![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উত্তরা রাজউক কলেজে বোরকা পরে কলেজে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা মর্মে আইন করে কলেজের প্রিন্সিপাল মহান আল্লাহ পাক উনার রসুল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ আইন মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন আইন কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারে না। বোরকার বিরুদ্ধে আইন এবং পর্দানশীন মেয়েদের কলেজে ঢুকতে না দিয়ে এই লম্পট, বদমাশ, নাস্তিক, যারজ অদক্ষটা(অধ্যক্ষ) যে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার এবং জনসম্মুখ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ আইন বাতিল না করলে এবং এই নর পিশাচটাকে যথাযথ শাস্তি না দিলে সরকারের বিরুদ্ধেও দেশময় আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
এছাড়াও কোরআন শরীফ-এর বিধান তথা কাফির-মুশরিকদের মতো কুরআন শরীফ অবমাননার অপরাধ করেছে সে। এজন্যও পৃথকভাবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
এ দেশে ইসলাম বিদায় করার জন্য, মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা তথা মুসলমানিত্ব নষ্ট করার জন্য দেশি-বিদেশি বামচক্র ওঠেপড়ে লেগে ষড়যন্ত্র করছে। হারাম খেলাধুলায়, হারাম নাচ-গানের প্রতিযোগীতায় মগ্ন করে দিচ্ছে মুসলমানদের। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্লজ্জভাবে বোরকাবিরোধী তত্পরতা চলছে। অবিলম্বে সরকার এটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাসহ বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এবং এমন অরাজকতা সৃষ্টি হলে এর দায়ভার মুসলমান এ সরকারকেই নিতে হবে
২| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:০৯
মুক্ত ধারা বলেছেন: মেয়েগুলো বুরকা নয়, হিজাব পড়া ছিলো। সেটাও বদমাশটার সহ্য হয় নি। আশা করি একদিন সে শয়তানটা উপযুক্ত শাস্তি পাবে এ জন্যে।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:১০
মুক্ত ধারা বলেছেন: নিচের ছবির বামে বোরকা পরায় বের করে দেয়ার পর অশ্রুসজল ছাত্রীটি ফিরে যাচ্ছেন রাজউক কলেজ থেকে। সাথে তার বোন। ডানে- আরো কয়েকজনকে বোরকা পরার কারণে ঢুকতে না দিয়ে কলেজ গেইটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:০৩
শিক্ষানবিস বলেছেন: মাথা ঠান্ডা রাখেন। উনি সব ধরনের বোরকা নিষেধ করেছেন কিনা, ভালমত জেনে নিন। কোন খবর আসলে সেটা ভালমত যাচাই করা ঈমানী দায়িত্ব। যাচাই না করে হৈচে করা ফাসেকী কর্ম।
বিষয়টি সম্পর্কে অধ্যক্ষ একটি বিবৃতি দিলেই তো সমাধান হয়। অনেক কট্টরপন্থী বিষয়টি নিয়ে অযথা বাড়াবড়ি করছে বলে অনুমিত হচ্ছে।
আর নেকাব খুলতে বাধ্য করা কোন অন্যায় নয়। নেকাব ইসলামে নেই। যার মনে চায় সে পরতে পারে। ইসলামে নেকাব পরার কোন নির্দেশ নেই।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:২৫
ঢাকা থেকে বলেছেন: @ সোহেল চৌধুরী, আপনাকে মূর্খ বলবো না জালিম বলবো তা অবশ্য চিন্তার বিষয়। প্রকৃতপক্ষে আপনি মূর্খ এবং জালিম।
হিজাবের সংজ্ঞা কি? কুরআন শরীফে কি বলা আছে যে, হাত মুখে খুলে রাখার নাম হিজাব?
আপনার জানা উচিত, বোরকা হচ্ছে পোষাকের নাম যা দিয়ে হিজাবটা পূর্ন করা হয়।
বোরকা জাহেলিয়াতের প্রতীক একথা বলে আপনি চরম জালিম সাব্যস্ত হয়েছেন।
কুরআন শরীফে
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন ‘হে নবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম)! মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। এটি তাদের জন্য পূত-পবিত্র পদ্ধতি। তারা যা কিছু করে, আল্লাহ তা জানেন।( সুরাঃ নূর, আয়াত- ৩০)
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُون
আর মুমিন মহিলাদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর তারা যেন স্বীয় সাজসৌন্দর্য না দেখায়, তবে যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় । তা ছাড়া তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে। এবং তারা কারো সামনে তাদের সাজসৌন্দর্য প্রকাশ করবে না এই মাহরাম আত্মীয়গণ ব্যতীত যথা স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, ভ্রাতা ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত, বাঁদী, নারীর প্রতি স্পৃহাহীন সেবক, ওই সব বালক যারা নারীর গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে অবহিত হয়নি। তারা যেন পথচলার সময় এমন পদধ্বনি না করে যাতে তাদের অপ্রকাশিত সৌন্দর্য পদধ্বনিতে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরাঃ নূর, আয়াত-৩১)।
লক্ষনীয়, আয়াত শরীফ এই অংশে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন
وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ
“তারা যেন বক্ষদেশে নিজদের ওড়না ফেলে রাখে” ।
‘খুমুরুন’ শব্দটি ‘খিমার’ শব্দের বহুবচন। ‘খিমার’ ঐ কাপড়কে বলা হয় যা নারীরা মাথায় ব্যবহার করে এবং তাদ্বারা মুখ, গলা ও বক্ষ পানি ভরা কুপের ন্যায় আবৃত হয়ে যায়। সুতরাং,মুখ, গলা আবৃত করার নির্দেশের দ্বারা চেহারা আবৃত করার র্নিদেশ প্রমাণিত হয়। কারণ, নারীর মুখমন্ডল তার যাবতীয় রূপ ও সৃষ্টিগত সৌন্দর্যের মূল উৎস ও আকর্ষণ। কেউ যখন বিয়ের জন্য পাত্রী দেখে তখন মুখই দেখে। তাহলে এ মুখ কিভাবে পরপূরুষের সামনে উম্মুক্ত রাখা যেতে পারে?
মূলত: খুমুরুন শব্দ দ্বারা মুখ থেকে বক্ষদেশ পর্যন্ত ঢেকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মাথার ওড়না দিয়ে বক্ষদেশ পর্যন্ত ঢাকতে হলে অবশ্যই মুখ ঢাকতে হবে। যা নিম্মে বর্নিত দলীল সমূহ দ্বারা আরো স্পষ্ট হবে।
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা আপন গৃহে অবস্থান করো এবং জাহেলিয়াতের যুগের মতো সাজসজ্জা সহকারে অবাধে চলাফেরা করো না।’ (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৩৩)
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِن وَرَاء حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
মহান আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘আর যখন তাদের কাছে তোমরা কিছু চাইবে, তখন (তারা) তোমাদের দৃষ্টির অন্তরালে হিজাব বা পর্দার ভেতরে অবস্থান করবে, আর তোমরা তাদের কাছে পর্দার বাইরে থেকে চাইবে। তোমাদের এ কাজ তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরকে কুচিন্তার আবরণ থেকে উত্তমভাবে পাক-পবিত্র রাখার উপায় হবে।’ (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৫৩)।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো বলেন, ‘হে নবী(ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম)! স্ত্রীগণকে বলে দিন যে তারা যেন চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখের ওপর টেনে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে ফলে তাদের কেউ উত্ত্যক্ত করবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৫৯)
উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালমা আলাইহাস সালাম থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘আমি এবং মায়মুনা আলাইহাস সালাম রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম -এর কাছে থাকাকালীন হঠাৎ অন্ধ সাহাবী আবদুল্লাহ্ ইবনে উম্মে মাকতুম তথায় আগমন করলেন। তিনি আমাদের বললেনঃ আপনারা কাছে পর্দা করো। এই ঘটনার সময়কাল ছিল পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর।
উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালমা আলাইহাস সালাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তিনি তো অন্ধ, আমাদের দেখতে পাবেন না এবং আমাদের চেনেনও না। রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বললেন, আপনারা তো অন্ধ নও, আপনারা উনাকে দেখছেন। (আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
হজরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘হে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রথম দৃষ্টির পর দ্বিতীয় দৃষ্টি যেন নিক্ষেপ করা না হয়। প্রথমটি ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয়টি নয়।’
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা আলাইহাসসালাম বলেন,
كان الركبان يمرون بنا و نحن محرمات مع الرسول فإذا حاذونا سدلت إحدانا جلبابها على وجهها من رأسها فإذا جاوزنا كشفناه.
আমরা রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এহরাম অবস্থায় ছিলাম, উষ্ট্রারোহী পুরুষরা আমাদের পার্শ্বদিয়ে অতিক্রম কালে আমাদের মুখামুখি হলে আমরা মাথার উপর থেকে চাদর টেনে চেহারার উপর ঝুলিয়ে দিতাম। তারা আমাদেরকে অতিক্রম করে চলে গেলে আমরা মুখমন্ডল খুলে দিতাম। (আহমাদ শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ)
সহিহ বুখারি ও মুসলিমে শরীফে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাসসালাম হতে বর্ণিত আছে:
كان رسول الله يصلي الفجر معه نساء من المؤمنات متلفعات بمروطهن ثم يرجعن إلى بيوتهن ما يعرفهن أحد من الناس.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ফজরের সালাতে কিছু সংখ্যক মহিলা চাদর পরিহিত অবস্থায় পরিপূর্ণ পর্দা করত: তাঁর পিছনে সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে মসজিদে আসতেন। সালাত শেষে আপন আপন গৃহে ফেরার পথে তাদেরকে চেনা যেত না।
উল্লেখ্য, যদি মুখ খোলা থাকতো তাহলে অবশ্যই চেনা যেত। আরেকটা বিষয়: মহিলাদের মসজিদে গমন পরবর্তীতে নিষিদ্ধ হয়।
হাবীবুল্লাহ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
من جر ثوبه خيلاء لم ينظر الله إليه يوم القيامة
“যে ব্যক্তি অহংকার বশে (পায়ের গোড়ালীর নীচে) কাপড় ঝুলিয়ে চলবে আল্লাহ পাক কিয়ামত দিবসে তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিপাত করবেন না”।
উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা আলাইহাসসালাম জিজ্ঞাসা করলেন, নারীগণ চাদরের নিম্নাংশ কতটুকু পরিমাণ ঝুলিয়ে রাখবে? রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অর্ধহাত পরিমাণ। উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা আলাইহাসসালাম আবারও প্রশ্ন করলেন এ অবস্থায় মহিলার পা দৃষ্টিগোচর হবে। তদুত্তরে রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তাহলে একহাত পরিমাণ ঝুলিয়ে রাখবে এর অধিক নয়।
এ হাদীসে প্রমাণিত হল যে, মহিলার পা আবৃত রাখা ওয়াজিব, যা উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা আলাইহাসসালাম এবং মহিলা ছাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাদের অজানা ছিল না। আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মহিলার পা দর্শনে যতটুকু ফিৎনার আশংকা রয়েছে তার চাইতে হাত ও মুখমন্ডল দর্শনে ফিৎনার আশংকা বেশি । অতএব পা দর্শন যা ফিৎনার নগণ্যতম মাধ্যম তাতে সতর্কবাণীর ফলে হাত ও মুখমন্ডল দর্শন যা সন্দেহাতীতভাবে অধিকতর ফিৎনাস্থল তার বিধান স্পষ্ট হয়ে গেল। আপনারা ভালোভাবে অবগত আছেন যে, প্রজ্ঞাভিত্তিক সুসম্পূর্ণ নিখুত শরিয়তে মহিলার পা যা ফিৎনার নগণ্যতম পন্থা তাতে পর্দার নির্দেশ দিয়ে হাত ও মুখমন্ডল যা ফিৎনার মূল উৎস তা উম্মুক্ত রাখার অনুমতি প্রদান করবে, তা কস্মিণকালেও হতে পারে না।
অতএব প্রমানিত হলো মহিলাদের মুখমন্ডল, হাত,পা সবঅঙ্গই পর্দার অন্তর্ভূক্ত।
**আপনি যে হাদীছ শরীফের কথা বলেছেন মুখমন্ডল, হাত-পা খোলা রাখা যায়েজ সেটা হলো নামাজের হাদীছ শরীফ। নামাজের মধ্যে মুখমন্ডল হাত পা খুলে রাখা জায়েজ। এক মাসয়ালা অন্য জায়গায় খাটালে তো হবে না।
অন্তরের পবিত্রতা থাকলে উপরোক্ত দলীল সমূহ যথেষ্ট। আর গোমরাহীর উপর দৃঢ় থাকতে চাইলে তো বুঝানো যাবে না।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:১৭
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বোরখা প্রসঙ্গে জনৈক বৈষ্ণব বললেন -
হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ; কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে।
হরে রাম, হরে রাম; রাম রাম, হরে হরে।।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:১৮
দেশ প্রেমিক ১৩ বলেছেন: কলেজের প্রিন্সিপাল হারামজাদা রে গদাম দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া উচিত। এ সমস্ত হারামজাদাদের এই দেশে স্থান দেয়া ঠিক না।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:২৪
কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো খুব মজা লাগে। এর আগে ৫হাজার লোক দাড়ি কাটা নিয়ে বিপ্লবী পোস্ট দিয়েছিলেন না?
৯| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:০৩
ময়ুরবাহন বলেছেন: শুধু চোখ বের করা বোরখা পরা মেয়েদের খুব ভাল লাগে৷ আরব মেয়েরা যা সুন্দরী হয়৷ আরব থেকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে পাত্রী আমদানী করা হোক৷ এটা গণদাবী৷।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:০৮
সোহেল চৌধুরী বলেছেন: @ঢাকা থেকে,
আপনার জ্ঞানগর্ভ কমেন্ট পড়ে যেটা বোঝা গেল, কোরআনে কোথাও বোরখা পরতে বলা হয় নাই। চাদর বা ওড়না দিয়ে পরিস্কার ভাবে মাথা, ঘাড় ও বুক ঢাকতে বলা হয়েছে। আপনি আপনার রুচি অনুযায়ী চাদরকে আর ওড়নাকে 'কুপের মত' করে পরাতে চাচ্ছেন।
চাদর দিয়ে মাথা, ঘাড় ও বুক ঢাকতে বলা হয়েছে, মুখ ঢাকার প্রয়োজন থাকলে সেটাও বলা হত। তিনটা আলাদা আলাদা শব্দ উল্লেখ করা হল, আরেকটা যোগ করার প্রয়োজন থাকলে সেটাও করা হত। নাকি আপনি ভাবছেন মুখ ঢাকার কথা ভুল বশত বলা হয়নি এবং তাই আপনি কারেকশন করে দিতে চাচ্ছেন? নাউজুবিল্লাহ! সহজ জিনিসকে না পেচিয়ে সহজ হিসাবে নেন। বেশি বুঝবেন না আর তিল কে তাল করবেন না।
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:১৭
নুভান বলেছেন: বলদ!
১২| ০২ রা মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২৩
তীর্থযাত্রী বলেছেন: হিজচুতিয়া ও ছাগুরা খুব লাফাচ্ছে। তিল কে তাল বানাচ্ছে। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। শালাদের কষে গদাম
১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:২০
দুর্ধর্ষ বলেছেন: বোরকার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কিভাবে!!! ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অবমাননা তো সহ্য করা যায় না। সকল বোরকা বিরোধিদের বিরুদ্ধে নারী-নির্যাতন, মানহানি ও স্বৈরাচারিতার মামলা করা উচিত। এদের বাংলাদেশ থেকে বিতারিত করা হোক
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:৪৫
সোহেল চৌধুরী বলেছেন: বলেছেন: প্রত্যেকেরই অন্যের ধর্মীয় অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। তাই বলে ধর্মীয় বাড়াবাড়ি কি একটা প্রতিষ্ঠানের প্রশ্রয় দেয়া উচিত?
বোরখা মোটেই ইসলামী কোন পোষাক নয়। ইসলামে হিজাব করতে বলা আছে, বোরখা পরতে বলা হয়নি কোথাও। বোরখা মূলতঃ আরবী পোষাক। ইসলামের বহু আগে আরবের ইহুদী ও খৃষ্টানরা বোরখা পরত। বোরখা আসলে ইসলাম পুর্ব আরবের 'ইহুদী নাসারার' সমাজ, সংস্কৃতি ও 'আইয়ামে জাহিলিয়াতের' প্রতীক! কোরআনে শুধু একটা চাদর দিয়ে মাথা ও বুক ঢাকতে বলা আছে যেটা হিজাব হিসাবে পরিচিত। পড়ে দেখুন-
"And say to the believing women that they should lower their gaze and guard their modesty; that they should not display their beauty and ornaments except what (must ordinarily) appear thereof; that they should draw their khimār over their bosoms and not display their beauty except to their husbands, their fathers, their husband's fathers, their sons, their husbands' sons, their brothers or their brothers' sons, or their sisters' sons, or their women, or the slaves whom their right hands possess, or male servants free of physical needs, or small children who have no sense of the shame of sex; and that they should not strike their feet in order to draw attention to their hidden ornaments". (Quran 24:31)
এই ছবিতে নিকাব, বোরখা, আর হিজাব এর পার্থক্য দেখুন।
আপনারা যারা বোরখার পক্ষে তাদেরকে বলছি পারলে একটা আয়াত দেখান যেখানে বোরখা পরার কথা বলা আছে। হ্যাঁ, হাদিসে পায়ের গোড়ালি ও হাতের কব্জি পর্যন্ত ঢাকতে বলা হয়েছে। সেটাতো সালোয়ার কামিজ সহ অন্যান্য অনেক ড্রেস দিয়ে করা যায়। আর শরীর দেখাতে চাইলে বোরখা দিয়েও দেখানো যায়। পুরুষকেও তো বলা হয়েছে গোড়ালির উপর পর্যন্ত ঢাকতে, তাই বলে আপনারা আরবী আলখেল্লা পরা শুরু করবেন না কি? আমাদের নানা দাদারা লুঙ্গি পাঞ্জাবী পরতেন, আলখেল্লা পরতেন না, তারা কি অনৈসলামিক পোষাক পরে গেছেন?
কোন একটা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত হলে সে প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোড মেনে নেয়া হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এখানে যার যেটা ইচ্ছা পরতে পারে না। তাহলে তো ইউনিফর্মের কোন মানেই থাকে না। কেউ ইচ্ছা করলেই ইউনিফর্ম না পরে শাড়ি বা লুঙ্গি পরে আসতে পারে না।
ধর্মীয় অনুভুতির প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে হিজাব করার অনুমতি দেয়া বোধগম্য। তাও তা ইউনিফর্মের রঙ্গের সাথে মিল রেখে একটা নির্দিষ্ট রঙ এর ও স্টাইলের হওয়া উচিত। তবে মানুষকে বসতে দিলে শুতে চায়। ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিতে আবশ্যক নয়, অন্য দেশের অন্য কালচারের এমন কোন কিছুকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। তা সেটা ইসলাম বা হিন্দু বা অন্য যেকোন ধর্মেরই হোক না কেন।
ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি করাকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্য উনাকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই।