নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরিকল্পিতভাবে যেমন সুন্দর বাগান তৈরী সম্ভব নয়,\nতেমনি অপরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটা সুন্দর জাতী তৈরী সম্ভব নয়।\nআগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়- কর্মমুখী,নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী শিক্ষা চাই,\nবর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির বোঝা তৈরী হয়, সম্পদ নয়।\n\

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলসতা

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২২

যাদের কোন কাজ থাকেনা তাদের প্রধান
কাজ হল পরচর্চা আর নিজের কষ্টগুলোকে
আবাদ করে হতাশা উৎপাদন করা । কারন
অলস মন হল হতাশা উৎপাদনের খেত ।
অলসতার সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে বিষন্নতা ।
অলসতা হল ছন্ধবেশী আত্মহত্যা । অলসতা
মানু্ষের মস্তিষ্কে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার
প্রবনতা জাগিয়ে তোলে । মূলত এটা
আত্মহত্যার ক্ষেত্রে স্লো পয়জনিংয়ের
কাজ করে ।
.
চীনে কয়েদীদের এই অলসতার মাধ্যমে
কঠিন শাস্তি দেয়া হয় । তাদের এমন এক
পানির কলের নিচে বসিয়ে দেয়া হয় যে কল
থেকে প্রতি ঘন্টায় এক ফোটা করে পানি
পড়ে । এভাবে মাত্র কয়েকফোটা পানির
জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে করতে একসময়
কয়েদীদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়ে তারা
সম্পূর্ণ পাগল হয়ে যায় । আসলে অলসতা হল
একধরনের নিপীড়ন ।
.
কাজেই কোন ভাবে অলস থাকা যাবে না ।
যে কোন একটা কাজে নিজেকে ব্যস্ত
রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ । আপনি
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ নামাজে
দাঁড়াতে পারেন (আমাদের প্রিয় নবী(স:)
অবসর পেলেই নামাজে (নফল নামাজে)
দাঁড়িয়ে যেতেন) । আপনি অর্থসহ কোরআন
পড়তে পারেন, অর্থসহ তিলাওয়াত শুনতেও
পারেন । কিংবা পড়তে পারেন রাসূল (স:)
এর অমৃত বানীগুলো । ভাল কোন বই পড়েও
অলসতা দূর করা যায় । ব্যক্তিগত পড়াশোনা
করা যেতে পারে । ঘরে অনেক বই থাকলে
সেগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে পরিস্কার রাখেন
দেখবেন ভাল লাগবে । বিছানাটা,
অগোছালো কাপড়গুলো গুছিয়ে রাখলেও তো
ঘরটা কত সুন্দর দেখায় । লেখালেখির
অভ্যাস থাকলে যেকোন একটা বিষয় নিয়ে
লিখতে বসে যান । বাড়িতে বাগান
থাকলে বাগানে কাজ করে দেখেন মনটা
ফ্রেস হতে বেশি সময় নেবে না । ঘরে যা
আছে তাই দিয়ে নতুন কোন রেসিপি তৈরী
করে রান্না করে দেখতে পারেন । অর্থাৎ
কাজ নেই তো কাজ তৈরী করেন । নিজেকে
অলসতার বলীর পাঠা বানাবেন না প্লিজ ।
অলসতা আপনাকে একদম শেষ করে দেবে ।
.
পেডেলে পা ঘুরাতে থাকা রিক্সাওয়ালা,
হোটেলে রুটি বানাতে থাকা বাবুর্চী,
কাঠে নকশা করতে করতে কাঠমিস্ত্রী, ইট
বালি আর সিমেন্টের তৃমুখী সম্পর্ক
নির্মাতা রাজমিস্ত্রী, কাপড়ে সুতোর
নিখুত বুননে মগ্ন থাকা দর্জি, মগের মধ্যে
অনবরত চামচ ঘুরাতে থাকা ঝালমুড়ি
ওয়ালাদের দিকে একটু খেয়াল করলেই
দেখবেন এরা কাজ করছে পাশাপাশি গুনগুন
করে গানও গাইছে । কেন জানেন? এরা
কাজের মধ্যে ডুবে আছে বলে এদের মনে
কোন হতাশা নেই কোন যাতনা নেই । এরা
সত্যিই সুখী কারন এরা কাজ পাগল । এরা
হতাশাকে জীবনে আসার সুযোগই দেয়না ।
দিন শেষে এরা বিছানায় ক্লান্ত দেহটা
এলিয়ে দেয়া মাত্রই নাক ডাকতে শুরু করে
। এদেরকে ঘুম খুজতে হয়না । ঘুমই এদের খুজে
বেড়ায় ।
.
বাজি ধরে বলতে পারি দিনব্যাপী অলস
থাকা মানুষগুলো কখনই রাতে ভাল ঘুমাতে
পারে না । কারন যে অসময়ে ঘুমায় সময়মত
তাকেই ঘুম খুজতে হয় । আমি কখনই কোন
গরীব খেটে খাওয়া মানুষকে নির্ঘুম রাত
কাটাতে দেখিনি । কে জানে অলসদের
চোখ থেকে হারিয়ে যাওয়া ঘুমগুলোই হয়তো
এ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর চোখে
পঙ্গপালের মত ভীড় করে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

গিরি গোহা বলেছেন: ভালো প্রবন্ধ

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: tnx

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.