নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিভৃতা। ভালোবাসি পড়তে। একটু আধটু লেখালেখির অপচেষ্টা চলে মাঝেমাঝে।

নিভৃতা

সামুতে আট বছর আগে কোনভাবে যুক্ত হলেও আমার ব্লগিং জীবন আসলে শুরু জানুয়ারি, ২০২০ থেকে।

নিভৃতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসনা ছুরি - ১০

০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৯




আগের পর্ব - Click This Link

---আমার বয়স যখন পাঁচ তখন বাবা ছোট্ট পুতুলের মত একটা মানুষকে আমার কোলে তুলে দিয়ে বললেন, আশরাফ এই নে তোর খেলার সাথী। ছোট ছোট হাত পা, ফর্সা ছোট্ট একটা মুখ,সেই ছোট্ট মুখে লাল টকটকে দুটি ঠোঁট, ছোট্ট একটা নাক, কিন্তু বড় বড় দুটি চোখ। সেই বড় বড় দুটি চোখে রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে সে আমাকে দেখে যাচ্ছিল। আর একটা খেলার সাথীর জন্য পিয়াসী আমার এই মন ঐ ছোট্ট মায়াবী পুতুলটার জন্য মায়ায় টলমল করে উঠছিলো। আমার কাছে মনে হলো যেন একটা ছোট্ট পাখি এসে আমার কোলে বসে পড়েছে। আমি ওর নাম রাখলাম টুনটুন। যদিও বাবা মার দেয়া নাম ছিল ওর। কিন্তু আমি ওকে টুনটুন বলে ডাকতেই ভালবাসতাম। সেই থেকে শুরু দুই ভাইয়ের ভালবাসার গল্প।


সারাটা দিন সেই পুতুলটার উপর ঝুঁকে বসে থাকতাম আমি। ময়না পাখিকে যেভাবে লোকে কথা বলানোর চেষ্টা করে ঠিক সেভাবে ওর মুখ থেকে ভাইয়া ডাক শুনার জন্য ওর কানের কাছে অবিরত ভাইয়া ভাইয়া জপ শুরু করলাম। একদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে সবার আগে ও ভা বলে ডেকে উঠলো। ভাইয়া না ডাকুক, ভা তো বলেছে। সবার আগে সে ভাইকে ডেকেছে। সেদিন আমার আনন্দ কে দেখে। খুশিতে আমি নাচতে লাগলাম।

সেই পুতুলটা একটু একটু করে বড় হতে থাকলো আর আমার ন্যাওটা হতে থাকলো। সারাক্ষণ ভাইয়া এটা, ভাইয়া সেটা করতেই থাকতো। আমি যে রঙের শার্ট কিনতাম, সেও সেই রঙের শার্ট কেনার জন্য আবদার শুরু করতো। আমি যা করতাম সেও তাই অনুকরণ করতো। আমিও একটি মুহূর্ত ওকে ছাড়া ভাবতে পারতাম না। একদিন আমার সাথে খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের পুকুরটায় পড়ে গেলো ও। ও তখন সাতার শেখেনি। সাতার জানতাম না আমিও। কিন্তু ওকে হাবুডুবু খেতে দেখে আমি সে কথা ভুলে গেলাম। ওকে বাঁচানোর জন্য লাফ দিলাম পুকুরে। হাবুডুবু খেতে খেতে কী করে জানি ওকে টেনে নিয়ে এসেছিলাম কিনারে। তারপর বড় কেউ টেনে আমাদেরকে ডাঙায় তুলেছিলেন সেদিন।

এভাবেই একে অপরের আদরে ভালবাসায় গড়াগড়ি করতে করতে একদিন বড় হয়ে গেলাম আমরা। কিন্তু দুই ভাইয়ের ভালবাসায় এতটুকু কমতি হলো না। দুজন দুজনের কাছে কিছুই গোপন করতাম না। একদিন সেই আদরের ভাইটাকে ফেলে দুই বছরের জন্য আমাকে ফ্রান্সে চলে যেতে হলো। কিন্তু ফোনে সব সময়ই যোগাযোগ হত আমাদের। একদিন ভাইটা আমাকে জানালো সে প্রেমে পড়েছে। অসম্ভব রূপবতী একটা মেয়ের। ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে না পারলে সে মরে যাবে।

আমি ওকে অনেক বুঝালাম এভাবে হুট করে ঝোঁকের মাথায় বিয়ে করা ঠিক না। আমি দেশে আসি। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবো। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সে তখন ঐ মেয়ের প্রেমে উন্মাদ। ওদিকে বাসার কেউ এই বিয়েতে রাজী না। মেয়েটাকে আমার মার পছন্দ না। তাছাড়া বড় ভাইয়ের আগে ছোট ভাই বিয়ে করবে এ কেমন কথা। কিন্তু যে ভাই আমার একটি কথা ফেলতো না সেই ভাই ঐ মেয়ের প্রেমে পাগল হয়ে আমার কথা পর্যন্ত রাখলো না। সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ঐ মেয়েটাকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে এলো ও। এর কদিন পরই ও স্টুডেণ্ট ভিসায় ইংল্যান্ড চলে এলো। কিন্তু ওর মনটা সব সময় পড়ে থাকতো ওর বউয়ের কাছে। ভীষণ ভালবাসতো ও বউটাকে। আমার কাছে ফোনে সব শেয়ার করতো। বলতো পড়াশোনায় ওর মন বসে না। ও চলে যেতে চায় দেশে। আমি বুঝিয়ে বলতাম, আর তো কটা দিন, কোনরকমে পড়াটা শেষ কর। ভাল একটা কিছু করতে না পারলে তোর বউও তোকে দাম দিবে না। ভালবাসবে না। ও বুঝতো। মানতো আমার কথা।

ওদিকে বাড়িতে ওর বউয়ের সাথে আমার ফেমিলির খিটিমিটি লেগেই থাকতো। একদিন শুনলাম ও আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। মাকে নিয়ে অন্য কোথাও ভাড়া থাকে। ওদিকে ভাইদের সংসারে ওর মারও বনিবনা হত না। তাই মা মেয়েতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিন্তু আমার ভাইয়ের সাথে ওর যোগাযোগ ঠিকই ছিল। বউ অন্য বাড়িতে চলে যাওয়ায় ও কিছুটা বিমর্ষ থাকতো। কিন্তু তারপরেও মেনে নিয়েছিল। বলতো অন্তত এই খিটিমিটি ঝগড়াঝাঁটি তো হবে না। ও থাকুক ওর মত। তারপর একদিন হঠাৎ বলল, ওর বউ ওর সাথে আগের মত যোগাযোগ রাখছে না। ও ঠিক করেছে দেশে চলে যাবে। ওর কিছু ভাল ঠেকছে না। ও যখন দেশে যাওয়ার জন্য সব ঠিকঠাক করছিল ঠিক তখনই ওর বউ ওকে জানায় সে অন্য কাউকে ভালবাসে। আমার ভাইয়ের কাছে ডিভোর্স চায় সে।


আমাকে খুব স্বাভাবিকভাবে খবরটা জানায় সে। আর বলে, ভাইয়া আমি তোমাকে খুব বেশি ভালবাসি। কিন্তু এই পৃথিবীতে আমার পক্ষে আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। সবকিছু বড় বেশি অসহ্য লাগছে। আমি আর সইতে পারছি না। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। বলেই ফোনটা অফ করে দেয়। আমি স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি। আমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। আমার আদরের ভাইটা, আমার কলিজার টুকরা আমাকে বলে কয়ে এই পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। অথচ আমি দৌড়ে গিয়ে ওকে বাঁচাতে পারছি না। কারণ আমি যে ওর কাছ থেকে যোজন যোজন দূরে।

আমি পাগলের মত এদিক ওদিক ছুটছি। যে করেই হোক ইংল্যান্ডে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আমি ঠিকই ইংল্যান্ডে পৌঁছাতে পারি এবং ফিরে আসি আমার ভাইটাকে সাথে নিয়ে। আমার বড় আদরের ছোট্ট ভাই, আমার সাথে দেশে ফিরে আসে লাশ হয়ে। পুকুরে হাবুডুবু খাওয়া থেকে কোনো রকমে সেদিন ওকে আমি বাঁচিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু পৃথিবীর এই বিচিত্র কষ্টের সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া ভাইটিকে আমি বাঁচাতে পারলাম না শেষ অবধি


মি: আশরাফ চশমাটা খুলে চোখের জল মুছলেন। শুনতে শুনতে রীণার চোখটাও ছলছল করে উঠলো। ইচ্ছে করলো সান্ত্বনার দুটি কথা শোনায়। কিন্তু এ কষ্টের কী সান্ত্বনা ও দিবে? মি: আশরাফ আবার বলা শুরু করলেন,
---ফ্রান্সে আমাকে আরো এক বছর থাকতে হয়। এরপর দেশে ফিরে এসে প্রাইভেট ফার্মটা দাঁড় করাতে করাতে আরো অনেকটা সময় চলে যায়। কিন্তু সব সময়ই প্রতিশোধের আগুনে ক্ষতবিক্ষত হত আমার হৃদয়টা। কিছুতেই শান্তি পাই না আমি। ভাইটার জন্য মনটা ছটফট করে সব সময়।

এক সময় ডাইনীটার ভাইদের কাছ থেকে ওর ঠিকানাটা পেলাম। খবর করতে লাগলাম। কিন্তু কিভাবে প্রতিশোধটা নিবো বুঝতে পারছিলাম না। ওদের বাড়িটা একটু নির্জন জায়গায়। তাই কারো কাছ থেকেই তেমন কিছু জানতে পারছিলাম না। আমি দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টার পাহারা বসালাম ঐ বাড়ির আশেপাশে। তারপর খোঁজ পেলাম এক বুড়ির, যে বাড়ি বাড়ি হেঁটে ভিক্ষা করে। ঐ বাড়িতে ওর অহরহ যাতায়াত। তিতলি ঐ বুড়িকে খুব আদর করে। ওরা ঐ বাড়িতে আসার পর থেকেই বুড়ির ঐ বাড়িতে যাতায়াত।
রীণা বলল,
---হ্যাঁ ঐ বুড়িকে আমি চিনি। অনেকবার দেখেছি ওকে। আমার আপু ঐ বুড়িকে খুব আদর করতো।
---বুড়িও তাই বলল। আরো বলল তোমার আপু খুব হাসিখুশি একটা মানুষ ছিলেন। তারপর ঐ বাড়ির দোতলায় আমার ভাইয়ের বউ ওর মাকে নিয়ে ভাড়া আসে।
রীণার বিস্ময়ের সীমা থাকে না। বলে,
---তার মানে ঐ তানিই আপনার ভাইয়ের স্ত্রী?
---হ্যাঁ।
রীণার কাছে সব পানির মত পরিষ্কার হয়ে গেলো।

সতেরো

--অফিসার আমার মনে হয় ঐ চাতালে কোনো একটা রহস্য লুকিয়ে আছে। তিতলির বারবার ঐ চাতালের ছবি আঁকা আর রাতের বেলার ছবি আঁকা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে ওখানে আমাদের অনেক প্রশ্নের জবাব লুকিয়ে আছে। আপনি চাতালটা ভাঙার ব্যবস্থা করুন।
---ধরুন ভাঙলাম। কিন্তু সেখানে কিছুই পাওয়া গেলো না, তাহলে তো উপরতলায় আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। ব্যাপারটা তো এতো সহজ না।
---ঠিক আছে উপরতলার পার্মিশনের ব্যবস্থা আমি করছি।
ফোনটা রেখে মি: আশরাফ রীণাকে কেবিনে ডেকে পাঠালেন।
---রীণা, আমি আবীরদের ঐ চাতালটা ভাঙার ব্যবস্থা করছি। আমার ষষ্ঠইন্দ্রিয় বলছে ওখানে আমাদের জন্য কোনো একটা ক্লু আছে।
---কিন্তু যদি না থাকে স্যার। আমি তো এই কেইসের কোন কোলকিনারা দেখছি না। আদৌ কি ঐ খুনীদের আমরা শাস্তি দিতে পারব?
---এত তাড়াতাড়ি হতাশ হয়ে গেলে?
মি: আশরাফ একটু হেসে জিজ্ঞেস করলেন। রীণা কিছু বলল না। ওর চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ।
---হতাশ হয়ো না। আমি পত্রিকায় এই খবর ফলাও করে ছাপানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন আর ওরা এত সহজে পার পাবে না।
---কী বলছেন স্যার? পত্রিকায়?
---হুম। ভেবে দেখো আমি কিভাবে তিলতিল করে এই পর্যন্ত এসেছি। যদি হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতাম তাহলে এতদূর এগোতে পারতাম না। এতদূর যখন আসতে পেরেছি এর শেষটাও আমি দেখে ছাড়বো। তুমি শুধু আমার উপর ভরসা রাখো।
মি: আশরাফের কথায় রীণা আবার আশায় বুক বাঁধলো। সব নিরাশাকে এক নিমেষেই ঝেড়ে ফেলে দিলো।

আঠারো

মি: আশরাফ চাতালটা ভাঙার সব ব্যবস্থা করে ফেললেন। বজলুর রশিদ দলবল নিয়ে হাজির হলেন আবীরের বাড়িতে। উনার কেন যেন মনে হচ্ছে এবার সব রহস্যের জট খুলতে পারবেন তিনি।

---আবীর সাহেব আপনার বাড়ির ঐ চাতালটা ভাঙতে হবে।
আবীরকে কেউ যেন প্রচণ্ড জোরে একটা থাপ্পর মারলো।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উফ কী রহস্যময় গল্প ভালো লাগছে আপি

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নিভৃতা বলেছেন: তোমার ভালো লাগায় আমার ভালো লাগা ছবি আপু। অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থেকো সব সময়।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: টুনটুন নামটা তো সুন্দর আছে।
ভা বলেছে তাতেই এত খুশি?
ইংল্যান্ডে যাওয়া এত সহজ নাকি??

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নিভৃতা বলেছেন: সহজ আবার সহজ না। টাকা থাকলে সহজ। টাকা না থাকলে কঠিন। :)

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: পড়লাম। তদন্ত চলুক। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়?
সাথেই আছি।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নিভৃতা বলেছেন: উস্তাদজী, শুধু সাথে থাকিলে তো হবে না। ভুলত্রুটি ধরিয়ে না দিলে আমার গল্পগুলো পারফেক্ট হবে কী করে। :(

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন , পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নিভৃতা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকবেন।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে...
ভাইটার জন্য আশরাফ সাহেবের অনুভব সত্যি ছূঁয়ে যাবার মতো।
এবার বেশ একটা পরিষ্কার আবহ অবয়ব ফুটে উঠেছে।

দেখা যাক চাতাল ভেঙ্গে রহস্যের ঘেরাটোপ ভাঙ্গা যায় কিনা!

রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায়...

ইরাম সাসপেন্সে কেউ গল্প শেষ করে!!!! X((

০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩০

নিভৃতা বলেছেন: আর তো বেশি নাই। শেষ পর্যায়ে আছি। মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা ও কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৫

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার 'বাসনা ছুরি' সিরিজটি সময়ের অভাবে নিয়মিত পড়তে পারি নাই, দুঃখিত! তবে হালকার ওপরে চোখ বুলিয়ে দেখার চেষ্টা করি :)। এটা মন্তব্য করার জন্য যথেষ্ট নয়। মনে হয় খুব বেশি পর্ব বাকী নাই। সিরিজটি শেষ হলে সবগুলো পর্ব পড়ে একটা সম্পূর্ণ মন্তব্য দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

ব্লগে এখন আপনাকে নিয়মিত এবং লেখায় ও মন্তব্যে সক্রিয় দেখা যায়। লেখালেখির জন্য এটা প্রয়োজন। লেখায় যেসব ভুলত্রুটির ব্যাপারে পরামর্শ পাচ্ছেন সেগুলো সম্ভব হলে সাথে সাথে সংশোধন করে নেবেন। পরে করবেন মনে করে ফেলে রাখবেন না, তখন কিন্তু আর করা হবে না! কারণ মানুষের জীবনে সময় ও মন-মানসিকতা সব সময় একরকম থাকে না। ভালো থাকুন।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪০

নিভৃতা বলেছেন: আপনার মন্তব্যগুলো আমার জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। অনেক ত্রুটি আছে আমার লেখায়। যেহেতু নতুন লেখালেখি করছি। ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিলে সত্যি খুব উপকার হয়।

সাথে সাথে ঠিক করতে পারছি না, কারণ ভাবনা চিন্তার বিষয় আছে। এই বছরটা বড় ছেলের সম্পুর্ণ বরাদ্দ। ছেলেটার জে এস সি পরীক্ষা। সময় ও মনোযোগ দিতে হয়। এখন যদি লেখার চিন্তা মাথায় ঢুকাই তাহলে মাথায় লেখার পোকা কিলবিল করে। ছেলের পড়ার দিকে মনোযোগ দিতে পারি না। :(

কিন্তু আপনাকদের মন্তব্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নোট করে রাখছি আমি। লেখাগুলো আবার রিরাইট করবো এক সময়। তখন এই পরামর্শগুলো আমার খুব বেশি কাজে লাগবে।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য ভাই। আমার ভুলগুলো শুধরে দিতে সাথে থাকবেন কিন্তু। ভালো থাকবেন সব সময়।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: অযথা কারও ভুল ধরার কোন মানে হয় না। ছোটখাট ভুল আমাদের সবারই হয়।
এইগুলি আমি গণায় ধরি না।
ব্লগে আমি সব সময় অনেস্ট অপিনিয়ন দেই।
শুভ রাত্রী

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩১

নিভৃতা বলেছেন: তার মানে গত দুই পর্বে তেমন কোন ভুল পান নি! সত্যি কি তাই? বিশ্বাস হচ্ছে না।
যদি সত্যি হয়ে থাকে আমার জন্য এটা বিরাট খুশির সংবাদ।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগছে....।চলুক এগিয়ে।
শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

নিভৃতা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই। অনেক শুভ কামনা রইল। ভালো থেকো।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়েছি কিন্তু সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারেনি।
যে কারণে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে গেলাম।

শুভকামনা জানবেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই। মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা।
শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.