নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"যুদ্ধ ছাড়া কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চাও, তবে ঐ জাতির তরুণদের মাঝে অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়িয়ে দাও।\" সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রহ:)

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ক্রিকেটঃ দ্বায়িত্বশীল ক্রিকেটার খুব বেশি প্রয়োজন

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২



খেলা ও যুদ্ধে কাওকে ছোট ভাবার সুযোগ নেই। প্রথমে যারা কাজ করুক অথবা খেলুক তাকে অবশ্যয় একটু বেশি দ্বায়িত্বশীল হতে হবে।তামিম সাহেব তার কোন ধারাবাহিতা নেই। সৌম্য তারও কোন ধারাবাহিতা নেই। মুশফিক অনেক দিন যাবোত কোন ফর্মে নেই। সাকিব ব্যাট করার ক্ষেত্রে দ্বায়িত্বহীন। এক কথাই বাংলাদেশের কোন খোলোয়ার দ্বায়িত্বনিয়ে ঠান্ডা মাথাই খেলেনা। তাহলে দল এগোবে কিভাবে। তাহলে কি শুধু বলার দিয়ে ক্রিকেট চলে। একজন যখন অাউট হচ্ছে তখন অন্যজনের কি রকোরনীয় এই জ্ঞানটুকু কবে হবে। পাকিস্থান ও ভারতের কাছে বেশ কটি জেতা ম্যাচ হেরেগেছে। মাথা গরমের কারনে।এগুলো অাসলে দেখতে খুবই বিরক্তিকর লাগে। একই ধরনে ভুল দেখতে কষ্ট লাগে।

অাফগানিস্থান নতুন দল হলেও তাদের ব্যাটসম্যান ও বলার অনেক নির্ভরযোগ্য। অনেক ঠান্ডা মাথাই তারা খেলেছে।

বাংলাদেশ দলের অার কত অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অপেনিংয়ে ঠান্ডামাথাই, দেখে শুনে, ফাক পেলেই মেরে খেলতে হবে, এগুলো মাথাই ঢোকেনা।অপেনিংটাই ভালো হলোনা। সেখানে অাফগান দলের তুলোনা নেই।

এক-দুজন তারোকা খেলোয়ার দিয়ে পুরা দলকে বিবেচনা করা চলেনা। দেশের জন্য দলের জন্য ভালোকরে খেলতে হবে। ব্যাটিং লাইন অনেক শক্তিশালী করতে হবে।

এক সময় অস্ট্রেলিয়া দলে সব বলারই অলরাউন্ডার ছিলো।

নিজের মাঠে প্রথম ম্যাচে কষ্ট করে জয় পাওয়া ও পরের ম্যাচের হারটা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবে অাফগান দল অনেক ভালোদল। সামনে অনেক কিছু করবে।

বাংলাদেশ দলকে সচ বেচা, বিস্কুট বেচা, নেট বেচা বাদ দিয়ে মনদিয়ে খেলতে হবে। অারো বেশি সচেতনতা ও দ্বায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।

একটি নতুন ছবি অাপডেট করলাম ১৫/১১/১৬

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

রিয়াদ ডি ক্রুজ বলেছেন: বাংলাদেশের প্লেয়ার রা যেই সময় টা মডেলিং করা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে সেটা যদি খেলাতে করতো তাহলে কাল হারতে হইতনা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:

সহমত।

এডভার্টাইজমেন্ট থেকে টাকা পেয়ে মুলকাজ ভুলেগেছে।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
দায়িত্বশীল খেলোয়ারের অভাব???

শিরোনাম পড়ে আমার মনে হল - আপনারা কি শুধু টিভিতেই ক্রিকেটটা দেখেন নাকি ক্রিকেটের সাথে জড়িত অন্যান্য নিয়ামকগুলো নিয়েও ভাবেন?

প্রথমত বলি, প্রথম ওয়ানডের পিচ এবং কালকের পিচ দুইটা দুই রকম ছিল। প্রথম ওয়ানডের পিচ স্পোর্টিং ছিল। দুই দলই ব্যাটিং-বোলিং উভয় ক্ষেত্রে সেটায় শান্তিমতই খেলতে পেরেছে। কালকের পিচ ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য নরক স্বরূপ। এমন না যে সেটা বোলারদের জন্যও খুব ভাল ছিল। তবে, ঐ পিচে ব্যাটসম্যান থেকে বোলারদের সুবিধা একটু বেশি। সেটা শুধু রানের দিক দিয়েই। রান করতে না পেরে ব্যাটসম্যানরাই চাপে পড়ে উইকেট হারিয়েছে। গতকাল ৯৯ ওভারে রান হয়েছে মাত্র ৪১৭, সাথে উইকেট গিয়েছে ১৮ টা। ঐ পিচ ভাল ক্রিকেট ম্যাচ উপহার দেওয়ার মতই ছিল না।

তারপর,
তামিমের ধারাবাহিকতা নেই। এটা বলা যেত আগের সময়ে। এখন বলা যায় না। কারণ, এখন তামিম যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে খেলে। আগে সব বলেই শট খেলতো - এখন বুঝে শুনে খেলে। সাথে পরিস্থিতিকেও মাথায় রাখে। কালকে যখন তামিম আউট হল - তখন রান করতে পারছিল না। তাই রিস্ক নিয়েছিল। আফগানদের ফিল্ডিং-ও যথেষ্ট ভাল না। সব মিলিয়েই রিস্ক নিয়েছিল। রিস্কটা কাজে লাগেনি। তাই তামিমের দোষ হয়ে গেল। রানের সংখ্যা না দেখে কীভাবে খেলছে সেটা দেখলে এই কথা বলতেন না।

সাকিব। কালকে ব্যাট করা ২১ জনের মাঝে সাকিবই শুরু থেকে সাবলীল ভাবে ব্যাট করতে পারছিল। এক সাকিবই কিন্তু। মোসাদ্দেকও শুরুতে অতটা স্বচ্ছন্দ হতে পারছিল না। আস্তে আস্তে হয়েছে। আর, কালকে সাকিবের আউটটা কি আসলেই আউট হয়েছিল? মনে তো হয় না। সাকিব ক্রিজে থাকলে রানের চাকাটা আরো বাড়তোই। না বুঝে সাকিবকে দোষ দেওয়ার তো মানে দেখি না। তার বোলিং তো বাজে ছিল না। চারটা উইকেট নেওয়া তো আর খুব সোজা না।

মুশফিক। মুশফিকও শুরু থেকে না পারলেও - আস্তে আস্তে থিতু হয়ে হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিল। তার দোষ একটাই সেটা হল সেট হয়ে উইকেট গিফট করা। এটাকে তার বাজে সময়ের প্রতীকই বলা যায়। অনেকদিন ধরেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না তার। আন্তজার্তিক ক্রিকেটে তারা নিক নেম হল মি. ডিপেন্ডেবল। এটা বাংলাদেশীরা তাকে দেয়নি। সে নিজেই অর্জন করেছে। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বিদেশী ধারাভাষ্যকাররাও এটা বলে। তার দোষটা হল - কিপিং-এ তার পারফমেন্স ভাল না। সেটার চর্চা করতে গিয়ে ব্যাটিং-এ মনোযোগ ভাল ভাবে দিতে পারছে না। ফলে দুইদিকেই ব্যর্থ হচ্ছে। তাকে বহু আগে থেকেই সবাই বলে যাচ্ছে যে, সে যেন কিপিং ছেড়ে ব্যাটিংটাই করে শুধু। তার এই একটা ঘাড়ত্যাড়ামিই তার ক্ষতি করছে।

সৌম্য। সৌম্য কখনোই দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যান ছিল না। সে আনকোরা নতুন বলে খেলার ব্যাটসম্যানও না। তার ব্যাটিং স্টাইলও ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের মত না। কয়েকটা ভাল ইনিংস আছে তার ওপেনিংয়ে, তার মানে এই না যে সে জাত ওপেনার। ঐ ম্যাচগুলোতে ভাগ্য তার সহায় ছিল। বল ব্যাটে আসছিল। সে তার ন্যাচারাল ব্যাটিং করতে পেরেছে। ভাগ্য বা কন্ডিশন সব সময়ই পক্ষে থাকবে না - এই জন্যই ব্যর্থ সেও। তাকে উপর থেকে নিচে নামিয়ে দিক। সে বড় স্কোর করতে পারবে না। কিন্তু রানের চাকা ঠিকই সচল রাখতে পারবে। সৌম্য হল এই জাতের ব্যাটসম্যান। আমাদের টিম ম্যানেজম্যান্টের ভুল এটা। তাদের ভুলে একটা ট্যালেন্টেড ব্যাটসম্যানকে হারাতে হবে।

আপনি দোষই দিয়ে গেলেন শুধু। সেটা না বুঝেই। ম্যানেজম্যান্ট ভাল থাকলে এই টিমই, এই পিচে আরো ভাল খেলতে পারতো।

টেইল এন্ডারদের ব্যাটিং-এর দিকে মনোযোগই দেয় না। সেটা কালকেই বুঝা গেছে। কালকের তাইজুলের ব্যাটিং দেখেই বুঝা গেছে যে সে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েই খুশি। কীভাবে ব্যাট করা লাগবে সেটা নিয়ে ভাবেওনি। তাদেরকে ঐভাবে ট্রেইনিং দেওয়া লাগবে যে - তারা ব্যাটিং-এ থাকলে যেন জেনুইন ব্যাটসম্যানকে সাপোর্টটা দিয়ে যায়, তাদের ব্যাটিং-এ রান তোলার অতটা চাপ নেই। তাহলেই, কালকে মোসাদ্দেক বেশি বল পেত। রানটাও ভাল হত।
রুবেল নেমে কিন্তু এই কাজটাই করেছে। কারণ সে অভিজ্ঞ। সে জানে ঐ পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। এবং ঐ সময়টায়ই মোসাদ্দেক রান বাড়িয়েছে।
এটাও ম্যানেজম্যান্টের দোষ যে, তারা কেন রুবেলের মত অভিজ্ঞ একজনকে বসিয়ে রেখে আগে দুইজন অনভিজ্ঞকে কেন পাঠালো? রুবেলকে আগে নামিয়ে দিলে সে আউটের পরও তো আরো দুজন থাকতো। ভরসা তো থাকতো।
এটায় টেইলএন্ডারদের থেকে ম্যানেজম্যান্ট, কোচিং স্টাফের অদক্ষতাই বেশি চোখে পড়ে।

আর, আফগানরা ব্যাটিং-এ থিতু হওয়া মাশরাফি নিজেই বলেছে - 'ওদের ব্যাটিং-এর সময় আমরা ঠিক আক্রমনাত্নক ফিল্ডিং করতে পারিনি।' ওদের বলতে ম্যাশ - নবী এবং স্ট্যানিকজাইয়ের জুটির কথাই বলেছে।
খেলা বুঝে দেখে থাকলে দেখতে পেতেন যে - ওরা পুরোটা সময়ের কখনোই সাবলীলভাবে ব্যাট করতে পারেনি। নবী সময়ের সাথে মানিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তবুও শেষ পর্যন্ত উইকেট গিফটই করে দিয়েছিল। স্ট্যানিকজাই তার ফিফটি করতে ৮৫-৮৬ এর মত খেলেছিল।
তারা অস্বস্তিতেই ছিল রান না উঠায়। রিস্কও নিয়েছে। কিন্তু ফিল্ডিং প্লেসমেন্টের কারণে তারা বেঁচে গেছে। মাঝে সিঙ্গেল নিয়ে নিয়েও তারা থিতু হয়ে যায়।
তাদের ব্যাটিং-এ ঐটাই মুখ্য ছিল।

শেষমেশ তারাও বিপদে পড়েছিল। এই খেলা শেষ করতে তাদেরও ৮ উইকেট যায়। ওভারও লাগে ৪৯টা। শুধু মুশফিকের একটা স্ট্যাম্পিং মিসকেই দায়ী করা যায় হারার জন্য। তবুও, ঐ স্ট্যাম্পিং করলেই যে খেলা জিতে যেতাম তারও কোন গ্যারান্টি নেই।

আমি লাস্টে এইটুক বলব - পরিসংখ্যান দেখে কখনো ক্রিকেটকে বিচার করা যায় না।
আফগানরা নতুন দল হয়েও তারা ভাল খেলতে পারছে কারণ তারা এই বছর খেলার মাঝেই ছিল। মাঠে নিয়মিত সময় খেলে যাওয়ায় তাদের শরীরী ভাষাটাই অন্য রকম।
আর, বাংলাদেশ এই বছরের অর্ধেকটা সময়ের বেশি কোন ম্যাচই খেলে নাই। শরীরী ভাষায়ও সেটা প্রকাশ পাচ্ছে।

কয়েকটা দিন যেতে দেন - সবই ঠিক হয়ে আসবে।
এক মুস্তাফিজের অভাবই অনেক ভোগাচ্ছে। সে থাকলে দলটাও বেশি প্রাণবন্ত থাকতো।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনার মন্তব্যের জন্য।

দেখুন বাংলাদেশ একটি টেষ্ট খেলুড়ে দল। সেই সাথে অপেনিং জুটি অারো ঠান্ডা ভাবে খেলা উচিৎ। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা করে খেলাটা খুবই কম লক্ষ্য করা যায়। হার জিত নিয়েই খেলা। কিন্তু এই অপেনিং সমস্যা সমাধানই হলোনা।

অাফগান অপেনিংটা অনেক ভালো হচ্ছে। সেই তুলোনাই বাংলাদেশকে অারো ভালো করার কথা। কিন্তু হচ্ছে কোথাই! !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.