নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Fake world, fake life

ত্রিকোণমিতি

পাপিষ্ঠের দলে প্রথম সারির একটি মেরুদণ্ডী প্রাণী

ত্রিকোণমিতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদীদের কনজ্যুমারিজম এবং তার বিপরীতে ইসলাম

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৬




ইহুদী পূজিবাদীরা চায় সমস্ত অর্থ তাদের কাছে চলে আসুক। এজন্য তারা বিভিন্ন পন্য তৈরী করে এবং সবাইকে তা ক্রয় করতে বলে। কিন্তু পণ্য থাকলেই তো আর হয় না, জনগণের ঐ পণ্যের প্রতি চাহিদা থাকতে হবে। ইহুদীরা এ জন্য ঐ পণ্যের প্রতি কৃত্তিম চাহিদা তৈরী করে। হয়ত বাস্তবে ঐ পণ্যটি তার দরকার নেই, কিন্তু ইহুদীরা তাদের পণ্য জনগণকে খাওয়ানোর জন্য সাইকোলোজিক্যালী মাইন্ড প্রোগ্রামিং করে। একটা উদহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন ধরুন কারো একটা মোবাইল ফোন আছে, সেটা দিয়েই দিব্বি তার কাজ চলছে। কিন্তু তাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে আইফোন কিনতে। হয়ত সে একটা আইফোন ৬ কিনলো। কিন্তু এর মধ্যে বাজারে আসলো আইফোন৬এস। তখন ঐ ব্যক্তি পুরাতন মডেল বাদ থাকতেও নতুন মডেল কিনলো। কয়েকদিন পর আইফোন নতুন মডেল এসই বাজারে আনলো, তখন সে আবারও সেই নতুন মডেলের সেট কিনলো। এভাবে ঐ ব্যক্তির প্রয়োজনীয় পণ্যটি থাকা সত্ত্বেও এক ধরনের ‘আবেগ’ তাকে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে বাধ্য করা হচ্ছে। এটাকে বলা হচ্ছে কনজ্যুমারিজম পণ্যদাসত্ব।

কনজ্যুমারিজম উদাহরণের জন্য সাবান কোন কিছু পরিষ্কার করার উপদানের উদাহরণটা দেয়া যেতে পারে। যেমন ধরুন,

১) গায়ে দেয়ার জন্য সাবান (আছে বহু প্রকার)

২) কাপড় ধোয়ার জন্য সাবান/ডিটারজেন্ট (আছে বহু প্রকার)

৩) মাথা ধোয়ার শ্যাম্পু (আছে বহু প্রকার)

৪) মুখ ধোয়ার জন্য ফ্রেশওয়াশ (আছে বহু প্রকার)

৫) বাসন ধোয়ার জন্য ডিশওয়াশ

৬) ফ্লোর বা মেঝে ধোয়ার জন্য আলাদাওয়াশ

৭) টয়লেটের কমোড ধোয়ার জন্য আলাদা

৮) দাত মাজার জন্য টুথপেস্ট,

৯) মুখের ভেতর ধোয়ার জন্য মাউথওয়াশ

১০) হাত ধোয়ার জন্য হান্ডওয়াশ

একটু চিন্তা করে দেখুন তো, আজ থেকে ৫০ বছর আগে এত সব ওয়াশ কোথায় ছিলো ? এত এত ওয়াশ না ব্যবহার করেও তো আপনি চলতে পারতেন। কিন্তু আজকে আপনার মাথায় এমন কিছু প্রবেশ করানো হয়েছে, যার কারণে আপনি ‘এত এত ওয়াশ’ আপনি এক মুহুর্তও কল্পনা করতে পারেন না। আর তাই মাসের মাইনে খরচ করে এত এত ওয়াশ কিনতে আপনি বাধ্য হচ্ছে। ইহুদী পূজিবাদীদের এটাই সাফল্য কারণ, আপনি যত পণ্য কিনবেন ততই তাদের পকেটে টাকা আসবে, যাকে বলা হচ্ছে কনজ্যুমারিজম বা পণ্য দাসত্ব।

আপনি হয়ত বলতে পারেন, “ভাই এগুলোর মাধ্যমে তো আমাদের জীবন সহজ হচ্ছে।”

দৃশ্যত হতে পারে। কিন্তু তারা এসব পণ্য এমনভাবে তৈরী করে যেন আপনি ঐসব পণ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে যান বা আবারও কিনতে বাধ্য হন। যেমন ধরুন, শ্যাম্পু। মানুষের মাথায় খুশকি থাকার কারণে সে শ্যাম্পু ব্যবহার করছে। কিন্তু এমনও তো হতে পারে, এইসব শ্যাম্পু সাময়িকভাবে মাথা পরিষ্কার করে, কিন্তু কয়েকদিনপর সে নিজেই আপনার মাথায় খুশকি তৈরী করছে। আবার সেই খুশকি পরিষ্কার করতে আপনাকে নতুন করে শ্যাম্পু কিনতে হচ্ছে।

আমরা প্রতিনিয়ত যে মিডিয়া দেখি, সেখানে প্রতিনিয়ত পূজিবাদীরা বিজ্ঞাপন দেয়। ঐ বিজ্ঞাপনগুলো আমাদের মনের মধ্যে তাদের পণ্য ক্রয়ের আশা তৈরী করে। এবং একবার ক্রয়ের পর তা আমাদের অভ্যস্ত করে।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন কনজ্যুমারিজম-এ সমস্যা কি ?

উত্তর- অনেক সমস্যা আছে। আমি কয়েকদিন আগে বলেছিলাম, ইহুদীরা ৩টা জিনিস- টাইম-নলেজ-মানি’র নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় এবং অন্যের টাইম-নলেজ-মানি নষ্ট করতে চায়। কনজ্যুমারিজম দিয়ে কিন্তু সকলের মানি বা অর্থ কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

ধরে নিলাম, একজন মানুষ মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে। এই টাকায় সে নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ করে বাকি টাকা রেখে সে ব্যবসা করতে পারে, সে তার ধর্মীয় কাজে খরচ পারে, সে উদপাদনশীল কোন কাজে ব্যয় করতে পারে। কিন্তু ইহুদীরা কনজ্যুমারিজম এর মাধ্যমে তার সব টাকা চুষে নিয়ে যাচ্ছে। হয়ত সে নিজে বা তার স্ত্রী, অথবা ছেলে বা মেয়ের নিত্য নতুন পোষাক লাগছে। আগে বছরে ২ সেট জামা লাগতো, এখন ৩০ সেট কিনছে। অমুক ডিজাইন-তমুক ডিজাইন, অমুক ব্র্যান্ড, তমুক ব্র্যান্ডের ঘড়ি, জুতা, প্যান্ট, ব্যাগ, মোবাইল এইটা সেইটা করে তার সারা মাসের বেতন তো খরচ করছেই, উপরন্তু তাকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলছে। কনজ্যুমারিজম মেটাতে গিয়ে ঘুষ খাচ্ছে, অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে।

আইফোনের লোভে কিডনী বিক্রি বা সতিত্ব বিক্রির অনেক খবর আমরা এক্সট্রিম কনজ্যুমারিজমের উদহারণ হিসেবে পাই।কনজ্যুমারিজম এর উপরের ধাপ হচ্ছে হেডোনিজম। হেডোনিজম এমন এক এক্সট্রিম পর্যায়ে যখন মানুষ ভোগ বিলাস করতে কারতে আর মানুষ থাকে না পশু হয়ে যায়।

আমি অনেক হিসেব করে দেখলাম ইসলাম ও ইহুদীদের কনজ্যুমারিজম মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব আছে। ইসলাম পালন করলে কনজ্যুমারিজমের বিরুদ্ধচারণ করা হয়। যেমন ধরুন- ইসলামের দেয়া আছে জাকাত ব্যবস্থা। অনেক কিছুরই জাকাত দিতে হয়, তার মধ্যে একটা হলো- আপনার ব্যবহারের অতিরিক্ত পণ্যের যাকাত দিতে হবে। কারো ৫টা মোবাইল ফোন আছে, ১টা প্রয়োজনীয়, বাকিগুলো অতিরিক্ত। ঐ ৪টি ফোনের হিসেব করে জাকাত দিতে হবে। কারো ২০ সেট জামা আছে। এর মধ্যে ৫টা দরকারী। বাকি ১৫টা অতিরিক্ত। ঐ ১৫টা জামার জাকাত দিতে হবে। অর্থাৎ ইসলাম প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারের উপর জাকাত আরোপ করে অতিরিক্ত ব্যবহারকে নিরুসাহিত করেছে।

আমি একটা কথা প্রায় আপনাদের বলি, ইহুদীবাদী যত সূক্ষ জাল বিস্তার করুক, ইহুদীবাদের পতন ঘটাতে একমাত্র ইসলাম। ইসলামের নিয়ম-কানুনগুলো ফিরিয়ে আনলে অটোমেটিক ইহুদীবাদীদের পতন ঘটবে।
-------------------------------------------------------------
Noyon chatterjee 5
-------------------------------------------------------------

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দাদা, এক বছরের অধিক হলো কিন্তু সেফ হন নাই!!! এত ভা লেখেন তারপরও!!! বিষয়টি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। আপনি কী ব্লগে নিয়মিত না? অন্য ব্লগারদের পোস্টে কমেন্ট করেন না?

এমন ভাল মানের লেখকরা এক বছর অপেক্ষা করতে হয়!!!

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পোস্টে লাইক দিলাম। ++++

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জ্বি দাদা, আমি সামুতে নিয়মিত না। একাউন্ট এক বছর আগে খোলা থাকলেও মাঝে মাঝে আসতাম। তবে এখন থেকে নিয়মিত ব্লগিং করার ইচ্ছা আছে।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নয়ন চ্যাটার্জীর এসব লেখা সাম্প্রদায়িক এবং ভ্রান্ত ধারনার। স হজেই বলে দেয়া যায় যে লেখক তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। আপনার ক্ষেত্রে কতদূর সেটা জানি না।

ইহুদীদের কনজ্যুমারিজম কথাতেই পোস্ট মার খেয়ে যাচ্ছে আর ইহুদীরা চায় সব টাকা তাদের কাছে আসুক সেটা হবে সবার জন্যই একটা আত্মহত্যা বা ইকোনমিক্যাল ব্লাক হোল। আপনি নিজেই চিন্তা করেন, ধরেন আপনারা চার জন মানুষ এক ঘরে বন্দি। আপনাদের কাছে আছে শুধু মাত্র একটা ফল গাছ। এখন একজন যদি গায়ের জোরে সেই গাছটা খেয়ে ফেলে নিজের কাছে নিয়ে নেয় তাহলে সেও কাল মারা যাবে। কিন্তু সে যদি বুদ্ধিমান হয় তাহলে তার লীডারশীপ দিয়ে সবাইকে কাজ করাবে। সবাই কাজ করবে। সেই বৃক্ষ ফলবান হলে সবার মাঝে সে বন্টন করে বাকিটা দিয়ে আরো গাছের বোপন করবে। ফলে সেখানে একটা বাস্তুসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে।

আমরা বিশ্বাসের কারনে মনে করি ইসলাম মহান ধর্ম এবং ইসলামী অর্থনীতিতে আছে মুক্তি। এটা আসলে ডাহা মিথ্যে কথা এবং শুধু মাত্র প্রহেলিকা। যদি কারো কাছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকে ইসলামিক অর্থনীতি নিশ্চিৎ ধ্বংস ডেকে আনবে। কারন এই ইসলামী অর্থনীতির মূলধনই হলো সোনা দানা যেগুলো বর্তমান জামানায় অচল এবং ভোলেটাইল। এখন বাসিল ৩, ৪ চলতেছে শুধুমাত্র একটা স্ট্যাবল ইকোনমির জন্য এবং কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া যে বিশ্ব মহামন্দা সেটা কিন্তু সুন্দর ভাবে কাটিয়ে উঠছে সবাই। কিন্তু মুসলিম দেশগুলো তাদের ঘুনে ধরা প্রহেলিকা পূর্ন অথর্ব অর্থনৈতিক তত্ব দিয়ে শুধুই ডুবছে। সৌদী এখন ঋন নির্ভর অর্থনীতি হয়ে গেছে অলরেডী।

এসব আপনারা আপনাদের পাঠ্য পুস্তক আহরিত জ্ঞান দিয়েই সুন্দর বিশ্লেষন কর‌তে পারেন। কিন্তু আপনাডের এই মিথ্যে বিশ্বাসের জন্য এসব করতে পারছেন না ফলে নয়ন চ্যাটার্জীর মতো কালসিটে হায়েনাদের পথ অনুসরন করে অন্ধকারে নিপতিত হচ্ছেন এবং মৌলিক জ্ঞান থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।

এটা হতাশা জনক

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)। আপনার প্রথম উদাহরণ টা দেওয়ার উদ্দেশ্য পরিষ্কার বুঝতে পারলাম না
যাই হোক, দ্বিতীয়ত আপনার যে অভিযোগ, " যদি কারো কাছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকে ইসলামিক অর্থনীতি নিশ্চিৎ ধ্বংস ডেকে আনবে। কারন এই ইসলামী অর্থনীতির মূলধনই হলো সোনা দানা যেগুলো বর্তমান জামানায় অচল প্রাকৃতিক সম্পদ বেশিরভাগ মুসলিমদের দখলেই ছিলো (সোনা, তেল)। তবে ইহুদীদের খপ্পরে পরে মুসলিমরা এসবের মূল্য হারাচ্ছে। কাগজের টাকার পেছনের রহস্য জানা থাকলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার বুঝতেন। আর সৌদির কথা বললেন?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তেলের দাম US Dollar এই নির্ধারণ করা হত। তাই তখন ডলার এর ভ্যালু কমা থেকে নিস্তারের জন্য রিচার্ড নিক্সন সৌদি আরবের সাথে ঐকমতে এসে একটা চুক্তি সম্পাদন করে। চুক্তি অনুয়ায়ি-এর পর থেকে তেল শুধু ডলারের মাধ্যমেই কিনা যাবে অন্য কোন কারেন্সি বা সম্পদ দিয়ে নয়, তো এর পরে পর্যায়ক্রমে OPEX এর সকল দেশ এই চুক্তির সাথে একমত হয়ে যায় আর তারপর থেকে ডলার পেট্র-ডলারে রূপান্তর হয় ফলে US Dollar এর চাহিদা বাড়তে থাকে আর আমেরিকা তাদের অতিরিক্ত ছাপানো (মুদ্রাস্ফীতি) কাগুজে ডলার অন্য দেশে রপ্তানি শুরু করে। তো দেখা যাচ্ছে আমেরিকার Us Dollar এর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উত্থানের পেছনে সৌদির ভূমিকাই প্রধান।

আর কারো নামে ঢালাও ভাবে অপবাদ না নিয়ে তার ভূলগুলো যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করুন। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.