নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষ যখন ধর্ম পালন করে থাকে, তা তার ব্যাক্তি স্বাধীনতা বা ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আবার কেউ যদি ধর্ম না মেনে থাকে, সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস না থেকে থাকে, তাহলে সে ধর্ম পালন করবেনা, তাও তার একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। সমস্যা ততক্ষন পর্যন্তই উদ্ভব হবেনা, যতক্ষন পর্যন্ত না কেউ কারো ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে।
এখন নাস্তিক যারা, তারা যদি তাদের মত করে থাকে তাহলে কোনো সমস্যাই তৈরি হবার কথা না। আমাদের সমাজে অনেক নাস্তিকই আছে যারা ধর্ম কর্ম বিশ্বাস করেনা। কিন্তু তারা সবার সাথেই মিলেমিশে চলাফেরা করে, কেউ দাঁড়ি রাখছে কেনো? টুপি পরছে কেনো? এইটা নিয়ে যেমন প্রশ্ন করেনা, তেমনি কারো ধর্ম পালন করা নিয়েও কুটুক্তি করেনা। এমনও নাস্তিক আছে যারা অন্যের ধর্ম পালনে ব্যাঘাত যাতে না হয়, সে বিষয়েও তটস্থ থাকে।
আবার কিছু নাস্তিক আছে, যারা খুবই উগ্র ধরনের। তারা তো নাস্তিক ঠিক আছে, কিন্তু অন্য কেউ ধর্ম মানে কেনো? এইটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথার অন্ত নেই। এরাই হচ্ছে ধর্ম বিদ্বেষী। এরা যে কোনো মুল্যে ধর্মকে পৃথিবী থেকে উৎখাত করতে সদা দন্ডায়মান। খুঁজে খুঁজে কোন ধর্মের কি দোষ আছে, নবী রাসুলদের কারো কোনো খারাপ কাজ আছে কিনা, এমন কি উনাদেরকে নিয়ে অশ্রাব্য, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পর্যন্ত ছাড়েনা। কিন্তু এইসবের তো কোনো দরকারই নাই। তারা নিজেরাই ব্যাক্তি স্বাধীনতার কথা বলে। তারা যেমন নাস্তিক হবার ব্যাক্তি স্বাধীনতা আছে, তেমনি আরেকজনের ধর্ম পালনেরও ব্যাক্তি স্বাধীনতা আছে। তাদের নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী কোনো ব্যাক্তি কে কঠাক্ষ করে কথা বললে তাদের যেমন অনুভূতিতে আঘাত লাগে, তেমনি নবী রাসুলদের কটাক্ষ করলে মুসলমানদের আঘাত লাগতেই পারে। মন সবারই সমান, সবারই অনুভূতি সমান।
নাস্তিকরা প্রায়ই বলে থাকে, ফ্রি থিংকার বা মুক্তমনা হতে হবে, পারিবারিকভাবে পাওয়া ধর্ম পালন করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই, বাবা মা সন্তানদের উপর ধর্মের বোঝা চাপিয়ে দেয়, ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তরবারির জোরে, উদাহরন হিসেবে বিজ্ঞানকে টেনে টেনে নিয়ে আসা ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক নাস্তিককেই দেখি কুরআন হাদিস থেকে উক্তি দিয়ে কথা বলতে, এমন কি অনেক ইসলামের গভীর থেকেও তথ্য দিয়ে থাকে। তাহলে তারা ইসলামের সাধারন, অতি বেসিক কথাগুলো তাদের চোখে পড়েনা? কুরআন হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে যে, আগে ইসলাম সম্পর্কে জানো, ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নাও। এমন না যে, আমার বাবা মা মুসলমান বলে আমিও মুসলমান বা হিন্দু হতে হবে, পারিবারিক ধর্মই আমার ধর্ম। জেনে শুনে মুক্তমনেই আমাকে ধর্ম ঠিক করতে হবে যে, আমি কোন ধর্ম পালন করব, কিংবা আধৌ কোনো ধর্ম আছে কিনা, আর থাকলেও প্রকৃত ধর্ম কি? ইসলামের সর্বশেষ, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেন, ''ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা, যার যার ধর্ম তাকে পালন করতে তাও''। এই কথার পর তো আর কোনো তর্ক সৃষ্টির কথা নয়। আর মহানবী (স), যে দুইটি যুদ্ধ করেছেন তাও নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য এবং ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে, যা প্রয়োজন ছিল তখন। তাই বলে ইসলাম তরবারীর জোরে আসছে এইটা বলা কি ঠিক? যদি তরবারীর জোরেই ইসলাম আসত, তাহলে মহানবী (স) এর ইন্তিকালের পরপরই তা ধ্বংস হয়ে যেত। মুসলমানদের মধ্যে অনেক দল, অনেক বিভাজন, অনেক মত আছে, এখন একজন বা একদল মুসলমানের খারাপ কাজের জন্য সমগ্র ইসলাম ধর্মকে দায়ী করা তো ঠিক না। আমাদেরকে মূল ইসলাম অনুসরন করা উচিত, নাস্তিকদেরও উচিত মূল ইসলাম কি বলে সে অনুযায়ী। কুরআনের এক দুইটা আয়াতই সম্পূর্ণ কুরআন বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়।
নাস্তিক ভাইদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা ধর্ম পালন করেন না ঠিক আছে, কিন্তু ধর্ম নিয়ে, ধর্ম পালনকারীদের নিয়ে অহেতুক টানা হেছড়া না করাই উত্তম পন্থা বলে মনে করি।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৭
নিউটনিয়ান বলেছেন: ফ্রি থিংক মানে কি? মুক্তচিন্তা। আমি আমার চিন্তায় অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ কে আনতেই পারি। লজিক টা আমি আনবো কোথা হতে? লজিকের বিষয়বস্তু তো থাকতে হবে। আর ধর্মকে শুধুমাত্র লজিক কিংবা প্রমান দ্বারা বিশ্লেষণ করা যায় না। এইটা আত্মিক উপলব্দিরও বিষয়।
যদি ফ্রি থিংকিং এর সাথে ধর্মের কোনো যোগাযোগই না থাকে, তাহলে ফ্রি থিংকিং এর দোহাই দিয়ে ধর্মকে দোষারোপ করার মানে কি? আমার লেখার সারমর্মই এইটা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফ্রি-থিংকিং সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিস্কার নয়; ফ্রি-থিংকিং এর সাথে ধর্মের কোন যোগাযোগ নেই।
ফ্রি-থিংকিং হলো, কোন পুর্ব নির্ধারিত ফলাফলকে হিসাবে না রেখে লজিক্যাল ভাবনার মাধ্যমে উপসংহারে পৌঁছার ভাবনা।