![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমরান বনি খুব ভোড়ে ঘুম থেকে উঠে চুপি চুপি বাথরুম সেরে তৈরি হয়ে নিল। আজ অহনার সাথে প্রথম দেখা করতে যাবে। ফেসবুকে দু’জনের পরিচয়। অত:পর ফোনালাপ। দের মাস অতিক্রান্ত হবার পর তারা আজ দেখা করবে। ওদের রিলেসনের কথা কাউকে জানায়নি ইমরান। মেসের বন্ধুগুলোর জ্বালায় একটা প্রেমও করা যায়না। তাহলেই দিন রাত খোঁচানো শুরু করবে ওরা। যেন মেসের কেউ টের না পায়, এজন্য কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ইউস করে ফোনে নিয়মিত কথা বলত ইমরান।
যাই হোক, কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে চুপি চুপি বের হল ইমরান। একটু নার্ভাসও ফিল করেছ বটে।
ইমরান পার্কের বেঞ্চির উপর একা একা বসে বাদাম খাচ্ছে। অহনার আসতে আরও লেট হবে। ফ্রেন্ডদের ভয়ে তারাতারি চলে এসেছে ইমরান। ওই তো, অহনাও আসছে। ছবির থেকেও অনেক সুন্দর অহনা। দেখে যেন চোখ ফেরানো যায় না।
(**ফার্স্ট ডেটিং এর অভিজ্ঞতা না থাকায় এই অংশটা স্কিপ করতে হল।)
সারাদিন পর বাসায় ফিরল ইমরান। আজ দিনটি তার অনেক আনন্দে কেটেছে। অহনার সাথে প্রথম দিনের সাক্ষাতেই বেশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হয়েছে দুজনের। সারাদিন রিক্সায় করে ঘোরা, গল্প করা, একসাথে লাঞ্চ করা, বিকেলে নদীর পাড়ে হাটতে যাওয়া সবকিছুই অনেক আনন্দে কাটিয়েছে দু’জনে। আর অহনার কথা তো ভাবাই যায় না। অসাধারন এই মেয়েটি। সারাক্ষন মুখে হাসি লেগেই থাকে। আর ইমরান কিছু বলার আগেই সব বুঝে যায় মেয়েটা। মাইন্ড রিডারও বটে। এমন মেয়ের সাথে এক জীবন কাটিয়েও যেন মন ভরবে না।
কিন্তু মেসের সবাই আমার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে কেন? ধুর, ও কিছু না। সব আমার মনের ভয়। ওদেরকে ঘুনাক্ষরেও কিছু বুঝতে দেয়া যাবে না। যাই ফ্রেস হয়ে নেই। এই বলে বাথরুমের দিকে হাটা ধরল ইমরান।
কাউন্ট ডাউন শুরু... ৪...৩...২...১...আআআ...আআআ...আআআ...
বাথরুম থেকে ইমরানের গগনবিদারী চিত্কার শোনা যাচ্ছে। এইরে ও তো লাঠি নিয়ে আসছে।
সাথে সাথে সবাই গায়েব।
ইমরান বাথরুমে গিয়ে আয়নার দিকে তাকাতেই দেখে পুরো আয়না জুড়ে তার জানপাখি অহনার একটি ছবি লাগানো।
-এই ছবি ওরা পেল কোথায়? ছবিটা ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করে রাখছিলাম। এত কষ্ট করে ব্যাপারটা গোপন রাখতে চাইলাম, তাও ওরা টের পেয়ে গেল!! এমনকি আমার পিসি থেকে ছবিটা নিয়ে প্রিন্টও করে ফেলল!! নাহ্ ওদের জ্বালায় পাসওয়ার্ড দিয়েও শান্তি নাই।
এই বলে লাঠি নিয়ে তাড়া করতে আসলো ইমরান। কিন্তু সবাই তো গায়েব!!
-ওই শালারা, কই তোরা? বের হ বলছি। আজ তোদের একদিন কি আমার একদিন
-মামা, ডুবে ডুবে জল খাও? আমাদের খাওয়াবা কবে??
-এই নে জগ, যত খুশি খেয়ে নে।
-না মামা, তাতে হবে না।
বলেই এক এক করে বের হয়ে এল সবাই। বেরিয়েই ইমরানকে জাগিয়ে কাধে তুলে নিল সবাই।
-এই শালা, নামা আমাকে
-এতদিন বলিসনি কেন? আমরাও একটু দেখতাম
-আমাকে নামা। অন্য একদিন দেখাবো নে
-তা তো দেখাবাই। আগে বল আজ কি খাওয়াবি?
-আগে তো নামা আমাকে
-ঠিক তো?
-ঠিক রে বাপ
সবাই ওকে নামিয়ে উল্লাস ধ্বনী শুরু করল।
সবই ঠিক আছে। ইমরানের কাছে শুধু একটা জিনিসই খটকা লাগছে। এত সাবধানতার পরও ওরা ব্যাপারটা জানলো কি করে?
-নাহ্! ওদের নিয়ে আর পারা গেল না।
©somewhere in net ltd.