![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ওই মানুষটির জন্ম হয়ে কি লাভ যে মৃত্যুর আগে পৃথিবীটাকে আরেকটু সুন্দর করে যেতে পারল না ?”- আমার অনেক পছন্দের একটি উক্তি। হাজার হাজার ফিলসফার ও জ্ঞানী-গুণী মানুষের লাখো লাখো বিখ্যাত উক্তির মাঝে এই উক্তিটিকেই আমার সর্বশ্রেষ্ঠ মনে হয়। একজন মানুষ ঠিক তখনই পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে যখন সে তার জীবনের লক্ষ্যটাকে চিহ্নিত করতে পারে। যখন সে নির্ধারণ করতে পারে যে সে আসলে কী কাজে তার জীবনের বাকি সময়টাকে ব্যয় করবে। কোন আদর্শে সে বাকি পথটুকু হাঁটবে। আর কোন মানুষ যদি কোন একটি আদর্শের মাঝে তার জীবন পার করতে চায় তো “পৃথিবীকে সুন্দর করে তোলা”র চেয়ে ভালো আদর্শ আর কি হতে পারে ?
মানুষ তার সমগ্র জীবনে দুধরনের কাজ করে। এক শ্রেণীর কাজ তার জীবিকা উপার্জনে সাহায্য করে। আরেক ধরণের কাজ হল সেগুলো যেগুলো তার মৃত্যুর পর তার আশে-পাশের লোকজন তার ব্যাপারে মনে রাখে।
আচ্ছা,আপনি কখনও ভেবে দেখেছেন যদি এই পৃথিবীতে আপনার কোন অস্তিত্বই না থাকত তাহলে কী হত ? অথবা আপনি যদি ঠিক এই মুহূর্তটাতে মারা যান তাহলে আসলে কি কারো কিছু যাবে আসবে? পরিচিত আত্মীয়-স্বজনরা হয়ত কিছুদিন কান্নাকাটি আহাজারি করবে,ওটা সবার আত্মীয়-স্বজনই করে। কিছুদিন পরই সবাই শোক কাটিয়ে ওঠে,তারপর ধীরে ধীরে সবই ঠিক হয়ে যায়। কারো মৃত্যুতে পৃথিবীর কিচ্ছুই আসে যায় না। আপনার চিন্তা,আপনার অনুভূতি,চাওয়া-পাওয়া,না পাওয়া,আপনার সামাজিক অবস্থান,আপনার ধর্ম,মুল্যবোধ এসবের আলাদা করে কোন মুল্যই নেই। সব মানুষই এসব অনুভূতি বা প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। তাহলে ? এই পৃথিবীতে আপনার জন্ম নেয়াটা আসলেই কি গুরুত্বপূর্ণ ? গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন গুরুত্বপূর্ণ? কি করছেন আপনি? নাকি আপনার জীবনটা শুধুমাত্র জন্ম নেয়া,বেঁচে থাকা,ভালো থাকা,বংশবিস্তার করা,বাচ্চা লালন করা আর মৃত্যুবরণ করার ভিতরেই সীমাবদ্ধ ? যদি তাই হয় তো প্লিজ, আঘাত পাবেন না, আপনার সাথে একটা কুকুর (বা অন্য যে কোন বুদ্ধিহীন প্রাণী) এর কোন পার্থক্য নেই। কারন একটি কুকুরও শুধুমাত্র এসব কাজ করেই জীবন অতিবাহিত করে। এক্ষেত্রে আপনার হয়ত জীবস্বত্বা আছে কিন্তু মানবস্বত্বা নেই। আর এটা খুবই দুঃখজনক।
আমার ধারণা, মানসিকভাবে পরিণত হওয়ার কোন একটা ধাপে প্রত্যেকটি মানুষই পৃথিবীতে তার জন্মানোর কারনটা খুঁজে বেড়ায়। নিজ জীবনের অর্থ বুঝতে চায়। আর মানুষের এই কৌতূহলই মানুষের সামনে তার চলার পথ সৃষ্টি করে,উদ্দেশ্য সৃষ্টি করে। তবে সব মানুষই তার জীবনের অর্থ খোঁজে তার নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও ব্যক্তিগত ঝোঁক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। একজন রাজা তার জীবন অতিবাহিত করে তার উতরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্রাজ্যকে আরও বিস্তৃত করতে। একজন দরিদ্র মানুষের প্রধান লক্ষ্য অর্থ। আবার অনেকের কাছে বেঁচে থাকতে পারাটাই জীবনের উদ্দেশ্য এবং জীববৃত্তিতেই সে তার জীবন কাঁটিয়ে দেয়। কেউ কেউ নিজস্ব বিশ্বাসের জন্যে লড়াই করে। কেউ বা অনেক বড় কিছু হতে চায় জীবনে। একেকজন একেক ভাবে জীবনের অর্থ খোঁজে। তবে যে যাই করুক,আমার মতে একজন মানুষের জীবন একমাত্র তখনই সার্থক হয় যখন সে ভালোবাসতে শেখে। নিজ কর্মের মাঝ দিয়ে যখন সে পৃথিবীর সেবা করে। মানুষের ভালো করে। অর্থ উপার্জনের বিনিময়ে অথবা নিজ আগ্রহে যখন কেউ ১০০% সৎ সেবা প্রদান করে। মানব জীবনের সার্থকতা প্রেমে,ন্যায়ে,ভালোবাসায়। আবারো বলছি, আপনার চিন্তা,আপনার অনুভূতি,চাওয়া-পাওয়া,না পাওয়া,আপনার সামাজিক অবস্থান,আপনার ধর্ম,মুল্যবোধ এবং সর্বোপরি আপনি, এসবের আলাদা করে কোন মুল্যই নেই যদি না সেগুলো মানুষ ও পৃথিবীর কোন কল্যাণে না আসে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৬
মেহেদী রবিন বলেছেন: মর্মার্থ বোঝার জন্যে সাধুবাদ।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫৪
ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: লেখাটি খুবই ভাল লাগল
৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
মেহেদী রবিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১২
সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: লেখাটি খুবই ভাল লাগল । অন্যান্য জীব জন্তুর মত মানুষ একটি প্রজাতির নাম । এদের বেশীর ভাগই অন্যান্য জীব জন্তুর মত বেচে থাকার জন্যই বেচে থাকতে চায় । যারা জীবনের লক্ষ কোন ভাল কাজের উদ্দেশ্যে রাখে তারাই ব্যতিক্রম । তারাই মনুষত্যের পরিচয় বহন করে ।