নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিভৃতা। ভালোবাসি পড়তে। একটু আধটু লেখালেখির অপচেষ্টা চলে মাঝেমাঝে।

নিভৃতা

সামুতে আট বছর আগে কোনভাবে যুক্ত হলেও আমার ব্লগিং জীবন আসলে শুরু জানুয়ারি, ২০২০ থেকে।

নিভৃতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প - তবু সাধ জাগে

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০



ছবি: ইন্টারনেট

আইসক্রিমওয়ালার ঘন্টিটা শুনে চুপি চুপি ঘর থেকে বেরিয়ে এলো সে। ঘণ্টির শব্দ অনুসরণ করে এগোতে এগোতে হাঁফ ধরে এলো। কয়েকটা হোঁচটও খেলো। পায়ের আঙুলগুলো জ্বালা করছে খুব। নাহ, লোকটাকে ধরা গেলো না কিছুতেই। সূর্যটা ঠিক মাথার উপরে এখন। প্রচণ্ড গরমে মাথাটা কেমন চক্কর দিয়ে উঠলো। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো সে। অদূরে একটি ছেলে চেটেপুটে একটা সবুজ আইসক্রিম খেতে খেতে আসছে। দেখে লোভটা মাথা চাড়া দিলো। আহ! কতদিন আইসক্রিম খাওয়া হয় না। নিজের অজান্তেই ছেলেটির সাথে সাথে ঠোঁটটা চাটতে লাগলো সে। চাটতে চাটতে কাল্পনিক আইসক্রিম খেতে লাগলো। তৃষ্ণাটা যেন কিছুটা হলেও মিটলো। নাহ আর বেশি দূর যাওয়াটা ঠিক হবে না। পথ হারিয়ে যাওয়ার ভয় আছে। এই ভেবে পেছন ফিরলো। কিন্তু একি এ কোন রাস্তায় এসে পড়েছে সে! এদিক ওদিক দিশেহারার মত তাকাতেই কেউ তার একটা হাত শক্ত করে ধরলো। ব্যথায় কোঁকিয়ে উঠলো সে।

জয়নাল প্রায় টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকলো তাকে। আবারো যেতে যেতে হোঁচট খেতে লাগলো সে। এবার আগের চেয়ে আরো জোরে। বুড়ো আঙুলের নখটা বোধ হয় উপড়েই গেলো। প্রচণ্ড যন্ত্রনা হচ্ছে। হাতটাতেও ব্যথা লাগছে খুব। জয়নাল লোহার মত শক্ত হাত দিয়ে আঁট করে ধরেছে কনুইর ঠিক উপরে। মনে হচ্ছে হাতটা যেন নিস্তেজ হয়ে খসে পড়ে যাবে এখনই। হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে ঘরে ঢুকালো জয়নাল তাকে। ভয়ে আর যন্ত্রণায় বেগ সামলাতে না পেরে পরোনের কাপড়টা ভিজে গেলো। সে আরো কুঁকড়ে গেলো।

জয়নালের বউ লাইলি মুখটাকে বেঁকিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে বললো, "মরণ! ওই তুই মরস না ক্যান? তুই মরলে তো আমরা বাঁচি। রোজ তুই একটা না একটা কাণ্ড ঘটাস"। বলে নিচের দিকে তাকাতেই রজব আলির ভেজা লুঙ্গিটা নজরে এলো। "হায় হায়! আবার লুঙ্গিটা ভিজাই ফেলসে। আইজ তোর খাওন নাই বুইড়া" বলে চিৎকার করে উঠলো লাইলি। এরপর জোরে জোরে কয়েকটা চিমটি দিলো রজব আলির হাতে। আবাও ব্যথায় কোঁকিয়ে উঠলেন বৃদ্ধ। অপরাধির মত মাথাটা নিচু করে রাখলেন।

সত্যিই বড় জ্বালান তিনি এদের। আজকাল প্রস্রাবের বেগ সামলাতে পারেন না। যখন তখন কাপড়টা ভিজে যায়। তার উপর কী যে সব ছেলেমানুষী ইচ্ছে ভর করে মনে। আইসক্রীম, হাওয়াই মিঠাই, শনপাপড়ি খাওয়ার লোভ জাগে খুব। লোভগুলোকে আর সামলাতে পারেন না। নিজের অজান্তেই ছুটে চলে যান বাইরে। বাইরে গেলে পথঘাট সব গুলিয়ে যায় এখন। চোখেও ঝাপসা দেখেন।

ছেলে আর ছেলে বউ বকে চলেছে অবিরত। রজব আলী টু শব্দটি করছেন না। এই ছোট ছেলে আর ছেলের বউই যাহোক একটু দেখে তাকে। এরাই তার ভরসা। বাকি নয় ছেলেমেয়ে তো খোঁজও করে না বাপের।

আট বছরের নাতিটা দৌড়ে এসে পরম মমতায় দাদার হাতটা ধরে বলে "দাদাজান আসো আমি তুমারে ঘরে লইয়া যাই।" একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে রজব আলীর বুক থেকে। বড় মায়া হয়। আরো কটা দিন বেঁচে থাকতে বড় সাধ হয়।

 ©নিভৃতা
রচনাকাল: ২১-১২-২০১৭

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মানুষই মরতে চায় না। খেয়ে না খেয়ে হলেও বেঁচে থাকতে চায়।
জয়নালের বউ লাইলী দেখতে কেমন??

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০

নিভৃতা বলেছেন: হুম, সবাই বাঁচতে চায়। মরিতে চাহি না আমি এ সুন্দর ভুবনে।

লাইলী দেখতে কেমন তা জেনে আপনি কী করবেন? :D

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: কষ্টের জীবন নিয়ে লেখা গল্প পড়ে ভালো লাগলো ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫০

নিভৃতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সুন্দর কাহিনী। টুইস্টটা লাস্টের প্যারায়, অল্প কয়েকটা লাইনে দিলে গল্পটা আরো জমাটি হইতো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫১

নিভৃতা বলেছেন: মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোটামুটি

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫২

নিভৃতা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আপনার মোটামুটিটাই অনেক।
শুভ কামনা রইল।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বস্তুনিষ্ঠ ভাবনা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৩

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২২

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো আপু।
শুভকামনা।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৩

নিভৃতা বলেছেন: অনেক অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য। ভালো থেকো।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুম, সবাই বাঁচতে চায়। মরিতে চাহি না আমি এ সুন্দর ভুবনে।
লাইলী দেখতে কেমন তা জেনে আপনি কী করবেন?

আমি বেশি দিন বাঁচতে চাই না। কয়েকটা স্বাদ আহলাদ আছে, সেগুলো পূরন হলেই মরে যাবো।
কৌতূহল থেকেই জানতে চেয়েছি লাইলী দেখতে কেমন। অন্য কিছু না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১১

নিভৃতা বলেছেন: পরির ছেলে মেয়ে দেখে যেতে চান না? তবে আমি কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় মরতে চাই। বেশি হলে পঁয়ষট্টি। তবে আমি নিশ্চিত, যদি পঁয়ষট্টি বছর বেঁচে থাকি, তখন আমি আরো বেশিদিন বাঁচতে চাইবো। আপনিও চাইবেন। অনেক কথাই মুখে বলা সহজ। কিন্তু বাস্তবে কঠিন।

লাইলিকে তো আমিও দেখিনি। তবে লাইলির মত মানুষ দেখেছি এবং ঐ বৃদ্ধের মত বৃদ্ধা যে ছেলে বউয়ের চিমটি খেতো। বউটা দেখতে সুন্দরই।

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১২

এমজেডএফ বলেছেন: সময়ের অভাবে আপনার লেখা আগে কখনো মনে হয় ভালো করে পড়ি নাই, আন্তরিকভাবে দুঃখিত! আপনার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে এক নজর দেখলাম, আপনি মূলত গল্পই লেখেন। প্রথম নজরেই বুঝতে পেরেছি ভালো লেখেন। আপনার লেখা গল্পগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: বড় গল্প, ছোট গল্প এবং অণু গল্প।

আপনি 'আক্রোশ' কে 'গল্প' হিসাবে অভিহিত করেছেন। গল্পের আকার-আয়তন হিসাবে এটিকে 'বড় গল্প' বলতে পারেন। 'কেউ বলে ফাল্গুন, কেউ বলে পলাশের মাস' ও 'তবু সাধ জাগে' ঠিক গল্পের পর্যায়ে পড়ে না! বড় জোর 'অণু গল্প' বলা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে ব্লগে আপনার বয়স প্রায় ৮ বছর, অথচ প্রথম পোস্টটি করলেন মাস খানেক আগে ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০! :-*। এতদিন কোথায় ছিলেন :)? যাই-হোক এখন নিয়মিত লিখছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

এখন আপনার 'গল্প - তবু সাধ জাগে' নিয়ে দুটি কথা। ইদানিং অনেকে ছোট্ট একটি ঘটনাকে বা বড় কোনো ঘটনাকে খুবই সংক্ষিপ্ত করে লিখে 'অণু গল্প' হিসাবে আখ্যায়িত করে। আমার মনে হয় এটি লেখক ও পাঠকের ওপরে ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সৃষ্টি হয়েছে! যাই-হোক এ ব্যাপারে আমার তেমন একটা ধারণা নেই, তাছাড়া এ ধরনের অণু গল্প আমি খুব একটা পছন্দও করিনা। ব্লগের পাঠকরা কিন্তু ফেসবুকের পাঠক থেকে আলাদা। এখানে সবাই মোটামুটি সময় ও সিরিয়াসভাবে পড়ার মন-মানসিকতা নিয়েই আসে।

'তবু সাধ জাগে' গল্প/ঘটনাটিকে একটু পিছন থেকে শুরু করলেই কিন্তু একটা 'ছোট গল্প' হয়ে যেতো। দশ সন্তানকে নিয়ে রজব আলী দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে কিভাবে সংসার করেছিলেন সেখান থেকে শুরু করতে পারতেন। শুরুটা দিতে পারতেন এভাবে - রজব আলীর ছোট ছেলেটি শিশুকালে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য বায়না করায় রজব আলী ছেলেকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে টেনেহেঁচড়ে খুঁড়েঘরে নিয়ে আসছে। এরপর একগাদা সন্তান-সন্ততি নিয়ে রজব আলীর জীবন-যুদ্ধের কিছু ঘটনা, তারপর সন্তনেরা বাবাকে ফেলে চলে যাওয়ার ঘটনা এবং পরিশেষে এখন যা লিখেছেন তা।

লেখক/লেখিকা হিসাবে আপনি কীভাবে কী লিখবেন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনার। আমি একজন সাধারণ পাঠক হিসাবে আমার মতামতটুকু জানিয়ে গেলাম। অনেক অনেক প্রীতি ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২

নিভৃতা বলেছেন: প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এত মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি লক্ষ্য করার জন্য। দ্বিতীয়ত যার পর নাই কৃতজ্ঞ এত সুন্দর করে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। এভাবে লিখতে পারলে আসলেই গল্পটা অসাধারণ হত।

আসলে হঠাৎই লেখালেখির আগ্রহটা জেগেছে। লেখালেখির বয়স বেশি না। দুই আড়াই বছর হবে। এর মধ্যে গত এক বছর আমি লিখছি না। কারণ আমার মনে হচ্ছিল আমি যা লিখতে চাচ্ছি তা ঠিক ভাবে লিখতে পারছি না। তাছাড়া লেখালেখিতে যতটা সময় ও মনোযোগ দরকার সেটারও অভাব বোধ করছিলাম এবং এখনও করছি।

আট বছর আগে আমি এই ব্লগে কোনভাবে যুক্ত হয়েছিলাম। তারপর আর এখানে আসা হয়নি কারণ ব্লগিিং সম্পর্কে তখন আমার অভিজ্ঞতা ছিল না। আমি ভুলেও গিয়েছিলাম যে আমি এই ব্লগে যুক্ত আছি। তারপর হঠাৎ করেই সেদিন আবার এই ব্লগে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে জাগলো। যুক্ত হতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম আমি আগে থেকেই ব্লগটিতে যুক্ত আছি। এবং সেই শুরু ব্লগটির প্রতি আমার ভালো লাগার।

তারপর ভাবলাম পুরোনো লেখাগুলি পোস্ট করি। অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষ আছেন এই ব্লগে। তারা আমার ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিবেন। তাদের পরামর্শ ও সাহচর্যে আমার মত একজন অতি নগন্য লেখিয়েও হয়তো একদিন ভালো লেখক হয়ে উঠতে পারে।

মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ কামনা রইল।

৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার গল্পে ডমেস্কটিক ভায়লেন্স বেশি :( অথবা তা গল্পের উপাদান।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫২

নিভৃতা বলেছেন: আমি বাস্তব তুলে ধরতে চাই গল্পের আড়ালে। কিন্তু পারি না। :(

শুভ কামনা অফুরান আপনার জন্য। ভালো থাকবেন। :)

১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পারবেন, গল্প লেখার পর বুক ভরে শ্বাস টেনে পাঠক হয়ে পড়বেন, দেখবেন অনেক সমস্যা সমাধন হবে।

আপনার মঙ্গল হোক।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৮

নিভৃতা বলেছেন: আপনারও মঙ্গল হোক। সব আশা পূর্ণ হোক।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
হুচট না হোঁচট হব। গল্প ভালো হয়েছে। লেখা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বাস্তবতা নিয়ে লেখা। আপনি কী জানেন প্রতিটা মানুষের রিজিক সুনির্দিষ্ট। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটা খাওয়া হয়েছে তার আগে মৃত্যু হবে না। সনদ সহ সহী হাদীস এটা।

অফ টপিকঃ এই ছবিটা কী মীন করে দিয়েছেন? আমি জানতে চাই। খুব সুন্দর একটা গল্প লিখলেন, চরিত্র নির্মাণও খুবই চমৎকার হলো। এখন কি ধরনের ছবি পছন্দ করবেন? এসব ব্যাপারে আমি সাধারনত বিমূর্ত টাইপের ছবি দিতে ভালবাসি। আপনার ছবি অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড থীমেরও অনেক কিছু স্পষ্ট করে তুলতে পারে। ফুটিয়ে তুলতে পারে সেই লেখার উদ্দেশ্য কিংবা হিডেন মেসেজ। ছবি দেয়া নিয়ে আপনি কাজ করুন। এই অংশ নিয়ে আপনি মনোযোগী নন। অথচ ব্লগে লেখার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

নিভৃতা বলেছেন: হ্যাঁ হোঁচট হবে। এডিটেড। অসংখ্য ধন্যবাদ বানানটা ঠিক করে দেয়ার জন্য।

জ্বী, প্রতিটা মানুষের রিজিক সুনির্দিষ্ট। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটা খাওয়া হয়েছে তার আগে মৃত্যু হবে না।

ছবি নিয়ে সত্যি আমি সমস্যায় আছি। আধা ঘন্টা ব্যয় করেছি ছবির জন্য। কিন্তু মনের মত ছবি খুঁজেই পেলাম না। :(

অহরিত ভাইয়ের নীতু এবং একজন যাযাবর পড়লাম। ভীষণ ভালো লাগলো। কষ্ট কষ্ট সুখের মত একটা অনুভূতি। একটা চিনচিন ব্যথা। এইটাই যেকোন স্বার্থক গল্পকারের স্বার্থকতা। গল্পটা শেষ করার পরও অনেকক্ষণ রেশটা থেকে যায় মনে। একটা জিনিস শুধু ভালো লাগেনি। মনে হয়েছে গল্পটা আরেকটু ছোট হলে ভালো হত। আর বেশি আকর্ষণ করতো।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই নিখুঁত প্রকৃতি- নক্ষত্র- গ্রহ আর মানুষ যে তৈরি করলো তাকে দেখতে ইচ্ছা করে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

নিভৃতা বলেছেন: মন থেকে নামাজ পড়া শুরু করেন। দেখতে পাবেন।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন হয়েছে আপি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

নিভৃতা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আপুমনি। ভালো থেকো।

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
লেখতে লেখতে ই লেখক। শুরু যখন করেছেন তাহলে ভালভাবেই লেগে থাকেন।

আসলে আমারও সময় খুব কম। যত আইডিয়া আসে ততটা লেখা হয়না। ব্যস্ততা। তবুও ভাললাগটাকে মুল্য দিতে হেব।

+++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নিভৃতা বলেছেন: জ্বী চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়।

মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা। শুভ কামনা রইল।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কিছুটা নিষ্ঠুরতা, তারপরও মায়াময় সংসারটা-ই বড় হয়ে উঠে।

সুন্দর, মায়াময় গল্প ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ছবি নিয়ে সমস্যা থাকলে এটা পড়ে আসুন, কিছুটা ধারনা পাবেন-
ব্লগে পোস্ট দেয়া বিভিন্ন লেখায় ছবি দেয়ার ব্যাপারে কিছু কথা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

নিভৃতা বলেছেন: অনেক বেশি সমস্যা। পড়বো।

আপনার কৃতজ্ঞতার পাল্লাটা দিন দিন ভারী হয়ে যাচ্ছে। :)

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বেঁচে থাকতে সবারই বড্ড সাধ জাগে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০

নিভৃতা বলেছেন: জ্বী বেঁচে থাকতে সবারই খুব সাধ জাগে।
শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫০

এম এ হানিফ বলেছেন: কেন মরতে চাই না আমরা? বেঁচে থাকার নিদারুন আকুতি কেন আমাদের? তাহলে কি সবার কাছে পৃথিবীটা সুখের? দুঃখ যন্ত্রণায় জর্জরিত মানুষের ও কি মনে হয় বেঁচে থাকা অথবা বেঁচে থাকতে পারাটাই আসল কথা?
দিনশেষে মরে যাই সবাই, আর বেঁচে থাকে তারাই যাদের কাছে বেঁচে থাকা বা বাঁচতে পারাটাই একমাত্র সত্য ছিল না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

নিভৃতা বলেছেন: দিনশেষে মরে যাই সবাই, আর বেঁচে থাকে তারাই যাদের কাছে বেঁচে থাকা বা বাঁচতে পারাটাই একমাত্র সত্য ছিল না।

কী অসাধারণ একটা কথা বললেন। জীবনটাকে অর্থবহ করে তোলাটাই আসল। কিন্তু আমরা সেটা বুঝি না কিংবা বুঝলেও চেষ্টা করি না, কিংবা চেষ্টা করি কিন্তু সফল হতে পারি না। খুবই অল্প কিছু মানুষ বেঁচে থাকাটাকে অর্থবহ করে তুলতে পারেন।

মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১২

এন্টারটেইনমেন্টএন্ডঅল বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। শুভ কামনা থাকল।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

নিভৃতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের অতি সূক্ষদর্শনের চিত্রকল্প ।

অর্থহীন যাপিত জীবনের শেষকৃত্য বা ভাগ্যের পরিহাস কতটা কষ্টকর হতে পারে...
গল্পের মুন্সীয়ানা প্রশংসাযোগ্য

+++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

নিভৃতা বলেছেন: মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই খুব।
অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

২১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন থেকে নামাজ পড়া শুরু করেন। দেখতে পাবেন।

বেহেশতে লোভে, হুরের লোভে নামাজ রোজা করতে ইচ্ছা করে না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২০

নিভৃতা বলেছেন: শান্তির জন্য পড়েন। আপনি কষ্টে আছেন।

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: সুন্দর গল্প।
জীবন এমনই।
গল্পে +++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২১

নিভৃতা বলেছেন: আসলেই। জীবন এমনই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.