নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওফাতকালীন ঘটনাসমূহ (পর্ব এক)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬



সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি আমাদেরকে সর্বোত্তম দীনের অনুসারী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ ইব‌ন আব্দুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপর, যিনি আমাদেরকে কল্যাণকর সকল পথ বাতলে দিয়েছেন ও সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সতর্ক করেছেন। আরও সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরিবারবর্গ (আহলুল বাইয়াত) এবং উনার সাথীদের উপর, যারা তার আনীত দ্বীন ও আদর্শকে পরবর্তী উম্মতের নিকট যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিয়েছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের সবার উপর।

* মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেনঃ ‘ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল, একমাত্র আপনার মহিমাময় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্ত্বা ছাড়া। (সূরা আর-রাহমানঃ ২৬-২৭)
* তিনি আরও ইরশাদ করেনঃ “কুল্লু নাফসীন যা-য়িকাতুল মাওত”/ ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।’ (সূরা আলে ইমরানঃ ১৮৫)
* অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেনঃ ‘আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহূর্ত পিছে যেতে পারবে, আর না এগিয়ে আসতে পারবে।’ (সূরা ইউনুসঃ ৪৯)
* আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ ‘আর মুহাম্মদ একজন রাসুল মাত্র। তাঁর আগেও বহু রাসুল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন বা শহীদ হন, তবে কি তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুত কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাআলা তাদের সওয়াব দান করবেন।’ (আলে ইমরানঃ ১৪৪)

সুতরাং এই পৃথিবীর জাগতিক নিয়মানুসারে নবী রাসুলরাও মৃত্যুবরণ করবেন। কারণ আমরা মুসলিম’রা একান্তভাবেই বিশ্বাস করি সকল নবী রাসুলরাই যেহেতু মানুষ ছিলেন, সেহেতু তাঁদের মৃত্যু হওয়াই স্বাভাবিক। তবে নবী রাসুলদের এই স্বাধীনতা দেওয়া হয় যে, আপনি কী পৃথিবীতে থাকতে চান? না কী চলে যেতে চান। কিন্তু নবী-রাসুলরা আল্লাহর কাছে চলে যাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

* হযরত আয়িশা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুস্থ অবস্থায় বলতেন যে, কোন নবীর (জান) কবয করা হয় না, যতক্ষণ না তাকে জান্নাতে তার স্থান দেখানো হয় আর তাকে (জীবন অথবা মৃত্যুর) যেকোন একটা বেছে নেয়ার অধিকার না দেয়া হয়। (সহী বুখারি, হাদিস নাম্বারঃ ৬৫০৯/আংশিক)

পবিত্র সূরা নাসর (মাক্কী সূরা নাম্বারঃ ১১০) নাযিল হওয়ার পর থেকেই আল্লাহর রাসূল মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুনিয়া থেকে বিদায়ের আশংকা করছিলেন। যেহেতু তিনিই শেষনবী এবং বিশ্বনবী, তাই মানবজাতীর জন্য শুধুমাত্র জান্নাতের সুসংবাদদাতা বা জাহান্নামের ভয় প্রদর্শনকারী হিসাবে নয়, বরং আল্লাহর দ্বীনের বাস্তব রূপকার হিসাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটা আদর্শসমাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাওয়াও তার এইপৃথিবীতে আসার অন্যতম উদ্দেশ্য। সেই হিসেবে মক্কা-মদিনাতে একটা সুন্দর মুসলিম মডেল সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাঠামো নির্মাণের কাজ তিনি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন। ভবিষ্যতে তাঁর যোগ্য উত্তরসুরী খলীফাগণ উক্ত কাঠামোর উপর ভিত্তি করে আরও সুন্দরভাবে ইসলামী খেলাফত ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন, এই আশা রেখেই তিনি তার উম্মতদের’কে ডেকে বললেনঃ َعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ ‘তোমাদের উপরে অবশ্য পালনীয় হ’ল আমার সুন্নাত ও সুপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত’। (তিরমিযী হাদীস নাম্বারঃ ২৬৭৬; ইবনু মাজাহ হাদীস নাম্বারঃ ৪৩; মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ১৬৫)। এর মধ্যেই তিনি ঘোষনা দিলেন হজ্জ্বে যাবেন এবং তিনি উম্মতদের সামর্থ্যবান সবাইকে শেষবারের মত একবার তার সাথে হজ্জ্বে পেতে চান ও দেখতে চান। এই ঘোষণা প্রচারের সাথে সাথে চারদিকে আবেগের ঢেউ উঠে গেল। দলে দলে লোক মক্কা অভিমুখে ছুটলো। মদীনা ও আশপাশের লোকেরা তার সাথী হলেন হজ্জ্বে। এই ব্যস্তসময়েও আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে কোন শৈথিল্য দেখান নি। মু‘আয বিন জাবাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু)’কে ইয়ামনের গভর্ণর নিয়োগ দিয়ে পাঠালেন এবং তাকে প্রয়োজনীয় সমস্ত দিক নির্দেশনা শেষে বললেন:
مُعَاذُ، إِنَّكَ عَسَى أَنْ لاَ تَلْقَانِيْ بَعْدَ عَامِيْ هَذَا، وَلَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِمَسْجِدِيْ وَقَبْرِيْ
‘হে মু‘আয! এইবছরের পরে তোমার সঙ্গে আমার হয়তো আর সাক্ষাত নাও হতে পারে। তখন হয়তো তুমি আমার এই মসজিদ ও কবরের পাশ দিয়ে গমন করবে। মৃত রাসূলের কবর যেয়ারতে হয়তো তোমরা আসবে’ (আহমাদ হাদীস নাম্বারঃ ২২১০৭, ছহীহাহ হাদীস নাম্বারঃ ২৪৯৭)।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মুখে এই কথা শুনে ভক্ত সাহাবী মু‘আয রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিচ্ছেদ ব্যথায় হু হু করে কেঁদে উঠলেন।

আরাফাতের ময়দানে প্রথম ভাষনঃ
৯ যিলহাজ্জ শুক্রবার সকালে তিনি মিনা হ’তে আরাফাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং ওয়াদিয়ে নামেরাহ’তে (وادي نمرة) অবতরণ করেন। যার একপাশে আরাফাত ও অন্যপাশে মুযদালিফাহ অবস্থিত। অতঃপর সূর্য ঢলে পড়লে তিনি ক্বাছওয়ার পিঠে সওয়ার হয়ে আরাফাত ময়দানের বাতনে ওয়াদীতে (بطن الوادي) আগমন করলেন। এটি ছিল একটি পাহাড়ী টিলা। যা জাবালে রহমত (جبل الرحمة) বলে খ্যাত। তার উপরে উটনীর পিঠে সওয়ার অবস্থায় তিনি সম্মুখে উপস্থিত মুসলিমদের উদ্দেশ্যে একটা ভাষণ দেন। আরাফাতের ময়দানের উক্ত ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেনঃ
أَيّهَا النَّاسُ اسْمَعُوْا قَوْلِيْ، فَإِنِّيْ لَا أَدْرِيْ لَعَلِّيْ لاَ أَلْقَاكُمْ بَعْدَ عَامِيْ هَذَا بِهَذَا الْمَوْقِفِ أَبَدًا-
(১) ‘হে জনগণ! তোমরা আমার কথা শোন! কারণ আমি জানি না এরপর আর কোনদিন তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে মিলিত হ’তে পারব কি না’। (সূত্র ১)
َإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا، فِيْ بَلَدِكُمْ هَذَا،
(২) ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত ও মাল-সম্পদ, তোমাদের পরস্পরের উপরে এমনভাবে হারাম, যেমনভাবে তোমাদের আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম)।
أَلاَ كُلُّ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَىَّ مَوْضُوْعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوْعَةٌ وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِى بَنِى سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ-
(৩) ‘শুনে রাখ, জাহেলী যুগের সকল কিছু আমার পায়ের তলে পিষ্ট হ’ল। জাহেলী যুগের সকল রক্তের দাবী পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের রক্ত সমূহের প্রথম যে রক্তের দাবী আমি পরিত্যাগ করছি, সেটি হ’ল রাবী‘আহ ইবনুল হারেছ-এর শিশু পুত্রের রক্ত; যে তখন বনু সা‘দ গোত্রে দুগ্ধ পান করছিল, আর হোযায়েল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল’।
وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوْعٌ وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُ رِبَانَا رِبَا عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوْعٌ كُلُّهُ-
(৪) ‘জাহেলী যুগের সূদ পরিত্যক্ত হ’ল। আমাদের সূদ সমূহের প্রথম যে সূদ আমি শেষ করে দিচ্ছি সেটা হ’ল আব্বাস ইবনু আবদিল মুত্ত্বালিবের পাওনা সূদ। সূদের সকল প্রকার কারবার সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দেওয়া হ’ল’।
فَاتَّقُوا اللهَ فِى النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوْهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوْجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لاَّ يُوْطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُوْنَهُ. فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوْهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ-
(৫) ‘তোমরা মহিলাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদেরকে হালাল করেছ’।
وَقَدْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوْا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابَ اللهِ.
(৬) ‘আর জেনে রাখ, আমি তোমাদের মাঝে ছেড়ে যাচ্ছি এমন এক বস্ত্ত, যা মজবুতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। আর সেটি হলো আল্লাহর কেতাব’। (সূত্র ২)
أَيُّهَا النَّاسُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِيْ، وَلاَ أُمَّةَ بَعْدَكُمْ؛ فَاعْبُدُوْا رَبَّكُمْ، وَأقِيْمُوْا خَمْسَكُمْ، وَصُوْمُوْا شَهْرَكُمْ، وَأعْطُوْا زَكَاتِكُمْ، وَأطِيْعُوْا وُلاَةَ أَمْرِكُمْ؛ تَدْخُلُوْا جَنَّةَ رَبِّكُمْ-
(৭) ‘হে জনগণ! শুনে রাখ আমার পরে কোন নবী নেই এবং তোমাদের পরে আর কোন উম্মাতও নেই। অতএব তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় কর, রামাযান মাসের ছিয়াম রাখো, সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের মালের যাকাত দাও, তোমাদের প্রভুর গৃহে হজ্জ কর, তোমাদের শাসকদের আনুগত্য কর, তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ কর’। (সূত্র ৩)
وَأَنْتُمْ تُسْأَلُوْنَ عَنِّىْ فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُوْنَ. قَالُوْا نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ. فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ، اللَّهُمَّ اشْهَدِ اللَّهُمَّ اشْهَدْ. ثَلاَثَ مَرَّاتٍ-
(৮) আর তোমরা আমার সম্পর্কে যখন জিজ্ঞাসিত হবে, তখন তোমরা কি বলবে?
লোকেরা বলল, ‘আমরা সাক্ষ্য দিব যে, আপনি সবকিছু পৌছে দিয়েছেন, দাওয়াতের হক আদায় করেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন’।
অতঃপর তিনি শাহাদাত আঙ্গুলি আসমানের দিকে উঁচু করে ও সমবেত জনমন্ডলীর দিকে নীচু করে তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক’। (সূত্র ৪)

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এই ভাষণ উচ্চকণ্ঠে জনগণকে শুনাচ্ছিলেন রাবী‘আহ বিন উমাইয়া বিন খালফ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)। আল্লাহর কি অপূর্ব মহিমা! মক্কায় হযরত বেলাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর উপরে লোমহর্ষক নির্যাতনকারী, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)’কে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ১৪ নেতার অন্যতম নিকৃষ্টতম নেতা ও বদর যুদ্ধে নিহত উমাইয়ার ছেলে আজ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে দাড়ানো সাহাবী। তিনি উচ্চকন্ঠে এই ভাষন শুনাচ্ছেন বাকি সবাই’কে! (সূত্র ৫)

মর্মস্পর্শী বিদায়ী এই ভাষণ শেষে জনগণের নিকট থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আল্লাহকে সাক্ষী রাখার এই অনন্য মুহূর্তের পরপরই আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয় এক ঐতিহাসিক দলীল, ইসলামের সম্পূর্ণতার সনদ, যা ইতিপূর্বে নাযিলকৃত কোন ইলাহী ধর্মের জন্য নাযিল হয়নি। এই পরিপূর্ণতা একমাত্র ইসলাম’কে দেয়া হয়েছে। পবিত্র ওহী নাযিল হলো-
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِيْناً-
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপরে আমার নেয়ামত’কে পরিপূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (সূরা মায়েদাহ ৫/৩)।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মুখে এই আয়াত শ্রবণ করে হযরত ওমর ফারূক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কেঁদে উঠলেন। তার কেঁদে ফেলার কারণ জিজ্ঞেস করলে এর উত্তরে তিনি বললেন, إِنَّهُ لَيْسَ بَعْدَ الْكَمَالِ إِلاَّ النُّقْصَانُ ‘পূর্ণতার পরে তো কেবল ঘাটতিই এসে থাকে’
৬)। এই আয়াত নাযিলের পর সত্যই আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অল্প কিছুদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন।

[এই আয়াত প্রসঙ্গে জনৈক ইহুদী পন্ডিত হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)’কে বলেন, যদি এরূপ আয়াত আমাদের উপরে নাযিল হতো, তাহলে আমরা ঐ দিনটিকে ঈদের দিন হিসাবে উদযাপন করতাম’। এর উত্তরে ইবন আববাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমরা ঐদিন একটি নয়, বরং দু’টি ঈদ একসঙ্গে উদযাপন করেছিলাম। (১) ঐদিন ছিল শুক্রবার, যা আমাদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন (২) ঐদিন ছিল ৯ই যিলহাজ্জ আরাফাহর দিন। যা হ’ল উম্মতের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বার্ষিক ঈদের দিন’ (সূত্র ৭)]

মিনায় দ্বিতীয় ভাষনঃ
সুনানে আবু দাঊদের বর্ণনা অনুসারে ১০ই যিলহাজ্জ কুরবানীর দিন সকালে সূর্য উপরে উঠলে (حين ارتفع الضحى) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি সাদা-কালো মিশ্রিত খচ্চরে (بغلة شهباء) সওয়ার হয়ে (কংকর নিক্ষেপের পর) জামরায়ে আক্বাবায় এক ভাষণ দেন। এমতাবস্থায় লোকদের কেউ দাঁড়িয়েছিল কেউ বসেছিল। হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর ভাষণ লোকদের শুনাচ্ছিলেন। এইদিনের ভাষণে তিনি আগেরদিন আরাফাতের ময়দানে দেওয়া ভাষণের কিছু কিছু অংশ আবারও বলেন (সূত্র ৮)। সহী মুসলিম শরীফে আবু বাকরাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, এদিনে তিনি ঘোষনা করেনঃ-
لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ فَإِنِّى لاَ أَدْرِى لَعَلِّى لاَّ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِى هَذِهِ
(১) হে জনগণ! তোমরা আমার নিকটে থেকে হজ্জ ও কুরবানীর নিয়ম-কানূন শিখে নাও। সম্ভবতঃ আমি এ বছরের পর আর হজ্জ করতে পারব না’। (সূত্র ৯)
তিনি আরও বলেনঃ
وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوْا بَعْدِى ضُلاَّلاً، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ-
(২) ‘সত্বর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পুনরায় ভ্রষ্টতার দিকে ফিরে যেয়ো না এবং একে অপরের গর্দান মেরো না’।
أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ؟ قَالُوْا نَعَمْ. قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ-
(৩) ‘ওহে জনগণ! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? লোকেরা বলল, হাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক। উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতগণকে কথাগুলি পৌঁছে দেয়। কেননা উপস্থিত শ্রোতাদের অনেকের চাইতে অনুপস্থিত যাদের কাছে এগুলি পৌঁছানো হবে, তাদের মধ্যে অনেকে অধিক বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছে’ (সূত্র ১০)। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, উক্ত ভাষণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেছিলেন,
أَلاَ لاَ يَجْنِى جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ لاَ يَجْنِى وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُوْدٌ عَلَى وَالِدِهِ-
(৪) ‘মনে রেখ, অপরাধের শাস্তি অপরাধী ব্যতীত অন্যের উপরে বর্তাবে না। মনে রেখ, পিতার অপরাধের শাস্তি পুত্রের উপরে এবং পুত্রের অপরাধের শাস্তি পিতার উপরে বর্তাবে না’।
أَلاَ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ مِنْ أَنْ يُعْبَدَ فِى بِلاَدِكُمْ هَذِهِ أَبَدًا وَلَكِنْ سَتَكُونُ لَهُ طَاعَةٌ فِيمَا تَحْتَقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَسَيَرْضَى بِهِ-
(৫) মনে রেখ, শয়তান তোমাদের এই শহরে পূজা পাওয়া থেকে চিরদিনের মত নিরাশ হয়ে গেছে। তবে যেসব কাজগুলিকে তোমরা তুচ্ছ মনে কর, সেসব কাজে তার আনুগত্য করা হবে, আর তাতেই সে খুশী থাকবে’। (সূত্র ১১)

১১ হিজরীর ছফর মাসের প্রথম দিকে অর্থাৎ মৃত্যুর মাসখানেক পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওহোদ প্রান্তে ‘শোহাদা কবরস্থানে’ গমন করেন এবং তাদের জন্য এমনভাবে দো‘আ করেন যেন তিনি জীবিত ও মৃত সকলের নিকট থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করছেন। দো‘আর শেষে তিনি বলেন, وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ ‘আল্লাহ চাহেন তো নিশ্চয়ই সত্বর আমরা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছি’। (সূত্র ১২)

ওহোদের শোহাদা কবরস্থান যেয়ারত শেষে মদীনায় ফিরে এসে মসজিদে নববীতে মিম্বরে বসে সমবেত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, إِنِّى فَرَطٌ لَكُمْ، وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ، إنَّ مَوْعِدَكُمُ الْحَوْضُ وَإِنِّىْ وَاللهِ لأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِى الآنَ، وَإِنِّىْ أُعْطِيْتُ مَفَاتِيْحَ خَزَائِنِ الأَرْضِ، أَوْ مَفَاتِيْحَ الأَرْضِ، وَإِنِّىْ وَاللهِ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوْا بَعْدِى، وَلَكِنِّى أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَافَسُوْا فِيْهَا وزاد بعضهم: فَتَقْتَتَلُوْا فَتُهْلِكُوْا كَمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبلَكُمْ- ‘আমি তোমাদের আগেই চলে যাচ্ছি এবং আমি তোমাদের উপরে সাক্ষ্য দানকারী। আর তোমাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হবে হাউয কাওছারে! আমি এখুনি আমার ‘হাউয কাওছার’ দেখতে পাচ্ছি। আমাকে পৃথিবীর সম্পদরাজির চাবিসমূহ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহর কসম! আমার এ ভয় নেই যে, আমার পরে তোমরা শিরকে লিপ্ত হবে। কিন্তু আমার আশংকা হয় যে, তোমরা দুনিয়া অর্জনে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়বে’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, অতঃপর তোমরা পরস্পরে লড়াই করবে এবং ধ্বংস হয়ে যাবে, যেমন তোমাদের পূর্বের লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেছে’। রাবী ওক্ববা বিন আমের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আট বছর পরে (অর্থাৎ ওহোদ যুদ্ধের পরে) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই যেয়ারত করেন মৃতদের নিকট থেকে জীবিতদের বিদায় গ্রহণকারীর ন্যায় (كالمودَّع للأحياء والأموات) (সূত্র ১৩)

এরপর একদিন শেষরাতে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদে নববীর অদূরে বাক্বী‘ গোরস্থানে গমন করেন এবং তাদেরকে সালাম দিয়ে দো‘আ করেন। দো‘আ শেষে তিনি বলেন, إِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ ‘আল্লাহ চাহেন তো সত্বর আমরা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছি’। এর মাধ্যমে তিনি যেন কবরবাসীদেরকে তাঁর সত্বর আগমনের সুসংবাদ শুনালেন। (সূত্র ১৪)

অসুস্থতার সূচনাঃ
হিজরী ১১, সোমবার, ২৯ সফর। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল-বাকী গোরস্থানে জানাযার নামাযে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথেই সুতীব্র মাথাব্যথা অনুভব করতে শুরু করলেন, গায়ের তাপমাত্রা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে গেল। আবু সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, তাঁর মাথার কাপড়ের উপর দিয়েও শরীরের উত্তাপ অনুভূত হচ্ছিল। দেহ এত গরম ছিল যে, হাত পুড়ে যাচ্ছিল। এতে আমি বিস্ময়বোধ করলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, إِنَّا كَذَلِكَ يُضَعَّفُ لَنَا الْبَلاَءُ وَيُضَعَّفُ لَنَا الأَجْرُ ‘নবীগণের চাইতে কষ্ট কারও বেশী হয় না। এজন্য তাদের পুরস্কারও বেশী হয়ে থাকে’। তারপরও উনি এই অসুস্থ অবস্থায় আরও এগারো দিন নামাযে ইমামতী করে গেলেন। কিন্তু অসুস্থতা ধীরে ধীরে অনেক বেড়ে গেল। এভাবে প্রায় তের বা চৌদ্দ দিন উনি অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন।

জীবনের শেষ সপ্তাহঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। এইসময় তিনি বারবার তার সব স্ত্রীদের জিজ্ঞেস করতে থাকেন,َيْنَ أَنَا غَدًا أَيْنَ أَنَا غَدًا ‘আগামীকাল আমি কোথায় থাকব? আগামীকাল আমি কোথায় থাকব’? তারা উনার এইকথার তাৎপর্য বুঝতে পেরে বললেন, ‘আপনি যেখানে খুশী থাকতে পারেন’। তখন তিনি আয়েশার গৃহে গমন করেন। এই সময় তাঁর মাথায় পট্টি বাঁধা ছিল। ফযল বিন আববাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ও আলী ইবন আবী তালেব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর কাঁধে ভর করে অতিকষ্টে তিনি পা টিপেটিপে হাঁটছিলেন (تخط قدماه)। অতঃপর তিনি আয়েশার কক্ষে প্রবেশ করেন এবং জীবনের শেষ সপ্তাহটি সেখানেই তিনি অতিবাহিত করেন।

অন্যসময় আয়েশা (রাদিল্লাহু আনহু) সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস এবং অন্যান্য দো‘আ যা তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট থেকে শিখেছিলেন, সেগুলি পাঠ করে ফুঁক দিয়ে বরকতের আশায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাত তাঁর দেহে বুলিয়ে দিতেন। এবারো তিনি সেটাই করতে চাইলেন। কিন্তু নিজের হাত টেনে নিয়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِىْ وَارْحَمْنِىْ وَأَلْحِقْنِىْ بِالرَّفِيْقِ الأَعْلَى ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে রহম কর ও আমাকে সর্বোচ্চ বন্ধুর সাথে মিলিত কর’।

মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বেঃ

জীবনের শেষ বুধবার। সেইদিন তাঁর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে তিনি বারবার বেহুঁশ হয়ে পড়তে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি বললেন, তোমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি এনে আমার উপরে সাত মশক পানি ঢাল। যাতে আমি বাইরে যেতে পারি এবং লোকদের উপদেশ দিতে পারি। সেইভাবে পানি ঢালা হলে উনি সুস্থবোধ করলে বলতে থাকেনঃ حَسْبُكُمْ حَسْبُكُمْ ‘ক্ষান্ত হও, ক্ষান্ত হও’। একটু হালকা বোধ করায় তিনি মাথায় পট্টি বাঁধা অবস্থায় যোহরের প্রাক্কালে মসজিদে প্রবেশ করেন। এইদিন বের হবার মূল কারণ ছিল আনছারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখা।
চাদরের একপ্রান্ত মাথায় বাঁধা অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ও মিম্বরে আরোহন করেন। এদিনের পর তিনি আর মিম্বরে আর কোনদিন আরোহন করেন নি। মসজিদের মিম্বরে বসে সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেনঃ
إِنِّىْ أَبْرَأُ إِلَى اللهِ أَنْ يَكُونَ لِى مِنْكُمْ خَلِيْلٌ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَدِ اتَّخَذَنِىْ خَلِيْلاً كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيْلاً وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِىْ خَلِيْلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيْلاً، لَكِنَّهُ أَخِيْ وَ صَاحِبِيْ، إنَّ مِنْ أَمَنِّ النَّاسِ عَلَيَّ فِيْ صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُوْ بَكْرٍ وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوْا يَتَّخِذُوْنَ قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيْهِمْ مَسَاجِدَ أَلاَ فَلاَ تَتَّخِذُوا الْقُبُوْرَ مَسَاجِدَ، إنِّيْ أنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ-
(১) ‘আমি আল্লাহর নিকট দায়মুক্ত এজন্য যে, তিনি আমাকে তোমাদের মধ্যে কাউকে ‘বন্ধু’ (خليل) হিসাবে গ্রহণ করার অনুমতি দেননি। কেননা আল্লাহ আমাকে ‘বন্ধু’ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। যেভাবে তিনি ইবরাহীমকে ‘বন্ধু’ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তবে যদি আমি আমার উম্মতের মধ্যে কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতাম, তাহলে আবুবকরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতাম। বরং তিনি আমার ভাই ও সাথী। লোকদের মধ্যে নিজের মাল-সম্পদ ও সাহচর্য দ্বারা আমার প্রতি সর্বাধিক সহমর্মিতা দেখিয়েছেন আবুবকর। মনে রেখ, তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছিল। তোমরা যেন এরূপ করো না’। আমি তোমাদেরকে এ বিষয়ে নিষেধ করে যাচ্ছি’।
(২) আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ইতিপূর্বে তিনি রোগশয্যায় শায়িত অবস্থায় বলেন, لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ‘ইহুদী-নাছারাদের উপরে আল্লাহ্ লা‘নত হৌক! তারা তাদের নবীগণের কবরসমূহকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছে’।
(৩) তিনি আরও বলেন, لاَ تَجْعَلْ قَبْرِي وَثَنًا يُعْبَدُ ‘তোমরা আমার কবরকে মূর্তি বানিয়ে ফেলো না, যাকে পূজা করা হয়’।
(৪) এরপর মসজিদের ভাষণে তিনি বলেন, اشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ‘ঐ কওমের উপরে আল্লাহর প্রচন্ড ক্রোধ রয়েছে, যারা নবীগণের কবরসমূহকে সিজদাহর স্থানে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, إِنِّيْ أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ، اَللََّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ اللََّهُمَّ اشْهَدْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ- ‘আমি তোমাদেরকে এ বিষয়ে নিষেধ করে যাচ্ছি’। দেখো, আমি কি তোমাদেরকে পৌঁছে দিলাম’? হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক’। হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক’। প্রত্যেক কথাই তিনি তিনবার করে বলেন’।
(৫) এরপর তিনি আনছারদের উচ্চ মর্যাদা বিষয়ে অছিয়ত করে তিনি বলেনঃ أُوْصِيْكُمْ بِالأَنْصَارِ، فَإِنَّهُمْ كَرِشِى وَعَيْبَتِى، وَقَدْ قَضَوُا الَّذِى عَلَيْهِمْ، وَبَقِىَ الَّذِى لَهُمْ، فَاقْبَلُوْا مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَتَجَاوَزُوْا عَنْ مُسِيْئِهِمْ- ‘আমি তোমাদেরকে আনছারদের বিষয়ে অছিয়ত করে যাচ্ছি। তারা আমার বিশ্বস্ত ও অন্তরঙ্গ। তারা তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু তাদের প্রাপ্য বাকী রয়েছে। অতএব তোমরা তাদের উত্তমগুলি গ্রহণ কর এবং মন্দগুলি ক্ষমা করে দিয়ো’।
(৬) এরপর তিনি বললেনঃ إِنَّ عَبْدًا خَيَّرَهُ اللهُ بَيْنَ أَنْ يُؤْتِيَهُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا مَا شَاءَ، وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ، فَاخْتَارَ مَا عِنْدَهُ ‘একজন বান্দাকে আল্লাহ এখতিয়ার দিয়েছেন যে, সে চাইলে দুনিয়ার জাঁকজমক সবকিছু তাকে দেওয়া হবে অথবা আল্লাহর নিকটে যা আছে তা সে গ্রহণ করবে। অতঃপর সে বান্দা সেটাকেই পছন্দ করেছে, যা আল্লাহর নিকটে রয়েছে’। এইকথার তাৎপর্য বুঝতে পেরে আবুবকর (রাদিয়ালাহু আনহু) কেঁদে উঠে বললেন, فَدَيْنَاكَ بِآبَائِنَا وَأُمَّهَاتِنَا ‘আমাদের পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গীত হৌক’/ অন্য আরেকটা বর্ণনায় এসেছে, وَأَنْفُسِنَا وَأَمْوَالِنَا ‘আমাদের জীবন ও সম্পদ’। উপস্থিত সবাই এতে আশ্চর্য হয়ে গেল কিন্তু কেউ বুঝতে পারলো না। কিন্তু মহানবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওফাতের পর সবাই সেদিন তার কান্নার অর্থ বুঝতে পেরে বলল, وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ أَعْلَمُنَا ‘আবুবকরই ছিলেন আমাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি’।

এই পর্ব এখানেই শেষ। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওফাতের ঘটনাগুলি নিয়ে অনেক অজানা বিষয় আছে দেখে বেশ বিস্তারিত ভাবেই লিখেছি। এই লেখার যেখানে যেখানে দরকার সেখানেই প্রয়োজনীয় সূত্র উল্লেখ করেছি। বাদ বাকি অংশগুলি মূলত দুইটা বই থেকে বঙ্গানুবাদ করে লেখা হয়েছেঃ
১) Sirat Ibn Hisham: Biography of the Prophet (SAW) by Ibn Hisham
২) The Life of Muhammad (SAW) by Ibn Ishaq (Author), A. Guillaume (Translator)


[সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওফাতকালীন ঘটনাসমূহ নিয়ে ব্লগে বিভিন্ন অসর্ম্পূণ এবং বানোয়াট কিছু লেখা দেখতে পাওয়া যায়। না জেনে কিংবা ইচ্ছেকৃত ভাবে ইসলাম ধর্ম’কে হেয় করার জন্য সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওফাতের সময়কালে বিভিন্ন ঘটনাগুলি বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য দেবার সময় মনে হয়েছে এই বিষয়ে একটা বিস্তারিত পোস্ট দরকার। এরপর শ্রদ্ধেয় ব্লগার এবং সুপ্রিয় হাসান কালবৈশাখি ভাই আমাকে অনুরোধ করেন এই বিষয়ে লেখার জন্য। কিছুদিন আগে শুরু করলেও প্রয়োজনীয় সব তথ্য এবং উপাত্ত যোগাড় করতে যেয়ে দেরী হবার জন্য আমি লজ্জিত]।

লেখার জন্য প্রয়োজনীয় সহী সূত্র সমূহঃ
সূত্র ১ - দারেমী হাদীস নাম্বারঃ ২২৭, ফিক্বহুস সীরাহ পৃষ্ঠা ৪৫৬।
সূত্র ২ - মুসলিম হাদীস নাম্বারঃ ১২১৮, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ২৫৫৫।
সূত্র ৩ - ত্বাবারাণী, আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ৫৭১; সিলসিলা ছহীহাহ হাদীস নাম্বারঃ ৩২৩৩।
সূত্র ৪ - মুসলিম, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ২৫৫৫।
সূত্র ৫ - সীরাতে ইবনে হিশাম ২/৬০৫।
সূত্র ৬ - আর-রাহীক্ব পৃঃ ৪৬০; আল-বিদায়াহ ৫/২১৫।
সূত্র ৭ - তিরমিযী হাদীস নাম্বারঃ ৩০৪৪।
সূত্র ৮ - আবুদাঊদ, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ২৬৭১।
সূত্র ৯ - মুসলিম শরীফ, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ২৬১৮।
সূত্র ১০ - বুখারী হাদীস নাম্বারঃ ১৭৪১ ‘মিনায় ভাষণ’ অনুচ্ছেদ; মুত্তাফাক্ব আলাইহি মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ২৬৫৯।
সূত্র ১১ - তিরমিযী হাদীস নাম্বারঃ ২১৫৯; ইবনু মাজাহ হাদীস নাম্বারঃ ২৭৭১ ‘হজ্জ’ অধ্যায়; মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ২৬৭০।
সূত্র ১২ - মুসলিম হাদীস নাম্বারঃ ৪২৪৯, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ১৭৬৪।
সূত্র ১৩ - মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ৫৯৫৮; বুখারী হাদীস নাম্বারঃ ১৩৪৪; মুসলিম হাদীস নাম্বারঃ ২২৯৬।
সূত্র ১৪ - মুসলিম হাদীস নাম্বারঃ ৯৮৪, মিশকাত হাদীস নাম্বারঃ ১৭৬৬ ‘জানায়েয’ অধ্যায়।
সূত্র ১৫ - Click This Link


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ফেব্রুয়ারী ২০২০



মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পৃথিবীতে কত জন নবী এসেছিলেন? কোন নবী কি ধর্ম প্রচার করে গেছেন?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই,
আপনার নীচেও একই প্রশ্ন রেখে গেছেন একজন। এই বিষয়ে না জেনে বা আন্দাজে কিছু বলা ঠিক না। আমি ইসলাম ধর্মের আলোকে এই পৃথিবীতে আগত সকল নবী এবং রাসুলদের নাম জানার চেষ্টা করবো।
সকল নবীরাই আল্লাহর প্রেরিত সমসাময়িক অবিকৃত ধর্মগ্রন্থ দ্বারা ধর্ম প্রচার করে গেছেন। এবং যাদের উপর আসমানী কিতাব নাযিল হয়েছে বা ধর্মগ্রন্থ এসেছে তারা নবী এবং রাসূল। নবীদের তুলনায় রাসূলদের পরিমান অনেক কম।
প্রথম এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

একাল-সেকাল বলেছেন: আদম (আঃ) শুরু
কোরআনে ২৫ জনের উল্লেখ আছে
৪ টা আসমানি কিতাব, ৫ জন রাসুল
মোহাম্মদ (সাঃ) সর্বশেষ নবী ও রাসুল।
বাকিদের কথা কোরআন হাদিসে থাকলে সামনে আনা উচিৎ বৈকি। নইলে যারা দৃশ্যমান তাদের কে অনুসরন করলেই ৬০ বছরের জিন্দেগী শেষ হয়ে যাবে, দুশ্চিন্তার কারন নাই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি খুব সুন্দর একটা প্রশ্ন এনেছেন। আমি এর আগে তাওরাতে বর্ণিত সকল নবী এবং রাসূলদের একটা লিস্ট দেখেছিলাম। তবে একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই ইসলাম ধর্ম মতে এদের আগমন এবং নবুয়্যতের কথা বিশ্বাস করতে হবে।
আমি এই বিষয়'টা নোট করে রাখলাম। এই সিরিজ শেষ হবার পর আপনার দেয়া প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো।
আল্লাহ আমাদের সকল'কে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফিক দান করুন।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ধর্মীয় পোষ্ট গুলো থেকে দূরে থাকবো।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: এটা আমি ব্লগে সবার জানার জন্য দিয়েছি। যদি নতুন কিছু জানতে পারেন তাহলে আমার কষ্ট কাজে লাগবে। মন্তব্য আমার দরকার নেই।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

করুণাধারা বলেছেন: সাধারণ একটা পোস্ট লিখতেই যা পরিশ্রম হয়, আর এই পোস্টে তো আপনি এত রেফারেন্স এনেছেন যে বোঝাই যাচ্ছে এটি লিখতে আপনি কী প্রচন্ড কষ্ট করেছেন!!

উত্তম কাজের পুরস্কার উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে??( সুরা আর রাহমান)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপু,
আমি অনেক কষ্ট করেছি এইসব তথ্য যোগাড় এবং কাউন্টার চেক করার জন্য। এটা খুবই সেনসেটিভ বিষয়। কোন ভুল করা যাবে না। আমার যত কষ্টই হোক, সবার যদি এই বিষয়ে ভুলগুলি শুধরানো যায় তাতেও আমি খুশি।

রেফারেন্স না দিলে সবাই যে যার মতো উল্টা পাল্টা মন্তব্য করতো। এখন কেউ এই লেখা নিয়ে আজেবাজে কিছু বলার আগে দশবার চিন্তা করবে।

আপনার মন্তব্যের শেষ লাইন আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে। ধন্যবাদ আপু।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ । শুভেচ্ছা সতত।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইলো।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।
প্রিয়তে রাখলাম। এই বিষয়ে আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া রাবেয়া আপু,
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আমি প্রচন্ড বিরক্ত হয়েই এইকাজে হাত দিয়েছি। কী পরিমান আজেবাজে মন্তব্য যে করা হয় এই বিষয়ে না দেখলে আপনি বিশ্বাস করবেন না। এরপর থেকে এটা আমি রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করবো।
মোট ৩টা পর্ব হবে। শেষ পর্বে ভ্রান্ত আর গুজবগুলির স্বরূপ বিশ্লেষন করা হবে। সাথেই থাকুন। পরের পর্ব শিগগিরই দেবো।
ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৯

নিভৃতা বলেছেন: আমরা আল্লাহর ইবাদতের চেয়ে বেশি পছন্দ করি তর্ক বিতর্ক। নামাজ, রোযা, যাকাত, হজ্জ, মানবসেবা এবং হালাল পথ। কত সহজ হিসাব। অথচ এইসব বাদ দিয়ে, ফরজ ইবাদত বাদ দিয়ে, নফল ইবাদত এবং তুচ্ছ সব বিষয় নিয়ে হানাহানি রেষারেষি করে মরি। শত সহস্র দলে পরিণত হই। অথচ আল্লাহর রাসুল কত সহজ সুন্দর পথ আমাদের দেখিয়ে গিয়েছেন। ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে হানহানি রক্তারক্তি নিষেধ করে গেছেন। কিন্তু আমরা অবোধ। আমরা জেগে জেগে ঘুমাই। আর জেগে জেগে যারা ঘুমায় তাদের কোনদিন জাগানো যায়।
নিঃসন্দেহে কঠোর পরিশ্রমের কাজ। আপনার এই পরিশ্রম সার্থক হোক এই দোয়া করি। অবোধের বোধ জাগ্রত হোক। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় নিভৃতা,
দেরি করে প্রতিমন্তব্য করার জন্য লজ্জিত। সময় নিয়ে উত্তর দেবো দেখেই আগে লিখিনি।

ইসলাম হলো সীরাতুল মুস্তাকিম, অর্থাৎ সহজ বা সরল পথ।
এই সরলপথ'কেই মানুষ বিভিন্ন জানা বা অজানা অজুহাতে জটিল বানিয়ে ফেলেছে।

তর্ক, বিতর্ক, হানাহানি, রেষারেষি, দলাদলি যাই বলুন না কেন সবই শুরু হয় জ্ঞানের অভাব থেকে। স্বল্প জ্ঞান নিয়ে মানুষ আল্লাহর সমালোচনা শুরু করে। ধর্মের দোষ ধরে অথচ ভালোমতো জিজ্ঞেস করে দেখুন এরা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে স্ট্যাডি করে কিনা? সাথে সাথেই দেখবেন পিছন দিক দিয়ে পালাবে। আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে একদম প্রথমেই বলেছেনঃ ইকরা বা পড়। এই কাজে আপনি কাউকে পাবেন না। পাবেন শুধু দোষ ধরতে আর গালমন্দ বা বাজে কথা বলতে।

যাকে তাকেই আজকাল দেখা যায়, ইচ্ছে হলো একটা ফতোয়া প্রসব করে দিলো। আপনি এই ফতোয়াগুলি দেয়ার কে? আপনি কী মুফতি? আলেম? মওলানা? আরবী লাইনে পড়াশুনা করেছেন? এই লাইনগুলি কোন ইসলামিক সূত্র ধরে লিখেছে সেটা উল্লেখ করুন। হাদীস কিংবা কুরআনের সূত্র দিন। এবার দেখবেন চম্পট।

নীচে একজন'কে বলেছিলাম, এখানেও সেটা লিখলাম। দেখুন, আমি ব্লগে ধর্ম প্রচার করতে আসিনি। কাউকে হেদায়াত করাও আমার দায়িত্বের মাঝে পরে না। আমি শুধু চেষ্টা করেছি প্রচলিত ভুল ধারণা গুলি কেন ভুল আর সত্য কী সেটা তুলে ধরার। আমার যত কষ্টই হোক, সবার যদি এই বিষয়ে ভুলগুলি শুধরানো যায় তাতেও আমি খুশি।

খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
এই সিরিজের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪১

শের শায়রী বলেছেন: দারুন লিখছেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক। ইসলামের নবীদের নিয়ে একটা সিরিজ লিখতে চাই কিন্তু এখনো পড়াশুনার পর্যায়ে আছি, যেদিন নিজে কনফিডেন্ট ফীল করব সেদিন থেকে লেখা ধরব ইনশাল্লাহ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই,
ধর্মীয় পোস্ট লিখলে এর সাথে সূত্র খুব জরুরী। কারণ জয়ীফ হাদিস প্রচুর। অথেন্টিক সূত্র ছাড়া লেখা খুব রিস্ক। আমি এই পোস্ট নিয়ে অনেকদিন ঘাটাঘাটি করেছি।
তবে আপনি বস মানুষ। ঠিকই দুর্দান্ত একটা লেখা তৈরি ফেলবেন।
ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা আমি ব্লগে সবার জানার জন্য দিয়েছি। যদি নতুন কিছু জানতে পারেন তাহলে আমার কষ্ট কাজে লাগবে। মন্তব্য আমার দরকার নেই।

আমি বেশি জানতে চাই না।
বেশি জানলে শেষমেষ জানোয়ার হয়ে যেতে হয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার এই মন্তব্য ইগনোর করলাম।
সম্ভবত আপনি এই মন্তব্য দেবার সময় এই পোস্ট কী এবং পোস্টের বিষয় বস্তু কী সেটা ভুলে গিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইসলামকে বিকৃত করার মধ্য একদল লোক আনন্দ পায়। আর এটাও সত্য যে ইসলাম বিকৃত হতে হতে একদিন উঠে যাবে পৃথিবী থেকে নেমে আসবে কেয়ামত।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। ধন্যবাদ। ++++++++++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২

নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
এই পৃথিবীতে শুধু ইসলাম ধর্মই সবচেয়ে বেশি রিফিউটেশনের খপ্পড়ে পরে। অথচ কত কত আজগুবী কাহিনী নিয়ে অন্য ধর্মগ্রন্থ আছে সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলে না।
আর, শুদ্ধ ইসলাম কখনই বিকৃত হবে না। বিকৃত হবে মানুষের জ্ঞান আর বুঝার ক্ষমতা। ধর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া।
কিয়ামতের কাছে এসে শুদ্ধ ইসলামের প্রতি বিশ্বাস'কে উঠিয়ে নেয়া হবে।

আল্লাহ আমাদের সকল'কে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফিক দান করুন।

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

রাশিয়া বলেছেন: রাসূল (স) কে মৃত্যু শয্যায় রেখেই নাকি সাহাবীগণ ক্ষমতার দ্বন্দে মেতে উঠেছিলেন? এই বিষয়টি আপনার আলোচনায় আনবেন। মন্তব্যকারীদের মধ্যে একজনকে দেখছি ধর্মীয় আলোচনায় আগ্রহী নয়, তারপরেও বারবার মন্তব্য করতে এসে আজেবাজে কথা বলছে। দয়া করে তার মন্তব্যের উত্তর দেবেন না।

চাঁদগাজীর মন্তব্য ভালো লেগেছে। বোঝা যাচ্ছে মৌলিক ইসলামী জ্ঞানের প্রতি তিনি কিছুটা আগ্রহী হয়ে ঊঠছেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
গুরুত্ব বুঝে আমি সবাই'কে ফেলে আপনার মন্তব্যের উত্তর আগে দিলাম।
১। শেষ পর্বে ভ্রান্ত আর গুজবগুলির স্বরূপ বিশ্লেষন করা হবে। তার মধ্যেই কেন উনার জানাযা দেরি হয়েছিল সেটা আনা হবে।
এটা অবশ্যই ক্ষমতার মোহের জন্য নয়। বিস্তারিত ভাবে এটা লিখবো। স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
২। চাঁদগাজী ভাই সুন্দর প্রশ্ন করেছে আর তাই আমিও তাকে ভালোভাবে উত্তর দিয়েছি।
৩। দেখুন, আমি এখানে ধর্ম প্রচার করতে আসিনি। কাউকে হেদায়াত করাও আমার দায়িত্বের মাঝে পরে না। আমি শুধু চেষ্টা করেছি প্রচলিত ভুল ধারণা গুলি কেন ভুল আর সত্য কী সেটা তুলে ধরার। কিছু মানুষের দিল মোহর মেরে বদ্ধ করে দেয়া হয় তার পাপের জন্য, এদের কোন পরিবর্তন হবার সুযোগ থাকে না।
এই সিরিজের সাথেই থাকুন। পরের পর্ব শিগগিরই দেবো।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয় তে রাখলাম, সিরিজের সাথে ও আছি ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মনিরা আপু,
এই পোস্ট পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ব্লগে সবার জানার জন্যই এটা আমি লিখতে শুরু করেছি। অনেক ভ্রান্ত জিনিস আর ভুল ধারণা এবার ভেঙ্গে যাবে।
সাথেই থাকুন।
শুভ রাত্রী এবং শুভ কামনা রইলো।

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

নিভৃতা বলেছেন: লজ্জিত হওয়ার কিছু নাই। যে বিশাল কাজ হাতে নিয়েছেন তা সুন্দরভাবে সমাপন করুন এই দোয়া করছি।
আমরা হলাম "কান নিলো চিলে"র জাতি। আমাদের আকাশে আজ চিলের ছড়াছড়ি। আর আমরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সেই চিলগুলোর পেছনে দৌড়াচ্ছি। অথচ জ্ঞান আহরণের কত সুযোগ আমাদের সামনে খোলা। আমরা ভুলেও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করি না।
যে যা ভাবে সেটাই একমাত্র সত্য বলে ধরে নেয়। অথচ ভুল মানুষ মাত্রই হয়। তারও যে ভুল হতে পারে এটা সে ভাবতেই চায় না।
আরেকটা ব্যাপার হলো আমাদেরকে আল্লাহ যতটুকু বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন ঠিক ততটাই আমরা বুঝতে পারবো। এর বেশি বুঝতে পারবো না। কিছু জিনিস আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে হয়।

এত সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন সব সময়। আল্লাহ আপনাকে সফলতা দান করুন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: নিভৃতা শুভ সকাল,
আমাদের দেশের মানুষের মূল সমস্যা বলি আপনাকে। এরা সব সময় মুসলামান না আগে বাংগালি সেটা নিয়ে কনফিউজড থাকে। নূন্যতম ধর্মীয় জ্ঞান না থাকলেও সুযোগ পেলেই আরেকজন'কে ধর্মীয় উপদেশ দেয়। ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক করা হলেও কেউ কষ্ট করে পড়ে নিজে শিখবে না। আর প্রচলিত বেশিরভাগ হুজুরগুলি হচ্ছে ধান্দবাজ আর ব্যবসায়ী। ধর্মকে পুজি করা এদের আসল ব্যবসা।
ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আপনার এই মন্তব্য ইগনোর করলাম।
সম্ভবত আপনি এই মন্তব্য দেবার সময় এই পোস্ট কী এবং পোস্টের বিষয় বস্তু কী সেটা ভুলে গিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাই ভাই, ভাই ভাই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: দিন শেষে এবং সবকিছুর শেষে আমরা সবাই ব্লগার। একজন আরেকজনের ভাই বোনের মতো।
আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর ওফাত পুর্ববর্তি এবং পরবর্তি অনেক ইতিহাস ধামাচাপা দেয়া আছে। যারা জানেন তারা লিখে গেছেন সেই গুলাও ধর্মের নামে আড়াল করে রাখা হয়েছে, এমন অনেক প্রশ্ন আছে যা করলে কাফের মুরাতাদ মুনাফিক শব্দ গুলা ছুটে আসবে সেই সাথে তলওয়ার নিয়ে এক দল খুঁজবে। সমস্যা এখানেই। তারপরেও আমি প্রশ্ন করব জানার কোন শেষ নাই।

১। নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর কি জানাজা হয়েছিল, হলে তা কি ভাবে ?? (বিভিন্ন লোক বিভিন্ন আজগুবি কথা বলে আমি সম্পর্ন বিভ্রান্ত)
২। রাশিয়া ভাইএর প্রশ্ন ও আমার রাসূল (স) কে মৃত্যু শয্যায় রেখেই নাকি সাহাবীগণ ক্ষমতার দ্বন্দে মেতে উঠেছিলেন?
৩। ক্ষমতার দন্দে সাহাবিদের মধ্যে মারামারি পর্যন্ত হয়েছিল ?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: রানার ভাই,
আপ্নাকে দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি চাই নতুন ভাই আর হাসান কালবৈশাখি ভাইও আসুক।
আমি আপনার প্রশ্নগুলি পড়লাম। ধামাচাপা নিয়ে যেটা বলেছেন সেটা নিয়ে বির্তক আসলেও আছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এইজন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিয়া কনসেপ্ট আর সুন্নীদের কনসেপ্ট এক নয়। শিয়ারা অনেক কিছু দাবী করে যেটা অথেনটিক সুন্নী কোন প্রমাণ নেই।
আমি বিভিন্ন লোকের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই বিষয়ে সব বিভ্রান্তি দূর করার জন্যই এত বিশাল কাজে হাত দিয়েছি।
আপনার ৩টা প্রশ্নই ভালো করেছেন। লেখার সাথে থাকুন। উত্তর না পেলে জানাবেন। আমি আমার চেষ্টা করবো উত্তর দিতে সূত্র সহ।
তবে বিতর্কিত বিষয়গুলি আমি আলাদা করে আবার ৩য় পর্বে আলোচনা করবো।
সাথেই থাকুন। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন।
শুভ রাত্রী।

১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমৎকার একটি কাজ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন।

প্রিয়তে রাখছি। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে আমার মতো এত তুচ্ছ একজন ব্লগারের ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম জানাচ্ছি।
একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এটা লিখছি আমি। উপরের প্রতি মন্তব্যগুলি পড়লেই বুঝবেন।
এই সিরিজের সাথেই থাকুন। প্রিয়'তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।
আল্লাহ আমাদের সকল'কে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফিক দান করুন।

১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই,

এত সুন্দর ও পরিশ্রমী অসাধারণ পোস্ট এর জন্য আপনাকে অনেক দোয়া রই এবং আপনি অবশ্যই এর উত্তম প্রতিদান
পাবেন । এই লেখার সাথেই আছি ।
ভাই ,আমি আগে দেখলাম রকমারিতে শবনম বইটি পাওয়া
যাচ্ছে। আশা রাখছি এক সপ্তাহের মধ্যেই হাতে পাবো।
ভাল থাকুন ও শুভকামনা রইলো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পোস্ট নিয়ে আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে। আমার ভালো কাজ নিয়ে কষ্ট করতে অসুবিধা নেই।
এই ঘটনা খুবই সেনসেটিভ বিষয়। লেখার সময় ভুল করা যাবে না। আমার যত কষ্টই হোক, সবার যদি এই বিষয়ে ভুলগুলি শুধরানো যায় তাতেও আমি খুশি। একজনের উপকার হলেও যথেষ্ঠ। লেখার সময় প্রচুর রেফারেন্স দিতে হয়েছে। রেফারেন্স না দিলে সবাই যে যার মতো উল্টা পাল্টা মন্তব্য করতো।

'শবনম' রকমারীতে কয়েকদিন আগেই এসেছে। যদি কেনেন, তাহলে পড়ার পর কেমন লাগলো আমাকে জানাবেন। পারলে একটা সুন্দর রিভিঊ দিবেন ব্লগে।
শুভ কামনা রইলো।

১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

লেখা শুরু করেছেন, ভাল লাগছে।

তবে লেখায় আপনার বক্তব্য খুবই কম।
হাদিসের কপি পেষ্ট (আরবি সহ) এত দরকার ছিল না। মুলত যেগুলো অজানা গুরুত্বপুর্ন সেগুলোই জানা দরকার। শুধু হাদিস নং দিলেই চলে।

নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর জীবনির সঠিক একটা টাইমলাইন সন্নিবেসিত দরকার, যেমন
জন্ম ২৬ এপ্রিল ৫৭০
বিবাহ কবে
২য়, ৩য় .. ইত্যাদি বিবাহ কবে কবে,

কোরাইশদের ধাওয়ায় মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর।
বদর যুদ্ধ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ
৬২৫ সালের ২৩ মার্চে উহুদ যুদ্ধ
খন্দক যুদ্ধ কবে?
মেরাজ কবে?
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বীজয়।
কেবলা বদল কবে? (আগে জেরুজালেমের আল-আকসার দিকে নামাজ পরা হত, পরে মক্কার কাবাঘরের দিকে
নবুওয়াতের ২৩ বছর ধরে ধীরে ধীরে আল-কোরআন নাজিল হয়।
কোন সুরা কবে কোথায় নাজেল ইত্যাদির কমপ্লিট টাইমলাইন থাকলে ভাল হত।

অন্য একটি পোষ্টে জানাজা নিয়ে কিছু বিতন্ডা হয়েছিল আপনার সাথে। সে কারনেই তো এইপোষ্ট।
আপনার এখানে কমেন্ট করার আগে হাদিস খোজাখুজি করতে জানতে পারলাম ওনার মৃত্যুও স্বাভাবিক ছিল না।
৬৩ বছরে সুঠাম মাঝবয়েসি যুবকের অকাল মৃত্যু!
বিষপ্রয়গে হত্যা করা হয়েছিল ওনাকে।
আর নবীজীর বিষ এর যন্ত্রণার কথা সহিহ বুখারী তে ই আছে-

হযরত আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) তার মৃত্যুশয্যায় প্রায়ই বলতেন, ‘হে আয়িশা!! খায়বার এ যে খাবার আমি খেয়েছিলাম সেই বিষের বেদনা আমি এখনো অনুভব করছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার রক্তনালী যেন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই বিষের কারণে...’
{সাহিহ বুখারি, ৫ম খণ্ড, বই ৫৯, হাদিস ৭১৩
}

অন্যান্ন ইসলামিষ্টদের মত আপনিও বুখারি হাদিসের এই অংশটি স্কিপ করে গেছেন।
রানার ব্লগও প্রশ্ন ছুড়েছেন মৃত্যু শয্যায় রেখেই নাকি সাহাবীগণ ক্ষমতার দ্বন্দে মেতে উঠেছিলেন। জানাজা দেয়াও সম্ভব হয় নি।
আশা করি নেক্টস লেখায় এসব প্রশ্নের বিস্তারিত বলবেন।
আবার হাদিসের কপি দিয়ে পোষ্ট ভরায়ে ফেলবেন না।
ধন্যবাদ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল হাসান ভাই,
আপনার জন্যই আমি এত কষ্ট করেছি, আরও করবো। নীচে আপনার মন্তব্যগুলি উত্তর দিচ্ছি সিরিয়াল ধরে।
১। তবে লেখায় আপনার বক্তব্য খুবই কম। হাদিসের কপি পেষ্ট (আরবি সহ) এত দরকার ছিল না। মুলত যেগুলো অজানা গুরুত্বপুর্ন সেগুলোই জানা দরকার। শুধু হাদিস নং দিলেই চলে।
এই বিষয় আমার কোন বক্তব্য থাকতে পারে না। এটা প্রমাণিত একটা ইতিহাস। আমি হাদিস নাম্বারগুলি চেক করে শুধুই সহী অংশগুলি লিখে দিচ্ছি। ঠিক আছে, আরবী লাইন এরপর থেকে বাদ দিবো।

নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর জীবনির সঠিক একটা টাইমলাইন সন্নিবেসিত দরকার, যেমন জন্ম ২৬ এপ্রিল ৫৭০ বিবাহ কবে
২য়, ৩য় .. ইত্যাদি বিবাহ কবে কবে, কোরাইশদের ধাওয়ায় মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর। বদর যুদ্ধ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ ৬২৫ সালের ২৩ মার্চে উহুদ যুদ্ধ খন্দক যুদ্ধ কবে? মেরাজ কবে? ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বীজয়। কেবলা বদল কবে? (আগে জেরুজালেমের আল-আকসার দিকে নামাজ পরা হত, পরে মক্কার কাবাঘরের দিকে
নবুওয়াতের ২৩ বছর ধরে ধীরে ধীরে আল-কোরআন নাজিল হয়। কোন সুরা কবে কোথায় নাজেল ইত্যাদির কমপ্লিট াইমলাইন থাকলে ভাল হত।

এটা বিশাল একট কাজ। একটা মাত্র পোস্টে লিখা সম্ভব না। ধাপে ধাপে এই কাজ করতে হবে। আমি এই পোস্টে শুধু উনার ওফাত নিয়ে আলোচনা করবো। এর সাথে জড়িত কিছু বির্তকিত বিষয় নিয়ে সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

অন্য একটি পোষ্টে জানাজা নিয়ে কিছু বিতন্ডা হয়েছিল আপনার সাথে। সে কারনেই তো এইপোষ্ট। আপনার এখানে কমেন্ট করার আগে হাদিস খোজাখুজি করতে জানতে পারলাম ওনার মৃত্যুও স্বাভাবিক ছিল না। ৬৩ বছরে সুঠাম মাঝবয়েসি যুবকের অকাল মৃত্যু! বিষপ্রয়গে হত্যা করা হয়েছিল ওনাকে। আর নবীজীর বিষ এর যন্ত্রণার কথা সহিহ বুখারী তে ই আছে-
হযরত আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) তার মৃত্যুশয্যায় প্রায়ই বলতেন, ‘হে আয়িশা!! খায়বার এ যে খাবার আমি খেয়েছিলাম সেই বিষের বেদনা আমি এখনো অনুভব করছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার রক্তনালী যেন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই বিষের কারণে...’ {সাহিহ বুখারি, ৫ম খণ্ড, বই ৫৯, হাদিস ৭১৩} অন্যান্ন ইসলামিষ্টদের মত আপনিও বুখারি হাদিসের এই অংশটি স্কিপ করে গেছেন।

এটা সম্ভবত সহী হাদিস। প্রতিটা মানুষের মৃত্যুর একটা কারণ লাগে যেন আজরেল ফেরেস্তার ঘাড়ে যেন দোষ না পড়ে। আর ৬৩ বছর কেউ সুঠামদেহী হতে পারেনা। এটা বার্ধক্যের বয়স। আমি এই পর্যন্ত যাই নি এখনও। এর পরের পর্বেই এটা আসবে।

রানার ব্লগও প্রশ্ন ছুড়েছেন মৃত্যু শয্যায় রেখেই নাকি সাহাবীগণ ক্ষমতার দ্বন্দে মেতে উঠেছিলেন। জানাজা দেয়াও সম্ভব হয় নি। আশা করি নেক্টস লেখায় এসব প্রশ্নের বিস্তারিত বলবেন। আবার হাদিসের কপি দিয়ে পোষ্ট ভরায়ে ফেলবেন না।
আমি নিজেও তো বলেছি এই বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। জানাযার ব্যাপার নিয়ে আপনি ভুল জানেন। এর পরের পর্বেই এই ভুল ভেঙ্গে যাবে। খলিফা নির্বাচন নিয়ে ২ বা ৩য় পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। হাদিস এবং গ্রহনযোগ্য ইসলামের ইতিহাসের বই থেকেই তো আমাকে লিখতে হবে। যেখানে দরকার আমি নিজে লিখবো।

ধন্যবাদ। এই সিরিজের সাথেই থাকুন। কিছুটা সময় লাগবে একেকটা পোস্ট দিতে তবে আমি ইনশা আল্লাহ এটা শেষ করবো।
শুভ কামনা রইলো।

১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৩

নতুন বলেছেন: আপনার লেখা আমি পড়ি, আলোচনার বিষয় না থাকলে হয়তো মন্তব্য করা হয় না।

আপনি বিশ্বাসী মানুষ এবং কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী টাইপের কিছু দিয়েন না।

মানুষ যাকে পছন্দ করে বা সন্মান করে তার গুন গুলি অতিরন্জিত করে, নবী রাসুলের কাহিনিতেও অনেক অতিরন্জন আছে... আশা করি সেটা এড়িয়ে যাবেন।

তবে নবী রাসুলদের এই স্বাধীনতা দেওয়া হয় যে, আপনি কী পৃথিবীতে থাকতে চান? না কী চলে যেতে চান। কিন্তু নবী-রাসুলরা আল্লাহর কাছে চলে যাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

ইসলামের বিশ্বাস এবং ধারনায় নবী বা রাসুল জন্ম নেবার পরে তিনি কেয়ামত পযন্ত থাকতে চাইবে এটা অবা্ন্তর একটা ভাবনা। মানুষের শরীর অনন্তকাল জীবিত থাকার মতন এখনো হয়ে উঠেনাই। তাই উপরের কথা কোরানের কোন রেফারে্ন্স মনে হয় কোথাও পাবো না।

বত`মানে ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রসদ হলো হাদিস.... আর এই হাদিস খুব বেশি নিভ`র যোগ্য না সেটা একটু কমন সেন্স ব্যবহার করলেই বোঝা যায়।

ইতিহাসে বিজয়ীরাই তাদের ভালো জিনিস গুলি লেখে এবং পরাজিতদের খারাপ কথা গুলিই লেখে।

রাসুল সা: মারা যাবার পরে শোক কিছুটা কাটার পরেই কিন্তু রাজনিতিক নেতার বিষয়টা চলে এসেছিলো, সেটার জন্য রাসুলের কন্যার উপরে হামলা হয়েছে, তার ২ নাতীকে সাহাবার ছেলে হত্যা করেছে, ৩ খলিফাকে হত্যা করা হয়েছে, আয়শা রা: এর সাথে খলিফার দন্দ...

ইসলামের পরশ পাথরের কাছে থাক মানুষগুলিই কিন্তু এই রকমের ঘটনা গুলি ঘটিয়েছে....

তাই এই রকমের সময় পার হয়ে ২০০ বছর পরে ইমাম বোখারী ভীন দেশে, ভীনদেশী ভাষা শিখে হাদিস সংকলন করেছে এবং সেটা এখন ১০০ ভাগ সত্য বলে বিশ্বাস করা কিছুটা অন্ধ বিশ্বাস বৌকি।

আশা করি আপনি রাসুল সা: এর জীবনের শেষ সময়ে পাওয়া সব রকমের তথ্য, সব সূত্রের হাদিসের সমন্ময়েই পুরো বিষয়ের একটা নিরোপেক্ষ চিত্র তুলে ধরতে চেস্টা করবেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল নতুন ভাই,
আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই লেখার মাঝে আমি কোন অন্ধবিশ্বাস নিয়ে লিখিনি। যতদূর সম্ভব সহী শুদ্ধ ভাবে লিখেছি। যেই হাদিস নিয়ে আপনি প্রশ্ন ক রেছেন সেটা আমি চেক করেই লিখেছি। আবার চেক করলাম। দেখুন সহী সূত্র সহঃ
৬৫০৯. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ অবস্থায় বলতেন যে, কোন নবীরই (জান) কব্য করা হয় না, যতক্ষণ না তাঁকে জান্নাতে তার স্থান দেখানো হয়, আর তাঁকে (জীবন অথবা মৃত্যুর) যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার অধিকার না দেয়া হয়। কাজেই যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুকাল আসন্ন হল, তখন তাঁর মাথা আমার রানের উপর ছিল, তখন কিছুক্ষণের জন্য তিনি অচেতন হয়ে পড়লেন। চেতনা ফেরার পর তিনি উপরে ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ‘আল্লাহুম্মার রাফীকাল আলা’ (ইয়া আল্লাহ্! তুমিই আমার পরম বন্ধু)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, তখনই আমি (মনে মনে) বললাম যে, তিনি এখন আমাদেরকে পছন্দ করবেন না। আর আমি বুঝলাম যে, এটাই সেই কথা, যা তিনি ইতোপূর্বে বর্ণনা করতেন এবং এটাই ছিল তাঁর শেষ কথা, যা তিনি উচ্চারণ করেছেনঃ اللهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى ‘‘হে আল্লাহ্! উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বন্ধুর সঙ্গে করে দিন।’’ [৪৪৩৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ)
লিংকঃ Click This Link

লেখার ব্যপার আমি হাসান ভাইকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কথা বলেছি। অনুগ্রহ করে সেইগুলি পড়ে নিবেন। বির্তকিত বিষয়গুলি নিয়ে এক এক করে আলোচনা করবো। আর আপনি আমাকে যা যা বলেছেন, যেমনঃ " রাসুল সা: এর জীবনের শেষ সময়ে পাওয়া সব রকমের তথ্য, সব সূত্রের হাদিসের সমন্ময়েই পুরো বিষয়ের একটা নিরপেক্ষ চিত্র তুলে ধরতে চেস্টা করবেন"। এটা মেনে চলার চেষ্টা করবো। তবে সনদ বা সহী কোন সূত্র ছাড়া লেখা ঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে লেখা কোন মূল্য থাকে না।

সাথেই থাকুন। অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন ভাই এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
শুভ কামনা রইলো।

২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৬

নতুন বলেছেন: Amru b. Maymun said: During the pre-lslamic period of ignorance I saw a monkey (a female) surrounded by a number of monkeys. They were all stoning it, because it had committed illegal sexual intercourse. I too, stoned it along with them.(Hadith narrated by Al-bukhari in Volume 5, Book 58, Number 188)

এই বানরের কাহিনিটাও সহী বোখারীর হাদিস হিসেবে আছে....

যে বেভিচারের কারনে পুরুষ বানরেরা স্ত্রী বানরকে পাথর মারে এবং ঐ সাহাবাও তাদের সাথে সাথে পাথর মেরেছিলো।

এই ঘটনাও বোখারী শরিফেই আছে..... তাই হাদিস দিয়ে কোন কাহিনির আসল রুপটা পাবার আশা আমি করিনা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই,
আপনার দেয়া হাদিস পড়ে আমি হতম্ভব। এটা কীভাবে হাদিস হয়?
- এর সাথে ইসলাম বা নবী করীম (সা.) এর কোন সর্ম্পক নেই।
আমি এটার তাফসির ভালো ভাবে দেখে পরে এটার নিয়ে বিস্তারিত উত্তর দেবো।
২য় পর্বে প্রায় লেখা শেষ। সূত্রগুলি কাউন্টার চেক করছি। আপনার দেয়া প্রশ্ন গুলির ব্যাখ্যা দেয়ার
চেষ্টা করেছি।
শুভ কামনা রইলো।

২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার একটা সিরিজ হাতে নিয়েছেন। ভালো লাগলো। ++
প্রিয়তে নিলাম। আপনার সফলতা কামনা করি। আপনার পরিশ্রম আশাকরি বৃথা যাবে না।



লেখক বলেছেন: দিন শেষে এবং সবকিছুর শেষে আমরা সবাই ব্লগার। একজন আরেকজনের ভাই বোনের মতো

মন্তব্য টা মনে গেঁথে নিলাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: সৌরভ ভাই,
২য় পর্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে দেরি হয়ে গেল আসতে।
এই সিরিজ নিয়ে অনেক বির্তক আসবে। এর পরের পর্বে আমাকে বেশ কিছু বিষয় নিজের লিখতে হয়েছে। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
রাজীব ভাই না বুঝে বাজে একটা মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। ভুল যে কারও হতে পারে।
ধন্যবাদ।

২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

মেটালক্সাইড বলেছেন: আল্লাহ্‌ সুবহানুতায়ালা আপনাকে ঊত্তম প্রতিদান দান করুক।
ঊমর ইবনুল খাত্তাবের জীবনী নিয়ে একটি সিরিয়াল আছে।
এমবিসি উমর সিরিজ দিয়ে খুজলে পাওয়া যাবে। সেখানে আপনার মতই সত্য ঘটনা সঃক্ষিপ্তকারে তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে রাসূলুল্লাহর কিছু ঘটনা এবং ওফাতের পূর্বে ও পরের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা আপনার লেখার সাথে মিলে যায়।
রাসূলুল্লাহর চেহারা ও কন্ঠ ক্যামেরাতে অদৃশ্য রাখা হয়েছে, এমনকি উনার স্ত্রীদেরকেও অদৃশ্য রাখা হয়েছে, যার কারণে এটা দেখতে পারেন।
ব্লগের সবাইকে অনুরোধ রইল, দেখার জন্য। আর কিছু না হোক তৎকালীন আরবের স্বরুপ স্বল্প হলেও বুঝতে পারবেন।
(টরেন্টে খুজলে পেয়ে যাবেন)।
আমার মন্তব্য কোন ভুল হলে আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
আল্লাহ আমাদের সবাই'কে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফিক দান করুন।
ব্লগে ইসলামিক বিষয়গুলি নিয়ে কেউ পোস্ট দিলেই দেখতাম বেশ কিছু কনট্রোভারশিয়াল টপিক এনে সেখানে কিছু ভুল বিষয় উপস্থাপন করা হতো। এইসব মন্তব্যের উত্তর দিতে যেয়েই আমার মনে হলো আলাদা আলাদা করে না দিয়ে একটা পোস্টে নিয়ে এসে দিলে সবারই উপকার হবে।
আমি আপনার এই সিরিজ দেখবো। হযরত উমর (রা.) আমার খুব প্রিয় একজন ব্যক্তি। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে লিখতে গেলে আমার সাহায্য হবে।
২য় পোস্ট থেকেই আমি ভুলগুলি ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করছি।
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভ কামনা রেখে গেলাম।

২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৯

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। এটা কয় পর্ব হবে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপাতত ৩ বা ৪ পর্ব দেবো ভেবেছি। তবে সেটা লিখতে বসলে বুঝা যাবে।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি কালজয়ী পোস্ট (সিরিজ) এ ব্লগে রেখে যাবার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন!

সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে আপনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন আপনার বক্তব্যের সমর্থনে সূত্র ও সনদ উল্লেখ করে যেতে। প্রতিমন্তব্যের ব্যাপারে আপনি অত্যন্ত সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করেছেন, এটাও আপনার এ পোস্টের একটি উজ্জ্বল দিক।

হাল জাযাউল ইহসানু ইল্লাল ইহসান? (সুরা আর রাহমান) - উত্তম কাজের পুরস্কার উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে?? (সুরা আর রাহমান) - করুণাধারা এটাই বাংলায় বলে গেছেন, আমার জবানে এটা আরবীতেই উচ্চারিত হয়ে উঠলো, তাই সেটা আমি এখানে আরবীতেই লিখে দিলাম!!! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনাকে এ কাজের জন্য উত্তম বিনিময় দান করুন!

চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য নিভৃতা কে এবং সেটার উত্তরে চমৎকার একটি প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকে- আপনাদের উভয়কে ধন্যবাদ।




০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। নোটিফিকেশন প্রোবলেমের জন্য আগে এখানে ফিরতে পারিনি, লজ্জিত।

ব্লগে আমি অনেক পোস্টেই এই বিষয়টা নিয়ে তির্যক এবং বিতর্কিত মন্তব্য দেখতে পেতাম। ইচ্ছে থাকলেও অনেক ব্লগার এইসব মন্তব্যের কোন সদুত্তর দিতে পারতেন না উপযুক্ত প্রমাণ এবং সমর্থনের জন্য। তাই আমি যখন এই লেখাটার জন্য কাজ করতে বসলাম তখন সহী সূত্রগুলিই ব্যবহার করেছি। কারণ এছাড়া এইলেখাতেও আবার এইসব তির্যক এবং বিতর্কিত মন্তব্য আসবে।

ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলি লেখার জন্য অবশ্যই সহীসূত্র ব্যবহার করে লেখা উচিত। এর ফলে ২টা সুবিধা পাওয়া যায়ঃ-
১। কোন রকম কনট্রোভার্সি তৈরি হবে না
২। কোন রকম অযাযিত মন্তব্য কেউ করার সাহসও পাবে না।

আমি এই লেখাটা ব্লগের সবার জন্য রেফারেন্স হিসেবেই লিখে দিয়ে যাচ্ছি। যেন আমি না থাকলেও এই লেখা থেকে যায়। অদূর ভবিষ্যতেও কেউ এই লেখাগুলি যুক্তি এবং সনদ হিসেবে দিতে পারেন।

এছাড়া আমি প্রচলিত অনেক ভুল ধারণাও ভেঙ্গে দিতে চাই। আমার না জেনে অনেক কিছুই বলে বেড়াই যেটা আসলে সত্য নয়। এর সাথে সর্ম্পকীত প্রায় প্রতিটা বিতর্কিত এবং ভুল টপিক নিয়েই আমি আলোচনা করবো।

ইতিমধ্যেই আরও ২টা পর্ব পোস্ট করেছি। সেগুলি পড়ার আমন্ত্রণ দিলাম আপনাকে।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

২৫| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন পোস্ট। লাইকসহ প্রিয়তে।

১৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
আমি এই বিষয়ে প্রচলিত সবধরণের ভুল ধারণাগুলি ভেঙ্গে দিতে চাই।
ব্লগে অনেকেই না জেনে অনেক কিছুই বলে বেড়াই যেটা আসলে সত্য নয়।
চিরায়ত সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই সিরিজ।
শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.