![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদায় আমার প্রিয় শহর ।বিদায়।।বলতে বলতে আমার হৃদয়টা যেন কেঁপে উঠল।আমি আবার পিছনে ফিরে তাকালাম শেষ আর একবার একটু ভাল করে দেখব বলে।রাতের অন্ধকার ফুঁড়ে সারি সারি দালান দাড়িয়ে আছে।আলোকিত ঘরের জানালার পর্দায় ভিতরের জীবনের কোলাহল আমার চোখে ধরা পড়ে।রাস্তার নিয়ন বাতি গুলো নি:সঙ্গ ভাবে জ্বলছে ঠিক এতদিন যেমন দেখেছিলাম।দু-একটা মাদি কুকুর খাবারের গন্ধ শুকতে শুকতে ডাষ্টবিনের দিকে এগুচ্ছে।যানবাহনের কর্কশ শব্দ।চারদিকে জীবনের উচ্ছাস।কেবল আমার হৃদয়ে হীমশীতল স্তব্ধতা।
অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছিল এ হৃদয়।স্বপ্নিল চোখে কত কত অফিসের দ্বারে দ্বারে যে ঘুরে বেড়িয়েছি। আজকে আমার একটা চাকরি হয়েছে কিন্তু আজ আমার চোখ স্বপ্নহীন মৃত মাছের মত। হৃদয়ে লেশমাত্র চাঞ্চল্য নেই। পেছনে ফিরে তাকাতে নে বলে আমি সামনে চলছি।এই শহরের কাছে আমার কোন ক্ষোভ নেই। এটি আমাকে দুহাত ভরে যেমন দিয়েছে অনেক কিছু আবার কেড়েও নিয়েছে অনেক।সদ্য গজানো গোঁফ নিয়ে কলেজের অনিশ্চত পদক্ষেপ , বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দাম জীবন, আমার টিউশনি, আমার ছাত্র, অভিভাবকরা, আমার মেস বাড়ি।জয়দেবদার কথা মনে পড়ে। হোমিওপ্যাথির চিকেৎসা করতেন।পসার ছিলনা তেমন। তবু প্রতিদিন চেম্বার খুলে একাকী চুপচাপ হোমিওপ্যাথির বই চোখের সামনে মেলে ধরে বসে থাকতেন। আমার একাকী অবসরগুলো তার ওখানে গিয়ে টুকটাক গল্প করতে করতে কাটিয়ে দিতাম।তার কাছ থেকে টুকটাক কিছু চিকিৎসাও শিখে নিয়েছিলাম। এই এত বড় শহরে ঐ চেম্বারটা আমার মানসিক আশ্রয় ও বটে।জয়দেব দা পছন্দ করতেন না তারপরও কারও বাসায় গিয়ে ইনজেকশন পুশ করার জন্য তার ডাক পড়ত।হয়ত ফার্মেসির একজন ঔষধ বিক্রেতার চেয়ে একজন ডাক্তারকে দিয়ে ইনজেকশন পুশ করানোয় রোগীরা স্বস্থি বোধ করতেন।ভাল পয়সা পাওয়া যেত বলে তিনি যেতেন।এসময় আমি বসে তার চেম্বার পাহারা দিতাম।এরকম একদিন অনুর সাথে পরিচয়।জয়দেব দা রোগীর বাড়িতে গেছেন আর আমি ঘুরে ঘুরে তার ঔষধের তাকে সাজানো শিশিগুলো দেখছিলাম।এরকম সময়ে দেখলাম একজন রুপসী তরুনী দরজায় দাড়িয়ে উঁকি মারছে।আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে জিজ্ঞস করল , ডাক্তার আছেন ? আমি হ্যাঁ বলাতে তার চোখ এদিক ওদিক খুজতে লাগল। জয়দেব দা কিছুক্ষন পরই চলে আসতেন, আমি তাকে অপেক্ষা করতে বলতে পারতাম কিন্তু কি হল জানিনা বলে বসলাম, আমিই ডাক্তার। হয়তো দীর্ঘদিন জয়দেব দার কছে যাওয়া-আসাতে আমার ধারনা জন্মে গিয়েছিল ছোটখাটো রোগ যেমন আঁচিল, নখে পোকা খাওয়া এসব রোগের কারনেই রোগীরা জয়দেব দার কাছে আসে আর আমি ঐসমস্ত চিকিৎসা জয়দেব দার কাছ থেকে শিখে গিয়েছিলাম।কিন্তু ডাক্তারি করা হয়নি কখনও তাই ভাবলাম করেই দেখিনা একবার। নিজেকে ডাক্তার বলাতে মেয়েটিকে বেশ চমকিত মনে হল।হওয়ারই কথা আমি বলতে গেলে তার সমবয়সীই ছিলাম এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্ড ইয়ারে।দ্বিধান্বিত হলেও মেয়েটি চিকিৎসা নিতে আপত্তি করল না।তার বাম পায়ের নখে চিকায় খাওয়ার সমস্যা। আমাকে ঝুকে পড়ে তার পা দেখতে হচ্ছিল বলে আমার খুব অহংকারে লাগছিল।কিন্তু তখন আমি কি আর জানতাম ঐ রাঙা চরনে আমার হৃদয়টায় লুটায়ে দিব।ঔষধ দিয়ে যথারীতি বলেছিলাম ভালোমন্দ কিছু হলে পরে একবার এসে যেন দেখিয়ে যায়।আমার গোপন ডাক্তারীর কথা জয়দেব দার কাছে গোপন করেছিলাম।হয়তো তিনি রাগ করবেন ভেবে।
খুব সিগারেটের তৃষ্ঞা পেয়েছে। সিগারেট কেনার জন্যে আমি কোন একটা দোকানের দিকে হাটতে শুরু করলাম।প্রথম দোকানটায় বেশ ভীড়। দ্বিতীয় দোকানিকে আমার পছন্দ হল না।আমি হাটতে লাগলাম।
অনু কিন্তু কথা রেখেছিল। ঔষধ খেয়ে তার পা যে ভালো হয়েছে সে খবরটা দিতে এসেছিল।আমি ঐদিন ছিলাম না।জয়দেব দাই তাকে আসল ঘটনা বলেছিল।তবে সাথে এও বলেছিল যে আমি তাকে সঠিক ঔষধই দিয়েছিলাম। জয়দেব দার কাছে সব শুনে তার মনের অবস্থা কি হয়েছিল সেটা জয়দেব দা আমাকে বলেনি।এ ঘটনার পর জয়দেব দা আমার উপর না রেগে বরং বেশ প্রশংসায়ই করলেন।জানাতে ভুললেন না হোমিওপ্যাথি চর্চা করলে আমার বেশ প্রসার হবে।আমার নাকি হোমিওপ্যাথি সেন্স মারাত্নক।
কয়েকদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সাথে দেখা। দূর থেকে দেখে তাকে চিনে ফেললাম। যদি আমায় দেখে চিনে ফেলে এই ভয়ে সটকে পড়ার মতলব করছিলাম।আমার পালাবার কোন পথ ছিল না।আমারা পরষ্পরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম।আমার পালাবার একমাত্রপথ উল্টো পথে হাটা দেয়া। সেটা না করে আমি একটু রিস্কই নিলাম।ভাবলাম হ্য়তো চিনতে পারবে না । তাই মুখটা নিচু করে পাশ কাটাতে চাইলাম।কিন্তু সে আমাকে ঠিকই চিনল।আমাকে পাশ কাটিয়ে যেতে না দিয়ে বলল, এই যে শুনুন।
থতমত খেয়ে বললাম ,আমাকে বলছেন ?
হ্যাঁ।
বলুন? বলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম।আমার কর্মকান্ডের একটা ব্যাখ্যা আমি আগে থেকে দাড় করিয়েছিলাম কিন্তু সে মুহুতে সেই ব্যাখ্যা দিতে পারব বলে মন ভরসা দিল না। তাই আমি অনেকটা কুন্ঠিত হয়েছিলাম।সে বলল, আপনি পালাচ্ছিলেন কেন? তার কথার ভঙ্গিতে কিছুটা ভরসা পাচ্ছিলাম।বললাম, না মানে ইয়ে ....
আমাকে বলতে না দিয়ে সে বলল, আমি কিন্তু দুর থেকেই আমনাকে লক্ষ্য করেছি।আপনি এমন কুন্ঠিত কেন?
বললাম, কাজটা বোধহয় আমি ভালো করিনি।
কোন কাজটা?
আপনাকে ঔষধ দেয়ার ব্যাপারটা।
সে প্রশ্ন করল, আপনি তো সঠিক ঔষধই দিয়েছেন?
আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।তার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি স্পষ্টতই বুঝতে পারলাম আমার অবস্থা দেখে সে কৌতুক বোধ করছে।বললাম, বেশ, আপনি আমার প্রথম রোগী।সে বলল, কিন্তু ফি টা আপনি বেশি নিয়েছেন।
জিজ্ঞেস করলাম ,কেমন ?
আপানার ওখানে ফি পঞ্চাশ টাকা আর আমার কাছ থেকে নিয়েছেন একশ টাকা।
বললাম, আপনি জয়দেবদাকে ফি কত জিজ্ঞেস করেছেন?
জ্বি না, উল্টো উনি জিজ্ঞেস করলেন আপনাকে কত দিয়েছি।
বললাম, জয়দেব দার ফি পঞ্চাশ কিন্তু আমার ফি একশ টাকা।সে হেসে বলল, এই রে, গুরুর চেয়ে শিষ্যের ফি বেশি।এটা অন্যায় হয়ে গেল না ? বললাম, আর একটা ব্যাপার আছে ,ফি কম হলে ডাক্তারের ও মর্যাদা কম, ঔষধেও বেশি আস্হা থাকবে না
বেশ বলেছেন।কিন্তু ঔষধ তো ঔষধই, টাকার পরিমান কমা-বাড়াতে ঔষধের কি হেরফের হবে।ঔষধ খেয়ে সুস্থ হলে রোগীতো আসবেই।
বললাম, বিশ্বাসের একটা ব্যাপার আছে বলে শুনেছি।বিশ্বাসের কথা বাদ দেন, আগে রোগী তো আসুক তারপর না হয় চিকিৎসা। এ যুগে সস্থা মানে যে লোকে তিন অবস্থা ভাবে সেকথাটাই জয়দেবদাকে বোঝাতে পারলাম না।
আমাদের অপরিচিতের দেয়াল ক্রমশ ভেঙ্গ পড়তে লাগল।ঐদিন আমরা পরষ্পরের ডিপার্টমেন্টের ঠিকানা জেনে নিয়ে এবং পরষ্পরকে নিজের ডিপার্টমেন্টে আমন্ত্রন জানিয়ে বিদায় নিয়েছিলাম।অনুর কথা বলায় সাবলীলতা আর সহজ জিনিসটাকে সহজভাবে নেয়ার ব্যাপারটা আমাকে মুগ্ধ করেছিল।তার সাথে আবার কথা বলার সুপ্ত ইচ্ছা আমার মনে জেগে উঠল।কয়েকদিন পর বন্ধুদের নিয়ে ঘোরার ছলে তার খোঁজে তার ডিপার্টমেন্টে হানা দিলাম।কয়েকদিন পর সে তার বন্ধুদের নিয়ে আমার ডিপার্টমেন্টে এসে আমাদের সাথে গল্প করে গেল। এইভাবে কিছুদিন চলার পর আমাদের আর লুকোচুড়ির দরকার রইল না। আমার যখন ইচ্ছা তার ওখানে হাজির হতাম ।সেও আসত যখন ইচ্ছে।এই বিরাট শহরে সে হয়ে উঠল আমার দ্বিতীয় মানসিক আশ্রয়।
এতদিন ভবিষ্যত নিয়ে কখনো ভাবিনি।কিন্তু এবার অনুকে নিয়ে একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দৃশ্যকল্প এঁকে যেতে লাগলাম মনে মনে।প্রতিদিন দৃশ্যকল্পগুলো নতুন করে সাজাই।অনেক খুটিনাটি নিয়ে চিন্তা করি। আমাদের অনতিদূরের ভবিষ্যতের কথা ভেবে রোমান্সিত হই। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। হায়! জীবন এত সুন্দর কেন?
অনুদের বর্তমানে খুব টাকা পয়সা না থাকলেও একসময় যে অঢেল ছিল সেটা অনুদের বাড়িতে গেলে
বেশ বোঝা যেত।ওদের পরিবারটা যৌথ পরিবার তবে বেশ বড় নয়।দুই ভাই আর এক বোন।এক ভাই বিদেশে থাকে।ওর বাবা মা ভাবি আর বাচ্চা কাচ্চা।ভাবীতো আসতেনই কখনও অনুর মা এসেও আমাদের সাথে গল্প যোগ দিতেন।অনুর বাসায় কখনও একা যাওয়া হয়নি।বন্ধুদের সাথে যাওয়া।অনুই কখনও একা নিমন্ত্রন করে নি। আমাদের সম্পর্কের কথা সে বাসায় বলে নি।বলেছিল যখন সময় হবে তখন জানালেই চলবে।ওটা এমন কিছু না।
দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছিল।গ্রাজুয়েশনের পর থেকেই চাকরীর নানান চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম।কিন্তু মনপুত হয় এমন চাকরী একটাও পাওয়া যাচ্ছিল না।অনু বলেছিল ,অত তাড়াহুড়োর কি আছে, ভালমত মাষ্টার্স দাও।চাকরী একটা পেয়ে যাবে।তাছাড়া আমিও তো পাশ করে বের হচ্ছি।আমিও একটা জুটিয়ে নিব।দুজনের বেশ চলে যাবে।বলেছিলাম, তোমাকে আমি চাকরী করতে দিব না অনু।শুনে অনুর মুখ আনন্দে ঝলমলে হয়ে উঠেছিল।
আমি আমার হাত ঘড়ির দিকে তাকালাম।ট্রেন ছাড়তে এখনও ঘন্ঠা খানিক সময় আছে। আমি নেশাগ্রস্থের মত হাটছি।
মাষ্টার্স শেষ করার পরও কোন ভাল চাকরী পাচ্ছিলাম না দেখে হতাশ হয়ে পড়তাম। অনু তখন শান্তনা দিত।
অনুর সাথে যেদিন শেষ দেখা হয় সেদিনের কথা আজও স্পষ্ট মনে আছে।ঐদিন খুব সেজেছিল অনু।সাদা তার খুব পছন্দের রং।সাদা সাড়ি, সাদা টিপ, বেলি ফুলের মালা, সাদা স্যান্ডেল।অপূর্ব দেখাচ্ছিল তাকে। খুবই উচ্ছসিত ছিল ।কারন তিন মাসের জন্যে সে বিদেশে ভাইয়ের কাছে যাচ্ছে।তিনমাস আমার সাথে দেখা হবে না তার জন্যে সে কি ব্যাকুলতা।আমি বলেছিলাম, মোটেতো তিন মাস সে দেখতেই কেটে যাবে।বিদায়ের মুহুর্তে চোখে তার জল এসেছিল।
সে যাওয়ার কয়েকদিন পর ওর খুব ঘনিষ্ঠা বন্ধু শীলা যখন বলল ওর পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে তখন কি মনে হয়েছিল আজ স্পষ্ট মনে নেই। কয়েকটা দিন সে কি ভয়ংকর একাকীত্ব বোধ! জন্মজন্মান্তর ধরে সীমাহীন বিশ্বে আমি একা, একা শুধু একা।
অনুকে কখনও দোষী করতে মন চায় না।ওর পরিবারের বিরূদ্ধে দাড়াতে হয়ত সাহস পায় নি।আমি পূনরায় নিজেকে জিজ্ঞেস করি কি হত যদি আমাকে বিয়ে করত? সে কি সুখি হত ? মন বলে না না না।ওর পরিচিতজনরা ওকে ত্যাগ করত।ওর যে স্বীকৃতি মিলত না।
সবাইকে ছেড়ে একা আমাকে নিয়ে কিভাবে বাঁচবে? ঔভাবে কি বাঁচা যায়?
হঠাৎ পরিচিত কন্ঠস্বরে যেন ঘোর ভাঙল।দোকানদার পিচ্চি ছেলেটা আবার বলে, কি হইছে ভাইজান ,সিগারেট না ল্ইয়া চাইয়া আছেন ক্যা?
হাত বাড়িয়ে সিগারেট নিলাম।জ্বালালাম।সিগারেটের ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে ভাবতে লাগলাম কেন আমি অনুদের বাড়ির কাছে চলে এসেছি।আমি অনুকে ছেড়ে ,এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছিলাম।অনুকে কি অন্তত একবার দেখে যেতে চাই?একবার দেখা করব কিনা দাড়িয়ে ভাবতে লাগলাম।হ্যাঁ অনুকে আমার দেখতে ইচ্ছে করছে।সিগারেট শেষ করে অনুদের কলিংবেল এ হাত রাখলাম।অনুই দরজা খুলল।আমাকে দেখে তার চোখ দুটো জ্বলন্ত অঙ্গারের মত জ্বলে উঠে আবার নিভে গেল।এবার আমার যাওয়ার পালা।অনুকে দেখতে এসেছিলাম, তা দেখা হয়েছে।কিন্তু অনু দরজার একপাশে দাড়িয়ে আমাকে ঢোকার জায়গা করে দেওয়ায় যন্ত্রচালিতের মত ঢুকে পড়লাম।পাশাপাশি সোফায় আমরা দুজন চুপচাপ বসে আছি।অনু মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে।আমি লক্ষ্য করছি অপরাধবোধের গ্লানিমা ওর মুখটাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে।আমি আবার নিজেকে জিজ্ঞেস করি আমি কি অনুর কাছ থেকে এটা দেখতেই এসেছি।তাকে বলতে ইচ্ছে করল আমি তোমার কাছ থেকে অনেক দুরে চলে যাচ্ছি কিন্তু কোন স্বরই বের হল না।হয়তো নিজেকে আড়াল করার জন্যে অনু বাতি নিবিয়ে দিল।অন্ধকারে কেউ কাউকে দেখছি না কিন্তু দুজনে বসে আছি।আমার উঠে যেতে ইচ্ছে করছে।মনে হচ্ছে না এলেই বোধহয় ভাল হত।একসময় অস্ফুট স্বরে সে বলল, জীবনটা এমন , মেনে নিতে হয়। কিছু একটা বলতে হয়,বললাম, সব স্বপ্ন পূরণ হওয়ার নয়। আমি উঠে দাড়ালাম , আমার জন্য ট্রেন অপেক্ষা করছে, আমাকে নতুন কোন জায়গায় নিয়ে যাবে।
Like Comment Share
©somewhere in net ltd.