![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্বেতশুভ্র তুষারগুলা আঁছড়ে পড়তেছে খিড়কি ধারে, বাতায়ন পরে। কৃষ্ণবর্ণের কঠিন কংক্রিটের পথগুলো ঢেকে গেছে মোলায়েম ধবল চাদরে। হীরকচূর্ণের মত তুষার কুঁচিগুলা গাড়ির উপর, গাছের মাথায়, ঘরের ছাদে টুপির আদলে অবস্থান করতেছে। বিদ্যুতের তারে অবস্থান নেয়া আজন্মকালের কৃষ্ণাঙ্গ কাক টি সহস্র জনমের আক্ষেপ গুছিয়ে শ্বেতাঙ্গ রূপ ধারণ করেছে। কোথাও নেই কোলাহল, বিকিকিনি, গাড়ির শব্দ। মাঝে মাঝে বালকদিগের দল তুষার ছোড়াছুঁড়ির খেলায় মত্ত। আজ চিরচেনা শহরটি রূপ নিল অচেনা এক জগতে।
সাইবেরিয়ান অঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা শৈত্যপ্রবাহ যার নামকরণ করা হয়েছে ‘’বিস্ট ফ্রম দ্য ইস্ট’’। যা ইউরোপের জনজীবনে একপ্রকার অচলাবস্থার অবতারণ করেছে। এখানে ঠাণ্ডার তীব্রতা এতই বেশী যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে পা রাখতেছে না। ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপের অনেক দেশই এই রেকর্ড পরিমাণ শৈত্যপ্রবাহে আক্রান্ত। গড় তাপমাত্রা স্থানভেদে হিমাংকের ৬ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে পর্যন্ত নেমে এসেছে।
- তুষার জমে বৃক্ষ ভাস্কর্যে পরিণত হয়েছে। (ছবিঃ লিমেরিক জেলখানা, আয়ারল্যান্ড)
আজকে শুক্রবারে (২রা মার্চ) শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ‘’বিস্ট ফ্রম দ্য ইস্ট’’ এবং ‘’স্ট্রম এমা’’ একসাথে মিলিত হয়ে পরিস্থিতিকে আরও বেশী বিরূপ করে ফেলেছে, যার ফলশ্রুতিতে জনজীবন একেবারেই অসাড় হয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে ভারী তুষারপাত সাধারণত হয়না কিন্তু এবার একেবারেই সাদা চাদরে মুড়ে গেছে। তীব্র ঠাণ্ডা আর মুহুর্মুহু তুষারপাতে এ পর্যন্ত সমগ্র ইউরোপে ৪৫ জনেরও বেশী মৃক্তুর খবর পাওয়া গেছে।
- স্নোম্যান বা তুষার মানব (ছবিঃ আইরিশ এক্সামিনার থেকে সংগ্রহীত)
মূলত ইউরোপে এখন শীত শেষে বসন্তের আগমনের কথা। ৩০ থেকে ৪০ ইঞ্চি শ্বেত শুভ্র তুষারের ছাদরে মোড়া পথ প্রান্তর থাকার কথা ছিল নানা রঙের টিউলিপ আর ড্যাফোডিলের সমারোহ। হিমাংকের নিচের তাপমাত্রার বদলে থাকার কথা ছিল ঝিরঝিরে উষ্ণ বাতাস। বৈশ্বিক আবহাওয়ার যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে বা হতে চলেছে তা এ থেকেই অনুমেয়। বৈজ্ঞানিকরা এই শৈত্যপ্রবাহকে বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
- ব্যস্ত সড়ক হয়ে পড়েছে জনমানবহীন প্রান্তরে (ছবিঃ লিমেরিক, আয়ারল্যান্ড)
- ধবল তুষারের চাদর পরা আরেকটি সড়ক (ছবিঃ লিমেরিক, আয়ারল্যান্ড)শ্বেতশুভ্র তুষারগুলা আঁছড়ে পড়তেছে খিড়কি ধারে, বাতায়ন পরে। কৃষ্ণবর্ণের কঠিন কংক্রিটের পথগুলো ঢেকে গেছে মোলায়েম ধবল চাদরে। হীরকচূর্ণের মত তুষার কুঁচিগুলা গাড়ির উপর, গাছের মাথায়, ঘরের ছাদে টুপির আদলে অবস্থান করতেছে। বিদ্যুতের তারে অবস্থান নেয়া আজন্মকালের কৃষ্ণাঙ্গ কাক টি সহস্র জনমের আক্ষেপ গুছিয়ে শ্বেতাঙ্গ রূপ ধারণ করেছে। কোথাও নেই কোলাহল, বিকিকিনি, গাড়ির শব্দ। মাঝে মাঝে বালকদিগের দল তুষার ছোড়াছুঁড়ির খেলায় মত্ত। আজ চিরচেনা শহরটি রূপ নিল অচেনা এক জগতে।
সাইবেরিয়ান অঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা শৈত্যপ্রবাহ যার নামকরণ করা হয়েছে ‘’বিস্ট ফ্রম দ্য ইস্ট’’। যা ইউরোপের জনজীবনে একপ্রকার অচলাবস্থার অবতারণ করেছে। এখানে ঠাণ্ডার তীব্রতা এতই বেশী যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে পা রাখতেছে না। ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ ইউরোপের অনেক দেশই এই রেকর্ড পরিমাণ শৈত্যপ্রবাহে আক্রান্ত। গড় তাপমাত্রা স্থানভেদে হিমাংকের ৬ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে পর্যন্ত নেমে এসেছে।
- তুষার জমে বৃক্ষ ভাস্কর্যে পরিণত হয়েছে। (ছবিঃ লিমেরিক জেলখানা, আয়ারল্যান্ড)
আজকে শুক্রবারে (২রা মার্চ) শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ‘’বিস্ট ফ্রম দ্য ইস্ট’’ এবং ‘’স্ট্রম এমা’’ একসাথে মিলিত হয়ে পরিস্থিতিকে আরও বেশী বিরূপ করে ফেলেছে, যার ফলশ্রুতিতে জনজীবন একেবারেই অসাড় হয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে ভারী তুষারপাত সাধারণত হয়না কিন্তু এবার একেবারেই সাদা চাদরে মুড়ে গেছে। তীব্র ঠাণ্ডা আর মুহুর্মুহু তুষারপাতে এ পর্যন্ত সমগ্র ইউরোপে ৪৫ জনেরও বেশী মৃক্তুর খবর পাওয়া গেছে।
- স্নোম্যান বা তুষার মানব (ছবিঃ আইরিশ এক্সামিনার থেকে সংগ্রহীত)
মূলত ইউরোপে এখন শীত শেষে বসন্তের আগমনের কথা। ৩০ থেকে ৪০ ইঞ্চি শ্বেত শুভ্র তুষারের ছাদরে মোড়া পথ প্রান্তর থাকার কথা ছিল নানা রঙের টিউলিপ আর ড্যাফোডিলের সমারোহ। হিমাংকের নিচের তাপমাত্রার বদলে থাকার কথা ছিল ঝিরঝিরে উষ্ণ বাতাস। বৈশ্বিক আবহাওয়ার যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে বা হতে চলেছে তা এ থেকেই অনুমেয়। বৈজ্ঞানিকরা এই শৈত্যপ্রবাহকে বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
- ব্যস্ত সড়ক হয়ে পড়েছে জনমানবহীন প্রান্তরে (ছবিঃ লিমেরিক, আয়ারল্যান্ড)
- ধবল তুষারের চাদর পরা আরেকটি সড়ক (ছবিঃ লিমেরিক, আয়ারল্যান্ড)
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৯
নিউটনিয়ান বলেছেন: ভারী তুষার পড়লে ঠাণ্ডা একটু কমই অনুভূত হয়।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:০২
কালীদাস বলেছেন: পর্তুগাল, স্পেন, মাল্টা, গ্রীস ছাড়া প্রায় সব কয়টারই কাহিল অবস্হা। আলপাইন দেশগুলোর বেশ কয়েকটা শহরে দেখলাম জরুরী অবস্হা ঘোষণা করতে হয়েছে। নর্দার্ণ ইউরোপে এই টাইপের ওয়েদার কমন, ওরা কম্পারেটিভলি কম সাফার করছে অভ্যাস থাকায়।
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০১
নিউটনিয়ান বলেছেন: কমন তুষার পড়া দেশগুলার আগে থেকেই প্রস্তুতি থাকে। কিন্তু হঠৎ এমন অবস্থায় অন্য দেশগুলা পড়লে অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় পড়তে হয়।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
হাঙ্গামা বলেছেন: আল্লাহয় জানে কারে ক্যামনে সাইজ করা লাগে
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২
নিউটনিয়ান বলেছেন: হ্যাঁ তা তো বটেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৩১
কেএসরথি বলেছেন: আজকে (বাফেলো, নিউইয়র্ক) বাসার বাইরে যেয়ে দেখি প্রায় ১ ফুট বরফের স্তর জমে আছে - সেটার নিচে গাড়ীটা প্রায় নিখোজ! যদিও ঠান্ডা পড়েনি খুব একটা, কিন্তু স্নোতে সব ডুবে গেছে।