![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিভু মাঠময় তন্নতন্ন করে তার হারিয়ে যাওয়া পেন্সিল খুঁজছে । কোথায় কোথায় পড়তে পারে ভেবে ভেবে খুঁজছে । স্কুল শুরু হওয়ার আগে বটতলায় খেলেছিল মনে পড়তেই বটতলায় দৌড়ে এল। বিশাল বটগাছ তার চারদিকে মাটিতে বড় বড় শিখ র ঘুরিয়ে পেছিয়ে সাপের মত কিছুদূর মেলে ধরে তারপর মাটির গভীরে ডুব দিয়েছে। এই শিখরে বসে সে অন্যদের সাথে খেলেছিল । তার মনে পড়ছে । বড় বড় শিকরের ফাঁক ফোঁকড়ে হাতড়াতে হাতটা বালিতে মাখামাখি হওয়া ছাড়া আর কোন লাভ হলো না। ঘাসহীন মাটিতে লাল বটের গোটা ইতস্ততঃ ছড়িয়ে আছে । সকাল বেলায় লাল বটের গোটা কুড়িয়ে পকেট ভর্তি করে মার্বেল খেলেছিল। ঘন্টা পড়ার সাথে সাথে সব ফেলে ক্লাসে ঢুকে পড়ে ।স্কুল ছুটি হওয়ার পর আবার মাঠময় দাপিয়ে বটের শিকড়ের ফোকরে রাখা বই নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হবে তখন বুঝতে পারল পেন্সিল নেই । মুখটা অমনি শুকিয়ে গেল । বটের শিকড়ের ফাঁকে ও আশেপাশে খুঁজে না পেয়ে আবার মাঠময় তার কচি চোখ গুলি ঘাসের ফাঁকে ঘুরে বেড়াতে লাগল । সেগুলো ক্রমে ভিজে উঠে সামনের মাঠ ঝাপসা দেখাতে লাগল আর কুয়াশার মাঝে মায়ের মূর্তি স্পষ্ট হতে হাত পা ঠান্ডা হয়ে এল । এসময় মনুও তাকে নেওয়ার জন্য এসে বটের কাছে দাঁড়াল । মনু হাঁফাচ্ছে। দাদির কড়া নির্দেশ বিভু স্কুলে ঢোকার আগে পরে যতক্ষণ মাঠে খেলবে মনু যেন তাকে চোখে চোখে রাখে। মনুর মনে হয় দাদি শুধু শুধু চিন্তা করে। মাঠে আরো অনেক বাচ্চা কি খেলা করে না ? কই কারও জন্য তো কেউ দাড়িয়ে থাকে না ! এভাবে একা একা দাড়িয়ে থাকতে তারও ক্লান্তি আসে । কিন্তু দাদির নির্দেশ অমান্য করার সাহস বা ইচ্ছা কোনওটাই তার নেই । সে জানে দাদির কাছে একটু গাফিলতি চোখে পড়লে দাদি নিজে স্বয়ং এসে দাড়িয়ে থাকবে। তবুও মাঝে মধ্যে একটু গাফিলতি যে হয় না তা নয়। মাঝে মাঝে স্কুলের পাশে ময়না চাচার বাড়ি গিয়ে খোশগল্প করতে করতে বিড়ি টানে আর অপেক্ষা করে মায়া যদি একটু চা নিয়ে আসে । হ্যাঁ ,মাঝে মধ্যে মায়া বাপকে চা দিলে তার জন্যেও একটু দেয়। তবে চা খাওয়ার ব্যাপারটা ময়না চাচার মেজাজ মর্জির উপর নির্ভর করে। তাই সে ময়না চাচার মেজাজ ফুরফুরে করতে সচেষ্ট হয়। কোনদিন মায়া চা হাতে রান্নাঘর হতে উঠোনে আসে। তবে ময়না চাচা ভারি বজ্জাত । বুড়োকে খুশি করা চারটি খানি কথা নয়। বুড়োর চোখ এড়িয়ে মনু রান্না ঘরের দরজায় উঁকি দেয়। চা খাওয়া মনুর উদ্দেশ্য নয়। মাঝে মাঝে মনুর মনে হয় চাচা তার মনের খবর জানে। তাকে নিয়ে খেলে। বুড়ো ভারি বজ্জাত । মুখ দেখে কিছু আন্দাজ করার উপায় নেই। মনু তো আর বসে থাকতে পারে না। ওদিক দাদা বাবুর স্কুল ছুটি হলে যদি মাঠে না খেলে বাড়ি মুখো হয় ? তাই ঘন্টার আওয়াজ শুনলেই মনে হতাশা নিয়ে সে বের হয়। আর বুড়ো যদিও কোন দিন চায়ের কথা বলে তো এ সময় । একটু ব্যতিক্রম যে মাঝে মাঝে হয় না তা নয়। মনুর দ্বন্দ্ব লাগে। বুড়ো ভারি বজ্জাত । তাছাড়া বুড়োর কাছে তো আর ঘড়ি নাই যে কখন ঘন্টা পড়বে জানে। তবে বুড়োর বিশ্বাস নাই। হয়ত গাছের ছায়া দেখে । এখন বুড়োর উঠোনের ছায়ার হিসাব মনু জানবে কি করে। আর ছায়ার উপর সারাক্ষণ চোখ রাখাও তার সম্ভব না। রান্না ঘরের দরজার উপরও তো তাকে চোখ রাখতে হয়। তখন ছায়াটা কোথায় ছিল আর কোথায় সরে এল মনে রাখতে ভূলে যায় । মনু সেই চেষ্টা কয়েক দিন করে হাল ছেড়ে দিয়েছে। সমস্ত রাগ বুড়োর উপর পরে। বুঝতে পারে না বুড়ো তাকে নিয়ে খেলছে কিনা। বুড়োর চোখ মুখ দেখে কিছু বোঝার উপায় তো নাই। তবে মনুর চেহারায়ও মনের ভাব ফোটে না, বুড়ো যদি চলে ডালে ডালে মনু চলে পাতায় পাতায় । মনু ঘন্টা পড়লে উঠে দাঁড়ায় । কোন দিন একটু গাফিলতি করে বৈকি।পিঁড়িতেই বসে থাকে ।মন মানতে চায় না। মায়াও যেমন । ঘন্টা পড়ার পর সে মনু উঠছে কিনা অপেক্ষা করে । মনু বসে থাকলে তার জন্যও নিয়ে আসে। আজ পর্যন্ত কোন দিন একটা কাপ চা বাপের হাঁক ছাড়া নিয়ে আসেনি। মনুকে আজ স্কুলে আসতে দৌড়াতে হল। বট গাছের নিচে দাড়িয়ে বিড় বিড় করে বলল ,যেমন বাপ- তেমন মায়া। তার চোখে পড়ল রাস্তা ফাঁকা । দাদা বাবু ছাড়া অন্য আর একটি ছেলে মেয়ে নাই। আজ সত্যি অনেক বড় গাফিলতি হয়েছে। কিন্তু বিভু দাড়িয়ে কেন তা বিভুর দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারল। আজ প্রথম বিভূর পেন্সিল হারানো তে সে খুশি হল। বিভুর কান্না ভেজা বিষাদ চোখ দেখে একটু মায়াও হল। কোন দিন যা করে নি তাই করতে উদ্যত হল। বিভুকে বলল ,দাড়াও দাদা বাবু , আমি একটু খুঁজে দেখি। বিভু হঠাত্ একটু আশার আলো দেখতে পায়। মনু দাদা নিশ্চয়ই পেন্সিল খুঁজে পাবে। মনু দাদার উপর ভরসা করে থাকার নিশ্চয়তা বেশিক্ষণ টিকল না। কারণ একটু খুঁজেই তার মনে হল এত বড় মাঠে একটা পেন্সিল খোঁজ করা অর্থহীন। কাজেই দেরি না করে যখন বিভুর কাছে ফিরে আসতে লাগল বিভু পুনরায় চুপসে গেল। বড় চাচীর মেজাজ খারাপ থাকলে হয়তো একটু চেঁচাবেন। পেন্সিল হারানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঐ একটু চেঁচামেচিকেই বিভু ভয় পায়। বলল ,চল দাদা বাবু তুমিই খুঁজে পাওনাই আর আমি কিভাবে পাই বলোতো ।বিভুর হঠাত্ বলতে ইচ্ছে করল ,তুমি বড় না ,তুমি তো পাবে ?বলা হলো না। চেহারা আরও আঁধার হয়ে এল। দুজনে রাস্তা ধরে হাঁটতে লাগল। বিভুর চোখ থেকে একটা একটা কান্নার ফোঁটা গাল বেয়ে গড়াতে লাগল। এই অবোধ কে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা মনুর নেই। সান্ত্বনা না দিয়ে বরং তার ঠোঁটে এক চিলতে হাসি খেলতে লাগল।
বিভু হাঁটছে। তার কান্না বাড়ছে ক্রমাগত । সামনের রাস্তা অস্পষ্ট ।সেখানে কেবল মায়ের মুখটাই বারবার ভেসে উঠছে । আর তার আরও জোরে কান্না করতে ইচ্ছে করছে । মনু তার হাত ধরতে চেয়ে ছিল কিন্তু অভিমান ভরে সে হাতটাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে । কেন মনু দাদা তার পেন্সিল খুঁজতে গিয়েও খুঁজে নি ? বারবার ডান হাত দিয়ে শার্ট উপরে টেনে তুলে চোখ মুছে সামনের রাস্তাকে দেখার চেষ্টা করে হাটছে। মনু একবার গম্ভীর মুখে বলল ,দাদা বাবু ,কেন এভাবে শার্টটা ভিজিয়ে ফেলছ বলতো ? মা তো তাহলে আরও বেশি বকবে। বিভুর মনে হল কথাটা হয়তো ঠিক কিন্তু কি করবে সে। কান্না যে চলে আসছে । সামনে নির্বাচন । গ্রামে উৎসবের হাওয়া বইছে । গ্রামের নিস্তরঙ্গ জীবনকে হঠাত্ যেন প্রবলভাবে আন্দোলিত করে। সারা বছর খুশির উপলক্ষ পাওয়া যায় না। বাতাসে সমুদ্রের পানি যেমন আন্দোলিত হয়ে পাড়ে আঁচড়ে পড়ে তেমনি জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ শহরে তৈরি হয়ে শহর ছাপিয়ে গ্রামে গ্রামে আঁচড়ে পড়ে । লোকজন জড়ো হয় গ্রামে যে কয়টা মুদি আর কালু মুন্সির চায়ের দোকানটা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে । শহর-মফস্সল থেকে বড় বড় মানুষ আসে। তারা নানান কথা বলে। গ্রামের মূর্খ লোকজন তো এসব বড় বড় মানুষের খাতির করতে জানে না। তাই বিভুর ছোট চাচা বকতিয়ার সে দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়। গ্রামের লোকজনের কাছে তার কদর বাড়ে। ওরকম বড়বড় মানুষের সাথে কথা বলাতো চাট্টিখানি কথা নয়। গন্জের নেতারা তার হাতে টাকা দিয়ে একটি নির্বাচনী অফিস তৈরি করতে বলে। আর কিছু খরচ দিয়ে যায় মানুষ কে একটূ আধটু চা খাওয়ানোর জন্যে । ফলে নির্বাচনী অফিস ঘিরে লোকজনের কৌতুহল বাড়ে। কালুর বিক্রি বাড়ে। এমনিতে লোকজন তার দোকানে আসে ঠিকই কিন্তু চা খাওয়ার নামটি পর্যন্ত নেয় না।মাটিতে খুঁটি পুতে তার উপর পেরেক দিয়ে তক্তা বিছিয়ে যে চেয়ার-টেবিল বানিয়েছে তার উপর বসে খোশগল্প করে । কালুর অবশ্য খারাপ লাগে না।তারা না আসলে তার তো বসে বসে চায়ের কেটলি পাহারা দেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।সেও খোশগল্পে মেতে উঠে। মাঝখানে চায়ের অর্ডার পড়লে সে রং গরম করার জন্য আগুনে ফু দেয়।বকতিয়ার ও বেজায় খোশ মেজাজে ছিল। অফিসে মুখ গম্ভীর করে বসে আছে। এই সুযোগে যদি মান টা আর একটু বাড়ে ক্ষতি কি। পার্টি অফিসে বসেই মনুকে আর বিভুকে বাড়ির পথে যেতে দেখল। বিভুকে কাঁদতে দেখে বুঝল আজকেও পেন্সিল হারিয়েছে। তার ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। মনুকে হাঁকিয়ে দাঁড়াতে বলে চেয়ার হতে উঠে বিভুর কাছে দাঁড়িয়ে বলল , কি রে বিভু লজেন্স খাবি ? বিভু মাথা নেড়ে না বলল। কেন , খাবি না কেন ? বিভু কোন উত্তর দিল না । আচ্ছা ,তোর পেন্সিল এনে দিলে খাবি ? বিভু চাচ্চুর কথা বুঝল না। চাচ্চু কি আবার মনু দাদাকে পেন্সিল খুঁজতে পাঠাবে ।সে আগ্রহ নিয়ে তাকাল। বকতিয়ার পাশে হরমতের মুদির দোকান থেকে একটি কাগজ মোড়ানো লজেন্স নিয়ে তার হাতে দিয়ে বলল ,তুই এটা খা ,ততক্ষণে আমি তোর পেন্সিলের ব্যাবস্থা করছি। বলে দোকান থেকে একটা পেন্সিল কিনে ব্লেড দিয়ে কাটতে লাগল।বিভু আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে।এরকম একটা বুদ্ধি যে চাচ্চু বের করবে সে ভাবতেই পারেনি ।লজেন্স খাওয়ার কথা পর্যন্ত সে ভুলে গেল। কাটা শেষ হওয়ার পর চাচ্চু যখন তার হাতে পেন্সিল টা দিল তখন সে আবার হতাশ হল। বলল ,আমার পেন্সিল এটার সমান বড় ছিল না ,মা দেখল ঠিক বুঝতে পারবে। ভাইপোর বুদ্ধিতে বকতিয়ার চমৎকৃত হল। জিজ্ঞেস করল ,তোর টা কত বড় ছিল ? বিভু হাতের ইশারায় তার পেন্সিলের সাইজ দেখিয়ে দিল। বকতিয়ার এবার সেইমত কেটে ভাইপোকে পেন্সিল দিল।এবার বিভু খুশি হল। আনন্দে তার মুখ ঝলমল করছে। মনুকে বলল ,চল দাদা বাড়ি যাই। ভাইপোর এমন বাড়ি যাওয়ার ব্যগ্রতা দেখে বকতিয়ার বুঝতে পারল একটা গন্ডগোল বাঁধাবে। জিজ্ঞেস করল হ্যাঁ রে ,বাড়ি গিয়ে কি বলবি ,বিভু। বিভু বলল , কেন মাকে গিয়ে বলব আমি পেন্সিল হারাই নি ! মনু উচ্চ স্বরে হেসে উঠল ,বলল ,ঠাকুর ঘরে কে রে...আমি কলা খাইনি মা। বকতিয়ার হেসে বলল ,হ্যাঁ রে বিভু ওটা বললে তোর মা বুঝে ফেলবে না ? কেন ,বুঝবে কি করে ?এই যে আমার হাতে পেন্সিল ! বকতিয়ার ভাইপোকে কি বলবে বুঝতে না পেরে বলল ,তোর কিছু বলতে হবে না। অন্যদিন যেমন স্কুল থেকে ফিরিস তেমনি বাড়ি গিয়ে বই খাতা রেখে খেলতে চলে যাবি ।বুঝলি? বিভুর এবার কথাটা মনে ধরেছে। মাকে কিছু বলতে না হলে তো সে বেঁচে যায় ।বলল , মা কিছু জিজ্ঞেস করবে না তো ? কেন জিজ্ঞেস করবে ? তোর মা তো আর জানে না তুই পেন্সিল হারিয়েছিস। সত্যি মা জানে না ? বকতিয়ার বলল ,আচ্ছা ঝামেলায় পড়লাম তো দেখি! বিভুকে বলল ,না রে তোর মা সত্যি জানে না।বুঝলি ?তোর কিছু বলার দরকার নেই।বাড়িতে গিয়ে বই খাতা রেখে খেলতে চলে যাবি। বিভুর বিশ্বাস হতে চাইল না মা তার পেন্সিল হারানোর কথা জানে না। তবু ও মাথা নেড়ে সায় জানিয়ে বাড়ির পথে হাঁটতে লাগল। বকতিয়ার নিশ্চিতই বুঝতে পারল বিভু কোন না কোন গন্ডগোল বাঁধাবেই। উঠোনে এসে মনু বলল ,দাদা বাবু তুমি এই পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে বই-পত্তর রেখে খেলতে চলে যাও। অন্যদিন যেমন যাও আর কি ! বিভু চুপিচুপি তার পড়ার রুমে গিয়ে বই খাতা রেখে পেন্সিল রাখতে যাবে এমন সময় মা এসে ঢুকল। বিভু নিশ্চিতই জানত মা সব জানে।তবুও ডান হাতে পেন্সিল টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকল। বিভুর মা পরি মণি বিকেলে বাজার থেকে কি আনতে হবে তার লিষ্ট করতে কাগজ কলমের খোঁজে একান্ত মৃদু স্বরে গান গাইতে গাইতে বিভুর পড়ার ঘরে এসে কাগজ কলম নিয়ে বেরোতে যাবে তখন খেয়াল করল বিভু তখনও দাঁড়িয়ে আছে। ভাবলেন বিভু হয়ত কিছু বলবে। কি রে ,কিছু বলবি ? বিভু কিছু না বলে শক্ত হয়ে দাড়িয়ে রইল।তিনি বিরক্তি নিয়ে বললেন এভাবে আমার দিকে পেন্সিল উচিয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন ? বিভু বলল ,আমি পেন্সিল হারাইনি তো ! এই যে পেন্সিল । পরী মণির এবার খটকা লাগল। তিনি বললেন ,সত্যি করে বলতো কি হয়েছে ? বিভু যা যা হয়েছে সব সবিস্তারে বলে দিল। পরী মণি হাসবেন না কাঁদবেন বুঝতে না পেরে বললেন ,দূর হ সামনে থেকে ? বলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু বিভুকে অনড় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন , যাচ্ছিস্ না কেন ? বিভু বলল তুমি বকবে না ? মার খেতে চাস্ ? বিভু মাথা নেড়ে না বলল। পরী মণি হেসে বললেন , কোথায় খেলতে যাচ্ছিলি যা। বলে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলেন। বিভু যেন এতক্ষণ পর সত্যিকার স্বস্তি পেল।।
©somewhere in net ltd.