![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধু রবিন,
শুভ জন্মদিন। প্রায় সারে চার বছর তোর সাথে পরিচয়। একসাথে ক্লাস করা, প্রাইভেট, কোচিং, সবকিছু ঘিরেই যেন ছিলি তুই। অথচ কি আশ্চর্য! তোর জন্মদিনই জানতাম না!
নববর্ষ, ফ্রেন্ডশিপ ডে, কিংবা ঈদে তোকে Wish করলে তুই প্রায়ই বলতি, “একদিনও আমি তোর আগে Wish করতে পারলাম না। তুই এত ফার্স্ট ক্যান?” তখন আমি ভাবতাম, “করবি কিভাবে? ঐ দিনের ফার্স্ট SMS যে আমি তোকেই করতাম।”
তুই যেটা জানিস না, সেটা আজ আমি বলছি, “You are my best friend still now.” এজন্যই হয়ত তোর সাথে দেখা করার জন্য যখন যেখানে আসতে বলতি, আমি সেখানেই হাজির হইতাম। আবার পরীক্ষার আগের দিনও তোকে প্রাক্টিকাল খাতা ধার দিতে দ্বিধা বোধ করতাম না। আবার তোর প্রতি বিশ্বাসও ছিল অটুট। এবং থাকবেও।
তোর মণে পরে? যত বৃষ্টিই থাকুক, আর কেউ না আসলেও তুই আর আমি ঠিকই ক্লাসে আসতাম। আসবনা কেন? আমি নিশ্চিত জানতাম যে তুইও এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে আসবিই।
অথচ এখন দেখ, দুইজন চাইলেও দেখা করতে পারি না। পারিনা ফেসবুকে চ্যাটিং করতে, মোবাইলে কথা বলতে। পারব কিভাবে? চোখের আড়াল থেকে কবে যে দুজনের মনের আড়ালও হয়ে গেল, টেরই পেলাম না।
অনেক লিখলাম। আবারও তোকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। Many Many Happy Returns Of The Day.
বিঃ দ্রঃ যারা এই ধরনের ব্লগ/লেখা পড়ায় অভ্যস্ত, তাদের মণে প্রশ্ন জাগতে পারে যে রবিন বেঁচে আছে কি না।
না। উপরওয়ালা আমাদের প্রতি এখনও এতটা নির্দয় হননি। বন্ধু আমার বেঁচে আছে। অটুট আছে আমাদের বন্ধুত্বও।
কিন্তু “ভর্তিপরীক্ষা” নামক এক মায়ারাক্ষসীর ইন্দ্রজালে আমাদের দুই বন্ধুকে দুই শহরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আর কমিয়ে দিয়েছে আমাদের বন্ধুত্বের প্রতি টানও।
©somewhere in net ltd.