিজম পদ্ধতি ব্যবহার করা হলো। অর্থাৎ মুসলিমরা সন্ত্রাস করে, আর অমুসলিমরা তা দমন করে। সর্বশেষ আমরা দেখলাম- মায়ানমারের ঘটনা। সেখানে কথিত আরসা বাহিনী প্রথমে বার্মীজ সেনাবাহিনীর উপর হামলার করলো, তারপর সেই অজুহাতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে হত্যা ও বিতাড়িত করা হলো।
২০০১ সালে কথিত ‘কাউন্টার টেরোরিজম’ শুরু হওয়ার পর ২০১৭ পর্যন্তক আমেরিকা ও তার দোসররা বহু দেশে একই পলিসি অ্যাপ্ল্যাই করে মুসলমানদের দমন, নিপীড়ন ও গ্রেফতার করেছে। কিন্তু অতি অতি দুঃখের বিষয় আমি যেটা ২০০৩ সালে বুঝতে পারছি, এখনও মুসলমানরা ওদের চালবাজি ধরতে পারে নাই। ঘটনা ঘটলে মুসলমানরাই উল্টো বলে- “আগে সন্ত্রাস দমন করেন। ইসলাম কি সন্ত্রাস করতে বলছে ?” এই গ্রিন সিগনাল পেয়ে ঐ অমুসলিমরা মুসলমানদের সব রকমের দমন-নিপীড়ন চালায়। সর্বশেষ ঘটনা ঘটলো- রংপুরে। সেখানেও ঘটনা সাজানো হলো, এরপর তারাই বাড়ি পুড়িয়ে মুসলমানদের ফাসিয়ে দিলো। কিন্তু আমি অবাক হলাম, তখন মুসলমানরা বলে- “না না ঘর পুড়িয়ে অন্যায় করেছে। আগে ঘর পুড়ানোর বিচার হোক। “
ছিঃ মুসলমান তোমরা এত বেকুব ! তোমরা এক গর্তে কয়বার পরো ? সেই ২০০১ সাল থেকে শুরু হয়ছে এই সিস্টেম ১৭ বছরেও মুসলমানরা এই কথিত কাউন্টার টেরোরিজম ধরতে পারে নাই। এই নূন্যতম বোধ শক্তি যার নাই, তার মরে যাওয়াই ভালো, তারই বরং উচিত বঙ্গোপোসাগরে ডুবে মরা। এই ন্যূনতম বোধ না থাকার কারণেই সারা বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা একচেটিয়া নির্যাতিত ও নিপীড়িত।
বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য এখনও কিছুটা হলেও সময় বাকি আছে। যদিও তা খুবই অল্প।
অমুসলিমদের এই কাউন্টার টেরোরিজম পলিসি থেকে বাচতে হলে, মুসলমান যে কাজগুলো করতে হবে-
১) এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে গেলেই প্রথমে বলতে হবে- এ ঘটনা মুসলমানরা করে নাই। অমুসলিমরা করে মুসলমানের ঘাড়ে চাপাইতেছে।
অথবা,
যেটা হইছে ঠিক হইছে। এখানে কোন ভুল নাই। সব মুসলমানরা ঐ ঘটনার উপর একত্রিত হইতে হবে। এক অংশ পক্ষে, অন্য অংশ বিপক্ষে যাওয়া চলবে না।
২) ব্যাপক প্রচার করতে হবে- এই ঘটনা অমুসলিমরা ঘটায় মুসলমানদের দোষ চাপাতে চাইছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে একশন নিতে হবে।
তবে যেটাই করেন- সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো- মিডিয়াকে অবিশ্বাস করা শিখতে হবে। কারণ মিডিয়া ওদেরই অস্ত্র। যদি আপনি মিডিয়াকে অন্ধ বিশ্বাস করেন, তবে খুব সহজেই তাদের বিষ মেশানো ট্যাবলেট গিলে ফেলবেন। এবং কাউন্টার টেরোরিজমে পরে যাবেন।
এই ‘কাউন্টার টেরোরিজম’ নামক ফাদ থেকে যতদিন মুসলমানরা বেরিয়ে না আসবে ততদিন মুসলমানরা নির্যাতিত হওয়া থেকে বাচতে পারবে না বলেই মনে হয়।
©somewhere in net ltd.