নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//
লেখা পড়া শেষ।
প্রথম চাকুরি।
পোষ্টিং গোয়ালোন্দ।
সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এ।
সকলকেই দেখা শুনা করার দ্বায়িত্ব ছিলো আমার। অনেকের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো। সবার সাথেই সব বিষয়ে খোজ খবর নিতাম। এবং সেই আলোকে পরামর্শ দিতাম। এভাবেই অনেকের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাবরিনাও তাদের মধ্যে একজন।
সাবরিনা(রূপক নাম) লেখা পড়াই খুব ভালো। মায়ের স্বপ্ন মেয়েকে লেখা পড়াশিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করবে। ফিরিয়ে দেবে একটি সুন্দর জীবনে। আসলে সে কি পারবে? আর তার মাও কি পারবে? সেও জানেনা, তার মাও জানেনা, সমাজও জানেনা...
লেখা পড়াই ভালো সাবরিনা, তাই আজ এই পর্যন্ত। এখন অনার্সে...
ক্লাসের সবার কাছে এক নামেই পরিচিত। যেমন রূপ তেমন গুন সাথে আছে মেধা আর মিষ্টি ব্যবহার। এক কথায় অনন্য। যে কোন ছেলে এবার দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে।
সাবরিনা এখন অনার্স ২য় বর্ষে। সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক। অনুষদের সবাই তাকে এক নামে চেনে। পেয়েছে অনেক অফার সবার সাথেতো ভালোবাসা হয়না । ভালোবাসা তার সাথেই হয় যার সাথে ঠিক মতো বনাবনি হয়, হয় বোঝা পড়া আর সবকিছুতে সমন্বয়।
যাহোক, সাবরিনা কিন্তু সহজ সরল তবে অতোটা হ্যাবলা টাইপের নয় যার তার অফার সে গ্রহণ করবে। কারণ, সে অনেক সংগ্রাম করে আজকের এই পর্যায়ে। তাই সে কারোর অফারই প্রথম পর্যায়ে গ্রহণ করেনি। তবে সাগরের সাথে তার পরিচয়টা অন্যভাবে...
সাগর সাবরিনাকে নোট সরবরাহ করতো। তবে সাগর কখনো সাবরিনাকে ওই ভাবে ভাবেনি। তবে প্রকৃতি গত কিছু ব্যাপার থাকে। সাগর যখন হেল্প করতো তখন ধন্যবাদ জানাতো। আর এই নোট সেয়ার ও সাজেশন বিনিময়কে কেন্দ্র করে ওদের একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে বিশ্বাস ও ভরসার জায়গা।
২য় বর্ষের প্রাক্টিক্যাল পরিক্ষার সময় কাজের এক ফাকে সাবরিনা সাগরকে ওর মুখ খুলে দেখায়। বলে দোস্ত আজ দেখে নাও, কারণ পরে যদি কখনোও কোন প্রয়োজনে লাগে...
এরপর,থেকেই মূলত: একটু একটু করে ওদের ২জনের কাছে আসে। তারপর শুরু হয় একটি সুখের ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা । এরপর আরোও অনেক কিছু...
আমার সাথে ওর দেখা হতো। আর সববিষয়ে খোঁজ খবর রাখতাম, কারণ টোটাল সেফহোমের তত্ত্বাবধায়ক ছিলাম আমি। আর আমি সবসময় চেষ্টা করতাম ওদের সমস্যাগুলো সমাধানের।
তবে, হঠ্যাৎ আমার প্রচন্ড মাথাবেথা আর জ্বর শুরু হয়। অবশেষে আমি চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে চলে আসি। তারপর কি হয়েছে আর জানতে পারিনি।
সাগরের পরিবার কি মেনে নিবে সাবরিনাকে?
আর সাগরই কি মেনে নিবে সাবরিনাকে?
যখন জানবে সাবরিনার আসল পরিচয়। আমি জানিনা... আর জানা হয়ে ওঠেনি কখনোও...
(বেশ কিছু ঘটনা মনের কোনে নাড়াদেয় মাঝে মাঝে। মায়া লাগে। ফিরে যায় অতিতে, তেমনই একটি ঘটনা...
কিন্ত কাকে বলবো?
আর বলেই বা লাভ কি!
সমাজ কি এগিয়ে আসবে?
কেও কি পাশে দাঁড়াবে ওদের?
জানিনা। তবুও পথ চলা, কাংক্ষিত লক্ষ্য পানে...
যারা নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে তারাই আবার সন্ধ্যা বেলাই নিষিদ্ধ পাড়াগুলাতে সিরিয়াল ধরে। যারা শিশু অধিকার নিয়ে বুলি আওড়ায় তারাই আবার বেশি টাকা দিয়ে কচি মেয়ে খোঁজে। বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ কিন্তু ওখানে বাচ্চা খোজা যাবে। কারণ ওরাতো মানুষ না। সমাজে যার টাকা আছে, ক্ষমতা আছে, তারাইতো মানুষ, অন্যরা মানুষের বাহিরে।মানব সমাজের বাহিরে। তাইতো আজ ৪সন্তানের মা তার স্বামী সন্তানের
একটা বিষয় নিয়ে লিখতে গিয়ে অন্য বিষয়ে শুরু করেছি... স্যরি...স্যরি...স্যরি...)
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই
শুভেচ্ছা নিরন্তর
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: কারো উপর ভরসা রাখা ঠিক না।
শুধু নিজের উপর ভরসা রাখা যায়।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩২
সুমন কর বলেছেন: আমরা শুধু বড় বড় কথাই বলতে পারি.....
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৬
প্রামানিক বলেছেন: বিষয়টি খুব জটিলই মনে হয় কারণ সাবরিনা যেখান থেকে উঠে এসেছে সেই পরিচয় পাওয়ার পর অনেকেই মেনে নিতে চাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার গুণী কথাগুলো, সামাজিক দায়বদ্ধতা আপনাকে পোড়ায় খুব।
আসলে ভাই সমাজ পরিবর্তন করতে হলে তরুণ ও যুবসমাজের এগিয়ে আসতে হবে নিঃস্বার্থভাবে, থাকতে হবে সত্য ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা আর সর্বোপরি দেশ-মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
কিন্তু সম্ভব হবে কি!!! প্রশ্নটা থেকেই যায়