নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিভৃতা। ভালোবাসি পড়তে। একটু আধটু লেখালেখির অপচেষ্টা চলে মাঝেমাঝে।

নিভৃতা

সামুতে আট বছর আগে কোনভাবে যুক্ত হলেও আমার ব্লগিং জীবন আসলে শুরু জানুয়ারি, ২০২০ থেকে।

নিভৃতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: সূক্ষ্ম বিচার

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪১


ছবি: ইন্টারনেট
২য় ও শেষ খণ্ড Click This Link

আমার নাম নাজমা। স্বামী, শাশুড়ি আর চার মেয়ে নিয়ে বলা যায় সুখের সংসারই আমার। আমার চার কন্যাই খুব লক্ষ্মী। ওদের বাবা মানুষটা বলতে গেলে একেবারে ফেরেশতা। খুবই ভাল মানুষ। এমন ভাল মানুষ আজকাল খুব কম হয়। আমার শাশুড়িও মানুষ ভাল। মনটাও অনেক বড়। কিন্তু বেচারি আমার উপর কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ। বয়স্ক মানুষ। মন তো কিছুটা ক্ষুণ্ণ হবেই। কত আর ধৈর্য্য ধরে থাকবেন।

বড় আশা ছিল একটা নাতির মুখ দেখবেন। নাতি হলো বংশের বাতি। কিন্তু চার চারবারই তার সেই আশায় গুড়েবালি। চারবারই আমি কন্যাসন্তান প্রসব করলাম। কিন্তু কী করে উনাকে বুঝাই যে এতে আমার কোন হাত নেই। আমার স্বামীর অবশ্য আমার উপর কোন রাগ বা অভিযোগ নেই। শিক্ষিত মানুষ। সবই বোঝেন। মনটাও বড়।

তবে মনে মনে একটা ছেলের শখ তারও আছে। কার না থাকে? না থাকাটাই অস্বাভাবিক। আমার প্রথম সন্তান যখন মেয়ে হয় তখন আমার ঘরে খুশির বান বয়ে গিয়েছিল। স্বামী তো মেয়েকে কোল ছাড়াই করছিলেন না। এমন কি আমার শাশুড়িও খুব খুশি। প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়া নাকি আল্লাহর রহমত। সৌভাগ্যের নিদর্শন।

এরপর যখন আমার দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হলো তখনও আমার স্বামী খুব খুশি হলেন। কিন্তু আমার শাশুড়ি কিছুটা ক্ষুণ্ণ হলেন। ক্ষুণ্ণ হলেও আমার সেবা যত্নে কোন কমতি রাখলেন না। তৃতীয়জন নাতি হবে এই আশা বুকে ধারণ করে দ্বিতীয় নাতনিকেও বুকে তুলে নিলেন। কিন্তু আমি মনে মনে কিছুটা ক্ষুণ্ণ হলাম। কারণ দুইটার বেশি বাচ্চা আমি নিতে চাইনি। এখন শাশুড়িকে খুশি করার জন্য হলেও আমাকে তৃতীয়বার সন্তানধারণ করতে হবে।

অতএব, আমাকে তৃতীয়বারের মত গর্ভধারণ করতে হলো এবং যথারীতি মেয়েই হলো। এইবার আমার শাশুড়ি আমাকে অলক্ষ্মী অপয়া ইত্যাদি যা যা গালি বর্ষণ করা যায় সবই করলেন। সেই সাথে অবশ্য সেবা যত্নেরও কোন ত্রুটি ঘটলো না। আমার স্বামী তার তৃতীয় মেয়েকেও আনন্দের সাথে গ্রহণ করলেন। বললেন, তিন মেয়ে হলো ত্রিরত্ন।

কিন্তু তিনি এই কথা বলে যেন নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এমনটা আমার মনে হলো। তার সেই আনন্দের আড়ালে আমি কোথায় যেন একটা দুঃখের ছায়াও দেখতে পেলাম। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো আমার বুকের গভীর থেকে। এমন ভাল মানুষ স্বামীর চোখে দুখের ছায়া আমি সইতে রাজী নই।

স্বামীর চোখের সেই দুখের ছায়া আমাকে কুরে কুরে খায়। মনে হয় যেন এসবের জন্য আমিই দায়ী। আমিই আসলে অপয়া। নয়তো এতদিনে একটা ছেলে হয়েই যেত আমার। আমি শেষ চেষ্টা হিসেবে চতুর্থবারের জন্য বাচ্চা নিলাম। কিন্তু হায় আমার সেই চেষ্টাও বিফলে গেলো। আমার চতুর্থ সন্তানও মেয়েই হলো।

আমার স্বামী এবার তার কষ্ট লুকোতে পারলেন না। আমার শাশুড়ি এবার আমার মেয়ের মুখ দেখতেও নারাজ। কিছুদিন যাওয়ার পর সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে এলো শাশুড়িও মান ভুলে চার নাতনিকেই আদর করেন। আর চার কন্যার মাঝে আমার স্বামীর যেন প্রাণটা লুকিয়ে রয়েছে।

ধীরে ধীরে আমার সংসারে ঝর্ণার কলকল ধারা বইতে লাগলো আমার চার কন্যার কলকাকলিতে। আমার শাশুড়ি অবশ্য উঠতে বসতে আমাকে কথা শুনাতে ছাড়েন না। মাঝে মাঝে আর একটা শেষ চেষ্টা করতেও বলেন। আমি উনার কথা তেমন একটা কানে তুলতাম না। এক সময় মনে হলো আমার স্বামীও মনে মনে সেই ইচ্ছাই পোষণ করছেন। আমিও নিজেকে রাজী করালাম। পঞ্চমবারের মত গর্ভধারণের চেষ্টায় ব্রতী হলাম।

এখন আমি চার মাসের সন্তানসম্ভবা। শাশুড়ি উনার মনঃক্ষুণ্ণভাব এখন আপাতত শিকেয় তুলে রেখেছেন। স্বামীর দুচোখে খুশির ঝিলিক। কারণ তাদের মন বলছে এবার ছেলেই হবে। আমিও মনে প্রাণে চাই ছেলেই হোক। ওদের আশা পূর্ণ হোক। বংশের বাতি জ্বেলে আমি এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চাই। একটু জিরোতে চাই। শাশুড়ি দিনরাত আমার সেবায় ব্যস্ত। স্বামী আমার যত্নে দিশেহারা।

কিন্তু বিধিবাম। এত আদর যত্ন সেবায় কোন লাভ হলো না। গর্ভে যে আছে সে তার অগ্রজাদেরই অনুসরণ করলো। অর্থাৎ চার মাস পূর্ণ হওয়ার পর জানতে পারলাম এবার যিনি আসছেন তিনিও মেয়ে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এটা শুনে এবার আমার শাশুড়ি কোন বিরূপ আচরণ করলেন না। স্বামীকেও কোন আশাভঙ্গের বেদনায় বেদনাহত হতে দেখলাম না। বরং তারা আগেরই মত আমাকে যত্নআত্তি করতে লাগলেন। অর্থাৎ তারা বিধিকে মেনে নিয়েছেন। আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।

পাঁচ মাস দশদিনে যেদিন পা রাখলাম ঠিক সেদিন ঘটলো এক ভয়াবহ ঘটনা। হঠাৎ করেই ব্লিডিং শুরু হলো আমার। রক্তের যেন বন্যা বয়ে যেতে লাগলো। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো আমাকে। ডাক্তাররা জানালো আমার বাচ্চাটা গর্ভেই মৃত্যুবরণ করেছে। তাকে আমার গর্ভ থেকে অপসারণ করা হলো। কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিল।

আমার শাশুড়ি আর স্বামী আমাকে সান্ত্বনা দিতে থাকলেন। কিন্তু আমার কষ্ট কোন বাঁধ মানছিল না। এক সময় জানলাম বাচ্চাটা আসলে ছেলে ছিল। মেয়ে না। আমি মা। আমার জন্য সন্তান সন্তানই। ছেলে মেয়ে যাই হোক না কেন তার মৃত্যুতে একজন মায়ের সমান কষ্ট হয়। কিন্তু আমার বাচ্চাটা একটা ছেলে ছিল সেটা শুনে আমার শাশুড়ি আর স্বামীর সে কি আহাজারি! যেন মাথা কুটে মরবে তারা এই দশা।

আমার স্বামী একটা বাচ্চা শিশুর মত চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। সেই কান্না আমার কষ্টের বোঝা আরো বাড়িয়ে দিলো। মনে মনে আল্লাহকে দোষারোপ করতে লাগলাম। আল্লাহ যদি দিয়েইছিলেন শেষ অবধি, তবে কেনই বা আবার কেড়ে নিলেন? আল্লাহর এ কেমন বিচার!

এক সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলাম। শোক কাটিয়ে উঠলাম। শরীরও একটু একটু করে ঠিক হতে লাগলো। নতুন মাসের শুরু হয়েছে। বিল পরিশোধ চলছে। সামনের ফার্মেসি থেকে বাকিতে ঔষধ আনা হয়। মাস শেষে বিল পরিশোধ করি। সেই ফার্মেসিরও বিল এসেছে। সেটাতে চোখ বুলাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে খটকা লাগলো। গেলাম ঐ ফার্মেসিতে।

-----ভাই, কিছু ঔষধের নাম আপনারা বোধহয় ভুলে আমাদের বিলে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এগুলো তো আমরা কিনি নি।

-----না, ম্যাডাম। বিল ঠিকই আছে। এই ঔষধগুলো গত মাসের প্রথম দিকে স্যার কিনেছিলেন।

-----ওহ। আচ্ছা এগুলো কীসের ঔষধ ভাই?
----- অ্যাবরশন পিল।
বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি। হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারছি না। এখন বুঝতে পারছি মেয়ে জানার পরও কেন এত আদর যত্ন হচ্ছিল আমার। কেন স্যুপটা প্রতিদিন নিজ হাতে মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন আমার ফেরেশতার মত স্বামী। কেন স্যুপটা এত তেতো আর বিস্বাদ লাগতো আমার কাছে!

সমস্ত পৃথিবীটাই এখন বড় বিস্বাদ ঠেকছে। পায়ের নিচের সব মাটি যেন সরে গেলো। কোন রকমে ফার্মেসি থেকে বাইরে বেরিয়ে এলাম। বুকের ভেতরটা বড় ভারী ঠেকছিল। বুক ভরে একটা নিঃশ্বাস নিলাম। তারপর আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকালাম। তাকাতেই বুকটা অনেক হালকা হয়ে এলো। কষ্ট ছাপিয়ে অদ্ভুত এক সুখ জায়গা করে নিলো বুকের ভেতরে।
----
রচনাকাল- ০৩-০৪-২০১৯
 ©নিভৃতা

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫২

এম এ হানিফ বলেছেন: চমৎকার গল্প। শেষটা সুন্দর হয়েছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই। অফুরান শুভ কামনা আপনার জন্য।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নিভৃতা বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ভালো লাগা। ভাল থাকবেন।
শুভ কামনা।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২১

এস সুলতানা বলেছেন: চমৎকার গল্প

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

খোলা মনের কথা বলেছেন: সবার কাছে চমৎকার গল্প মনে হলেও আমার কাছে অমানবিক ও চাঁপাকষ্টের গল্প মনে হলো। ঐ স্বামীর নামে মামলা করা উচিৎ কারন সে একটি অনাগত শিশু হত্যা করেছে। তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

নিভৃতা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এমন লোকের ফাঁসি হ্ওয়া প্রয়োজন।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার পটভূমিতে অসাধারণ গল্প!
আমাদের সমাজে এখনো এই ভুল ধারনা
বিদ্যমান। সন্তান ছেলে হবে কি মেয়ে হবে
তার দ্বায়িত্ব স্বামী বা স্ত্রীর নয়। ধর্মীয় ভাবে
সবাাই এটা স্বীকার করলেও নিজের ঘরে
মানতে রাজী নন কেউ। ভালো থাকবেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

নিভৃতা বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন আপনি। এইসব মানসিকতা শিক্ষিত সমাজেও বিদ্যমান।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: চার মাস পূর্ণ হওয়ার পর জানতে পারলাম এবার যিনি আসছেন তিনিও মেয়ে।

ভুল রিপোর্ট X(

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

নিভৃতা বলেছেন: জ্বী। ভুল রিপোর্ট।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লাইক দিয়া থুইছি। পড়বাম পড়ে । :) আমার প্রিয় লেখক ঝুমু আপি । লাভিউ আপি :)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

নিভৃতা বলেছেন: অফুরান ভালোবাসা প্রিয় কবি আপু।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: খুন !!!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১১

নিভৃতা বলেছেন: হুম, খুন।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কষ্ট লেগেছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১২

নিভৃতা বলেছেন: কষ্টেরই গল্প।
শুভ কামনা রইল।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: সাবলীল লেখা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১২

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমনই হয় এই জগত সংসারে। মেয়েরাই সর্বদোষে দোষী :(

সুন্দর গল্প হয়েছে আপি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

নিভৃতা বলেছেন: ঠিক বলেছ। যত দোষ সব মেয়েদের।
অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা তোমাকে আপুমনি।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১১

করুণাধারা বলেছেন: নতুন আর কী বলব!! +++ আগের মতই...

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

নিভৃতা বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
নতুন জবনের নতুন পর্ব তো পেলাম না। :(
তাড়াতাড়ি চাই কিন্তু।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার সৃষ্টি, পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পে সমাজের চিত্র উঠে এসেছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

নিভৃতা বলেছেন: ঘটছে এখনও অহরহ আমাদের অজান্তে, আমাদেরই আশেপাশে।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা মনে করি আমরা অন্যায় করছি না,তবুও আমাদের কোনো কোনো ব্যবহারে অন্য কেউ আঘাত পেতে পারে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নিভৃতা বলেছেন: সত্যি তাই।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

বাহা! চমৎকার লাগলো।
প্লটটা পরিচিত; কিন্তু লেখনীর গুনে খুব ভালো লেগেছে। মূলত শেষের টুইস্টটা গল্পটিকে অন্য মাত্রা দান করেছে।
আপনার লেখনির হাতও চমৎকার।
পোষ্টে ষষ্ঠ লাইক।

শুভকামনা জানবেন।



০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

নিভৃতা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। অনুপ্রাণিত হলাম খুব। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

ঘুটুরি বলেছেন: দারুন লিখেছেন, শেষটাও হয়েছে দারুন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সম্পদ এবং ছেলে সন্তনারে জন্য আমরা লালায়িত, বাস্তবিক হতে চাই না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নিভৃতা বলেছেন: কবে যে আমাদের অন্তর বিকশিত হবে কে জানে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


গল্পের শেষ প্যারায়, আকাশের দিকে তাকানোর পর, বুকে কেন শান্তি এলো?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

নিভৃতা বলেছেন: যে যাওয়ার সে তো চলেই গেছে। কিন্তু বহু কাঙ্খিত বংশের বাতিকে নিজের হাতে খুন করে লোকটা যে অন্তর্জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছে, সেটা ভেবেই কিছুটা শান্তির প্রলেপ হয়তো লাগলো অন্তরে। যদিও ঐ পাপের জন্য এই শাস্তি তো কিছুই না। তাকে আরো ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে হবে।

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিভৃতা,




টুইষ্টটা বাদে জীবন্ত বাস্তবতার ইট-পাথরে গল্পটি গেঁথে তুলেছেন চমৎকার ভাবে।
শেষের টুইষ্টটা অনবদ্য । বেশ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৮

নিভৃতা বলেছেন: আমাদের আশেপাশে আজও এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। কবে যে এইসব মানুষের মধ্যে বোধ জন্ম নেবে কে জানে।
অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই মন্তব্যে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।

২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখানে কারো বিচার হয়নি, হয়েছে শুধু অন্যায়; মায়ের মনে কোন কারণেই "সুখ"এর অনুভুতি আসার কথা নয়; এখানে আপনার ধারনা ভুল; গল্পকে ভুলের মাঝে টেনে নিয়ে গেছেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৯

নিভৃতা বলেছেন: ভাইরে নাজমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে ব্যাপারটা।
আমার গল্পের নায়িকা কোন দীপাবলি বা জয়ীতা না। সে সহজ সরল অতি সাধারণ বাঙালি বউ, যে স্বামী শাশুড়িকে খুশি করতে বারবার গর্ভধারণ করে ছেলে সন্তানেের প্রত্যাশায়। এরা আগেের রাতে সন্তান হারিয়ে বুকভরা আহাজারি করে এবং পরের দিন সেই হাহাকার বুকে চাপা দিয়ে আবার সংসারে মন দেয়। নাজমাও ঐ মুহুর্তে সন্তান হারানোর ব্যথা সয়ে জীবনে এগিয়ে গেছে। ঐ মুহুর্তে ওকে যা সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে তা স্বামীর অমানুষ রূপ এবং যাকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা ওর নেই। কারণ এদেশের শত শত মেয়ে এমনই। তারা স্বামীর সাত খুন মাফ করে অবলীলায় আবার ঘর করে, ঐ স্বামীকেই ভালোবাসে এবং ঐ স্বামীর জন্য দুনিয়ার সাথে লড়ে যায়। তাই স্বামীর ঐ অমানুষ রূপের সাথে পরিচিত হয়ে তৎক্ষণাৎ প্রতিশোধের একটা অসহায় অনুভূতি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে বংশবাতিকে নিজের হাতে খুন করে লোকটা যে অন্তর্জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছে সেটা মনে একটু শান্তি অনুভূত হয়েছে অন্তরে।

যাই হোক, এই গল্পটার আরেকটা পর্ব আছে।

২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাও ভাবছিলমা কাব্য ছড়ে গপ্পে হাত মকশৌ করবো!
আপনাদের এমন দুর্দান্ত লেখার পর কেমন গুটিয়ে যাই ;)
নাহ, পাঠকের মুগ্ধতাতেই বেশ :)
হা হা হা

+++++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

নিভৃতা বলেছেন: আপনি অনেক ভালো লিখতে পারবেন আপনার কমেন্ট পড়লেই বোঝা যায়। শুরু করে দিন। প্রতীক্ষায় রইলাম।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: গর্ভের সন্তান মেরে ফেলা হলে কী কোন মায়ের বুকে সুখ আসতে পারে?
চাদগাজীর মত এই লাইন নিয়ে আমারও সন্দেহ হচ্ছে। একবুক ভরা হাহাকারের মাঝে কখনও সুখ আসতে পারে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

নিভৃতা বলেছেন: ভাইরে নাজমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে ব্যাপারটা।
আমার গল্পের নায়িকা কোন দীপাবলি বা জয়ীতা না। সে সহজ সরল অতি সাধারণ বাঙালি বউ, যে স্বামী শাশুড়িকে খুশি করতে বারবার গর্ভধারণ করে ছেলে সন্তানেের প্রত্যাশায়। এরা আগেের রাতে সন্তান হারিয়ে বুকভরা আহাজারি করে এবং পরের দিন সেই হাহাকার বুকে চাপা দিয়ে আবার সংসারে মন দেয়। নাজমাও ঐ মুহুর্তে সন্তান হারানোর ব্যথা সয়ে জীবনে এগিয়ে গেছে। ঐ মুহুর্তে ওকে যা সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে তা স্বামীর অমানুষ রূপ এবং যাকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা ওর নেই। কারণ এদেশের শত শত মেয়ে এমনই। তারা স্বামীর সাত খুন মাফ করে অবলীলায় আবার ঘর করে, ঐ স্বামীকেই ভালোবাসে এবং ঐ স্বামীর জন্য দুনিয়ার সাথে লড়ে যায়। তাই স্বামীর ঐ অমানুষ রূপের সাথে পরিচিত হয়ে তৎক্ষণাৎ প্রতিশোধের একটা অসহায় অনুভূতি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে বংশবাতিকে নিজের হাতে খুন করে লোকটা যে অন্তর্জ্বালায় দগ্ধ হচ্ছে সেটা মনে একটু শান্তি অনুভূত হয়েছে অন্তরে।

যাই হোক, এই গল্পটার আরেকটা পর্ব আছে।

২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়তে পোষ্টে আবার এলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

নিভৃতা বলেছেন: পড়ুন পড়ুন :)

২৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটা আর দশটা গল্পের মতোই গতানুগতিক ছিল। তবে শেষে এসে একটা ধাক্কা খেলাম।

এমন স্বামীকে কী নাজমা মন থেকে মেনে নিতে পারবে? হয়তো বাধ্য হয়ে সংসার করবে, কিন্তু ভালোবাসার উল্টো পিঠে যে ঘৃণা থাকে, তা কী জেগে ওঠবে না?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

নিভৃতা বলেছেন: হয়তো জেগে ওঠবে। তারপর একদিন সেই ঘৃণা ভুলে আবার ভালোবাসতে শুরু করবে।

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন

২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আজও বাংলার বুকে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে বারবার।

গল্পে যে বাস্তবতা উঠে আসলো তা এক কথায় অনবদ্য।
++++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

নিভৃতা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

২৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২

মুক্তা নীল বলেছেন:
খুব সুন্দর একটি গল্পের দেখা পেলাম । উচ্চ-মধ্য ও নিম্ন শ্রেণীর
সবক্ষেত্রেই কিছু মানুষের মধ্যে মনে এই ধরনের একটা আশঙ্কা রয়েই যায়।
কারোটা প্রকাশ পায় আর কারোটা পায় না ।
তবে আপনি সত্যটা তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর ভাবে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

নিভৃতা বলেছেন: কারোটা প্রকাশ পায় কারোটা প্রকাশ পায় না। একদম ঠিক বলেছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বেশিরভাগ সময়ই অপ্রকাশিত থেকে যায়।
মন্তব্যে অনেক অনেক ভালো লাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.