নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীন মত প্রকাশ আমার অধিকার

নিউজকাস্টার

নিউজকাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবারের টার্গেট কি পুলিশ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২২

অনামিকা





মহাজোট সরকার ক্ষমতায় বসার দু’মাসের মধ্যেই পরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয় এবং বিচারের নামে ঐতিহ্যবাহী বিডিআর বাহিনীকে কার্যত: ধবংস করে ফেলা হয়। আত্মহত্যার নামে অনেক বিডিআর সদস্যকে হত্যা শুরু হয়। আর এখন মনে হয় পুলিশ ধ্বংস শুরু হবে। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বর্তমানে দেশের অস্খির রাজনৈতিক পরিস্খিতিতে খুবই আতঙ্কগ্রস্ত। ছাত্র হত্যার রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। সম্ভবত সরকার এ পথ বেছে নিয়েছে এ কারণেই যে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল প্রতি পরিবারের একজন করে চাকরি দেয়া, ১০ টাকা কেজি চাল দেয়া, দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা ও সন্ত্রাস দমন করা, তা করতে পারছে না বিধায় এ পরিকল্পনা। কেন যেন বার বার মনে হচ্ছে পুলিশ প্রতিষ্ঠানটিও কি ধ্বংস করে দেয়া হবে। সীমান্ত অরক্ষিত মানেই দেশ অরক্ষিত। আর পুলিশকে কলঙ্কিত করা মানেই পুরো দেশকেই অচল করে দেয়া। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনের হত্যার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের নির্লিপ্ততাকে দায়ী করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বোকা বানিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এ মিথ্যাচার খুবই দু:খজনক। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নোমানীকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তো উপাচার্য সাহেব পুলিশের ব্যাপারে কিছু বলেননি। সত্যি ভাবতে খুবই অবাক লাগে! কুরআনের কথা, “যে বুঝিয়াও বুঝে না এরা দেখিয়াও দেখে না, শুনিয়াও শোনে না, এরা অ, বধির ও বোবা। এদের যতই বলা হোক না কেন কোনই লাভ হবে না। আল্লাহর পক্ষ থেকে যদি কোন ‘সমন’ আসে তাহলেই একমাত্র এরা বুঝতে পারবে কিন্তু বুঝেও কোন লাভ নেই। দেশের দশের ক্ষতি তখন সীমা ছাড়িয়ে যাবে।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রহত্যার ব্যাপারে চিরুনী অভিযান করতে চায়নি কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তারপর নোমানী হত্যার ব্যাপারে চিরুনী অভিযান চালু করেনি কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার আদেশ নাকি শিরোধার্য তা আমাদেরকে মানতেই হবে। এটা ভুল কথা, আল্লাহর আদেশই শিরোধার্য। কোন মুখে এই মন্ত্রী বলেন যে, দেশে কোন ক্রসফায়ার হচ্ছে না আইন-শৃঙ্খলা পরিস্খিতি ভালো, এতই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্খিতি ভাল তো পুলিশের কার্যকলাপে ভুল ধরা হচ্ছে কেন? কেন উপাচার্য বলেন যে, শিবির ক্যাডারদের হামলা থেকে রক্ষা করতে পারেনি তাই আমাদের বলতেই হয় তারা আমাদের বোকা বানিয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেটিকে শিবিরই হত্যা করেছে না ছাত্রলীগের ছেলেরা হত্যা করেছে তা এখনো প্রমাণিত হয়নি। তাই গলা আগবাড়িয়ে এত কথা বলা হচ্ছে কেন?



পুলিশেও জামায়াত-শিবির তারপর ছাত্রলীগেও জামায়াত-শিবির এরপর প্রশাসনেও জামায়াত-শিবির তাহলে তো মনে হয় মন্ত্রীদেরও কেউ কেউ জামায়াত-শিবির আছে। কাজেই সাধু সাবধান! সর্বত্রই জামায়াত-শিবির তবে নির্বাচনে মহাজোট জয়লাভ করল কেন? জামায়াত-শিবিরই তো সরকার গঠন করার কথা ছিল তাই নয় কি? ২৯ ডিসেম্বরের চিত্র আমার খুব ভাল করে মনে থাকবে যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আমি ভুলব না কি ভয়ংকর পরিস্খিতি থেকে আমার ছেলে এবং আরো অনেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছে টিএনও অফিস থেকে। আল্লাহ এই জুলুমবাজদের নমরুদ-ফেরাউনদের মত পরিস্খিতি করে মারবে অবশ্যই। জুলুমবাজদের আল্লাহ পছন্দ করেন না, পুলিশ, বিডিআর এবং সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাষী অফিসার নির্বাচনে মহাজোট সরকারের পক্ষপাতিত্ব করায় এই মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে। এরা কেন পক্ষপাতিত্ব করেছে তা দেশবাসী জানে, এরশাদ তো নিজেই বলেছে যে সেনাবাহিনী নির্বাচনে সাহায্য না করলে আওয়ামী লীগ কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারতো না। যে সেনাবাহিনী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করলো, আর গত ফেব্রুয়ারি ২০০৯ পিলখানায় কি নির্মমভাবে তাদের হত্যা করা হলো কই সে ব্যাপারে তো এখনও বিচার হলো না। তারপর বিডিআরদের বিচারের নামে রিমান্ডে যে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে এ কিসের আলামত, কারা বিডিআরদের উসকে দিয়েছিলেন সে খবর একদিন বের হবে। তবে ততদিনে বিডিআর শেষ হয়ে যাবে, দেশ আজ অরক্ষিত বললে ভুল হবে কি? পুলিশের দোষ দেবেন না সরকারের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ।



নির্বাচনেও যেমন অসৎভাবে সহযোগিতা করেছে আর এখনও সহযোগিতা করছে করবেও। শিবির নেতা শাহীনকে কারা মেরেছে পুলিশের ড্রেসে। আর সারাদেশে পুলিশকে কুকুরের মত লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন সাংবাদিক লিখেছেন, “জামায়াতের পাশে বিএনপি নেই।” বিএনপি যদি পাশে থাকে সেটাও দোষ আবার না থাকলেও দোষ। পাশে থাকলে বলে বিএনপির ঘাড়ে জামায়াত এখন তাকে সরাতেও পারে না কিছু বলতেও পারে না। যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।



এই সরকার চায় তাকে বাংলাদেশের সকল মানুষ হুজুর হুজুর করুক। তাই কি হয়, যদি তাই হতো তবে অতীতে দেশে কোন আন্দোলন হতো না। তাই দেশটা শুধু আওয়ামী লীগের নয় এবং সবাই তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে না। আর মিথ্যার কাছেও হার মানবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনদের মত লোকই আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত। কেমন নির্লজ্জ কথা যে, দেশটা তো এক বছর ভালোই চলছিল হঠাৎ করেই এই জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথা সারাদেশেই এক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতায় বসার পরেই পত্রিকার পাতায় বড় বড় অক্ষরে লিখা ছিল, “ছাত্রলীগকে সামলান।” সাহারা খাতুন কি তা দেখেননি, না তখন চোখে সমস্যা ছিল। চোখে না দেখলে তিনি কি কানেও শোনেননি, না তার কানেরও সমস্যা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের এলাকা মানিকদিতে কি হচ্ছে সেটাও কি তিনি জানেন না বা শোনেননি, নাকি ওখানেও জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব চলছে। ‘চালুনি বলে সুঁয়ের পাছায় ফুটো বেশ।’ যার নিজের পাছায় শত শত ফুটো সে সুঁইয়ের একটি মাত্র ছিদ্র অন্বেষণ করে বেড়ায়। তার মানেটা হলো শিবির কিছুই করতে পারবে না, জামায়াত কিছুই করতে পারবে না।আওয়ামী লীগের ভয়ে ইঁদুরের মত গর্তে ঢুকে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ যা খুশী তাই করে যাবে। এদের দ্বারা কতজন খুন হয়েছে এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছে তার হিসেব অনেক। হয়তো দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে যাদের তারা নিজেদেরকে শেষ বাঁচানোর চিন্তা করে আত্মরক্ষার জন্য যা করা দরকার তাই করবে।



সীমালঙ্ঘনকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না। মাহমুদুর রহমান সাহেবের গাড়িতে কোন জামায়াত-শিবির হাতুড়ি মেরেছে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়ের ব্যাপারে সত্যি কথা বলার জন্যই তো আজ মাহমুদুর রহমান সাহেবকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে একখাও বলা হয়েছিল যে রাস্তায় বের হতে দেয়া হবে না। যারা একথা বলেছে বাংলাদেশটা কি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ। রাস্তাঘাট কি শুধু আওয়ামী লীগারদের? কোন অশুভ শক্তির সাহসে তারা একথা বলে তা আমার মত অধমের বুঝে আসে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা যে, হে খোদা তুমি তোমার শক্তির খেলা দেখাও।



হারুনুর রশীদ সাহেবের লিখা ‘খোলা চিঠি’ বইয়ের ৩৩ পৃষ্ঠায় আছে যে, “স্বাধীনতার পর লুটপাটের তাণ্ডবকে আড়াল করার জন্যই রাজাকার, আল বদর ইস্যু নিয়ে এমন প্রচণ্ড ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয় যে, কেউ যাতে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সীমাহীন অপকর্মের বিরুদ্ধে টু শব্দটি উচ্চারণ করার সাহস না পায়। তখন কেউ যদি অন্যায় অবিচারের সামান্যতম প্রতিবাদও করতো, অমনি তাকে রাজাকার আলবদল গালি দিয়ে তার উপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর জেলখানায় ঢুকিয়ে দেয়া হতো কিংবা সাদা জীপে তুলে দেয়া হতো, আর কোনদিন তাদের খোঁজ পাওয়া যেতো না। এই শ্বেত সন্ত্রাসের ছত্রছায়ায় যে কাজগুলো করা হয়েছিল তাহলো : প্রতিটি পরিত্যক্ত শিল্পকারখানায় ক্ষমতাসীন দলের এক একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতো শতকরা ৯৯টি ক্ষেত্রেই এসব প্রশাসকদের না ছিল কোন অভিজ্ঞতা না ছিল তেমন শিক্ষাদীক্ষা। তদুুপরি অধিগ্রহণের সময় এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্পদের কোন হিসেব বা ইনভেন্টরীও করা হয়নি। ফলে অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক প্রশাসকরা নির্দ্বিধায় লুটেপুটে শিল্প কলকারখানাগুলোকে ছোবড়ায় পরিণত করে দিয়েছিল, ক্ষমতাসীন দলের লোকদের মধ্যে পাইকারীভাবে বিলি করা হয়েছিল আমদানি লাইসেন্স। থানা পর্যায়ের কর্মীদের সন্তুষ্ট করার জন্যই শুধু দেয়া হয়েছিল প্রায় ৭০০০ নতুন আমদানি লাইসেন্স। পারমিট, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের কন্ট্রাক্ট। ডিলারশীপ ডিস্ট্রিবিউটরশীপ ইত্যাদির একচেটিয়া মালিক হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের লোক (পৃষ্ঠা ৩৪) যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির জন্য যে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী এসেছিল তার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই আত্মসাৎ করা হয়েছিল। শুধু ভারতেই পাচার করা হয়েছিল তৎকালীন মূল্যে ১৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ত্রাণসামগ্রী। এই পটভূমিতে দেশীবিদেশী পত্রপত্রিকায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লুটপাট ও রিলিফ চুরির খবরাখবর ছাপা হতে থাকলে বঙ্গবন্ধু তার দলের নেতাকর্মীদের প্রতি স্নেহমমতাবশত প্রকাশ্য জনসভা ডেকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, “প্রতিদিন অন্যেরা খাইছে, এইবার আমার লোকেরা খাইবে।” তার দলের লোকদের যারা সমালোচনা করতো, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, “লাল ঘোড়া দাবড়াইয়া দিমু” দিয়েছিলেনও, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বঙ্গবুও দলীয় নেতা-কর্মীদের মাত্রাহীন লুটপাট ও জাতীয় সম্পদ আত্মসাতে অতিষ্ঠ হয়ে গেলেন এবং প্রকাশ্য জনসভায় পরম আক্ষেপে বলে ফেলেন, “চাটার দল সব খেয়ে শেষ করে ফেলেছে।” কারা বঙ্গবন্ধু বর্ণিত এই চাটার দল?



তাহলে বলা যায়, এখনো এই চাটার দলরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে দেশের দশের বারোটা বাজাচ্ছে। আর পুলিশ পালন করছে তাদের ব্যাপারে নীরবতা আর দাবড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে বিরোধী দলকে। খুন, হত্যা, সন্ত্রাস, দখলবাজি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বানানো হয়েছে যেন অস্ত্রের কারখানা। জাহাঙ্গীর কবীর নানক সাহেব বলেন, ছাত্রলীগে ঢুকেছে দুষ্টুকীট। ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি করে না, খুব ভালো কথা তারা দুধে ধোয়া তুলসীপাতা। তবে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তানিম নামের ছেলেটিকে কেন পেটানো হয়েছিল এবং সেই অসহায় ছেলেটি পানি খেতে চেয়েছিল পানির বদলে তাকে প্যান্টের চেইন খুলে তানিমের মুখে পেশাব করে দিয়েছে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা। ধর্ষণের সেঞ্চুরি কে করেছিল শিবির না ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ক’ বছর আগের ঘটনা) থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন করতে গিয়ে কোন শিবিরের ছেলে ‘বাঁধনের’ গায়ের জামা টানাটানি করে ছিঁড়ে দিয়েছিল। কোন সভ্যতার যুগে আমরা বাস করছি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সাহেব বলেছেন, যুদ্ধপরাধীরা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে। এতই যদি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করছে যুদ্ধাপরাধীরা তবে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ ধানমন্ডিতে টেন্ডার ছিনতাই করলো কেন? ভুক্তভোগীরা থানায় জিডি করতে চাইলেও থানা তা নেয়নি। এখানে পুলিশ কি অসহায় নয়? এরা কি ৪ দলীয় জোট সরকারের পুলিশ না আওয়ামী লীগের পুলিশ।



প্রিয় পুলিশ ভাইদের জন্য আমার অনুরোধ আপনারা সবাই দয়া করে আওয়ামী লীগ করুন, নইলে রাজশাহীর পুলিশ ভাইদের পরিণতি হবে। শেষে বউ বাচ্চা না খেয়ে থাকবে। অসহায় এবং গরীবরাই তো নির্যাতিত হবে। দাপট থাকবে শুধু আমাদের দেশ পরিচালনায় ঐতিহাসিক যোগ্য সরকার আওয়ামী লীগের সরকার। এত যোগ্য সরকারের যোগ্য সন্ত্রাসী নেত্রী (কুষ্টিয়া) ‘আঁখিকে’ ও তার আরো সঙ্গীকে যখন পুলিশ গ্রেফতার করলো অস্ত্রসহ তখন কেন পুলিশ অফিসারকে বদলী করা হলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লজ্জা থাকলে কবেই পদত্যাগ করতেন। সে খুঁজে বেড়ায় শিবির-জামায়াতের দোষ আর চালায় চিরুনী অভিযান। আর ছাত্রলীগের বেলায় তাদের মন্ত্রীএমপিরা বলেন ছাত্রলীগ এসব করে না, তাদের মাঝে দুষ্টুকীট ঢুকেছে, একবার বলে ছাত্রদল ঢুকেছে আবার বলে ছাত্রশিবির ঢুকেছে। যারা এ ধরনের কথা বলে তারা অবশ্যই শয়তান। কারণ মানুষের ভুল আছে শয়তানের ভুল নাই। যেহেতু আওয়ামী লীগের কোন বিষয়েই ভুল নাই তাই তারা শয়তান। এটা অবশ্য আমার কথা নয় কুরআন হাদীসেরই কথা।



১৩ ফেব্রুয়ারির প্রথম আলোতে দেখলাম আওয়ামী লীগ নেতার জমি দখল করলেন ছাত্রলীগ নেতা। বাহ! এই তো কি সুন্দর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্খিতির উন্নতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চশমার পাওয়ার মনে হয় বেড়ে গেছে না হয় বেশী কমে গেছে। চোখের ডাক্তারের কাছে গেলে ভাল হবে মনে হয়, চোখের চিকিৎসার ভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগকে নিয়ে যারা যারা বই লিখেছেন, বিশেষ করে মোহাইমেন সাহেব, হারুনুর রশীদ সাহেব এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল সাহেবের কিছু বই যেন কষ্ট করে পড়েন। আর জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মী বিশেষ করে সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর কোন বিচার হলো না কেন? পুলিশ এখানে সত্য বললে কি হতো তাকে হয় জীবন দিতে হতো না হয় চাকরিচ্যুত করা হতো। এখন যেমন পুলিশকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তখনো তাই হতো। প্রতিবাদ করলে তো এত জাসদ নেতাকর্মীর করুণ মৃত্যু হতো না। এখনকার চিত্র কি সেই ধারাবাহিকতাই বহন করছে না? শত শত নেতা-কর্মীকে (শিবির-জামায়াত) পুলিশ আর ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ মিলে পেটাচ্ছে এবং থানায় জমা করছে। নিরীহ ছেলেদের গরুর মত রশি বেঁধে লাইন ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। গতকালকের পত্রিকা দেখলাম সম্ভবত: বুয়েটে হবে শিবির সন্দেহে ৩ জন ছেলেকে ছাত্রলীগের সাধু ছেলেরা কান ধরে ওঠবস করিয়েছে। এটা কি নৈরাজ্য নয়, পুলিশ এখানে কিছু বললে পুলিশকেও কান ধরে ওঠ-বস করতে হবে। আওয়ামী লীগের চূড়ান্ততম মিথ্যাচার। বিভ্রান্ত ও নৈরাজ্যের কবল থেকে জাতিকে মুক্ত না করলে শুধু জামায়াত শিবির নয় দেশের আপামর জনসাধারণকেই এক বিশাল অকারে চলে যেতে হবে।



জাতির এ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্খার জন্য কারা দায়ী তা পরিষ্কার হওয়া দরকার, তা কি আওয়ামী লীগ মেনে নিবে? যদি মেনে নেয় তবে রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে। এ পর্যন্ত যত সরকারই ক্ষমতায় এসেছে কেউই সাহস করে কোন সত্য ঘটনাই সত্যভাবে প্রকাশ করেন নাই, এই হলো আমাদের দেশ। এখানে গণতান্ত্রিক অধিকার শুধু আছে আওয়ামী লীগের আর কারো নয়। সালমান রুশদীর মত (স্যাটানিক ভার্সেসের লেখক) মুসলমানের কথা বলার অধিকার আছে তারপর আছে শাহরিয়ার কবীরের মত মানুষের কথা বলার অধিকার। এই শাহরিয়ার কবীর যে নাকি নিজের দেশের গোপন দলিলপত্র ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সিডি পাচার করতে গিয়ে ধরাও পড়েছিল এবং জেলেও ছিল, এরাই হলো এখন খাঁটি দেশপ্রেমিক। টকশোতে জামায়াত-শিবিরকে ডাকা হয় না কারণ যুক্তিতর্কে এদের কথার জবাব প্রতিপক্ষ দিতে পারবে না। দেশের গোপন খবর পাচার করে যারা তারা যদি এই দেশের খাঁটি দেশপ্রেমিক হয় আর চারদলীয় সরকার কেন এর বিচার করলো না তা কি জনগণ জানে। জনগণ কোন দিনই সত্য ঘটনা জানতে পারে না। প্রত্যেক সরকারই জনগণকে সত্য ঘটনা জানতে দেয় না, যদি সত্য ঘটনা জানতো তবে আজ আবার শাহারিয়ার এত দম্ভ করে জামায়াত-শিবিরের নামে এত কুৎসিত নোংরা জঘণ্য কথা বলতে পারে? কেন চারদলীয় জোট সরকারও সত্যকে সত্য প্রকাশ করতে না পারায় আজ তাদের অর্থাৎ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কি অপমানজনক কথাবার্তা বলছে। মৃতব্যক্তি সম্পর্কে বাজে কথা বলা ইসলামে নিষেধ।



মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে খারাপ কথা বললে হাদীসে আছে সে তার মরা ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সমান কাজ করে। তাই বলছি শেখ ফজলুল করীম সেলিম কি তার মরা ভাইয়ের গোশত খাবেন। খুব ভালো! আরো মজার খবর হলো ‘জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর’ নামও পাল্টে দেয়া হলো। মনে হয় দেশে সার্কাস শুরু হয়ে গেছে। বিমানবন্দরের নাম দেয়া হয়েছে ‘শাহ জালাল বিমান বন্দর।’ কেন সবকিছু পাল্টে নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে। তবে বিমান বন্দরের নাম কেন শাহজালাল দেয়া হলো। যাকগে পরিশেষে আমি বলবো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বাদে যত দল আছে সবদল ধ্বংস করে দিয়ে পুলিশ বাহিনীও ধ্বংস করে দিয়ে দেশের উন্নতি সাধন করুন। দেখা যাক কি হয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১৯/-৫

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩০

মদন বলেছেন: চোখ থাকিতেও অন্ধ...

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩২

সত্য কথা তাই তিতা লাগে বলেছেন: সত্যিই দূর্ভাগা আমার বাংলাদেশ.................
আওয়ামী নামক বিষাক্ত কাল নাগীনি থেকে কবে যে মুক্তি পাবে দেশ??

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০২

নিউজকাস্টার বলেছেন: পঁচাত্তরে মুজিবী দুঃশাসন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মানুষ আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছিল। এবারও তাই করা শুরু হয়েছে।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩৭

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: এগুলা করে জামাতের পালে হাওয়া দিয়েন না..

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩৯

গুতুদিয়া বলেছেন: সত্য কথা তাই তিতা লাগে বলেছেন এবং লেখক- আমি বুঝি না আপনারা কেন এই দেশে আছেন। পাকিস্হান চলে যান। আপনাদের মনের মত দেশ পাবেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৭

নিউজকাস্টার বলেছেন: কোন দেশ প্রেমিক এভাবে কথা বলতে পারে না। বাংলাদেশ অস্থিতিশীল ও অকার্যকর হোক তা এদেশের একটি প্রতিবেশী দেশের কামনা। আপনার কামনাও একই দেখছি!

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪২

বাগসবানি বলেছেন: রাজনীতির লোকজনদের আসলে গলাবাজি বাদ দিয়ে ডাক্তার দেখানো জরুরী । উনাদের সকলের বিশেষ কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন ।
আর মাইনাস দিলাম এই কারণে যে দোষ শুধু একজনের নয় । দায়ভার পুরোটাই জাতির । আমরাই সুযোগ দিয়েছি অশিক্ষিত লোকদের হাতে দেশ সেবার মত গুরুদায়িত্ব তাদের হাতে তুলে দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম । এখন তারা কি করতেছে না করতেছে এইগুলা নিয়ে গালিগালাজ করতেছি । তখন মনে ছিলনা ? যাই হোক আপনার একটা হাত যদি নষ্ট হতে থাকে তাহলে তাকে কি কেটে বাদ দিবেন নাকি চিকিৎসা করাবেন সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে ... রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে যতই কন্দোল থাকুক না কেন মানে বাইরে যা আমরা দেখতে পাই ... কিন্তু দলগুলোর মাঝে যে বিশাল নেটওয়ার্ক এটা একটু ভাল করেই দৃষ্টি দিলেই বোঝা যায় । এটা ওপেন সিক্রেট ...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১০

নিউজকাস্টার বলেছেন: আপনা থিউরি অনুযায়ী তো পুরো ৫ বছর আওয়ামী লীগকে অপকর্ম চালিয়ে যেতে দিতে হবে। আপনার মাথায় বাড়ি পড়লেও কিছু বলা যাবে না। চোখের সামনে সোনার ছেলেদের হাতে কেউ ধর্ষিতা হলেও চোখ বুজে সহ্য করতে হবে-তাই না?

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৩

arifce বলেছেন: শুধু চেয়ে দেখা ছাড়া কী আর করার

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৭

সত্য কথা তাই তিতা লাগে বলেছেন:

এবং

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৭

মাহমুদহাসান বলেছেন: আওয়ামী লীগের দোষ নয়, দোষ জামাত বা বিএনপিরও নয়, দোষ জনগণের। কেন এই দেশে তারা জন্মালো? কেনই বা জন্মানোর পর তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দিয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করল?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৯

নিউজকাস্টার বলেছেন: নির্বাচনের আগে হাতে তসবিহ, ক্ষমা প্রার্থনা, প্রতিহিংসার রাজনীতি না করার ঘোষণা, দিন বদলের শ্লোগান এসব শুনে মানুষ এদেরকে বিশ্বাস করেছিল। এখন এরা জাতির সাথে প্রতারণা করলে জনগণের দোষ কোথায়?

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৬

সপ্নীল বলেছেন: দেশের পনেরো কোটি মানুষ বুঝলো বুঝলনা শুধু খালেদা আর হাসিনা আর তাদের সংগের চামচাগুলা। ভাল লিখেছেন। +++

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৬

অর্থহীণ বলেছেন: Asholei dosh amader.

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৭

সামিউর বলেছেন: শুধু চেয়ে দেখা ছাড়া কী আর করারা আছে?

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৭

ফালতু মিয়া বলেছেন: করার আছে অনেক কিছু@ সামিউর। আমাদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজনৈতিক কারণে দেশটাকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৩

নিউজকাস্টার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। রাজনৈতিক কারণে আমরা দেশটাকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৯

সত্য কথা তাই তিতা লাগে বলেছেন: গুতুদিয়া বলেছেন: সত্য কথা তাই তিতা লাগে বলেছেন এবং লেখক- আমি বুঝি না আপনারা কেন এই দেশে আছেন। পাকিস্হান চলে যান। আপনাদের মনের মত দেশ পাবেন।
==========================

গুতু মিয়া , দেশ টা তোমার আব্বা হুজুরের না বুঝলা ??

এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভুমি!!

আমি জন্মেছি এই দেশে, বড় হয়েছি এই দেশে, আমি মরতেও চাই এই দেশে............
আমার বাবা লড়াই করেছে ৭১ এ
লড়াই হয়েছে ৭৫ এ
আর আমি আরো একবার প্রস্তুত হচ্ছি ২০১১, ২০১২ অথবা ২০১৩ র জন্য
এটার আমার শেষ লড়াই ............
কাল নাগীনির বিষ দাত চিরতরে ভেংগে দেবার লড়াই .......

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৫

নিউজকাস্টার বলেছেন: উত্তম জবাব।

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫০

সুধাসদন বলেছেন: দেশীবিদেশী পত্রপত্রিকায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লুটপাট ও রিলিফ চুরির খবরাখবর ছাপা হতে থাকলে বঙ্গবন্ধু তার দলের নেতাকর্মীদের প্রতি স্নেহমমতাবশত প্রকাশ্য জনসভা ডেকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, “প্রতিদিন অন্যেরা খাইছে, এইবার আমার লোকেরা খাইবে।” তার দলের লোকদের যারা সমালোচনা করতো, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, “লাল ঘোড়া দাবড়াইয়া দিমু” দিয়েছিলেনও, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বঙ্গবুও দলীয় নেতা-কর্মীদের মাত্রাহীন লুটপাট ও জাতীয় সম্পদ আত্মসাতে অতিষ্ঠ হয়ে গেলেন এবং প্রকাশ্য জনসভায় পরম আক্ষেপে বলে ফেলেন, “চাটার দল সব খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। "

মুজিব না থাকলেও চাটার দল ঠিকই আছে।

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২৩

কঠিনলজিক বলেছেন: আপনার লেখায় জামাত শিবিরের প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে ,হতে পারে (নাও হতে পারে) আপনি জামাতের সদস্য।

সুন্দর বাস্তব লেখার জন্য প্লাস ।

ক্ষমতার জন্য যদি আলীগ জামাতের সাথে জোট বাঁধতে পারে তবে দেশের ভালর জন্য আমি শিবির কেও সাময়িক সমর্থন দিতে পারি।

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

মাহমুদহাসান বলেছেন: জনগণের দোষ এইটাই যে এই ...............গুলারে বার বার ক্ষমতায় বসায়। এইদার এক্স অর ওয়াই। সবাই চোর। আর চোর কে চুরি করতে সাহায্য করে সবাই সাহায্যকারী চোর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.