![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহেরপুর মানেই নীলকরদের ইতিহাস ও অত্যাচারের কাহিনি। এদেশে ব্রটিশ রাজত্বকালে ইংরেজরা সে সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে নীল চাষ করার জন্য যে সব কুঠি গড়ে তুলে ছিলেন, সেসব কুঠিবাড়িই নীলকুঠি নামে পরিচিত। কুষ্টিয়ার মেহেরপুর রয়েছে বেশ কিছু নীলকুঠি। এরমধ্যে আমঝুপি নীলকুঠি অন্যতম। কুষ্টিয়া মেহেরপুর সড়ক বা ঢাকা মেহেরপুর সড়কের কাছেই আমঝুপি নীলকুঠির অবস্থান। আমঝুপি শুধু নীল চাষ আর নীলকরদের অত্যাচার নির্যাতনের কাহিনিতে ভরা নয়। এখানে ইতিহাসের এক কলংকজনক অধ্যায় যেমন রচিত হয়েছে, তেমনি রয়েছে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল জেগে ওঠার গল্পগাঁথা।
মোঘল সেনাপতি মানসিংহ এবং নবাব আলীবর্দি খাঁর স্মৃতি বিজোড়িত এই আমঝুপিতেই পলাশীর পরাজয়ের নীলনকশা রচিত হয়েছিল। কথিত আছে এই নীলকুঠিই ইংরেজ সেনাপতি ক্লাইভ লয়েড ও মীলজাফরের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের শেষ বৈঠক হয়েছিল। যার পরের গল্প অত্যাচার আর নির্যাতনের।
আমঝুপি ষড়যন্ত্রের ফলাফল সিরাজ-উদ-দৌলার পতন। ফলাফল বাঙালিদের স্বাধিনতা হারিয়ে পরাধীনতা গ্রহণ। তারপর সেই যে অত্যাচার শুরু হল সেই অত্যাচারের রক্তেই একদিন এখানে আমঝুপিতে নীলকুঠি গড়ে উঠল। বাংলাদেশে নীলচাষ শুরু হয় ১৮১৫ সালে। তার কিছুদিন পরই আমঝুপি নীলকুঠির গোড়াপত্তন। আমঝুপি নীলকুঠির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এখানে কেনি, সিম্পসন, ফার্গুসনরা সমানে অত্যাচার করে গেছে। সে অত্যাচারের নিদর্শনই এই আমঝুপি কুঠিবাড়ি।
আবার গৌরব গাঁথা হচ্ছে বঞ্চিত এবং অত্যাচার আর নির্যাতিত নীলচাষিরাই এক সময় দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ইংরেজদের পরাজিত করে বন্ধ করে নীলচাষ।
নীলকুঠি বন্ধ হয়ে এরপর সেটি রূপান্তরিত হয় মেদীনিপুর জমিদারের কাচারীতে। এরপর দেশভাগ হলে উচ্ছেদ হয় জমিদারি প্রথার। আমঝুপি নীলকুঠির সামনে বাঁধাই করা আমঝুপি স্বর্নালী ইতিহাস থেকে জানতে পারি ১৯৭৮ সালের ১৩ মে খুলনা বিভাগ উন্নয়ন বোর্ডের আমঝুপি অধিবেশনের সভায় এক সময়কার নীলকুঠি বা রূপান্তরিত কাচারীটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গহণ করা হয়।
১৯৭৯ সালে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়। আমঝুপি নীলকুঠির পূননির্মাণ ও এখানে একটি আমবাগান গড়ে তোলার জন্য সে সময় ব্যয় করা হয় প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১৯
অভ্র আহমেদ বলেছেন: ছবি দেয়া হল। ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আমঝুপি ষড়যন্ত্রের ফলাফল সিরাজ-উদ-দৌলার পতন। ফলাফল বাঙালিদের স্বাধিনতা হারিয়ে পরাধীনতা গ্রহণ। "
নবাব সিরাজ উদ-দৌলা "স্বাধীন বাংলার প্রেসিডেন্ট, নাকি প্রিমিয়ার ছিলেন?"
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২০
অভ্র আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২২
ফরহাদ রিংকু বলেছেন: খুব ছোটবেলায় যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল নীলকুঠির ভিতর । কয়েকটা ছবি দিতেন । লেখাটা জীবন্ত হত
ভালো লাগছে