![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খ্যাতনামা ছড়াকার সুকুমার রায় তার ছড়ায় গঙ্গারামের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছিলেন,
‘উনিশটা বার মেট্টিক সে,
ঘায়েল হয়ে থামলো শেষে।’
একবিংশ শতকের কোন এক ছড়াকার হয়তো লিখবে,
‘চালশে টুকুর ছাত্রত্ব শেষ হবে কবে?’
টুকু। পুরো নাম সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু। বিএনপি’র ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি। নির্বাচিত হওয়ার আগে পূর্ববর্তী তিন কমিটিতেও ছিলেন সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি। পিন্টু-লাল্টু, লাল্টু-হেলাল ও হেলাল-বাবু কমিটি। বর্তমান বিতর্কের কেন্দ্রেও টুকু। তাকে ঘিরে আবারও আলোচনায় শিক্ষাঙ্গন। আলোচনায় ছাত্র রাজনীতি। ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজি। গত সোমবার ছাত্রদলের পদপ্রাপ্ত আর পদবঞ্চিতদের সংঘর্ষ চলাকালে টুকু আহত হওয়ায় ঢাবিতে চলছে থমথমে অবস্থা। প্রতিবাদে ঢিলেঢালা পালিত হয়েছে ছাত্র ধর্মঘট। সংঘর্ষের পরদিন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পিস্তলধারীদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ইন্ধন ও পরোক্ষ সহযোগিতার সংবাদও একাধিক মাধ্যম নিশ্চিত করেছে। কিন্তু প্রশ্ন থাকে, কেন এই গ্র্বপিং? সমস্যা কোথায়?
ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সঙ্কটের শুরু ২০০৯-এর ১লা জুন থেকেই। নতুন অর্থবছরের সূচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাতে ছাত্রদলের পূর্ববর্তী কমিটির সহ-সভাপতির পদ থেকে টুকুকে পদোন্নতি দিয়ে সভাপতি পদে ঘোষণা দেন। সেই রাতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। টুকুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ক্যাম্পাসে চলতে থাকে মিছিল-সমাবেশ। উত্তাপ পৌঁছে কেন্দ্রে। নানা মাধ্যম থেকে তখন জানানো হয়, জর্বরি অবস্থায় সংগঠনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আপৎকালীন সভাপতির দায়িত্বে টুকু। বিবেচনার আশ্বাস মেলে হাইকমান্ড থেকে। অপেক্ষার প্রহর ফুরায় যখন ঘোষণা আসে বছরের প্রথমদিন। ১লা জানুয়ারি ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সভাপতি নিযুক্ত করা হয় টুকুকে। ১৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয় একই দিন। প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক হয়নি। চূড়ান্ত সভাপতি নির্বাচিত হলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। ফুঁসতে থাকে ক্যাম্পাস।
বিতর্কের কেন্দ্রে টুকু
টুকুর ছাত্রত্ব নিয়েই মূল বিতর্ক। বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক টুকু ১৯৮৬ সালে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৮৮-৮৯ শিৰবর্ষে মার্কেটিং-এ। স্নাতকোত্তর শেষ করেন ১৯৯৪-তে। তবে ছাত্রত্ব বাঁচাতে পুনরায় ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৫-এ। বিষয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি। ২০১০ চলছে তাতেও এ বিষয়ে এমফিল শেষ হয়নি টুকুর।
বয়স নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি। শিৰাগত সনদের চেয়ে বয়স অনেক বেশি এমনটিও শোনা যায়। নানা সূত্রে জানা গেছে, টুকুর বয়স ইতিমধ্যে চল্লিশ ছাড়িয়েছে। ২০০৭-এ বিয়ে করেছেন। ২০০৮-এর ডিসেম্বরে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ গোপালপুর আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে টুকুর বির্বদ্ধে।
২০০৪-এ ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জিহাদের নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনের আপন ভাই। ক্যাম্পাসে টুকুর বির্বদ্ধে জঙ্গি সংশিৱষ্টতা নিয়ে মিছিলও হয়েছে। কিন্তু বিকার নেই টুকুরই। যে বয়সে নিজের সন্তান পড়তে যাওয়ার কথা তখনও তিনি গৌরবের স্বরে বলছেন, ‘আমিতো এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র। যারা আমার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা ভুল বলছে।’
কথা থাকে, উচ্চতর শিক্ষায় বয়স কোন বিষয় নয়। কিন্তু টুকুর শিক্ষাগত ক্যারিয়ার থেকে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়। টুকু’র দুই দশকের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কোন উচ্চতর শিক্ষা নেয়ার উদ্দেশে। কথা থাকে, বিতর্ক সত্ত্বেও টুকুকেই কেন খালেদা জিয়া ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচন করলেন? শুধু ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী ছাত্রদলকে সংঘটিত করতেই কি এমন সিদ্ধান্তে বহাল থাকলেন তিনি। মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি কি তিনি আমলে নিয়েছিলেন? দফায় দফায় গুলশান অফিসে পদপ্রাপ্ত এবং পদবঞ্চিত সমস্যা সমাধানে আলোচনা করলেও কোন সুরাহা হয়নি। সবশেষ আপৎকালীন ও বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি চালশে টুকুই কি ছাত্রদলের ভবিষ্যৎ পরিণতি? তবে অতীত ছাত্রদলের ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় বুড়োরাই ছাত্রদলের নেতৃত্বের শীর্ষে থেকেছে বরাবর। তা আমান থেকে পিন্টু, লাল্টু, হেলাল, বাবু ও সবশেষ টুকু পর্যন্ত। (মানবজমিন)
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৪
ও.জামান বলেছেন: তারজন্য তাঁকে কুপিয়ে মারতে হবে? মাইনাস - -
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪
নন্দনপুরী বলেছেন: জয়..................আদু ভাই..................
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১৬
ডলুপূত্র বলেছেন: আমার অনেক শুভেচ্ছা নেবেন। মানবজমিনের একটি লেখা পোস্ট করার জন্য।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৯
তাহের বলেছেন: Click This Link