![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজও দেখলাম দুঃস্বপ্নটা। প্রতিরাতে যদি একই ধরণের স্বপ্ন দেখা হয় আর সেই স্বপ্নের বিষয়বস্তুর ভয়াবহতা দেখে কাঁপতে কাঁপতে ঘুম ভাঙ্গে তখন এটাকে দুঃস্বপ্ন না দূর্ভাগ্য বলা যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। সেই আলোচনার ফল যাই হোক না কেন বাস্তবতা হচ্ছে আমি প্রায় প্রতি রাতেই বিরতিহীনভাবে অবলোকন করে যাচ্ছি এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। পৃথিবীটা চোখের সামনে শুণ্য মনে হয়, বদলে যেতে থাকে চিরন্তন অভিজ্ঞতা।ইদানিং আতঙ্কের সাথে লক্ষ্য করছি যে আমি আত্নহত্যার সহজতম পন্থাসমূহ নিয়ে অসচেতন মনে দারুণ চিন্তা-ভাবনা করছি।
কিভাবে শুরু হলো এই দুঃস্বপ্ন গাঁথাঃ
অকৃতদার বন্ধুর প্রায় পোড়ো বাড়িতে নিয়মিত বসে আমাদের রোজকার সঙ্গীতায়োজন। সঙ্গীতের মোহে না কি বসতবাটিতে বসে নিরাপদে মদ্য গেলার লোভে প্রায় সন্ধ্যায় খুব জমে ওঠে আমাদের আসর।দু-চার ঢোক পেটে পড়ার পর শুরু হয় নিগুঢ় সঙ্গীত সাধনা। সে গানগুলো কতটা শিল্পোমানোত্তীর্ন সে বিবেচনার চেয়ে মূল বিবেচ্য থাকতো গান নিয়ে আমাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। কারণসুধা প্রসুত ছাড়া গলায় গাওয়া গানগুলো আমাদের ভারী বিষাদগ্রস্থ করে তুলতো। কে না জানে বিষাদের শিল্প মূল্য কত উচ্চ! তো এমনি এক সান্ধ্য আয়োজন সমাপন হওয়ার পর নিজের পরিচিত ডেরায় ফিরে এলাম। চৈত্রের অসহ্য গরমে ঘামে জরোজারো পোষাক পাল্টানোর শারিরীর বা মানসিক উভয় শক্তিরই অপ্রতুলতা হেতু লুটিয়ে পড়লাম সস্তা কাঠের চ্যাপ্টা তোষক বিছানো চৌকির উপর। ক্ষণিকেই ঘুম এসে ঢেকে দিয়ে গেল নিমিষে। কতকাল ঘুমিয়েছি জানি না, ধীরে ধীরে, যেন বা বাতাসে ভেসে শুরু হলো স্বপ্নটা। খুব ধীরে, যেন তেমন কোন তাড়া নেই।
….…………….(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটুকু!