নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিভৃতা। ভালোবাসি পড়তে। একটু আধটু লেখালেখির অপচেষ্টা চলে মাঝেমাঝে।

নিভৃতা

সামুতে আট বছর আগে কোনভাবে যুক্ত হলেও আমার ব্লগিং জীবন আসলে শুরু জানুয়ারি, ২০২০ থেকে।

নিভৃতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরিলিপি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৪



নাগরিলিপি
-----------
আমরা জানি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট নানা কারণে প্রসিদ্ধ। জৈন্তিয়া পাহাড়ের মোহনীয় রূপ, জাফলং এর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের পাথরের সারি, বিছনাকান্দির মনোমুগ্ধকর জলরাশি, মাধবকুণ্ডের চোখ জুড়ানো বিশাল জলপ্রপাত, চায়ের রাজধানী মনমোহিনী শ্রীমঙ্গলের সারি সারি চা বাগানের সবুজ গালিচা, আরো কত কী!

কিন্তু একটা ব্যাপার আমাদের অনেকেরই জানা নেই, আর তা হলো সিলেটের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা। সিলেটি ভাষা নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ ও রসিকতা বিদ্যমান আমাদের দেশে। অথচ বহুভাষাবিদ ড. সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে "সিলেটী একটি ভাষা এবং বহু দিক দিয়ে এ ভাষা অনন্য বৈশিষ্ট্যের দাবিদার।"
 
আমাদের দেশে অঞ্চলভিত্তিক ভাষা থাকলেও নিজস্ব লিখন পদ্ধতি নেই। সিলেটের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা এবং নিজস্ব লিখন পদ্ধতি যা নাগরিলিপি নামে পরিচিত। নাগরিলিপিতে ৩২টি বর্ণ আছে। এর মধ্যে স্বরবর্ণ আছে ৫টি (আ ই উ এ ও)। এই ভাষার ইতিহাসও অনেক প্রাচীন।

আগেরদিনে দাদি নানিরা বিকেল হলেই নাগরিলিপিতে লেখা বই নিয়ে বসতেন পড়ার জন্য। তারা সেটাকে বলতেন পুঁথি পাঠ। পুঁথিতে কাব্য আকারে নাগরিলিপিতে সিলেটি ভাষায় লিখা থাকতো বিভিন্ন কাহিনী। তারা দল বেঁধে সুর করে সেটা পড়তেন।

ধারণা করা হয়, বাংলা ভাষার সব চেয়ে প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় লিখা হয়েছিল। প্রাচীন নিদর্শন এই নাগরিলিপি এখন বিলুপ্তির পথে।
ছবি: সংগৃহীত

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি সিলেট সবচেয়ে বেশি গিয়েছি।

সিলেটের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিজস্ব স্বকীয়তার এক বড় উদাহরণ 'নাগরী' ভাষা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫

নিভৃতা বলেছেন: আপনি নাগরি পুঁথি শুনেছেন?

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিভৃতা,




ভালো লেখা। নাগরিলিপির কথা শুনেছিলুম এবার জানলুম আপনার লেখায়।
তাই নাগরিলিপি সম্পর্কে নেট ঘেটে শুধু নীচেরটুকু তুলে দিলুম পাঠকদের জ্ঞাতার্থে -

নাগরী লিপিতে পএআর ছন্দে লেখা সিলেটি ভাষার একটি কবিতার প্রথম ৮ চরণ এরকম:

“ ওহে মন বুইদধি জদি থাকে তর মাজে।
মিলিওনা তুমি কভু নাদান শমাজে।
নাদান জাহেল জারা মুরখ জগতের।
ভালো কাম নাহি ফলে ছহবতে তাদের।
জাহিল হইতে শদা তফাত রহিবে।
তার শাতে দুস্তি কইলে বিপদে ঠেকিবে।
দুস্ত নাদান থাকি দুশমন দানা।
শত গুনে ভালো হএ কি দিব তুলনা।”

আর এটা হলো ১৯ শতকের মাঝামাঝিতে সিলেটের সাদেক আলী রচিত "হালতুন্নবী" নামক নাগরী বইয়ের প্রচ্ছদ -

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

নিভৃতা বলেছেন: ওহে মন, বুদ্ধি যদি থাকে তোর মাঝে,
মিশিবে তুমি কভু নির্বোধ সমাজে।
নির্বোধ, অবুঝ যারা মুর্খ জগতের,
ভালো কাজ নাহি হয় তাদের সংসর্গে।
নির্বোধ হতে সদা দূরে রহিবে।
তার সাথে দোস্তি করিলে বিপদে পড়িবে।
বোকা বন্ধু হতে বুদ্ধিমান শত্রু
শতগুণে ভালো কী দেবো তুলনা।"

আপনার কোন তুলনা নাই। আমার লেখা পড়ে আপনি নাগরিলিপি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন, অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩০

নিভৃতা বলেছেন: দুঃখিত "মিশিবে না" হবে

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০১

শের শায়রী বলেছেন: দারুন লাগল নাগরলিপি নিয়ে আপনার লেখা। চর্যাপদ নিয়ে আমার একটা লেখা আছে দেখতে পারেন, হয়ত আপনার ভালো লাগবে যে হেতু এই ব্যাপারে আপনার ইন্টারেষ্ট আছে আমি সহস্রবুদ্বি, চর্যাপদের কাহ্নপার কথা বলি ( এক হাজার বছরের পুরনো একটুকরো ইতিহাস)

পোষ্টে ভালো লাগা।।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৭

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। এত ভালো একটা পোস্ট পড়ার সুযোগ করে দিলেন বলে। অনেক কিছু জানা হলো। চর্যাপদ সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত জানার ইচ্ছা আছে। এই নিয়ে একটা পোস্ট দিবেন আশা করি। শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.