নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'\'অসাধারণ পৃথিবীতে একজন সাধারণ মানুষ\'\'

নিউটনিয়ান

নিজেকে সংজ্ঞায়িত করার কোনো সংজ্ঞা জানা নাই।

নিউটনিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভার্চুয়াল খবরের সুবিধা সবাই পেয়ে থাকি, উপকারিতা সবাই জানি, কিন্তু এর সীমাবদ্ধতা কি যাচাই করে দেখেছি?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা যেমন মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের সব খবরাখবর পেয়ে থাকি, তেমনি এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। গুগল সার্চ করলে যেমন লাখ খানিক ফলাফল পেয়ে যাই, তেমনি রয়েছে ভুরি ভুরি অনলাইন ভিত্তিক নিউজপেপার, সংবাদ ভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট, সোসাল মাধ্যম; যেমন, ফেইসবুক, টুইটার, ব্লগ ইত্যাদি। ওইসব গণমাধ্যম গুলোতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খবর আমরা দেখতে পারি। খবরের মধ্যে সত্য, মিথ্যা, আজগুবি সব ধরনের খবরই থাকে। অনেক গণমাধ্যম নিজেদের পরিচিত করার জন্য অনেক মিথ্যা, আজগুবি, ভাঁড়ামো খবর প্রকাশ করে থাকে। আর আমরাও ওইসব খবর লুফে নেই, কারন মনুষ্য প্রজাতির বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে নিষিদ্ধ জিনিশের প্রতি আকর্ষণ, আজগুবি জিনিসের প্রতি কৌতহলী হওয়া, আর সত্য মিথ্যা বিচার না করে অন্ধভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা। অনেকেই আমরা একটা খবর পড়ে যেমন বিশ্বাস করি তেমনি অন্যকেও খবরটা জানানোর জন্য শেয়ার করে থাকি, কিন্তু এইটা দেখি না যে খবরটার প্রকৃত উৎস কি? এর বিশ্বাসযোগ্যতা আছে কিনা? যে মাধ্যম থেকে খবরটা প্রকাশ হয়েছে তাঁর ভিত্তি কি, নির্ভরযোগ্যতাই বা কতটুকু, তা পর্যবেক্ষণ করে দেখিনা। একটা পত্রিকা যখন কোনো রাজনৈতিক খবর প্রকাশ করে, বা রাজনৈতিক নেতা বা দল নিয়ে কিছু বলে থাকে, দেখতে হবে ওই পত্রিকাটি নিরপেক্ষ নাকি কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলে। অনেক গণমাধ্যম আছে যারা বাস্তবে ঘটে নাই এমন কাল্পনিক ঘটনা তৈরি করে বাস্তব বলে চালিয়ে দেবার চেস্টা করে। এর কারন আমরা সব খবরই অন্ধের মত বিশ্বাস করে থাকি। আমি যদি একটা খবর ১০০% মিথ্যা জেনেও থাকি, কিন্তু অন্য দশজন ওই খবরটাই বিশ্বাস করে থাকে। প্রমাণস্বরূপ যদি দেখি, একজন একটা মিথ্যা খবর ফেইসবুকে শেয়ার করলো, আবার ওই খবরটাই দশজনে লাইক বা কমেন্টস করলো; তার মানে এই যে, যে শেয়ার করলো সে যেমন বিশ্বাস করলো, আর যারা লাইক বা কমেন্টস করলো তারাও বিশ্বাস করলো, কিন্তু কেউ খবরটার সত্যতা যাচাই এর প্রয়োজন মনে করলো না।

অপ্রয়োজনীয়, মিথ্যা, আজগুবি খবর প্রকাশ হতেই থাকবে, এর থেকে কাউকে বিরত রাখা যাবে না। আমাদেরকেই এর মধ্যে থেকে প্রকৃত খবর খুঁজে নিতে হবে, আমাদেরকেই যাচাই করে নিতে হবে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। ভুরি ভুরি তত্ত উপাত্তের ভিড়ে সত্য মিথ্যা খুঁজে বের করাটা যদিও কষ্টকর, তারপরেও যথাসাধ্য ভাবে পর্যালোচনা করে সত্যটা জানার চেষ্টা করতে হবে; কারন সত্য জানার অধিকার সবার আছে, সত্য জানলে অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। সত্য তিক্ত হলেও সত্য জানাই উচিত। মিথ্যাটা যদি আমার মতের পক্ষেও হয় তা পরিহার করা উচিত।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৮

বেকার যুবক বলেছেন: নিজের মনে সত্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরি করতে হবে। যে যেই দল বা মতকে পছন্দ করে, আপাতদৃষ্টি সেই দল বা মতের সমর্থনে কিছু দেখলে বা শুনলে সে বিনা দ্বিধায় বিশ্বাস করে ফেলে, কিংবা তার দল বা মতের বাইরে কিছু হলে সে বিশ্বাস তো করেই না বরং অস্বীকারের জন্য নিজের কল্পনা থেকেই বিভিন্ন ধরনের চিন্তার উদ্ভাবন করে।

কেউ যদি নিজে সত্য গ্রহণ করতে না চায়, তবে সত্য তার কাছে চির অস্পষ্টই থেকে যাবে।

ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

নিউটনিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

সত্য তিক্ত হলেও মেনে নেয়া উচিত, আর মিথ্যা যত মধুরই হোকনা কেনো তাকে পরিহার করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.