নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ৫ঃ সস্তা ভালোবাসা, বিকৃত মন মানসিকতা এবং প্রেম ভালোবাসার নামে নির্লজ্জতা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২



প্রেম, ভালোবাসা নামের এখনকার সম্পর্কগুলো আজকাল খুবই সস্তা, যেন হুটহাট করেই হয়ে যায়। যত্রতত্র প্রথম দেখা, মোবাইলে অপরিচিত কারও হঠাৎ মিস কল, ফেসবুকে কিংবা ম্যাসেঞ্জারে অপরিচিত মেসেজ, এইসব দেখেই শুরু হয়। যদিও পরে নিদারুণ বাস্তবতা, মানসিকতার দ্বন্দ্ব, সামাজিক ও পারিবারিক প্রেক্ষাপটের অশান্তি, অর্থনৈতিক সমস্যায় এইসব সর্ম্পক, ভালোবাসার ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে হলেও লেজ তুলে পালায়। কারণ আর যাই থাক, এতে কোন কমিটমেন্ট থাকে না। আর বিয়ের আগে সব উজাড় করে দেওয়া এইসব আধুনিকা’রাও জানে না আদৌ সেই ছেলেটির সাথেই সংসার পাততে পারবে কিনা? কিংবা এই ছেলেটিই পরে তাকে গ্রহন করবে কী? যদি তা না হয় তাহলে ওর ভবিষ্যত কী? পূর্ণিমার ঝকমকে চাঁদ নাকি ঘোর নিকষ অমাবস্যা?

এইসব ঠুনকো প্রেমের অনেক গল্পেরই পরের কাহিনী সবারই জানা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেগুলি পাওয়া যায় ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমো কিংবা কিছু রগরগে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে। ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পরে দূর থেকে দূরান্তে! এইসব মেয়েরা না চাইতেও বিভিন্ন নিষিদ্ধ সাইটে এ্যাড কিংবা নোংরা সব পোস্টের নায়িকা হয়ে যায়!

আজকাল মর্ডান জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা ফেসিয়াল টিস্যু পেপার চেন্জ করার মতো BF / GF চেন্জ করে। দুধ থেকে সরটা খেয়ে, ছেলেরা মোবাইল নম্বর চেঞ্জ করে ভাগে আর মেয়েরা যখন টের পায় তখন শুরু করে দিনরাত হাউমাউ করে কাঁদা। আর সেই ছেলেটা যদি নূন্যতম আইটি এক্সপার্টও হয়, তাহলে তো আরও চমৎকার! এক হাজার টাকার মোবাইলেও আজকাল HD ক্যামেরা পাওয়া যায়। “মজাই মজা” শেষ হয়ে গেলে এইসব হারামী ছেলেরা ব্যস্ত হয় পরে অন্যকোন মেয়ে নিয়ে আর সারাদেশের মানুষ ব্যাপক বিনোদনের ফ্রি ফ্রি সুযোগ পায় ইন্টারনেটে। মোবাইল কম্পানিগুলিতে ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন, মোবাইলের ডাটা প্যাকগুলি সব শেষ কী দেখে! আর কেন বা বা মধ্যরাতে মোবাইলগুলি অন্ধকারে জ্বল জ্বল করে?

১।
এসব মেয়েরা যে আজন্ম বেকুব তা তারা তাদের কার্যকলাপ দিয়েই প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে। সারাজীবন নিত্য নতুন স্ট্যাইলে সর্ট কাপড় পরে ঘুরে বেড়ানো এইসব মেয়েরা অল্প কিছুদিন পরেই দেখা যায় আপাদমস্তক নাক মুখ ঢেকে সবসময় বাইরে যেতে। লুকিয়ে চলাফেরা করার সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও যদি এইসব পরিস্থিত না সামলাতে পারে, তাহলে অবশেষে নিজের গলায় নিজেরই ওড়না পেঁচিয়ে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে শেষবারের মতো নিজেকে আস্ত বেকুব প্রমাণ দিয়ে দৈনিক সংবাদপত্রিকাগুলির প্রথম পাতায় রগরগে নিউজ হয়ে যায়।

এইসব বদের হাড্ডি ছেলেরা যদি জামা কাপড় বদলানোর মতো নিত্য নতুন নারী সঙ্গী বা আধুনিকা গার্লফ্রেন্ড পেয়ে যায় সবার অগোচরেই, তবে সে কেন একটা মেয়েকে মোহরানা দিয়ে সম্মানের সাথে ঘরে তুলে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে! এদের কাছে নারী যদি বিয়ে ছাড়া এতটাই সহজলভ্য হয়, তাহলে ঐ ছেলেদের কী দরকার বিয়ে নামের সারাজীবনের রেস্পনন্সিবিলিটির ঝামেলায় নিজেকে জড়ানোর! মোহরানা টাকা দেয়ার নামে উটকো ঝামেলায় জড়ানোর? নিকাহ আরবি শব্দ এর একটা অর্থ হয় ইহসান করা, আরেকটা অর্থ হয় সুরক্ষিত দুর্গ নির্মাণ। বিয়ে সেই দুর্গ বলেই হয়তো ইসলামে বিয়ের আরবি প্রতি শব্দটা নিকাহ। আর এই ইহসান থেকেই সূচনা হয় অধিকারবোধ এবং অধিকার আদায়ের।

এইসব মেয়েদের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করেঃ
# মেয়ে, যখন ছেলেবন্ধু তোমার কাছে তোমার হট পিক চায় তখন কী মনে থাকে না কাকে কী জিনিস দিতে যাচ্ছো? এর ভবিষ্যৎ পরিনতি কী হতে পারে? শেষ পর্যন্ত সেগুলি কোথায় জায়গা করে নেবে?
# মেয়ে, যখন তোমার ছেলেবন্ধুর সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্জনে একাকী সময় কাটাও, তখন কী একবারের জন্যও মনে থাকে না তুমি নিজের সম্মান কোথায় নামিয়ে এভাবে নিজেকে এভাবে উন্মুক্ত করছো?
# মেয়ে, যখন তোমার ছেলেবন্ধু তোমার জামার ভিতর ইচ্ছেমতো হাত দেয় তখন কী মনে থাকে না কার সম্পদ তুমি কাকে যথেচ্ছা ব্যবহার করতে দিচ্ছো?
# মেয়ে, যখন তোমার ছেলেবন্ধুর সাথে অমুকের/তমুকের ফ্ল্যাটে গিয়ে দুইটা দেহ এক করে শুয়ে থাকো, তখন কী একবারের জন্যও মনে হয় না এত নাম মাত্র মূল্যেই নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছো?

হয়তো শেষ পর্যন্ত এই ছেলেবন্ধুর সাথে তোমার বিয়ে হলোই না, অনেক কারনেই সেটা নাও হতে পারে। তখন কেন আবার সমস্ত অপবাদ ইনিয়ে বিনিয়ে ছেলেটাকে দিচ্ছো? থানায় যেয়ে কেস দাও, সাংবাদিকদের কাছে যেয়ে কান্নাকাটি করো? ছেলেটা নির্দোষ অবশ্যই নয়, প্রশ্নই উঠে না, কিন্তু তুমি সুযোগ না দিলে এইসব কী হতে পারত? “মজাই মজা” কী শুধু ছেলেটা পেয়েছে, তুমি পাওনি? না পেলে, কী জন্য এভাবে নিজের শরীর বিনামূল্যে দিনের পর দিন বিলিয়ে দিয়ে এসেছ? ছেলেটা যেমন একটু সুখের জন্য তোমাকে চেয়েছে, ঠিক তেমনি তুমিও তো চেয়েছো সে সুখের ভাগীদার হতে। এটা কী ভুল কিছু? আর সেই সুখের ভাগীদার হতে, খুব সহজে নিজেকে শিয়াল কুকুরের মতো জানোয়ারগুলির খাবার বানালে নিজেকে? আরে, নিজের ভালো তো একটা পাগলেও বুঝে!

কখনও কী একবারও ভেবে দেখেছ, যাকে সবকিছু “চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিব” ভেবে দিয়ে দিলে, তার সাথে যদি তোমার বিয়ে না হয়, তখন ভবিষ্যতে পরের জনকে কী উত্তর দিবে? গভীর আবেগে ভেসে যেয়ে যেসব HD ভিডিওতে পোজ দেও, শেষ পর্যন্ত সেগুলি কোথায় জায়গা করে নেবে? আমরা ঢেকে রাখা খাদ্যদ্রব্য সব সময় নিরাপদ মনে করি। কারণ তার ভিতরটা জীবাণুমুক্ত থাকে। আর খোলা জিনিসে মশা, মাছি আর পোকামাকড় এসে ভীড় করে।
# নিজেকে এভাবে উন্মুক্ত করে মশা মাছির খাবার হতে কী এতই ভালো লাগে?

এত্ত বড় ভালোবাসা, যেই ভালোবাসার স্ট্যাটাস ফেসবুকে দিতে দিতে আংগুল পর্যন্ত ব্যথা করে ফেলতে, সুপার এফএনএফে কথা বলতে বলতে সারারাত কাটিয়ে দিতে, সেই সুপার ডুপার ভালোবাসা দিয়ে যাকে বেঁধে রাখতে পারনি-
# ছোট্ট একটা শরীর দিয়ে কীভাবে সেটা সম্ভব?

ঈদের চাঁদ দেখলে আমরা যতটা খুশি হই, ততটা খুশি ঈদের দিনেও হই না। কারন ঈদের দিন মানে ঈদ শেষ, কীন্তু আর চাঁদ দেখা মানে কাল ঈদ। পার্থক্যটা কী আর ভেঙ্গে বললাম না!
# যে তোমার সাথে বিয়ের আগেই তোমার সবকিছু পেয়ে গেছে, তার আবার কী দরকার তোমাকে বিয়ে করার?

দোকানে ঢুকে কিছু কিনতে চাইলে সবাই দোকানে মেলে দেয়া স্যাম্পলটা বেশ নেড়েচেড়ে ভালোভাবে দেখে নেয়, কেনার সময় কিন্তু নেয় শোকেসের ভিতরের প্রোডাক্টের ইন্ট্যাক্ট প্যাকেট। আজকালের এইসব মেয়েদের কান্ডকারখানা দেখলে মনে হয় সবাই যেন ইন্ট্যাক্ট প্যাকেট থেকে বের হয়ে এসে প্রকাশ্যে মেলে দেয়া স্যাম্পল হবার প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে....

মধু খাওয়া শিখিয়ে, ভ্রমরের ডানা গজিয়ে দিয়ে, এই সব মেয়েরা আশা করে, ভ্রমর এক ফুলেই, এক স্বাদের মধু খেয়েই সন্তুষ্ট থাকবে….…হায়, কী বিচিত্র এদের আশা!

২।
জঘন্য পাপি এইসব ছেলেগুলি কিন্তু এলিয়েন নয়, ধুমকেতু কিংবা উল্কায় চড়ে আমাদের মাঝে এসে উদয় হয় নি। এরা আমাদের নষ্ট সমাজেরই বাই-প্রোডাক্ট। দিনের পর দিন, বাবা’মা নামের কিছু কুলাঙ্গার মানুষের প্রশয় পেয়েই আজ এতদূর এসে পৌছিয়েছে। অবাক হবার কিছু নেই। মাটিতে যেই চারা লাগাবেন গাছে তো সেই ফলই হবে। এইসব ছেলেরা একদিনে হুট করেই এত বড় বেয়াদপ হয় নি। অনেক বাবামা'র কাছে এটাই স্মার্টনেস, এটাই সোসাল স্ট্যাটাস, যেয়ে দেখুন গর্ব করে সবার কাছে বলে বেড়ায়! এইসব বেজন্মা ছেলেদের কাছে প্রেম ভালোবাসা হচ্ছে 'খাই খাই' খেলা। খাওয়া দাওয়া শেষ তো খেলাও শেষ। আর যদি বাপের সেইরকম পাত্তি থাকে, তো এদের আর পায় কে?

এইসব ছেলেদের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করেঃ
# ছেলে, এইভাবে যে এক একটা মেয়ে’কে নষ্ট করে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছ, তোমার বোনও তো এইভাবেই ভিক্টিম হতে পারে! নিজের বোনের এই অসহায় অবস্থার কথা কী কখনও চিন্তা করেছ?
# ছেলে, এইভাবে প্রেমের নামে একটা মেয়ের সতীত্ব নষ্ট করে দিচ্ছ, কীভাবে তুমি নিশ্চিত হবে একদিন যখন তুমি বিয়ে করবে, কেমন লাগবে যখন দেখবে তোমার স্ত্রীও তো এইরকম একটা ভিক্টিম? তখন ?
# ছেলে, “মজাই মজা” শেষ হবার পর যখন HD মুভি ক্লীপগুলি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছ, তখন আরেকটা ছেলে যে তোমার মতই তোমার বোনের বা কোন রিলেটিভের সাথে একই কাজ করছে না কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছো?
# ছেলে, এইসব অসহায় মেয়েদের বোবা কান্না তোমাকে স্পর্শ না করলেও যখন হুট করে একদিন বাসায় ফিরে দেখবে তোমার বোন বা রিলেটিভ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে, তখন কী নিজের বাবা মা’র বোবা কান্না তোমাকে স্পর্শ করবে?

এইসব ছেলেরা ভুলে যায় এই পৃথিবীতে সব পাপেরই একদিন শাস্তি পেতে হয়। এরা মনে করে এই সব ফূর্তিফার্তা করে নিশ্চিন্তে সারাজীবন পার করে দিতে পারবে। এই জঘন্য পাপের শাস্তি কী শুধু এদের উপরই আসবে? পরবর্তিতে এদের নিজের পরিবারের অন্যকারও উপরও হতে পারে না?

৩।
এইযুগের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে ভালোবাসা জিনিসটাকে ভয়ংকর নোংরামিতে পরিণত করে ফেলেছে। ভালোবাসার মধ্যে সেক্স ঢুকিয়ে একে নোংরা আর কর্দজ বানিয়ে ফেলেছে। এদের কাছে ভালোবাসা অর্থই হলো পার্কের আড়ালে নোংরামি করা, ফোনে সেক্স চ্যাট করা আর অমুকের ফ্ল্যাটে গিয়ে নিজেদের শরীরে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা। প্রেম আজ আর পবিত্র নেই। সাহিত্যে লেখা প্ল্যাটনিক প্রেম এইদেশে অনেক আগেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এখন কার ছেলেমেয়েরা এটার নতুন একটা ভার্শন বের করেছে, যেটা শুধুই ডেটিং, সেক্স, কীস, চ্যাট সেক্স, ফোনসেক্স আর বিভিন্ন ফ্ল্যাটের মাঝে সীমাবদ্ধ। কিছু কিছু প্লেগার্ল দেখা যায় তারা ফোনসেক্স বা লিভ টুগেদারের ক্ষেত্রে ছেলেদের চাইতে এগিয়ে এগ্রেসিভ। নামমাত্র প্রেম করে দুইদিনের মাথায় অমুক, তমুখ, সন্তু, রিন্টুর ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে সেক্স আদান প্রদানই এইযুগের ছেলেমেয়ের কাছে অত্যাধুনিক ফ্যাশন, ভালোবাসার নতুন দেয়া ডেফিনেশন আর এক্সাম্পল। লিভ টুগেদার, আর সেক্স করতে রাজি না হলে খ্যাত আখ্যা দিয়ে সাথে সাথেই ব্রেক-আপ। এদের ভালবাসায় এখন নেই কোন আন্তরিকতা, বিশ্বাস ও হৃদয়ের টান। সোসাল মিডিয়াতেই মাত্র কয়েকদিন আগে লিভ টুগেদার বিষয়ক এক পোস্টে একটা মেয়ের কমেন্ট পরে মাথা ঘুরে গেল - "প্রেম করলে বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স হতেই পারে, এটা ব্যভিচার কীভাবে হবে”? আর তাকে সমর্থন করে আরও কিছু মেয়ের কমেন্ট আর দিলাম না। এইসব কমেন্টই প্রমাণ করে ওভারস্মার্ট আর আধুনিকতার নামে এইসব মেয়েরা দামি গিফটের বিনিময়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে যেয়ে রুমডেটে সেক্স করে, তাকে স্যাটিসফাই করে নিজের জীবন'কে ধন্য করে।

পরিশেষঃ
এই উন্মাদনা, অশ্লীলতা ও নোংরামি কেন? যুবক যুবতিরা কেনই বা এভাবে উচ্ছনে যাচ্ছে? উত্তর, একেবারেই পরিষ্কার। যে জাতি ধর্ম থেকে যতো দূরে থাকবে বা ধর্মকে একেবারেই পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করবে এবং অহেতুক কথিত আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ধর্মীয় জীবনযাপনকে তুচ্ছ ও সেকেলে বলে জানবে, সে জাতির এভাবে নৈতিক পদস্খলন, সর্বশেষে জাতীয় পদস্খলন অনিবার্য। ইউরোপ আর আমেরিকা এ বিষফল ভোগ করতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। সেখানে এখন পারিবারিক বন্ধন নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নেই বিশ্বাস ও আস্থা। পিতামাতা সন্তানকে এবং সন্তানও পিতামাতাকে বিশ্বাস করে না।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেছিলেন, ‘কোনো দেশকে যদি ধ্বংস করতে হয় তাহলে সেদেশের যুবক-যুবতিদের মধ্যে অশ্লীলতা ও নোংরামি ছড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট।’ তাঁর এ কথার যথার্থতা আজ আমরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছি। আজ আমরা নৈতিকতার দিক দিয়ে চরমভাবে ধ্বংসের মুখে। বিভিন্ন দিবসে, অনুষ্ঠানে, কনসার্টে সহ বিভিন্ন জায়গায় যুবক-যুবতিদের নির্লজ্জ উন্মাদনা ও বেহায়াপনা আমাদের দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করছে।

ক্ষয়িষ্ণু এই সমাজের যে ভয়ংকর অবক্ষয়ের চিত্র উপরে তুলে ধরলাম তা হয়তো অনেকেই জানেন। সবারই চোখের সামনে এইসব ঘটনাগুলি ঘটছে, কিন্তু আপনি গভীরভাবে ভাবছেন না। বিবেকের দরজা খুলে আপনি উপলব্ধি করছেন না। আসলে একটি সমাজ যখন অবক্ষয়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হয় তখনই, যখন সমাজের মানুষগুলোর বিবেকের সামনে মোটা কালো পর্দা ঝুলে যায়। একসময়ের বিবেকবান মানুষগুলো ধীরে ধীরে বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়। এই সমাজ ও এই প্রজন্ম আমার, আপনার। ডিশের লাইনে যা দেখেন সেটা সত্য নয়। এই দেহজ প্রেমের নামে নোংরামি ও কদর্যতায় পুরো সমাজ যখন সয়লাব হয়ে যাবে, পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে যাবে, তখন আপনার ভবিষ্যত প্রজন্ম কী মুক্ত থাকতে পারবে?

কবি ফররুখ আহমেদ বলেছিলেন, “রাত পোহাবার কত দেরী, পাঞ্জেরী?”
কবি’কে বলতে ইচ্ছে করছে, রাত আর পোহাবে না পাঞ্জেরী যদি আমরা না জাগি।
এই দেশে কোনদিনও হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো কেউ আসবে না,
যত দিন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ভালো না হচ্ছি।



সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২০

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
২ নং প্যারাটা খুবই চমৎকার।

একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আছি। ইদানিং আড্ডারত ছেলেদের দেখেছেন ? ভার্সিটিতে পড়ুয়া , কলেজ পড়ুয়া শিক্ষিত (!) ছেলেরা , আড্ডার মাঝে হুট্ হুট্ মাকে তুলে গালাগালি করে কথায় কথায় ! যার মাকে গালি দেয়া হচ্ছে সেও চুপচাপ শুনছে.... এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় ! ওই ছেলেটার কি একটু খারাপ লাগে না। এরা আসলে নিজেরাই একে ওপরের মা কে গালি দিচ্ছে, কি আশ্চর্য ! করো একটু সম্মানবোধ নেই ! এদের আবার অন্য মেয়ের উপর সম্মানবোধ থাকবে কি ভাবে ?

আপনার সুন্দর এই পোস্টে ভালো লাগা রইলো। ++

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আর যাই হোক, শিষ্টাচার এবং মুখের ভাষা সবাই বাসা থেকেই শিখে আসে। নিজের পরিবারে যদি এই ভাষা ব্যবহার করে তাহলে আপনি আমি আর কী বলবো বলুন? এর জন্য আমি এর পরিবার'কে আর সঙ্গ'কে দায়ী করবো। একদিনে কোন ছেলে বা মেয়ে খারাপ হয় না।
ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বেশ অভিজ্ঞ লোক দেখছি !!!
আমি এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের বুঝি না। তারা যেন কেমন!!
ওদের সাথে আমার বনেনা। মিলে না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমি অভিজ্ঞ নই তবে এদের নির্লজ্জ কাজকাম দেখে দেখে চরম বিরক্ত হয়ে গেছি।
ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সব জায়গায় ঘুরতেও যাওয়া যায় না এইসব বেহায়াদের ভয়ে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ভাই,
আর যাই হোক, শিষ্টাচার এবং মুখের ভাষা সবাই বাসা থেকেই শিখে আসে। নিজের পরিবারে যদি এই ভাষা ব্যবহার করে তাহলে আপনি আমি আর কী বলবো বলুন? এর জন্য আমি এর পরিবার'কে আর সঙ্গ'কে দায়ী করবো। একদিনে কোন ছেলে বা মেয়ে খারাপ হয় না।



লেখক বলেছেন: ভাই,
আর যাই হোক, শিষ্টাচার এবং মুখের ভাষা সবাই বাসা থেকেই শিখে আসে। নিজের পরিবারে যদি এই ভাষা ব্যবহার করে তাহলে আপনি আমি আর কী বলবো বলুন? এর জন্য আমি এর পরিবার'কে আর সঙ্গ'কে দায়ী করবো। একদিনে কোন ছেলে বা মেয়ে খারাপ হয় না।


শৈশবের রাশিয়ান বইয়ের কয়েক লাইন ---

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: যেটা সত্য সেটা সব দেশে, সব ভাষায় লেখা থাকে। শুধু আমরা স্বার্থের জন্য এড়িয়ে চলি।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সবই আমার মনের কথা ভাইয়া
আজকাল কার পোষাক দেখলে লজ্জায় বাঁচি না। এমনকি এখন পড়াশুনা শেষে মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে এসেও সেটাকে ভার্সিটি বানিয়ে ফেলতে চায়। আমার চোখের সামনে দিয়ে কয়েকটা মেয়ে নতুন জয়েন করেছে, ওড়না গলায় ঝুলিয়ে রাখে বুকে আসলেই ইচ্ছে করেই সরিয়ে নেয় বুক হতে, ওড়নাটা দু ডানার কাছে নিয়ে যায় ছি ছি। আমি থু থু দেই মনে মনে অথচ কত শত পুরুষের মাঝখানে আমাদের কাজ করতে হয়। এদের নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না।

কী হবে এসব দেখিয়ে আমি বুঝি না। বাইরের কথা আর কী বলবো , এত উচ্ছৃংখল ভাবে প্রেম করে এরা । গত ভ্যালেন্টাইন ডেতে আমাদের গলিতে যা সব দেখলাম, শেষে দুটো ছেলেমেয়েকে ধমক দিয়েছি, উল্টো গলায় হাত পেচিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেলো ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আপু আমিও এই সব নির্লজ্জ জঘন্য আচার আচরণ দেখে চরম বিরক্ত। ছোট ২ টা ছেলে নিয়ে কী এ বিপদে আছি? ঘুরতে গেলে কোথাও আগে দেখে নিতে হয় চারপাশ। চিড়িয়াখানায় সেদিন যেয়ে দেখি বেডরুম বানিয়ে ফেলেছে।
কাহাতক আর কতদিন এইসব বেহায়াপণা সহ্য করা যায়?

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দেশে আসলে অগ্রসর হচ্ছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: দেশ কতটুকু আর কোনদিকে আগাচ্ছে জানি না। তবে দেশে আসলে ডাস্টবিনে আর ময়লার মধ্যে সদ্যজাত নবজাতক যখন মৃত কিংবা অর্ধমৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখবেন, তখন বুঝবেন দেশ এখন কোন দিকে যাচ্ছে।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: বিষয়টি একবার যথাযথ উপস্থাপন , সমাজ কে জানাতে হবে , আমি আপনার সাথে সহমত,

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: মুসা ভাই,
আজকাল দেশে যে কী অবস্থা চিন্তাও করা যায় না। আমরা মুসলিম না অন্যকিছু সেটাও বুঝি না। মানুষের বিশেষ করে মেয়েদের পোষাক দেখলে লজ্জায় মাথা নীচু করে চলতে হয়। আশে পাশের বিভিন্ন ঘটনা শুনলে গল্প সিনেমা মনে হয়। গোটা সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ আমি কেন সবারই এখন জোরেসোরে করা উচিৎ।
ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: নীল ভাই, আজকে আপনার পোষ্টের সাথে কিছু দ্বিমত পোষন করি। আপনি আপনার পোষ্টে মোটামুটি ছেলেদের এক হাত নিছেন, অবশ্য অল্প কিছু জায়গায় মেয়েদেরও দিছেন কিন্তু তুলনামূলক ভাবে ছেলেদের বেশী দায়ি করছেন, এক্ষেত্রে আমি ছেলে মেয়ে উভয়কেই দায়ী করব।

মেয়েদের ড্রেস দেখছেন? তাদের চাল চলন হাব ভাব দেখছেন? তাদের ধারনা তাদের দিকে কোন ছেলে ফিরে না তাকালে তার মেয়ে জনম বৃথা। যা পশ্চিমা সমাজে চলে।

এর শুরুটা কিন্তু আপনি টানেন নি ভাই, সেগুলো নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েন, যে দিন থেকে এই দেশে ভারতীয় সাংস্কৃতি (মুলতঃ বোম্বাই সাংস্কৃতি) উদার আকাশনীতির কারনে ঢুকে পড়ছে সেদিন থেকে আমাদেরও কালচারাল অবক্ষয় শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে ৩ টা বিয়েতে না পেরেও এ্যাটেন্ড করতে হয়েছে তাও না গেলে না, আমি অনেক দিন বিয়ে শাদীতে যাই না, (অনেকটা নিজের আত্মীয় স্বজনের কারনে) লজ্জার ব্যাপার কি বলব (যেহেতু নিজের আত্মীয় স্বজন) গায়ে হলুদে দল বেধে ছেলে মেয়েরা হিন্দী গানের সাথে নাচল (এর জন্য অনেক দিন রিহার্সাল ও নাকি দিছে), পরে বর কনেও তাই। বিয়েতে আবার বল ড্যান্স হল। আমি হতভম্ভ! জামা কাপড় বলিউডি। (এনিয়ে পোষ্ট দেব)

সেক্সটা এখন আর কোন বিষয়ই না মনে হয়, সিরিয়ালের কল্যানে পরকীয়াও জায়েজ হয়ে গেছে, আল্লাহ আল্লাহ করে চোখ বুজতে পারলে বাচি।

যাই হোক দারুন বিষয় বস্তু কিন্তু এটাই এখন স্বাভাবিক অন্তত নিজের আশেপাশে দেখছি, দোষ কাকে দেব?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: শের ভাই,
আমার অবস্থা আপনার চেয়েও কোন অংশে ভালো না। গতবছর খুব কাছের এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে সবগুলি প্রোগ্রামেই অংশ গ্রহন করতে হয়েছে। একটু পর পর মনে হচ্ছিল এটা কী বাংলাদেশ? আমরা কী মুসলমান? আজকাল কেউ কী আসলেই ধর্ম মানে?

মেয়েদের ড্রেস দেখছেন? তাদের চাল চলন হাব ভাব দেখছেন? - এদের পোশাক আশাক দেখলে আমার সাথে সাথেই ফুলের বাগানে বেড়া দেয়ার কথা মনে পড়ে। মা আর মেয়ে একসাথে যখন পার্লার থেকে বের হয়, নাউজুবিল্লাহ কোনটা কে চিনবেন না। এখন শীতকাল চলছে তাইনা? এখন কোন অনুষ্ঠানে যেয়ে দেখুন মেয়েরা কী ড্রেস পরে আসে?

আল্লাহ নিশ্চয় এই জামানায় পুরুষদের চোখের জিনার পাপ অনেকাংশেই মাফ করে দিবেন।

ছেলে মেয়ে আমি কাউকেই কম বলি নি। সব গুলিই বেজন্মা, এদের চালচলন দেখলে ইচ্ছে করে নিজের হাতে একটা..... তুলে নিয়ে একবারে সব আগাছা পরিষ্কার করে ফেলি।

ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। এটা সিরিজ হবে। সব ধরনের পাপাচারের বিরুদ্ধেই লিখবো। পোষাক নিয়ে আপনার কথাতো একটা পর্ব অবশ্যই দিবো।
শুভ কামনা রইলো।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরো ব্যপারটাই হচ্ছে মূল্যবোধের অবক্ষয়। এর জন্য পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই মুলত দায়ী। পিতা মাতা যদি নিজেরা মুল্যবোধ ধারন না করে তবে ছেলেমেয়েদের তাদের কাছ থেকে ভাল কোন শিক্ষা পাওয়া সম্ভব না। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও প্রয়োজন মুল্যবোধের শিক্ষা ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যেটার চল আজকাল একেবারেই উঠে গেছে। আমাদের সময়ে স্কুল কলেজে টিচাররা ক্লাস লেকচারের ফাকে ফাকে ভাল দৃষ্টান্তের গল্প শোনাতেন যাতে ছাত্রছাত্রীরা তাতে উদ্বুদ্ধ হয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
খুব দারুন একটা মন্তব্য করেছেন। তবে আমার মতে পারিবারিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তবে এখনকার শিক্ষকরা বেশিরভাগই ব্যবসায়ী বনে গেছেন। এদের দায় ও কম নয়।

মনোবিজ্ঞানী মোহিত কামাল জানান, সমাজে কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেন না। মানুষ অপরাধী হয়ে ওঠে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে। বেশিরভাগ সময়ে সে পরিবেশ তার কাছের মানুষরাই তৈরি করে দেয়।

কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এসব ভালোবাসাবাসির সংজ্ঞা বদলে গেছে। বহু প্রেমে জড়াচ্ছেন অনেকেই। তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশ একাধিক প্রেমে আসক্ত। আর বর্তমানে প্রেম মানেই অবাধে যৌন মেলামেশা। এই অবাধ যৌনাচার পরবর্তী সংসার জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কিন্তু এই বহুগামিতার ফলাফল আসলে ভালো নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম যুগান্তরকে বলেন, আমাদের সমাজে বিচ্ছেদের বিষয়টি আদিকাল থেকেই আছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই হার অনেকটাই বেড়ে গেছে। আগে যখন কোনো বিয়ে হতো সেই সম্পর্কের দায়ভার দুই পরিবারসহ অভিভাবকরা নিত। বর্তমানে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের অনেক মাধ্যম হয়েছে ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা নিজেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পরিবার এসব বিয়েতে সম্মতি দিলেও দায়ভার নিচ্ছে না। ফলে পারিবারিক অশান্তি বা স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে মুখোমুখি দাঁড় করাতে হচ্ছে ছেলেমেয়েকে। এসবের কারণে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পারিবারিক অনুশাসন মানার প্রবণতা কমে যাচ্ছে।

বর্তমানে একটি পরিচিত শব্দ লিভ টুগেদার। দু’জন অবিবাহিত নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী না হয়েও একসঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে থাকাটাই লিভ টুগেদার। এ ধরনের সংস্কৃতি মূলত বাইরের দেশেই প্রচলিত। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতেও এই ধরনের অনৈতিক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে এ ধরনের সম্পর্কে। এতে করে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যাচেলরদের বাড়িভাড়া না পাওয়া, অর্থ সংকট এবং জৈবিক চাহিদার কারণে এ ধরনের অনৈতিক কাজে উৎসাহী হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের লিভ টুগেদার। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতি এক ধরনের অন্ধ আবেগ ও অনুকরণের পাশাপাশি জৈবিক চাহিদার কারণে তারা লিভ টুগেদার করছেন। আবার ঘন ঘন বিচ্ছেদও ঘটছে। সহসা আলাদা হয়ে যাচ্ছেন তারা। ঘটছে খুনের মতো অপরাধ। আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবালাইজেশনের প্রভাবে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা-ডকুমেন্টারি ও নীল ছবি আমাদের সমাজমানসে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে, অনেকে সেটা গ্রহণ করছেন। সেই সঙ্গে সমাজে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের চিন্তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেও লিভ টুগেদারের হার বাড়ছে। আবার অনেক ছেলেমেয়ে মনে করছে লিভ টুগেদার করে কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তারা আবার অবিবাহিত পরিচয়ে সমাজে ফিরে যাবে, যাতে সমাজে তাদের মর্যাদা ঠিক থাকে। লিভ টুগেদারের কারণে সমাজে এক ধরনের অপরাধপ্রবণতা তৈরি হচ্ছে, কোনো কারণে বনিবনা না হলে খুন হয়ে যাচ্ছে মেয়ে বা ছেলেটি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পর্কের টানাপড়েন ও আবেগজনিত কারণে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ।

পারিবারিক সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক অনুশাসনের প্রতিও জোর দিতে হবে। সন্তানদের প্রতি যদি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া যায় এবং তারা কী করছে, কোথায় সময় কাটাচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়, তাহলে হয়তো সামাজিক অপরাধের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয় থেকে মুক্তি পেতে পারিবারিক বন্ধন জোরদারের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে প্রতিটি পরিবারের অভিভাবককে সন্তানের বিষয়ে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।

ধন্যবাদ এবং আমি আশা করবো এই সিরিজের প্রতিটা লেখায় সাথে আপনি আপনার সুচিন্তিত মতামত দিবেন।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাহা বলিয়াছেন, সত্য বলিয়াছেন। তবে, কেউ কেউ এখন এসে বলবে.....সব দোষ মেয়েদের, না!! বোরখা পরে ঘুরলেও তো মেয়েরা বিপদে পড়ে.....ইত্যাদি ইত্যাদি।

এখন কেউ যদি বাড়ির দরজা খোলা রেখে ঘুমায়, আর রাতে চোর আসে...তাহলে দোষ কার? চোরের নাকি গৃহকর্তার? চোর সুযোগমত তার কাজ করেছে, গৃহকর্তা কি তার কাজ ঠিকভাবে করেছে?? =p~

দেশে থাকা মেয়েদের বোঝা উচিত, দেশে অনেক মানুষরুপী পশু ঘুরে বেড়ায়....এটাই বাস্তবতা। এখন তারা যদি সাবধান না হয়ে সমাজের দোষ দেয়, বাস্তবতাকে অস্বীকার করে.....তাহলে কি বলার আছে?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
দেরি করে ফিরলাম কারণ আমি কিছু জিনিস এখানে বলতে চাই।
বেশ কিছুদিন ধরেই নিউজপেপার গুলিতে এক ধরনের ধর্ষনের মামলা আসে। ঘুরে ফিরে একই ঘটনা। প্রেমের সর্ম্পক, কিছুদিন শরীর নিয়ে আনন্দফুর্তি, তারপর ছেলে মাখন খেয়ে ভাগে, বিয়ে করতে চায় না (এই চরিত্রের মেয়ে'কে কোন ছেলে বিয়ে করবে যে চাওয়ার আগেই কাপড় খুলে শুয়ে পরে?), এরপর যথারীতি বিয়ের জন্য চাপ, মেয়ে প্রেগনেন্ট। কাপড় খুলার সময় তখন এই মেয়েদের খেয়াল থাকে না যে কী হতে পারে? বিশ্বাস করুন এই বেহায়ারা প্রোটেকশন পর্যন্ত নেয় না। পেট বেধে গেলে তখন শুরু হয় নাকি কান্না। ছেলেরা খারাপ, চরিত্র ভাল না, আমার সবকিছু লুটেপুটে নিয়েছে। বেহায়াগুলির শরীর নিয়ে ফুর্তি করার সময় এইসব খেয়াল ছিল না? তখন আক্কেলজ্ঞান কোথায় ছিল? এদের বাপ মা গুলিকে আগে পেটানো দরকার। মেয়ে কোন জায়গায় যেয়ে কার সাথে শুয়ে পরে খোজ খবর রাখে না কেন?
আমার মতে এইসব কেসে কোন ধর্ষন মামলা গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
সিরিয়াল ধরে কয়েকটা কেস ফিরিয়ে দিলে সবার টনক নড়ে যাবে।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রামে গ্রামে ইয়াবা সর্দার হলো ক্ষমতাবান । কথা বললে বাশঁ দিবে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: একজন প্রতিবাদ করলে বাশ দিবে কিন্তু সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুললে এরা পালাবে। এই সব নষ্টামী বিরুদ্ধে গনজাগরণ দরকার।

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্টে আয়াত টায়াত দেখছি না, এই ব্যাপারে কোন আয়াত টা্যাত নাজিল হয়নি?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব আয়াত টায়াত তো আপনার নেত্রী উনার সাগরেদ মাঝে নিয়মিত বিতরণ করেন।
এতদিন ধরে নির্লজ্জ দালালী করে এইগুলির উচ্ছিষ্টও কিছু জোটে নি?
এত দিন ধরে বেহুদাই ফাও ফাও প্যাঁচাল পেড়ে যাচ্ছেন?

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কিছু মেয়ের টার্গেট থাকে বড়লোকের ছেলে পটানো।এজন্য লিটনের ফ্ল্যাটে যেতেও তাদের আপত্তি নেই।যেটা সে হারালো সেটা বিনিয়োগ। আর কিছু পেতে হলে কিছু তো হারাতেই হয়।ছেলেটাকিও তার পিছে কম খরচ করেছে,কম টাকা হারিয়েছে?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: সবাই এখন ইনভেস্টমেন্ট আর রিটার্ণ নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু হিসাব যখন মেলে না, ক্যাপিটাল যখন শেয়ার বাজারের মতো লোপাট হয়ে যায় তখন টনক নড়ে। আর এর ফলাফলই হলো HD movie ক্লীপস।
ধন্যবাদ পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি অভিজ্ঞ নই তবে এদের নির্লজ্জ কাজকাম দেখে দেখে চরম বিরক্ত হয়ে গেছি।
ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সব জায়গায় ঘুরতেও যাওয়া যায় না এইসব বেহায়াদের ভয়ে।

ঠিক বলেছেন।
রমনা পার্ক, বদলা গার্ডেন, বোটানিকেল গার্ডেন, ধানমন্ডি লেক এমন কি ফাস্ট ফুডের দোকান গুলো পর্যন্ত ওদের দখলে। শুধু তা না রিকশার মধ্যেও।
আরে ভাই প্রেম তো আমিও করেছি স্বছ পবিত্র প্রেম। এযুগের ছেলে মেয়েরা নষ্ট হয়ে গেছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: এদের বেহায়াপণা আর নির্লজ্জা দেখলে কুকুর বেড়াল পর্যন্ত লজ্জা পাবে।
এতটাই ডেস্পারেট এদের আচরণ যে আশেপাশের মানুষদেরও কেয়ার করে না।
এদের বাপ মা গুলিকে আগে পানিশমেন্ট দেয়া দরকার।

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২

অখ্যাত নবাব বলেছেন: আমি এক ভাইকে চিনি!
যিনি কিনা এদেশে নারীদের স্বাধীনতা কায়েম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটে বেশ আন্দোলন করে। তাছাড়াও, সে খুব সাংস্কৃতিকমনা, দেশের সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে বেশ লেখালেখি করে।
কিন্তু সমস্যা হলো, সে মেয়েদের সাথে ফোন সেক্স করে, রাতে পর্ণোগ্রাফি ভিডিও দেখে! এবং সে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে রিলেশনে জড়িয়ে অবৈধ সম্পর্ক কে খুব উপভোগ করে।

তো এই লেখায় "চাঁদ গাজী" নামে একজন ব্লগারের একটি মন্তব্য দেখে ভাবলাম! ওনার মেয়ের সাথে যদি উপরের ভাইটা কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে শেষে মেয়েটাকে ধোকা দিয়ে উধাও হয়ে যায় তাহলে ওনার কি অবস্থা হবে?

===
===
বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণে যাচ্ছে। এই সংস্কৃতি কোন পরিবার নাই! পশ্চিমাদের কে তাদের মা-বাবা একটা সময় তারা সেটা ভুলে যায়! তাদের কোন-সংসার নাই। আছে বিশাল অট্রোলিকা এবং টাকা-পয়সা।
তারা ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা একসাথে মদ পান করে। নাইট পার্টিতে নাচ-গান করে। অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে যার তার সাথে। সেখানে মেয়েদের কোন মূল্য নেই। কেননা, যখন যার যে মেয়েকে প্রয়োজন, তাকে ডেকে নিয়েই খাটে পড়ে যায়। কাজ শেষ তার তখন আর মূল্য নেই। তাড়িয়ে দিতে চায়!।
তো "চাঁদ গাজী' সাহেব হয়তো এসব সভ্যতাই অভ্যস্ত। তাই তিনি উক্ত পোস্টের বিরোধী এবং সমালোচনা করেন।
যাইহোক,
আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুক।
তিনি সঠিক পথে ফিরে আসুক এই দোয়াই করি!
ইসলাম ধর্মে দেখুন! মেয়েদের যতটা সম্মান দেয়! ততটা সম্মান ঐ আপনার পশ্চিমা সভ্যতা দেয় না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: নারীবাদি পুরুষগুলি এক একটা শুয়োর। এরা চায় সব মেয়েরা অর্ধনগ্ন হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসুক যেন এরা এদের ইচ্ছেমতো ভোগ করতে পারে। এই সব অশ্লীল কাজে সমর্থন যারা দেয়, আসলে তারা স্বার্থপর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। কারন সুস্থ মস্তিকের বিবেকবান পুরুষ বা মহিলা একান্তই নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের কারন ছাড়া এতে সমর্থন দিতে পারে না।
উপরে যেই ব্লগারের নামে বলেছেন তার মাথায় সমস্যা আছে। সারা ব্লগে কোন দিনও ভাল কাজে তাকে সমর্থন দিতে দেখবেন না, পাবেন তার অবৈধ নেত্রীর মতো সব ২নাম্বার কাজে। আর যা বলেছেন সেই ঘটনা ঘটলে দিন রাত ২৪ঘন্টা এর আজাইরা ফালতু সব পোস্টের জ্বালায় ব্লগে আর থাকা যেত না। কিছু পাপি মানুষের কখনও হেদায়েত হয় না। এদের আল্লাহ একবারে ধরবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এদের বেহায়াপণা আর নির্লজ্জা দেখলে কুকুর বেড়াল পর্যন্ত লজ্জা পাবে।
এতটাই ডেস্পারেট এদের আচরণ যে আশেপাশের মানুষদেরও কেয়ার করে না।
এদের বাপ মা গুলিকে আগে পানিশমেন্ট দেয়া দরকার।

বাপ মা গুলি যেন কেমন!
কোনো খোজ খবর রাখে না। ছেলে মেয়ে কোথায় যাচ্ছে!
আমি যে বুড়া হতে চলেছি এখনও মা একটু পর পর ফোণ দেয়। সন্ধ্যার পর বাসায় না ফিরলে ফোণ দিতেই থাকে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
সমস্যা একটাই, পারিবারিক শিক্ষা ভাই। এটার বড়ই অভাবে এখন!!!
এইসব ফ্যামিলিতে খোঁজ নিয়ে দেখুন। বেশিরভাগই অবৈধ পথে টাকা ইনকাম করে এখন সদ্য বড় লোকের খাতায় নাম লিখিয়েছে।
ধর্মীয় বা সামাজিক মূল্যবোধ কাকে বলে তার বানানও বলতে পারবে না। এদের শেষ পরিনতি কখনও ভালো হয় না।
বারবার ফিরে আসার জন্য খুব করে কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনার মতো আমিও খুবই ক্ষিপ্ত এই বিষয়টাতে।

১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক কোথায় এবং কোন পদ্ধতিতে এগিয়ে গেলে উন্নত হওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা এক ধরনের ডিলেমার মধ্যে আছি। ধর্মের মাঝে উন্নতি খুজবো নাকি উন্নত হয়ে ধর্ম করবো; এই তর্কে আপাতদৃষ্টিতে উন্নয়ন জয়ী হয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষের মাঝে ধর্মীয় নৈতিকতা লোপ পাচ্ছে, সাথে সাথে সামাজিক, পারিবারিক মূল্যবোধগুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছ্। একই কারণে যখন সব শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা নৈতিকতার অভাব নিয়ে ঘ্যান ঘান করছি।

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত বোধহয় ধর্ম মেনেচলা পরিবারগুলো। সামাজিক ট্যাবু বলছে তোমাকে প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, পরিবার বলছে ওটা থাকলো তো সন্তানের কুআসক্তিগুলোর দ্বার অবারিত হয়ে গেলো। সামাজিক স্ট্যাটাস রক্ষায় আকাশ সংস্কৃতির সাথে আমরা গলাগলি করছি, কিন্তু সেটার ফলে যে অসামাজিকতা তৈরী হচ্ছে সেটা গিলতে পারছি না।

এ এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি। গ্রহণকাল। আপনি যে সব বলেছেন, এই ব্লগের একজনও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা যে এগুলো ভুল এমনকি দেশের শতভাগ মানুষই সত্য বলে মেনে নেবে। কিন্তু এই সব কার্যকলাপের প্রতিবাদও কেউ করবে না, সেই নৈতিক সাহস আমাদের নেই। এটাই হলো বাস্তবতা। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে। এবং দুর্ঘটনা ঘটার পর আমাদের সেই ভীরুতাকে ঢাকতে দুর্বলপক্ষের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছি।

আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যে এই ব্লগে 'প্রগতি'র প্রবক্তাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েটার ধর্ষণকাণ্ডে প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন যে ওখানে মেয়েটাও সংশ্লিষ্ট ছিলো... অথচ এই 'প্রগতি'বাদীরাই এই বিষয়গুলোর আরো বেশি এক্সপোজার চায়!!!

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।


২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আগের পোস্টে আজাইরা এক ব্লগারের সাথে কথা বলতে যেয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। দুঃখিত দেরি করে ফেরার জন্য।

ধর্মের মাঝে উন্নতি খুজবো নাকি উন্নত হয়ে ধর্ম করবো এই ডাইলেমা মাথার মধ্যে ঢুকে পরলে বিপড। কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম সেটা তো ভালোভাবেই বলে দেয়া আছে। ধর্মের আগে তো কিছু আসতে পারে না।

বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে। নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সমাজে কিছু নারীমাংশ লোভী নারীবাদী পুরুষ আছে যারা ফেমিনিজম এর নামে নারীকে নগ্ন হতে উৎসাহ দেয়। মুখোশের আড়ালে থাকা এসব পশুরূপী মানুষদের উদ্দেশ্য মোটেই ভালো না। মেয়েরা ঘর থেকে অর্ধনগ্ন হয়ে বের না হলে তো এদের গোপন উদ্দেশ্য চরিতার্থ হবে না। এছাড়াও কিছু লেজকাটা মেয়ে দেখতে পাওয়া যায় যারা তো ইতিমধ্যেই ভোগ্যপণ্য হয়েছেই, এখন বাকি কিছু মেয়েকে এই রাস্তায় আনতে পারলে কাটা লেজটা লুকাতে সুবিধা হয়।

ব্লগে 'প্রগতি'র প্রবক্তারা আসলে দুইমুখী সাপ। সুযোগ বুঝে কথা বলে। এদের পাত্তা দেয়ার কোন মানে হয় না।

তবে আমি বিশ্বাস করি প্রতিবাদ সবার করা উচিত। কারণ কার কখন বিপদ আসবে সেটা বলা মুস্কিল। নৈতিক সাহস না থাকলে তো সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে আর বসে বসে দেখতে হবে।

আকাশ সংস্কৃতির নিয়ে লিখতে হবে। ভালো জিনিস বলেছেন।

ধন্যবাদ সময় নিয়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। সিরিজের সাথেই থাকবেন আশা করছি।

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

করুণাধারা বলেছেন: দুঃখ হয়, যখন দেখি মেয়েরা আজকাল মানুষ হবার আগে মেয়েমানুষ হতে চায়। নিজেদের পরপুরুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলায় কোন লাভ নেই, এটা কেন তারা বোঝে না? কারণ তারা ভাবে যে এই পৃথিবীর জীবনই একমাত্র জীবন।

পোস্টের বিষয় ভালো লেগেছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আপু কিছু মনে করবেন না। আজকাল কিছু কিছু মেয়েদের টার্গেটই হলো রুই কাতলা দেখে ছেলে শিকার করা কিংবা বড়লোকের বখাটে কোন ছেলেকে পটানো।এজন্য যা দরকার তাই দিতেও এদের কোনই আপত্তি নেই। এরা মনে করে সভ্রম ধুয়ে কী পানি খাবে নাকি? একে ওকে শরীর দেয়া হলো বিনিয়োগ। আর কিছু পেতে হলে কিছু তো হারাতেই হয়। বিনিময়ে যা দরকার তা আদায় করে নেয়। আর যদি পটিয়ে কোনভাবে একবার গলায় লটকে পরতে পারে তো আর পায় কে?
এরা মেয়ে নামের কলঙ্ক। এদের জন্য বাকি ভাল মেয়েরা বিপদে পরে।

১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: পোস্টের ছবিটা ভালো লাগেনি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আসলে বুঝাতে চেয়েছি যে, আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি। আর সর্বনাশ শুরু করে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছি যে আমার কিছু হবে না। ভুলে গেছি যে মহামারী যখন লাগে তখন সেখানকার কেউ রক্ষা পায় না।
ছবিতে তুমি সিম্বোলিক, তুমি বলতে আমাদের সমাজকেই বুঝানো হয়েছে।
শুভ কামনা রইলো।

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে এসব গুলো নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। আপনি অত্যন্ত ধৈর্যশীল যে বিষয়টা নিয়ে এতটা পরিশ্রমী বা পুঙ্খানুপুঙ্খ পোস্ট দিয়েছেন। তবে নয়া প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা যে বিষয়টা জানে না তা নয়। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ধারণা তার বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড পৃথিবীতে বিরল গুণের অধিকারী। অন্য অনেকের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটলেও তাঁদের জীবনটা একেবারেই একে অপরের বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল।আরে অগাধ বিশ্বাস থেকেই সামরিক ভুল অন্যের জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ। এমনকি ঠেলে দেয় তাকে মৃত্যুর অন্ধকার গহ্বরে। তখন উভয়ের কাছে পৃথিবীর সংখ্যাটি বদলে যায়। বিষয়টা অনেকটা দিল্লিকা লাড্ডুর মতো। এত প্রচার এত সচেতনতা সত্বেও এই জেনারেশন চলবে তার নিজের ছন্দে।
পোস্টে ভালোলাগা। ‌
অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
মহা ব্যস্ত আছি। ব্লগে ফিরে প্রতি উত্তর দেবো সেই সময় বের করা কঠিন হয়ে পরেছে।
আমি জেনারেশনদের কাজকর্ম দেখে দেখে একদম ফেডআপ। এরা যা করে বেড়াচ্ছে আধুনিকতার নামে সেটা আসলে নোংরামী, অশ্লীলতা এবং নির্লজ্জতা। পৃথিবীর কোন ধর্মে বা সমাজেই এটা সমর্থন করতে পারে না। আর এভাবে বেশিদিন চলতেও পারে না।
প্রতিবাদ আমাদের করতেই হবে। কারণ এদের পরের জেনারেশন হবে আপনার আর আমার সন্তানরা। যেই বীজ রেখে যাবেন সমাজে সেই রকমই ফল পাবেন।

আর তাই এখন হলো প্রতিবাদের সময়, প্রতিরোধের সময়। সমাজ'কে আবার ঠিক করার।
ধন্যবাদ।

২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: পদ্মপুকুর বলেছেন- ঠিক কোথায় এবং কোন পদ্ধতিতে এগিয়ে গেলে উন্নত হওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা এক ধরনের ডিলেমার মধ্যে আছি ... মানুষের মাঝে ধর্মীয় নৈতিকতা লোপ পাচ্ছে, সাথে সাথে সামাজিক, পারিবারিক মূল্যবোধগুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছ্। ... এ এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি। গ্রহণকাল। তবে এই পরিস্থিতিটা তো একদিনে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে আমাদের এড়িয়ে চলার মনোভাব থেকেই তৈরি হয়েছে। এই সংখ্যাটা এখনো খুব বেশি হয়নি। কাজেই এখনো সময় আছে এসব নিয়ে সামাজিকভাবে কাজ করার। পরিবার থেকে শিক্ষা আসতে হবে- সামাজিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা! এছাড়া উপায় নেই। আরেকটা বিষয় দেখেন, পর্ণ সাইটগুলোকে যে ব্যান করা হয়েছিল, সেটা কি আসলেই কার্যকর হয়েছে? এখনো বিভিন্ন সাইট ব্রাউজ করা যায়, আর টরেন্ট তো আছেই! কাজেই নিজ দায়িত্বে বাসার রাউটারে কিংবা ডিভাইসে কন্টেন্ট ফিল্টারের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: রকি ভাই,
সত্যি বলতে কী আজকের এই অবস্থার জন্য আমাদের স মাজ এবং অভিভাবক অনেকাংশেই দায়ী। ছোত ছোট বাচ্চাদের টাচ স্ক্রীন মোবাইল কিনে দিয়ে আমরা স্ট্যাটাস দেই। অথচ আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি। আর সর্বনাশ শুরু করে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছি যে আমার কিছু হবে না। ভুলে গেছি যে মহামারী যখন লাগে তখন সেখানকার কেউ রক্ষা পায় না।
আজকাল ধর্ম নিয়ে কাউকে কিছু বলতে গেলে নাক সিটকায়। এখন দেশে সামাজিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা বলে কিছুই নেই। যে যার মতো থিওরী বানিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে। নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সমাজে কিছু নারীমাংশ লোভী নারীবাদী পুরুষ আছে যারা ফেমিনিজম এর নামে নারীকে নগ্ন হতে উৎসাহ দেয়।
সবাই যদি আমরা এগিয়ে না আসি তাহলে দেশের সামাজিক অবস্থার সাড়ে সর্বনাশ হবে নিশ্চিত।

২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এ হলো সভ্যতার অবক্ষয়। সব কিছুতেই নোংড়ামী বেহায়াপনা ছড়াছড়ি, শিক্ষা থেকে শুরু করে বিনোধনে পর্যন্ত। চারদিক থেকে আওয়াজ উঠলে হয়তো এই সমাজ রক্ষা করা যাবে নয়লে নষ্ট সমাজ কখনো ভাল হবে না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই,
আমরা দ্রুতই মর্ডান হবার চেষ্টায় সব কিছু জলাঞ্জলি দিচ্ছি।
বিশ্বাস করুন এই বেহায়ারা প্রোটেকশন পর্যন্ত নেয় না। পেট বেধে গেলে তখন শুরু হয় নাকি কান্না। ছেলেরা খারাপ, চরিত্র ভাল না, আমার সবকিছু লুটেপুটে নিয়েছে। বেহায়াগুলির শরীর নিয়ে ফুর্তি করার সময় এইসব খেয়াল ছিল না? তখন আক্কেলজ্ঞান কোথায় ছিল? এদের বাপ মা গুলিকে আগে পেটানো দরকার। মেয়ে কোন জায়গায় যেয়ে কার সাথে শুয়ে পরে খোজ খবর রাখে না কেন?
আমার মতে এইসব কেসে কোন ধর্ষন মামলা গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
একজন প্রতিবাদ করলে বাঁশ দিবে কিন্তু সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুললে এরা পালাবে। এই সব নষ্টামী বিরুদ্ধে গনজাগরণ দরকার।

২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২০

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আসলে বুঝাতে চেয়েছি যে, আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি। আর সর্বনাশ শুরু করে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছি যে আমার কিছু হবে না। ভুলে গেছি যে মহামারী যখন লাগে তখন সেখানকার কেউ রক্ষা পায় না।

ছবির মিনিং বুঝেছি স্যার কিন্তু ছবিটা দেখতে সুন্দর হয়নি এটাই বলতে চেয়েছি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি বুঝতে পেরেছি। বিষয় বস্তুর সাথে মিল রেখে আরও ভালো ছবি দেয়ার চেষ্টা করবো এরপর থেকে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: ভা লো বা সা শব্দটা হাড়িয়ে যাচ্ছে, এর বদলে জায়গা নিচ্ছে ফ্যান্টাসি !!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: এখন কোন ভালোবাসা পাবেন না৷ যা যা দেখেন সব হলো সেক্সচুয়াল ফ্যান্টাসী। তবে মেয়েদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় যখন দেখে ভ্রমর মধু খেয়ে কখন যেন উড়ে চলে গেছে আর টিকিটিও পাওয়া যাচ্ছে না।

২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

ইফতি সৌরভ বলেছেন: সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। বাপ-মা'র মনের লুকানো অবৈধ বাসনা প্রভাবিত করে সন্তানের ব্যক্তিত্বকে। অবৈধভাবে অযোগ্য সম্পদশালী ব্যক্তিটি নিজের CLASS/STATUS কে প্রমাণ করার জন্য সন্তানদের সব বিলাসিতার ব্যবস্থা করে কিন্তু আদর্শ শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না।
নারীবাদী আন্দোলনকারীগণ পর্দার বিপক্ষে যত বাণী দেয়, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা তত মনোযোগী না।

বাপ-মা যতদিন মানুষ না হবে,সমাজ ততদিন নোংরা থাকবে এবং নোংরামী গাণিতিক হারে বৃদ্ধিই পাবে।

When character is lost, Everything is lost.

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ইফতি ভাই,
আমার লেখার সারমর্ম মাত্র তিনটা ক থা তুলে দিয়েছেন।
১। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। বাপ-মা'র মনের লুকানো অবৈধ বাসনা প্রভাবিত করে সন্তানের ব্যক্তিত্বকে। অবৈধভাবে অযোগ্য সম্পদশালী ব্যক্তিটি নিজের CLASS/STATUS কে প্রমাণ করার জন্য সন্তানদের সব বিলাসিতার ব্যবস্থা করে কিন্তু আদর্শ শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। ১০০% সত্য কথা এবং নিদারূন বাস্তবতা।
২। নারীবাদী আন্দোলনকারীগণ পর্দার বিপক্ষে যত বাণী দেয়, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা তত মনোযোগী না। নারীবাদি পুরুষগুলি এক একটা শুয়োর। এরা চায় সব মেয়েরা অর্ধনগ্ন হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসুক যেন এরা এদের ইচ্ছেমতো ভোগ করতে পারে। এই সব অশ্লীল কাজে সমর্থন যারা দেয়, আসলে তারা স্বার্থপর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। কারন সুস্থ মস্তিকের বিবেকবান পুরুষ বা মহিলা একান্তই নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের কারন ছাড়া এতে সমর্থন দিতে পারে না।
৩। বাপ-মা যতদিন মানুষ না হবে,সমাজ ততদিন নোংরা থাকবে এবং নোংরামী গাণিতিক হারে বৃদ্ধিই পাবে। When character is lost, Everything is lost. ১ নাম্বার মন্তব্যে স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই এটা বলেছেন। আগে এদের ঠিক হতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে

২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৯

নতুন বলেছেন: কিছু জিনিস আপনি হয়তো ভেবে দেখেন নি তাই এই পরিবত`নগুলিতে অবাক হয়েছেন।

বত`মানে ধমী`য় বিশ্বাসে মানুষের বিশ্বাস কমে এসেছে।

নারীদেরও একটা শারিরিক চাহিদা আছে, তাই আপনি যদি মনে করেন ছেলেরাই শুধু শারিরিক সম্পকের জন্য দায়ী সেটা মনে হয় ভুল।

আপনি নারীদের সত্বীত্ব চলে গেলো বলে দুখ: করছেন , ছেলেরা যে সেক্স করে কুমারত্ব হারালো তাদের ব্যাপারে কিছু বললেন না?

ছেলেরা যে অপরাধ করছে তাদের ব্যাপারে কিছু বললেন না কেন?

এমনটা আমাদের সমাজের মানুষই ভাবে, তাই সমাজ নারীর সত্বীত্বের ব্যাপারে যতটা উতসুক তারা ছেলেদের ব্যাপরে কুমার ছেলে খুজেনা, আদশ`বান ছেলে বানানোর চেস্টা সমাজ করেনা।

পরিবত`ন আসবেই, তাই সবাইকে মানিয়ে নিতে হবে। কিচ্ছুই করার নাই। :(

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই,
বই প্রকাশ নিয়ে কিছুদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম আর তাই ব্লগে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেল।
আমি আপনার সাথে কিছু জিনিস নিয়ে একমত। সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসবেই। জীবনযাত্রা বদলে যাবে। নতুন কিছু জীবনের সাথে মিশে যাবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো আমরা কেন ভালোগুলিকে রেখে খারাপ জিনিসগুলিকে বেছে নিচ্ছি।

সভ্যতা এবং সমাজ, মানুষের জীবন ধারণ, তার চিন্তাধারা এবং বিশ্বাসের উপরই ধীরে ধীরে গড়ে উঠে। ইচ্ছে করলেই অন্যকোন সমাজ ব্যবস্থা আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। দিন দুপুরে আমরা পাশ্চাত্যের সমাজে পরিনত হবো না। সেখানে কোন ধর্মীয় বাধা নিষেধ না থাকার কারণে পারিবারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। বিয়ে প্রথা ধরতে গেলে উঠেই গেছে। আমরা কী এখন এই সমাজই চাই? সিদ্ধান্ত কী নেয়া হয়ে গেছে?

প্রতিটা পূর্ণ বয়স্ক নারী পুরুষ সবারই শারীরিক চাহিদা আছে। এভাবে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এইজন্যই বালেগ হবার পরপরই তাদের যত দ্রুতই বিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ আমরা কী করছি? মেয়েদের শিক্ষা শেষ করা এবং ছেলেদের চাকুরি ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হবার পর্যন্ত এদের বিয়ে দিচ্ছি না। ফলাফল? অবৈধ শারীরিক সর্ম্পক। এদের চাহিদা তো আপনি আমি কেউ অস্বীকার করতে পারবো না।

ছেলেদের আমি কিছু বলিনি মানে? ২। নাম্বার প্যারা তো ছেলেদের নিয়ে লিখেছি। ছেলেমেয়ে কোন সমস্যা নয়। গোড়ায় সমস্যার সমাধান করতে হবে। কখন কী ভেবেছেন বাল্য বিবাহ কেন সব ধর্মে এলাও করে?

জীবন যাপন এখন কঠিন হয়ে গেছে। আর্দশ নারী পুরুষ এখন পাওয়া দুষ্কর। যারা সর্ম্পূণ ধর্মীয়ে বিধি বিধানের মধ্যে দিয়ে চলে তারা ছাড়া সম্ভব না। মনোবিজ্ঞানী মোহিত কামাল বলেছেনঃ সমাজে কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেন না। মানুষ অপরাধী হয়ে ওঠে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে। বেশিরভাগ সময়ে সে পরিবেশ তার কাছের মানুষরাই তৈরি করে দেয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এসব ভালোবাসা বাসির সংজ্ঞা বদলে গেছে। বহু প্রেমে জড়াচ্ছেন অনেকেই। তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশ একাধিক প্রেমে আসক্ত। আর বর্তমানে প্রেম মানেই অবাধে যৌন মেলামেশা। এই অবাধ যৌনাচার পরবর্তী সংসার জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কিন্তু এই বহুগামিতার ফলাফল আসলে ভালো নয়।

সত্যি বলতে কী আজকের এই অবস্থার জন্য আমাদের সমাজ এবং অভিভাবক অনেকাংশেই দায়ী। ছোট ছোট বাচ্চাদের টাচ স্ক্রীন মোবাইল কিনে দিয়ে আমরা স্ট্যাটাস দেই। অথচ আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছি। আর সর্বনাশ শুরু করে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছি যে আমার কিছু হবে না। ভুলে গেছি যে মহামারী যখন লাগে তখন সেখানকার কেউ রক্ষা পায় না।
আজকাল ধর্ম নিয়ে কাউকে কিছু বলতে গেলে নাক সিটকায়। এখন দেশে সামাজিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা বলে কিছুই নেই। যে যার মতো থিওরী বানিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে। নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সমাজে কিছু কিছু নারীমাংশ লোভী নারীবাদী পুরুষ আছে যারা ফেমিনিজম এর নামে নারীকে নগ্ন হতে উৎসাহ দেয়।

সবাই যদি আমরা এগিয়ে না আসি তাহলে দেশের সামাজিক এই দুরবস্থা থেকে বের হয়ে আসা কখনই সম্ভব না।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন:

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় ভাই,
ভাই রে একদম মনের কথাই বলে দিলেন! যাওয়া দিন সব সময় ভালো থাকে। নিজের বই নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম এই কয়দিন। প্রতি উত্তর দিতে পারিনি। বই মেলায় গিয়েছিলেন? গেলে আমার বইটা (শবনম) একবার হাতে নিয়ে দেখার আমন্ত্রণ দিলাম।
শুভ কামনা রইলো।

২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
পুরো পোস্টের বিষয় আপনি বিশ্লেষণ করেছেন খুব ভালো
ভাবেই। কিছু মন্তব্য প্রতি মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।
ধর্মীয় অনুশাসন ও পারিবারিক শিক্ষা শিক্ষিত হয়েও কিছু
মানুষ একেবারেই কুরুচিপূর্ণ কাজে লিপ্ত হয় । যাইহোক আপনার লেখার প্রেক্ষাপটের সাথে সমর্থন রইলো ।
ভালো থাকুন ভাই অনেক ধন্যবাদ সহ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
আপনি সামুর ফেসবুক গ্রুপে আছেন? সেখানে নীলসাধু দা 'শবনম' বই নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। না দেখে থাকলে দেখার আমন্ত্রণ রইলো।

সৌরভ ভাইয়ের ২ মন্তব্যে শুয়োরের বাচ্চা নিয়ে যেটা বলেছে সেটা হলো নিতান্তই নিষ্ঠুর বাস্তব। বড়ই গাছে কখনই আম্রপালি ধরবে না। আমাদের সমাজে পাপ আর দূর্নীতি এত ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পরেছে যে ঠক বাছতে গা উজার অবস্থা।
একটা বাচ্চা কখনই একদিন নষ্ট হয়ে যায় না। এটা অসম্ভব। বাবা মার চোখের সামনে দিন দিন আস্কারা আর প্রশয় পেয়েই হয়।
আমি তাই ঠিক এই জায়গাতেই সবাই কে সচেতন হতে বলেছি।
ধন্যবাদ।

২৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সব দোষ ছেলেদিরে দিয়ে লাভ নেই। মেয়েরাও কম নয়। জনপ্রিয়তার জন্য যা তা করতে রাজি!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমাকে এখনও ভালো মতো চেনেন নি! এটা পড়ে আসুন-
কবিতাঃ সুন্দরী আমি, হার্টথ্রব মডেল হতে চাই! - ৩

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমি যখন ঝাড়ি সেই রকমই ঝাড়ি।
ধন্যবাদ।

২৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ঝাড়াঝাড়ি ভালো, মনের ঝাল কমে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে এভাবেই ঝাড়ি। মনের ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমে।

৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

বর্তমান তরুণ প্রজন্ম যে কিহারে অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে তা নেট ও মোবাইল এর দিকে তাকালেই বুঝা যায়।

সমসাময়িক পোস্ট। +++

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: বর্তমান তরুণ প্রজন্মত অবক্ষয়ের জন্য শুধু এরা একা দায়ী নয়। দায়ি আমরা সবাই। ৮ বা ৯ বছরের বাচ্চাদের আমরা এন্ড্রোয়েড টাচ স্ক্রীন মোবাইল কিনি দেই। এরা এইসব দিয়ে কী করবে? বাসা থেকে বের হয়ে কোথায় যায় কী করে কোন খোজ রাখে বাবা মা? মেয়েরা যে উচ্ছন্নে যাচ্ছে মায়ের কোন বিকার আছে? উনি তো আছে ডিসলাইনে কলিকাতার সিরিয়াল নিয়ে।
ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাইজান, মন্তবের কোটা দেখছিলাম, আপনার নাম দেখে এসে দেখি আপনার লেখা, চোখ বুলিয়ে দেখলাম

'এই উন্মাদনা, অশ্লীলতা ও নোংরামি কেন? যুবক যুবতিরা কেনই বা এভাবে উচ্ছনে যাচ্ছে? উত্তর, একেবারেই পরিষ্কার। যে জাতি ধর্ম থেকে যতো দূরে থাকবে বা ধর্মকে একেবারেই পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করবে এবং অহেতুক কথিত আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ধর্মীয় জীবনযাপনকে তুচ্ছ ও সেকেলে বলে জানবে, সে জাতির এভাবে নৈতিক পদস্খলন, সর্বশেষে জাতীয় পদস্খলন অনিবার্য। ইউরোপ আর আমেরিকা এ বিষফল ভোগ করতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। সেখানে এখন পারিবারিক বন্ধন নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নেই বিশ্বাস ও আস্থা। পিতামাতা সন্তানকে এবং সন্তানও পিতামাতাকে বিশ্বাস করে না।'

ভাইজান আমি সাধারণ মানুষ, নমাজ পড়ি, সত্য বলার চেষ্টা করি। লোকে আমারে পাগল ডাকে, আমিও হা হা করে হাসি। আধুনিকতার রোগে অনেক রোগী হয়েছেন। আমি অত্যধুনিক হয়েছিলাম সেই ৯০ এ। ভাইজান নেংটামির নাম হলো আধুনিকতা আর ইসলাম মেনে বাঁচার নাম হলো অত্যাধুনিকতা। আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইজান আমিও আপনার জন্য দোয়া করব।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: হাক ভাই,
১। কাপড় খোলা যদি আধুনিকতার উদাহরণ হয় তাহলে প্রগৈতিহাসিক গুহা মানব'রা সবচেয়ে আধুনিক!
২। যার তার সাথে কিছুর বিনিময়ে শরীর দেয়া যদি ভালোবাসা হয় তাহলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমিকা হলো পতিতারা!
৩। যার বাবার পরিচয় নেই সেই বেওয়ারিশ। আজকাল এইদেশে মানুষ বেওয়ারিশ হবার প্রতিযোগীতায় নেমে গেছে।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.