নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে আট বছর আগে কোনভাবে যুক্ত হলেও আমার ব্লগিং জীবন আসলে শুরু জানুয়ারি, ২০২০ থেকে।
উপজেলা অফিস থেকে আসার পথে জনসভাটি দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো সে। প্রধান অতিথির ভাষণ চলছে। প্রধান অতিথি একাত্তরের স্মৃতিচারণে মগ্ন। আবেগাক্রান্ত কণ্ঠে বলে চলেছেন যুদ্ধ দিনের কষ্টের কাহিনী, অস্ত্র হাতে তার বীরত্বের সব কথা, কীভাবে শত বাঁধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ছিনিয়ে এনেছেন স্বাধীনতা। আবেগে তার চোখ ভিজে উঠলো। বক্তব্য শেষ করে চশমাটা খুলে তিনি চোখ মুছলেন। মুহুর্মুহু করতালিতে ভরে উঠলো চারিদিক।
তার চোখের কোণেও জল জমতে শুরু করলো। স্মৃতির পটে জেগে ওঠে এক টগবগে তরুণের ছবি। কলেজের সব চেয়ে তুখোড় ছাত্র নেতা শফিকের ছবি। সকলের প্রাণপ্রিয় শফিক ভাই। যেমন পড়াশোনায় ভাল ছিল তেমনি গান বাজনা নাটক রাজনীতি সবকিছুতেই ছিল তার দাপুটে পদচারণা। প্রেমও হয়ে গিয়েছিল কলেজের সবচেয়ে মিষ্টি মেয়েটির সাথে।
মেয়েটির নাম ছিল মিতালি। তার এক ক্লাস জুনিয়র ছিল মিতালি। ডাগর ডাগর চোখ, ঘন কালো চুল আর মিষ্টি চেহারার মিতালির প্রেমপ্রার্থীর অভাব ছিল না। তাদের মধ্যে একজন ছিল শফিকেরই সহপাঠী জামিল। জামিল অনেকদিন ধরেই লেগে ছিল মিতালির পেছনে। কিন্তু মিতালির মন জয় করতে পেরেছিল একমাত্র শফিকই। জামিল মনে মনে ভীষণ ক্ষুব্ধ হলেও শফিকের দাপটের কাছে হার মানে আর প্রতিহিংসার আগুণে জ্বলতে থাকে। তিন বছর চুটিয়ে প্রেম করে শফিক আর মিতালি। এক সময় তাদের বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে যায়। ছেলের রাজনীতি আর সমাজসেবার প্রতি এত আসক্তি দেখে একরকম জোর করেই বিয়েতে রাজী করান শফিকের বাবা।
শফিকের তখন বিয়েতে মন নেই। সময়টা তখন একাত্তর। দেশে তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে। কিন্তু বাবার জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত রাজী না হয়ে পারে না শফিক। বিয়ের তারিখ ঠিক হয় ৩০শে এপ্রিল, ১৯৭১। কিন্তু সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর দেশের ভেতর অস্থিরতা বাড়তে থাকে। সেই সাথে অস্থির হয়ে ওঠে শফিক। গোপণ সভা আর বৈঠক চলতে থাকে। এরপর আসে পঁচিশে মার্চের সেই কালো রাত। শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। শফিক তার দল বল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে।
এদিকে মিতালির সাথে শেষ দেখাটিও হয়ে ওঠে না। শুধু একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়ে আসে। চিঠিতে শুধু এটুকুই লিখা ছিল "জানি না ফিরে আসতে পারবো কি না। পারলে ক্ষমা করে দিও আমায়।" মিতালি সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছিল -"তোমার হাতে হাত ধরে স্বাধীনতার লাল সূর্য দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম। তুমি আমার গর্ব, আমার অহংকার।"
শুরু হয় শফিকের দুর্গম পথ চলা। গ্রামের ভেতর দিয়ে রেললাইন ধরে, আলের পর আল মাড়িয়ে, খাল-বিল-ডোবার নোংরা কাদায় পা ডুবিয়ে, কখনো সাঁতরিয়ে, এগোতে থাকে সামনে, মুক্তি পাগল এক সাহসী যুবক। এক এক করে কত যে হায়েনা খতম হলো তার হাতে। কত যে ব্রীজ উড়িয়ে দিলো ডিনামাইট দিয়ে। কত যে পাকি ক্যাম্প উড়িয়ে দিল গ্রেনেড আর গোলাবারুদের আঘাতে। কতবার মরতে মরতে বেঁচে গেলো শত্রুদের হাত থেকে। যুদ্ধের ভেতরই মাঝে মাঝে বাবা মা ভাই বোনের খবর পেতো। খবর পেতো মিতালিরও। খবর পেতো আরো অনেক কিছুর।
সেভাবেই জামিলের রাজাকার হওয়ার খবরও পেয়েছিল শফিক। আরো খবর পেয়েছিল জামিল আর মিতালির বিয়ের। বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল সেদিন। বড় কষ্টে নিজেকে সামলেছিল ও। এও জেনেছিল মিতালি স্বেচ্ছায় বিয়েটা করেনি। তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। তাই মিতালির উপর তার কোন ক্ষোভ নেই। এমনিতেও শফিকের নিজের জীবনের কোন ভরসা ছিল না তখন। প্রতিটি মুহুর্ত মরণের সাথে যুদ্ধ করে কাটছিল তার।
শুধু কষ্ট হত খুব এই ভেবে যে মিতালির মত একটি ভাল মেয়ের কপালে জুটলো একটা রাজাকার স্বামী। বুকের ভেতরটা জ্বালা করতো খুব। এই জ্বালা বুকে নিয়েই আরো আক্রোশ আরো ক্ষোভ নিয়ে যুদ্ধ করে যেতো সে অবিরত। এভাবেই কেটে গেলো নয়টি মাস। মরণপণ যুদ্ধ শেষে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ফিরে এলো শফিক। কিন্তু আফসোস স্বাধীনতার সেই লাল সূর্য মিতালির হাতে হাত রেখে দেখা হলো না তার।
ফিরে আসে শফিক। অস্ত্র জমা দেয়। কিন্তু থেমে থাকে না। মিতালিকে হারানোর ক্ষত বুকে নিয়েই সে তার কাজ করে যেতে থাকে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। যুদ্ধ করেই তো দায়িত্ব শেষ হয় না। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে এবার। দেশটাকে আবার নতুন করে গড়তে হবে। নয়তো এই যুদ্ধের কোন দাম থাকবে না। তাই কোমর বেঁধে লেগে যায় দেশের সেবায়, মানুষের সেবায়। সবার বিপদে-আপদে, সব রকমের সমস্যায় সবার আগে শফিক ভাই। এই ভাবেই তিন চার বছর কেটে যায়।
দেশে তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা। ঠিক তখনই শফিকের বাবা শফিকের বিয়ে দিয়ে দিলেন। নতুন বউ, ছোট্ট সংসার, ছোট্ট ব্যবসা, রাজনীতি আর সমাজ সেবা সবই চলছিল সমান তালে। কিন্তু শফিক জানতো না সামনে তার ঘোর অমানিশা। বিয়ের মাত্র ছ'মাস তখন। বউ অন্তঃসত্তা। শফিকের মনে তখন খুশির জোয়ার। অনাগত সন্তানকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে সে, কত যে ছবি আঁকে। এদিকে দেশে বুঝি গৃহযুদ্ধ শুরু হলো। দেশীয় কিছু হায়েনা সপরিবারে হত্যা করলো প্রাণপ্রিয় নেতাকে।
চারিদিকে ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল। এমন সময় মিথ্যে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হলো শফিক। সে নাকি যুদ্ধের পর অস্ত্র জমা দেয়নি। শুধু শফিক না, শফিকের মত আরো অনেক নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হলো। ছয় মাস জেলের ভেতর চললো আমানুষিক নির্যাতন।
হাত পা বেঁধে উপুর করে শুইয়ে রাখা হত। তারপর মোটা রড দিয়ে পায়ের গুড়ালি থেকে শুরু করে সারা শরীরে ক্রমাগত পেটানো হত। ততক্ষণ পর্যন্ত পেটানো চলতো যতক্ষণ না পা ফেঁটে রক্ত বের হত। হাতের আঙুলগুলো দুইটি লোহার দণ্ডের মাঝখানে রেখে সজোরে চাপ দেয়া হত। শফিকদের আহাজারিতে জেলখানার বাতাস ভারী হয়ে উঠতো, তবু ঐ নরপিশাচদের দয়া হত না। বলা হলো অপরাধ স্বীকার করলে শাস্তি কমানো হবে। কিন্তু শফিক কিছুতেই স্বীকার করে না। যে অপরাধ সে করেনি সেটা কেন সে স্বীকার করবে? অত্যাচার আরো বেড়ে গেলো। যুদ্ধের পর এ যেন আরেক যুদ্ধ। আরো ভয়াবহ। আরো কষ্টের।
সবাইকে ভয় দেখানো হলো যেন শফিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। শফিক সবার প্রাণ। সবাই ভালবাসে শফিককে। কী করে তারা শফিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে! কিন্তু ভয়ে কেউ তার পক্ষেও সাক্ষ্য দিতে এলো না। অবশেষে সাহস করে কয়েকজন বয়স্ক মানুষ এলেন এবং শফিকের পক্ষে সাক্ষ্য দিলেন। মুক্তি পেলো শফিক। ফিরে এলো ঘরে। কিন্তু জেলের ভেতরের সেই অমানুষিক অত্যাচার কেড়ে নিলো তার এক পা।
সময় ধীরে ধীরে বদলে গেলো। সবার প্রিয় শফিক ভাই হারিয়ে যেতে লাগলো কালের গহ্বরে। বীরের মত যুদ্ধ করে যে শফিক ছিনিয়ে এনেছিল বিজয়, দেশের খাতিরে দিয়েছিল নিজের ভালবাসার বলিদান, সপে দিয়েছিলো নিজেকে পঙ্গুত্বের হাতে, সেই বীর নেতা জীবন যুদ্ধে হারতে লাগলো। দারিদ্রের ছোবলে ক্ষতবিক্ষত হতে লাগলো। একদিন সবাই ভুলে গেলো সেই টগবগে দাপুটে নেতাকে। আজ সামান্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতার জন্য দৌড়াতে হয় তাকে অফিসে অফিসে। জুতোর তলা খসে যায় তবু ভাতা মিলে না। কারণ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়ই যে নাম নেই আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকের।
জনসভার ভীড়ে ক্রাচে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে শফিক এসবই ভাবে আর হাসে। যে কিনা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে কেবল লড়েই গেলো সে কিনা আজ পথের ভিখারী। আর যে ছিল দেশের বিশ্বাসঘাতক দালাল, সেই রাজাকার জামিল আজ প্রধান অতিথি হয়ে ভাষণ দেয় সভায় সভায় আর মেকি আবেগে চোখের জল মুছতে মুছতে মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া স্মৃতিচারণ করে বেড়ায়। চকচক করে তার চেহারা। চকচক করে তার দামী ফ্রেমের চশমা আর দামি সিল্কের পাঞ্জাবি। চকচক করে তার বিলাস বহুল মার্সিডিস গাড়ি।
©নিভৃতা
০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
নিভৃতা বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন আপনি। এই গল্পের ঘটনা সত্য কিছু ঘটনা অবলম্বনেই লেখা। এমনটা এখনও ঘটে চলেছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখনও মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফেকেটও পাননি। কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
২| ০১ লা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চেতনায় ঢুকে গেছে ক্ষমতার বিষ নেশা!
তাইতো একাত্তরের চেতনায় ধুলায় লুটায়! লুটায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা!
পাকিদের মুরগী সরবরাহকারী যখন চেতনার তাজ মাথায় দেয়- তৃণমূলেতো আরো কঠিন অবস্থা!
জামিলরা হয় প্রধান অতিথি!!!
গল্পে ভাল লাগা
+++
০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
নিভৃতা বলেছেন: চেতনায় ঢুকে গেছে ক্ষমতার বিষ নেশা!
তাইতো একাত্তরের চেতনায় ধুলায় লুটায়! লুটায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা!
পাকিদের মুরগী সরবরাহকারী যখন চেতনার তাজ মাথায় দেয়- তৃণমূলেতো আরো কঠিন অবস্থা!
জামিলরা হয় প্রধান অতিথি!!!
খুব সুন্দর করে বললেন। আসলে সত্য মাঝে মাঝে খুব নিষ্ঠুর হয়। চোখের সামনে অন্যায় দেখি কিন্তু কিছুই করতে পারি না।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: গল্পের থীম খুব ভালো। লেখার ফ্লোও দারুন লেগেছে। তবে লেখাটা নিয়ে অনেক তড়াহুড়া করেছেন। জামিল আর শফিকের লাইনগুলি আলাদা আরও স্পষ্ ভাবে দিলে ভালো হতো, বিশেষ করে প্রথম দিকের অংশে। মিতালি'কে নিয়েও কয়েকটা লাইন দিতে পারতেন। আরও আবেগ ঘন হতো।
যাই হোক, গল্প ভালো লেগেছে।
০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
নিভৃতা বলেছেন: আসলেই তাড়াহুড়োয় লেখা। আমার সব গল্পই তাড়াহুড়োয় লেখা। বড় অধৈর্য্য মানুষ আমি। লেখকদের ধৈর্য্যশীল হতে হয়। কিন্তু আমার ধৈর্য্য নাই।
মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা উস্তাদজী। ভালো থাকবেন।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন কত মুক্তিযোদ্ধার খবর পাই। মনে বড় কষ্ট হয় আপি বড় কষ্ট
আমাদের নিয়মটাই এমন। যুদ্ধ না করেও অনেকেই কত সম্মান প্রতিপত্তি পেলো আর মুক্তিযোদ্ধারা পেলো অবহেলা
০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
নিভৃতা বলেছেন: এমনটাই হচ্ছে আপু। কত মুক্তিযোদ্ধা যে এখনও স্বীকৃতি পায়নি, কত মুক্তিযোদ্ধা যে অবহেলায় দিন কাটাচ্ছেন তার কোন হিসাব নাই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থেকো সব সময়।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১০
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনাম দিয়েছেন নিঠুর, নিষ্ঠুর কেন নয়?
রাজাকারদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। বেশ কয়েকটা ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। কয়েকটা কারাগারে আছে। আর কয়েকটা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
শফিক আর মিলাতি খুব আপন মনে হলো তাদের।
০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০২
নিভৃতা বলেছেন: নিঠুর কবিতার ভাষায় বলা।
হ্যাঁ অনেকেই শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু এখনও অনেকে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে পাপের শাস্তি একদিন পেতেই হয়। ওরাও পাবে ইনশাআল্লাহ।
৬| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
প্রেক্ষা বলেছেন: আসলেই নিয়তি বড়ো নিষ্ঠুর,শফিক সাহেবের জন্য অনেক কষ্ট লাগলো
০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
নিভৃতা বলেছেন: জ্বী, নিয়তি অনেক সময় খুব নিষ্ঠুর। আশা করি একদিন শফিকের মত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনি চমৎকার লেখেন। গল্পের বিষয় বস্তু দারুন ছিল।
আরো একটু সময় নিয়ে লিখুন। উপদেশ নয় , অনুরোধ।
সুন্দর একটা লেখা পরে ফেললাম। +++
০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনুপ্রাণিত হলাম খুব। জ্বী সময় নিয়ে লিখতে হবে এবার। দেখি একটু তাড়াহুড়োটা ছাড়তে পারি কিনা।
শুভ কামনা অফুরান। ভালো থাকবেন।
৮| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা বেশ প্রাঞ্জল। এটা গুরুত্বপূর্ন। তবে আমি মনে করি, আপনার আরো কিছুটা সময় নিয়ে লেখা উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এতে আপনার লেখাগুলো আরো বেশি গোছানো এবং সমৃদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নিভৃতা বলেছেন: এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের আশায়ই গল্পগুলো ব্লগে পোস্ট করছি। মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা ও কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।
৯| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুপাঠ্য,সুশোভন লেখা।
০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নিভৃতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।
১০| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নিভৃতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক। ভালো থেকো সব সময়। শুভ কামনা রইল।
১১| ০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
শের শায়রী বলেছেন: আপনার এই লেখাটা কেন যেন খুব ভালো লাগল। আই মীন ইট। শফিকদের মত বেচে থাকা আর এক গাল উপহাসের হাসি দেয়া এই তো শফিকদের নিয়তি।
০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
নিভৃতা বলেছেন: মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা ভাই। অনুপ্রেরণা পেলাম।
তবু আশা রাখি একদিন শফিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। আশাই যে আমাদের একমাত্র ভেলা।
আপনার পোস্ট এখনও পড়ে উঠতে পারিনি। আজ রাতে পড়ে ফেলবো ইনশাআল্লাহ।
শুভেচ্ছা অফুরান। ভালো থাকবেন।
১২| ০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
দুর্বলভাবে লেখা একটি পরিচিত প্লট
০১ লা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নিভৃতা বলেছেন: তবু চাঁদভাইয়ের মন্তব্য তো পাইলাম। ইহাই বহুত।
অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
১৩| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৮
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: গল্প সুন্দর, তবে ছোটগল্পের আবেদনটা খুঁজে পাইনি।
০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৮
নিভৃতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ছোট গল্পের আবেদনটা দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
মন্তব্যে ভালো লাগা। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।
১৪| ০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: দেশে কয়েক লাখ আসল মুক্তিযোদ্ধা রা সন্মানের সাথে ভাতা পেয়ে আসছেন কিন্তু তার মাঝে হয়ত ১০০-২০০ খোলস পাল্টিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে আছে.. তারা মাঝে মাঝে ধরা পরছে....বলছেন যে সত্যি ঘটনা ...তবে সরাসরি অভিযোগ করুন দেখুন কোন প্রতিক্রিয়া হয় কিনা...।
আপনাদের আসল উদ্দেশ্য হল কিভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়..। উপরে প্রথম কয়জন যে ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে মন্তব্য করেছেন তাতে এই চেনা মুখগুলির পোস্ট আর মন্তব্য দেখলেই বুঝা যায় উনারা কিভাবে শুধু অলোময় মুক্তিযুদ্ধ এর মাঝে অন্ধকার কে খুজে বেড়ানো।
গল্পের ছলে আর কত মুক্তিযুদ্ধটা কে ছোট করবেন???? এতে কি লাভ পান।
০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫০
নিভৃতা বলেছেন: ভাই আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার জন্য এই গল্প লিখিনি। গল্পের আড়ালেও গল্প থাকে। চরিত্রের আড়ালে চরিত্র থাকে। কথার আড়ালে কথা থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীীয় দুর্নীতিবাজ দেশগুলোর একটি। ছোট্ট এই বাংলাদেশ। কল্পনা করতে পারেন?
কাদের কারণে বাংলাদেশ দুর্নীতির শীর্ষে গেলো বলুন তো? জামিলের মত এই গুটি কয়েক বিশ্বাসঘাতক দুর্নীতিবাজ মানুষের কারণেই। সবার কারণে না। এই গুটি কয়েকের বিরুদ্ধে আমরা যদি আওয়াজ না ওঠাই তবে আমাদের মহান এই মুক্তিযুদ্ধ সত্যি সত্যিই ছোট হয়ে যাবে। এত কষ্টের স্বাধীনতার লাল সূর্য এই গুটি কয়েক রাহুুর গ্রাসে হারিয়ে যাবে। চাইলেও আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। খারাপরা গুটি কয়েকই হয়। সন্ত্রাসীরা গুটি কয়েকই হয়। ধর্ষকরা গুটি কয়েকই হয়। রাজাকাররা গুটি কয়েকই হয়। আর এই গুটি কয়েকের বিরুদ্ধে আওয়াজ না উঠালে গুটি কয়েক বাড়তে বাড়তে অগুনতি হয়ে যাবে। সেই অগুনতির পথেই আমরা আজ হাঁটছি।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।
১৫| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
গল্পের প্লট খুবই ভালো লাগলো । শুনেছি অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটস মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে
কিনে নিয়েছে। আমার পরিচিত একজনের গল্প শুনেছিলাম ,
উনি নাকি এমন সার্টিফিকেট কেনার পর অনেক তথ্য ও সঠিক প্রমান দিতে পারেননি , ঠিক তখনই তিনি স্ট্রোক করে মারা
যান। ভাগ্য ভালো না হলে উনার জেল-জরিমানা হতো ।
০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
নিভৃতা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জ্বী আপনি ঠিকই শুনেছেন। আমিও এই ধরণের ঘটনা অনেক শুনেছি। আর কোন কোন আসল মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফেকেটই পান না।
মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা। ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা রইল।
১৬| ০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিঠুর কবিতার ভাষায় বলা।
হ্যাঁ অনেকেই শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু এখনও অনেকে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে পাপের শাস্তি একদিন পেতেই হয়। ওরাও পাবে ইনশাআল্লাহ।
বেশির ভাগ লোকই পাপের শাস্তি পায় না এই সমাজে। তখন আমরা বলি- আল্লাহ বিচার করবেন।
০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
নিভৃতা বলেছেন: বেশির ভাগ লোকই পায়। একভাবে না একভাবে পায়। দেরিতে হলেও পায়। আমার অন্তত তাই মনে হয়।
১৭| ০২ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১১
করুণাধারা বলেছেন: প্লটটা খুব পরিচিত, কারণ বাস্তবে এমন ঘটতে দেখেছি।
আপনার রহস্য গল্পে যে গতি থাকে এই গল্পে তা ছিল না, তবু পরিবেশনা ভালো লেগেছে।
০২ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৭
নিভৃতা বলেছেন: সবগুলো গল্প নিয়ে আবার বসবো। একটু সুযোগের অপেক্ষায় আছি। আপাতত লেখালেখির ভূত মাথা থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি। পুরোনো লেখাগুলোই পোস্ট করছি। বড় ছেলের জে এস সি পরীক্ষা এবার। সময় দিতে হয় খুব। তাই লেখালেখিকে ছুটিতে রেখেছি।
মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল প্রিয় লেখিকা।
আপনার গল্প আমার প্রিয় লিস্টে রেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
কামরুননাহার কলি বলেছেন: শফিক সাহেবের মতো এখনো অনেক মানুষ বেচে আছে যারা ভাতা, সম্মান, এসব তো দূরের কথা নিজের অধিকার খাটিয়ে কথা বলতেও সাহস পায় না। আর জামিল দের মতো রাজাকাররা এখন চলছে দাপটে হয়ে, বিলাসীতায় কাটাচ্ছে জীবন। আর জামিলদের মতো রাজাকাররা অন্যকে রাজাকার বলে বকছে।