নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Fake world, fake life

ত্রিকোণমিতি

পাপিষ্ঠের দলে প্রথম সারির একটি মেরুদণ্ডী প্রাণী

ত্রিকোণমিতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্র -“যার মাধ্যমে ইহুদীরা কোন দেশকে সৈণ্য-সামন্ত দিয়ে দখল না করেও নিয়ন্ত্রণ করছে

০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪


আমার মনে হয়, বিংশ আর একবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে ধোঁকাযুক্ত শব্দের নাম হচ্ছে ‘গণতন্ত্র’। এই শব্দটির মধ্যে রয়েছে বিস্তর ধোঁকা, এবং তার প্রয়োগেও থাকে ধোঁকা । ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের ক্ষমতা’ এ বাক্যটি দিয়ে খুব সহজেই পুরো পৃথিবীকে ধোঁকা দেয় ইহুদীরা। আমি আগের একটা লেখায় ইহুদীবাদী আমেরিকার ‘ডলার’ নিয়ে আলোচনা করছিলাম
এখানে
সেখানে বলেছিলাম- পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা একটি মাত্র পয়েন্টে (ডলার) এনে তারা পুরো বিশ্বকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করছে। ঠিক একইভাবে ‘গণতন্ত্র’ নামক পয়েন্টে এনে তারা পুরো বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে।
কেন চালু করা হলো গণতন্ত্র ?
আগে যে বিষয়টি হতো, তা হলো যুদ্ধ করে দেশ দখল। কোন একটি দেশকে দখল করতে হলে সেখানে সৈণ্য প্রেরণ করা হতো। এরপর প্রচুর জান-মাল খরচ করে যুদ্ধ করা হতো। যুদ্ধে জয়ী হলে ঐ দেশে সৈন্য স্টক রাখতে হতো। শুধু ঐ দেশে সৈন্য রাখলেই হতো না, ঐ দেশের যাবতীয় ঝামেলায় মাথায় নিতে হতো। ইহুদীরা দেখলো এমনিতেই তাদের জনসংখ্যা কম, খ্রিস্টানদের ঘাড়ে চড়ে কাজ করতে হয়। তার উপর সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ করা, দখল করলে শেষ-মেষ লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়ে যায়। তাই তারা এমন একটা পদ্ধতি বের করলো, যাতে ঐ দেশে না গিয়েই নিজ যায়গায় থেকেই সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিজ বাসায় থেকে দূরের দেশ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতির নামই হচ্ছে- গণতন্ত্র ।
গণতন্ত্র সিস্টেমটা আসলে কি ?
একদিন এক ছাত্রলীগের ছেলের সাথে কথা হচ্ছিল। সে আমাকে বলেছিল- প্রত্যেক ছাত্রলীগের মধ্যে নাকি দু’টো গ্রুপ থাকে। যেমন: তাদের ছিলো সভাপতি গ্রুপ ও সেক্রেটারি গ্রুপ। এই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। কে কমিটি পাবে, কে শক্তিশালী হবে এটা নিয়ে উপরের মহলের সাথে লবিং দেন দরবার চলতেই থাকতো। আমি ঐ ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আচ্ছা ! ছাত্রলীগ একটি মাত্র সংগঠন, কিন্তু মধ্যে আবার একাধিক গ্রুপ কেন ? উত্তরে ঐ ছেলেটি বলেছিলো- প্রত্যেকটা গ্রুপ উপর পর্যন্ত উঠে দুইজন প্রধানের সাথে সংযুক্ত হয়। একটি গ্রুপের প্রধান শেখ হাসিনা, অন্য গ্রুপের প্রধান শেখ রেহানা। তারা উপরে দুই বোন এক, নিচে ইচ্ছে করে দুইটি গ্রুপ তৈরী করে রাখে। এতে ফায়দা দুইটি-
১) একক হিসেবে থাকলে শক্তিশালী হয়ে যাবে এবং এক সময় উপরে নেতৃত্ব অস্বীকার করে স্বতন্ত্র হয়ে উঠবে।
২) সর্বদা পরষ্পরের সাথে দ্বন্দ্ব লেগে থাকায় তারা নিয়মিত উপরে যোগাযোগ করে। এতে ইচ্ছায় হোক আর নিচ্ছায় হোক উপরের অনুগত থাকবে।
অর্থাৎ উপরে তারা এক, কিন্তু নিচে একাধিক গ্রুপ তৈরী করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী করে উপর থেকে ফায়দা নেয়।
এবার আপনি আওয়ামী লীগের নিজস্ব দ্বন্দ্ব থেকে বের হয়ে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো দ্বন্দ্বের মধ্যে আসুন। একই ঘটনা। আওয়ামীলীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব মারামারি কাটাকাটি লেগেই আছে। কে ক্ষমতায় টিকে থাকবে তা নিয়ে উপরের লবিং অব্যাহত, তবে এক্ষেত্রে কারো লবিং হচ্ছে আমেরিকা, কারো ভারত, কারো চীন, কারো রাশিয়া।
এবার আরো উপরে উঠে যান, আমেরিকা, ভারত, চীন, রাশিয়া তাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব আছে। তারাও কিন্তু উপরে লবিং অব্যাহত রেখেছে। খুজলে দেখা যাবে সবার মূলে কয়েকটা মাস্টারমাইন্ড ইহুদী বসে আছে, যাদের নাম হয় কেউ কখন শুনে নাই। তারা হয়ত এক সাথে বসে কফি খাচ্ছে, কিন্তু তাদের বুদ্ধিমত চলে সারা বিশ্বে মারামাটি কাটাকাটি লেগেই আছে।
মুসলমানদের শেষ নবীর জীবনী পড়তে গিয়ে আমি ইহুদীদের এ স্বভাবটি সম্পর্কে জেনেছিলাম। মুসলমানদের শেষ নবী যখন হিজরত করে মদীনায় যান, তখন মদিনায় বেশ কিছু ইহুদী থাকতো। ইহুদী ছাড়াও সেখানে আদিবাসী হিসেবে আউস ও খাযরাজ গোত্র নামে দুটি গোত্র থাকতো। ইহুদীরা করতো কি নিজেরা বুদ্ধিদাতা সেজে ঐ গোত্রগুলোর মাঝে সর্বদা দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখতো এবং উপর থেকে ফায়দা নিতো । অর্থাৎ এটা ইহুদীদের অনেক পুরান সিস্টেম, যাকে নতুন নাম দেয়া হয়েছে- গণতন্ত্র।
হয়ত বলতে পারেন,
শুধু বুদ্ধি দিয়ে উপর থেকে কন্ট্রোল করলেই কি অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় ?
উত্তর : যায়।
কয়েকভাবে হয়। যেমন ধরুন- ফিল্ড পর্যাযে কেউ দুর্নীতি করলো। এর একটা ভাগ উপরের কাউকে দিতে হয়। উপরে যে থাকে সেও সবারটা সংগ্রহ করে তার উপরে একটা ভাগ দেয়। এভাবে উপরে উঠতে উঠতে আন্তর্জাতিকভাবেও একটা বখরা দিতে হয়।
এছাড়া পুরো বিশ্বের সম্পদ শুষে খাওয়ার জন্য ইহুদীরা যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছে কিংবা যে সিদ্ধান্ত তারা নেবে, সেগুলোকে প্রত্যেক সরকারকে মুখ বুজে সহ্য করতে হবে। যদি কেউ মুখ বুজে সহ্য না করে বা তাদের অনুগত না হয়, তবে তার পতন ঘটিয়ে দেয়া হয়, নতুন ক্ষমতা আনা হয়। তাই শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে ইহুদীবাদী অর্থনৈতিক সিস্টেমের বিরুদ্ধে সে যেতে চায় না। এ লেখাটি (http://bit.ly/2yScWkM) পড়তে পারেন যেখানে আছে, বাহ্যিকভাবে দখল না করেও শুধু ডলারের মাধ্যমে কিভাবে সারা বিশ্বের সম্পদ শুষে নিচ্ছে আমেরিকা, এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে কোন সরকার গেলেই তাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
অর্থাৎ গণতন্ত্রে মূল সংজ্ঞা -
“যার মাধ্যমে ইহুদীরা কোন দেশকে সৈণ্য-সামন্ত দিয়ে দখল না করেও নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই সিস্টেমের নামই হচ্ছে গণতন্ত্র।”

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ভাল লাগল। ইহাই বাস্তবতা।।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: বেরিয়ে আসতে হবে এই বাস্তবতা থেকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: গণতন্ত্রের এই নতুন সংজ্ঞায়ন খুবই যুক্তিযুক্ত, ভাই!
নতুন হিসেবে ব্লগটি ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.