নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"যুদ্ধ ছাড়া কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চাও, তবে ঐ জাতির তরুণদের মাঝে অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়িয়ে দাও।\" সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রহ:)

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ঘটনা হৃদয় নাড়াদেয়|| নিভৃতে দু\'নয়ন অশ্রু ঝরায়

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৫

আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনাটা পড়লে খুবই খারাপ লাগে। মনটা খারাপ হয়ে যায়।
নিচে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হলো

৬ অক্টোবর ২০১৯।
রাত ৮.১৩।
বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নাম্বার কক্ষে ঘুমাচ্ছিলো একটা ছেলে। একই ব্যাচের তানিমসহ তিনজন এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
-- বড় ভাইয়েরা তোকে ডাকছে। ২০১১ তে আয়।
-- কেনো?
-- গেলেই দেখতে পাবি।
-- কখন যাওয়া লাগবে?
-- এখনই। তোর ল্যাপটপ এটা?
-- হ্যাঁ।
-- মোবাইলটাও দে।
--কেনো?
-- দিতে বলছি তাই দিবি। ভাইরা বলছে।
মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ছেলেটাকে নিয়ে তারা রওনা দিলো ২০১১ নাম্বার রুমের উদ্দেশ্যে। এই ছেলেটা কোন সাধারণ ছেলে ছিলো না। বুয়েটের EEE বিভাগে ২০১৮ সালে ভর্তি হওয়া এই ছেলের নাম আবরার ফাহাদ রাব্বি। অসাধারণ মেধাবী এই ছেলে ঢাবি 'ক ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষায় ১৩ তম হয়েছিলো। চান্স পেয়েছিলো ঢাকা মেডিকেলেও। বড় ভাইদের ডাকে ২০১১ নাম্বার রুমের দিকে পা বাড়ানো আববার তখনো জানতো না, "অনন্ত মহাকালে এই যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে"।

আবরারের অপরাধ ছিল তাদের চোখে মারাত্মক! ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছে সে। আবরারেরই রুমমেট মিজানের সন্দেহ, "আবরার শিবির করে।" তাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আজ এই আয়োজন। কক্ষে ঢোকার পরই মোবাইল আর ল্যাপটপ চেক করা শুরু করে তারা। তেমন কোন প্রমাণ না পেয়ে রুমে থাকা রবিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
-- এদিকে আয়। চশমা খোল।
আবরার চশমা খোলার পর রবিন প্রচন্ড জোরে তার গালে কয়েকটি চড় মারে। হাত দিয়ে গাল চেপে বসে পড়ে আবরার। এরই মধ্যে মোরশেদ কাঠের তৈরি শক্ত ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। ইফতি প্রথমে রবিনের মতোই গায়ের জোরে থাপ্পড় মারে আবরারকে। এরপর হাতে তুলে নেয় ক্রিকেট স্ট্যাম্প। পিঠে, পায়ে, পায়ের তালুতে, হাতে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে। প্রচণ্ড শক্তিতে মারার কারণে কয়েক বাড়ি দেওয়ার পরই স্ট্যাম্প ভেঙে দুই টুকরা হয়ে যায়। আবরার ততক্ষণে চিৎকার দিতে দিতে লুটিয়ে পড়েছে মেঝেতে। সেই চিৎকার শুনে আশেপাশের রুমের জানালা ভয়ে দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। এহতেসামুল, রাব্বি ও তানিম আরেকটি নতুন স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। এবার অনিক স্ট্যাম্প হাতে তুলে নেয়। একাধারে মাটিতে লুটিয়ে থাকা আবরারের সারা শরীরে আঘাত করতে থাকে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি আঘাত করে অনিক নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মেঝেতে পড়ে কাতরাতে থাকে আবরারের শরীর। সঙ্গে সঙ্গে মুজাহিদ ও শামিম স্কিপিং রোপ (মোটা দড়ি) দিয়ে মারতে শুরু করে। আবরার তখন বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করে কিন্তু তাতে কারো মন গলেনি। কারো মধ্যেই মনুষ্যত্ব ফিরে আসেনি। বরং জীয়ন এগিয়ে এসে অনিক থেকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে।

রাত সাড়ে দশটা। অমানুষিক মার খেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে গোঙাতে থাকে আবরার। ইফতি ধমক দিয়ে টেনে দাঁড় করায়। তারপর সর্বশক্তিতে কয়েকটি চড় মারে। এরপর আবার স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকে।

রাত এগারোটা। ২০১১ নাম্বার কক্ষে এসে হাজির হয় এস এম মাহমুদ সেতু। এসেই সবাইকে জিজ্ঞেস করলো,
-- কি অবস্থা? কিছু বাইর হইছে?
-- না, কোন কিছু বলতেছে না।
-- মারতে থাক।
সেতুর নির্দেশে আবরারকে আবার ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা শুরু হয়। ইফতি ও অনিক আবরারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে। হাতের কনুই দিয়ে পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করে। উৎসাহিত হয়ে তখন সবাই মিলে প্রচন্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকেন। আবরারের কুঁকড়ে যাওয়া শরীর থেকে তখন শুধু গোঙানি শোনা যাচ্ছিলো।

রাত সাড়ে এগারোটা। কিছুক্ষণের জন্য রুম থেকে বের হওয়ার আগে অনিক ও রবিন অন্যদের বলে যায়,
-- তোরা অর কাছ থেকে যেমনেই হোক তথ্য বের কর।
এবার মনির ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করে। তাবাখখারুল, নাজমুস সাদাত, তানিম, জেমি আবরারকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। বাইরে থেকে আবার রুমে ঢুকে অনিক হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প তুলে নেয়। এরপর আবরারকে প্রচন্ড জোরে একটানা আরও ৪০ থেকে ৫০টি আঘাত করে। মুমূর্ষু আবরার তখন বমি ও প্রস্রাব করে ফেলে। ব্যথায় চিৎকার করার মতো শক্তিও অবশিষ্ট নেই। বাঁচার জন্য ইশারা-ইঙ্গিতে কাকুতি-মিনতি করে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। শ্বাসকষ্ট দেখে ইফতি আবরারের মাথার নীচে বালিশ দেয়। পরপর আরো কয়েকবার বমি করে আববার। এমন অবস্থায় আবরারকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ধুয়ে মুছে জামা কাপড় বদলানো হয়।

রাত সাড়ে বারোটা। ইফতি ও মেহেদীর নির্দেশে আবরারকে ধরাধরি করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। ইফতি মোশাররফ হলের মেস বয় জাহিদ হাসানকে ডেকে আসে। ২০১১ নম্বর রুমে আবরারের বমি তাকে দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
২০০৫ নম্বর কক্ষে আনার পর ইফতি বলে,
-- তোরা এবার অর থেকে তথ্য বাইর কর। বুয়েটে কে কে শিবির করে বাইর কর।
দুই-একজন আবরারের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ভয়ে ভয়ে বললো,
-- ভাই, অবস্থা বেশ খারাপ। হাসপাতালে নেওয়া দরকার।
এই কথা শোনার পর রবিন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন।
-- যা বলছি তাই কর। এইগুলি সব নাটক। ভং ধরছে। তোরা শিবির চেনস না। শিবির চেনা কষ্ট।

রবিনের রেগে ওঠা দেখে সবাই ভয়ে জলদি আবরারকে আবার ইন্টারোগেট শুরু করে। কিন্তু আবরারের মুখ থেকে কোন শব্দ আসে না। নিশ্চল, নিস্তেজ পড়ে থাকা দেহ কোন সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবার আরেক দফা পেটানো শুরু হয়।

রাত দুইটা। সিদ্ধান্ত হয় আবরারকে হল থেকে বের করে পুলিশে দেওয়া হবে। মেহেদী চকবাজার থানা পুলিশকে ফোন দেয়, "হলে একটা শিবির ধরা পড়েছে। এসে নিয়ে যান।" চকবাজার থানা পুলিশ একটা টহল দল পাঠায় শেরে বাংলা হলের গেইটে। কিন্তু দেরী হওয়ায় গেইট থেকে পুলিশকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

রাত আড়াইটা। ইফতি, মুজাহিদ, তাবাখখারুল ও তোহা মিলে নিশ্চল আবরারকে তোশকে করে হলের দোতালার সিঁড়িতে এনে রেখে দেয়। সিঁড়ির লাইটের আলোয় আবরারের খালি গায়ে তখন স্পষ্ট কালো কালো দাগ। সারা শরীরে স্ট্যাম্পের বাড়ির কারণে কালশিটে পড়ে আছে। চোখ বন্ধ। তবে চেহারায় কোন যন্ত্রণার ছাপ নেই। বরং সেখানে প্রশান্তির চিহ্ন। নিষ্ঠুর অমানুষদের এই পৃথিবী ছেড়ে স্রষ্টার সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার প্রশান্তি।

রাত তিনটা। খুনীরা বুয়েটের চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনে। চিকিৎসক আবরারের দেহ পরীক্ষা করে ঘোষণা দেন সে মারা গেছে। তড়িঘড়ি করে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, তোষক, বালিশ, আবরারের ল্যাপটপ, চাপাতি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ এর কক্ষে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল আবরারের মৃতদেহ হলের নিচে নামানোর পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বুয়েটের চিকিৎসককে চাপ দেন। খুনীরা সিদ্ধান্ত নেয় আবরারের লাশ গুম করে ফেলা হবে। কিন্তু ততক্ষণে কিছু শিক্ষার্থী দেখে ফেলায় তার নতুন পরিকল্পনা করে। আবরারের লাশের সাথে কিছু মাদক দিয়ে গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আবরারের সহপাঠীদের দৃঢ়তায় সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

৭ অক্টোবর ২০১৯। ভোরের আলো ফোটার আগেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপহার পায় এক সতেজ তাজা লাশ। পাঁচ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতনে মৃত ফর্সা শরীরটার সবখানে শুধু লাল আর কালোর মিশ্রণ। দেশের পক্ষে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস আবরার ফাহাদ রাব্বিকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্ত মহাকাশের পথে।

***

লেখা- মারুফ হাসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

#BUET #AbrarFahad #BUETIAN #bangladesh #Dhaka #abrar #Murder #new
# এই অরাজনীতির ফলে ২০০২ সালে "সাবেকুন নাহার সনি" এবং ২০১৩ সালে "আরিফ রায়হান দীপ" এরা দুজন বুয়েটে অরাজনীতির বলি হয়েছিলেন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছাত্ররাজনীতি আর বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি আকাশ পাতাল ফারাক। আমি মনে করি শুধু বুয়েট নয়, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকা উচিৎ। কারণ বাঙালী ক্ষমতা পাবে আর তার মিসইউজ করবেনা এটা কল্পনার পর্যন্ত বাইরে। আর বাংলাদে ছাত্ররাজনীতি মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার - ক্যাম্পাসে রেপ, খুন, রাহাজানি, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, বলৎকার। আবরার হত্যার পর ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। আজ এতদিন পর ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশ - ও ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর প্রয়োজন পড়তনা যদি না, রাজাকার ও জঙ্গিরা বুয়েটকে মাদ্রাসা, বলৎকার এর আস্তানা, জঙ্গি তৈরির বিশেষ স্থান না বানাতো। বুয়েটে ছাত্রলীগের ঢুকে যাওয়া, ছাত্ররাজনীতি পুন:প্রতিষ্ঠার আন্ডোলন করার মতো অবস্থা সৃষ্টির জন্য একমাত্র দায়ী জঙ্গি জামায়াত শিবির। আজ ব্লগে ফেসবুকে রাজাকারের দোসররা কান্নাকাটি করছে ক্যাম্পাসে আবার ছাত্রলীগ ঢুক ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার প্রসেস সম্পন্ন করেছে বলে অথচ এর পেছনে ১০০০% দায়ী রাজাকার ও জঙ্গি জামায়াত শিবির।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সন্দেহভাজন হেফাজতকর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ রায়হান ওরফে দীপ ২০১৩ সালের ২ জুলাই ভোররাতে মারা যান। ২০০২ সালের ৮ জুন দরপত্র নিয়ে বুয়েট ছাত্রদলের মুকি এবং এসএম হল ছাত্রদলের টগর গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধের মাঝখানে পড়ে নিহত হন বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি। এ ঘটনার পর সারা দেশে আন্দোলন হয়। তো আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে এত হৈচৈ হলো, বিচারও হলো কিন্তু একই প্রতিষ্ঠানের দীপ-সনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথাবার্তা শোনা যায় না কেন? সব দরদ শুধু জামায়াত-শিবির আর ছাত্রদলের ছেলেপেলের জন্য?

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:০২

এমজেডএফ বলেছেন: কোন দল বা কোন মতবাদে বিশ্বাসী সেটা বড় কথা নয়, এভাবে কারো মৃত্যু কাম্য নয়। এ ধরনের অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক বিচার দরকার। দীর্ঘস্থায়ী সুফলের জন্য ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা দরকার।

আপনারা যারা বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে আরবার ফাহাদের মৃত্যু নিয়ে আহাজারি করে পোস্টের পর পোস্ট দিচ্ছেন কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কেউ এই মৃত্যুর বিচার ও শাস্তির কথা উল্লেখ করেন নি! সরকারী দলের লোক হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে।
একজনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর দায়ে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড!
এর থেকে আর কঠোর বিচার আর কি হতে পারে!

এই রায় থেকে আমরা বলতে পারি ছাত্র রাজনীতি ভিকটিম এবং অপরাধী অর্থাৎ সব ছাত্রদের জন্য ক্ষতিকর।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

রাােসল বলেছেন: প্রাথমিকভাবে বিচার বিভাগীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি এই রায় জাতির কল্যাণে বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু লোক নগ্নভাবে তাদের এই অন্যায় সমর্থন করছে। কেন?

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সন্দেহভাজন হেফাজতকর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ রায়হান ওরফে দীপ ২০১৩ সালের ২ জুলাই ভোররাতে মারা যান। ২০০২ সালের ৮ জুন দরপত্র নিয়ে বুয়েট ছাত্রদলের মুকি এবং এসএম হল ছাত্রদলের টগর গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধের মাঝখানে পড়ে নিহত হন বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি। এ ঘটনার পর সারা দেশে আন্দোলন হয়। তো আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে এত হৈচৈ হলো, বিচারও হলো কিন্তু একই প্রতিষ্ঠানের দীপ-সনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথাবার্তা শোনা যায় না কেন? সব দরদ শুধু জামায়াত-শিবির আর ছাত্রদলের ছেলেপেলের জন্য?

বোঝেন না কাউয়া মরলে কাকের গুষ্টি কা কা করে দুনিয়া জানান দেয় আর মানুষ মরলে শকুন আসে চেটে পুটে খেয়ে তথ্য সাফ করে দেয় ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই লিখাটি পড়লেই কান্না আসে। মানুষ কীভাবে অমানুষ হয়ে যায় নিমেষেই :(

উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

নতুন বলেছেন: কিছু অন্ধ আছে যারা দেশে ছাত্ররাজনিতি দরকার আছে বলে চিক্কুর করতেই থাকবে। কারন তাদের লাভ আছে।

যারা স্কুল/কলেজে ছাত্ররাজনিতি করে তাদের কাছে মানুষের গায়ে হাত তোলা কত সহজ একটা বিষয় এটা সবাই জানে।

আমাদের দেশে মানুষ পেটানো একটা সাধারন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

রাজনিতিক দল গুলি তাদের ক্ষমতার জন্য ছাত্রদের ফ্রাংকেস্টাইন বানাচ্ছেন এটা যে দেশ ও জাতির জন্য কতটা ক্ষতিকর তা সবাই জেনেও চুপ আছে।

বিদেশের বিশ্ববিদ্যলয়ের মতন স্টুডেন্ট কাউন্সিল বানাতে হবে ছাত্রদের নেত্রিত্ব বিকাশের জন্য।

দেশের সকল স্থানেই ছাত্ররাজনিতি বন্ধ করতে হবে।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭

কথামৃত বলেছেন: অধম এই জাতি

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

এক্সম্যান বলেছেন: এর পরেও কিছু অমানুষ শিবিরের জুজু দেখিয়ে বলবে ছাত্ররাজনীতির দরকার আছে।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ এমজেডএফ , একজনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর দায়ে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড!

এই অংশটূকু বোল্ড করে এবং আশ্চর্যবোধক চিহ্ন বসিয়ে কি বোঝাতে চাইলেন ? তাছাড়া মৃৃত্যূদন্ড কার্যকর হয়েছে কি ? এমন সংবাদতো দেখি নাই।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: সামিউল ইসলাম বাবু, অনেক দিন পর ফিরলেন এমন লেখা আর ছবি নিয়ে যা সত্যিই হৃদয় নাড়া দেয়, যারা বুকে মানবহৃদয় ধারণ করেন তাদের। কেবল অশ্রু নয়, এটা তাদের বুকের ভিতর গভীর হাহাকার জাগিয়ে তোলে।

অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি দেবার জন্য। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বুয়েটের বর্তমান এবং প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থীরা (সারা বিশ্বে যারা ছড়িয়ে আছেন), এবং বিবেকবোধ সম্পন্ন কোনো মানুষই চান না বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি আবার ফিরে আসুক। আবার সেই অত্যাচারীদের কান্নায় হলগুলো ভারী হয়ে উঠুক। বুয়েটের এলামনাইরা #No_ Student_ Politics_ In BUET# লিখে তাদের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে ব্যক্ত করছেন। কিন্তু সকল আপত্তি অগ্রাহ্য করে বুয়েটে ছাত্রলীগ ফিরবে, আবার অত্যাচার শুরু করবে নতুন উদ্যমে, এবং আমার সবচেয়ে ভয় অন্যান্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন ধর্ষকের অভয়ারণ্য বানিয়েছে, বুয়েটকেও তাই বানাবে। এই পোস্টের প্রথম মন্তব্যে একজন সেটা বলেই ফেলেছেন!! এছাড়াও আমার খুব ভয় হচ্ছে আবরারের ছোট ভাইয়ের কথা ভেবে, যে এখন বুয়েটের ছাত্র।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: @ গোফরান আহমেদ:
আপনি বলেছেন, আজ এতদিন পর ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশ - ও ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর প্রয়োজন পড়তনা যদি না, রাজাকার ও জঙ্গিরা বুয়েটকে মাদ্রাসা, বলৎকার এর আস্তানা, জঙ্গি তৈরির বিশেষ স্থান না বানাতো।

আপনি খুবই, খুবই আপত্তিকর কথা বলেছেন। X( বুয়েট বলাৎকারের আস্তানা??? বুয়েটের কোন মেয়ে বলাৎকারের শিকার হয়েছে???কোথায় এ খবর পেয়েছেন?? আমার এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন সূত্র উল্লেখ করে, যেন খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারি। আমি জানি আপনি উত্তর দিতে পারবেন না।

বুয়েট মাদ্রাসা??! এই খবরের উৎস কি?

বুয়েটে জঙ্গি তৈরির বিশেষ স্থান বানিয়েছে? কোন ল্যাবে জঙ্গি বানাচ্ছে? আশাকরি বিস্তারিত সংবাদ জানাবেন। আমি আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

আপনি আরও বলেছেন:

বুয়েটে ছাত্রলীগের ঢুকে যাওয়া, ছাত্ররাজনীতি পুন:প্রতিষ্ঠার আন্ডোলন করার মতো অবস্থা সৃষ্টির জন্য একমাত্র দায়ী জঙ্গি জামায়াত শিবির। আজ ব্লগে ফেসবুকে রাজাকারের দোসররা কান্নাকাটি করছে ক্যাম্পাসে আবার ছাত্রলীগ ঢুক ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার প্রসেস সম্পন্ন করেছে বলে অথচ এর পেছনে ১০০০% দায়ী রাজাকার ও জঙ্গি জামায়াত শিবির।

আপনি দেখি বুয়েট সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ!! আপনার এই বাক্য সম্পর্কে আমি কিছু বললাম না; এ সম্পর্কে ব্লগার মন্জুর চৌধুরীর কথাকে উদ্ধৃত করলাম:

স্টুডেন্ট পলিটিক্স নিয়ে যখন আলাপ হচ্ছে, তখন দেখলাম ফেসবুকে যতজন বুয়েট এলামনাই বন্ধু-বান্ধব আছেন, এরা মোটামুটি সবাই স্টুডেন্ট পলিটিক্স এর বিরুদ্ধে মত দিচ্ছেন। আত্মীয়, কাজিনদের মধ্যে যারা আছেন, তারাও ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে। এমনকি স্টুডেন্ট পলিটিক্স করা এমনও কয়েকজন আছেন যারা বলছেন স্টুডেন্ট পলিটিক্স বন্ধ হওয়া উচিত। তারা জানেন জীবনে শ্রেষ্ঠ সময় অন্যের খেলার পুতুল হয়ে তারা কি ভুল করেছেন।
কিন্তু যারা বুয়েটে পড়ে নাই, ধরেন হাজি মইনু মিয়া মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ বা জরিনা বিবি মহাবিদ্যালয়ের কোন পোলা, ওর আগ্রহের শেষ নাই। বুয়েটে কেন ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজন, এ নিয়ে আস্ত কিতাব রচনা করে ফেলেছে। আর হাস্যকর কথাবার্তাও ইথারজগতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেমন "বুয়েটে কোন সাধারণ ছাত্র নাই। সবাই জামাতে ইসলামী, হিজবুত তাহরীর, জেএমবি, তালেবান, লষ্করে তৈয়েবা (নামও জানিনা, তবে যা যা জঙ্গি সংগঠন আছে বাংলাদেশে, সব)"... লেখকের জ্ঞাতিগোষ্ঠীতে কেউ বুয়েট মাড়ালেও তো এই আজগুবি কেচ্ছা শোনাতে আসত না।

ব্লগার মঞ্জুর চৌধুরীর এই পোস্ট, বিষয়বস্তুর বলিষ্ঠতা এবং সত্যনিষ্ঠতার জন্য নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে আছে।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: @ অনিকেত বৈরাগী,

সনি মারা গেছিল দুই দলের গোলাগুলির মাঝে পড়ে। এটা ইচ্ছাকৃত হত্যাকান্ড না। তবুও এই ঘটনার পরে বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ ছিল এবং পরে বুয়েটেদের একমাত্র ছাত্রী হল সনির নামে করে বুয়েটে সনিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

দীপ হলের ইমামকে মারতে মারতে আধমরা করে পুলিশে দেয়, কেবল হেফাজতের কর্মী এই সন্দেহে। এরজন্য দীপকে হত্যা করে স্থাপত্যের এক ছাত্র, যে এখন কারাগারে। দীপের বাবাকে বুয়েট বিশাল ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গত বছরের আগস্ট মাসে দীপের বাবার হাতে অর্ধ কোটি টাকার চেক তুলে দেন ভিসি!!

দীর্ঘ সময় ধরে পিটিয়ে হত্যা করা আবরার কে এমন কোনো মর্যাদা বা অর্থ পুরস্কার দেয়া হয় নি।

সনি বা দীপের মৃত্যু কোন পূর্ব পরিকল্পিত বিষয় ছিল না। কিন্তু আবরার কে হত্যা করেছে ২৫ জন তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা, ঠান্ডা মাথায় নির্যাতন করতে করতে ৩-৪ ঘন্টা ধরে। তারপর তারা বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিল! বিরিয়ানি খেয়ে ফিরে এসে বার্সেলোনার খেলা দেখেছিল টিভিতে, উল্লাস করেছিল মদ খেতে খেতে...কেন এই নারকীয়তা? আবরার শুধু ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিল সেই কারণে। তার জন্য কি এই শাস্তিটা প্রাপ্য ছিল?

#NO_ STUDENT_ POLITICS_ IN_ BUET
বুয়েটের প্রাক্তন এবং বর্তমান সকল শিক্ষার্থীদের মনের কথা এটাই।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: একটু ব্যস্ত আছি। সময় করে আবার যুক্ত হবো, উত্তরও করবো ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ সবাইকে


১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৯

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: বাংলাদেশের কোন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন রকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা দেখতে চাই না। না শিক্ষকদের, না ছাত্রদের। যারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে লাফাচ্ছেন, তারা হয়ত কখনোই ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের কারো হাতে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের স্বীকার হননি; অথবা নিজেই ছিলেন নির্যাতনকারী।
আপনার সন্তানকে কি পড়তে দেবেন না এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে? তারা যেদিন এইসব নির্যাতনের স্বীকার হবে, সেইদিন এইসব দিনের কথা মনে করবেন। নাকি আপনি আপনার সন্তানকে একজন নির্যাতনকারী হিসেবে ক্যাম্পাসে দেখতে চান?
যদি দেশকে সামান্যতম ভালবেসে থাকেন, তবে দেশের স্বার্থে,জাতির স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে দেশের সকল ক্যাম্পাসে অবিলম্বে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে একমত হোন।
জাতির মেধা-মনন-আত্মা তৈরী করুন শিক্ষা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী আর উন্নত করে। এটাই জাতিকে, তরুনদেরকে জঙ্গিবাদ আর অন্ধ অপরাজনীতি থেকে, অবক্ষয় থেকে রক্ষা করবে। কোন ছাত্র সংগঠন কোনদিন এটা পারবেনা।
আর আপনি যদি অপরাজনীতির পা চাটা গোলাম হন, তবে চেটে যেতে থাকুন। সময়মত ওরাই আপনাকে লাথিটা মেরে দেখাবে। দল-লীগ-শিবির কাউকে আমরা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ত্রিসীমানায় দেখতে চাই না।
রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, ছাত্ররা ছাত্রদের জায়গায়।

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:২৬

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: @ এমজেডএফ: অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর দায়ে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড!. মৃত্যুদন্ড কি কার্যকর হইছে?

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বীভৎস, বিভীষিকাময় এবং লোমহর্ষক!
এ নারকীয় তাণ্ডবলীলাকে যারা বিভিন্ন ছল চাতুরির আড়ালে জাস্টি্ফাই করার চেষ্টা করছেে, তারা নরাধম কীট।
আদালতের রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.