নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিগত কয়েক নির্বাচন নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। একজন বাঙ্গালী হিসেবে এইখানের নির্বাচন দেখতে পারাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা। এইখানে অন্য দিন থেকে নির্বাচনের দিনকে আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। এই দিনে সরকারী ছুটি নেই, যে যার মত করে ভোট দিয়ে কাজে যায় অথবা কাজের শেষে এসে ভোট দিয়ে আসে। হৈ হুল্লোড়, দল্লাবাজি, হল্লাবাজি, গলাবাজি নাই; মিছিল-মিটিং-পিকেটিং নাই, না আছে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি। জাল ভোট, ব্যালট বাক্স ছিনতাই; এইসবের তো প্রশ্নই আসেনা। ভোটের দিন অন্য দেশ থেকে কেউ এসে বুঝতেই পারবেনা যে আজ নির্বাচনের দিন এইখানে।
নির্বাচনের আগের প্রচারণাও হয় অনেক শালীন ও পরিমার্জিত ভাবে। প্রচারণার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করা হয়না, মাইকিং এর জ্বালা যন্ত্রণা, পোস্টারিঙ্গের উৎপাত, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ, মিছিল, দলের নেতা কর্মীদের উৎপাত; এইসবের কিছুই নাই। এরা লিফলেট কিংবা ওয়েবসাইটে এদের উন্নয়ন প্রকল্প, যার যার পরিকল্পনা তুলে ধরবে, বিতর্ক কিংবা জনগণের সাথে সরাসরি প্রশ্নউত্তর এর ব্যবস্থা করবে। এর পর জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে যে পরবর্তী নির্বাচনে কাকে নির্বাচিত করলে তাদের দেশের উন্নতি হবে। আমাদের দেশে কিভাবে নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রচারণা চালানো হয় তা আমরা সবাই অবগত আছি।
আর ভোট পরবর্তী সময়ে যে দল নির্বাচিত হয় সে দল পরাজিত দলের প্রতি প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে থাকে, সান্ত্বনা দিয়ে থাকে এবং যে দল বিজয়ী হতে পারে নি সে দল নির্বাচিত দলকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়ে থাকে এবং ভবিষ্যতে একসাথে দেশের জন্যও কাজ করায় সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে থাকে।
শেখার আছে অনেক কিছুই।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
নিউটনিয়ান বলেছেন: আমরা শিখি, তবে নেগেটিভ জিনিসগুলা।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ওখানে থাকার কারণে সবাই ভদ্র হওয়ার চেস্টা করেছে
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
নিউটনিয়ান বলেছেন: উল্টা মন্তব্য করলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১০
বিজন রয় বলেছেন: আমরা শিখি না।