নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Valo Thaka khub Kothin

ভব ঘুরতে চাই। ভবঘুরে হতে চাই না।

নীল সুমন

তখন আমি ছোট ছিলাম

নীল সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতারগুল-লালাখাল-জাফলং-হামহাম-লাউয়াছড়া-মাধবপুর লেক-ঘুরে এলাম...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫২

১৫-১৬-১৭ তিন দিনের ছুটি অগত্য বাসায় বসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নষ্ট করব না, এ সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলাম।

তাই বন্ধুরা মিলে আয়োজনটা আগেই করেছিলাম। যেমন টিকিট কাটা হোটেল বুকিং (ধন্যবাদ: শাহেদ ভাই; উনি মাইক্রো, হোটেল, জীপ, রিটার্ন টিকিট সব রেডি করে রেখে ছিলেন)

১৪ তারিখ রাতেও হরতাল ছিল। এনা পরিবহন তাদের বাস ক্যানসেল করল। হাল না ছেড়ে ফকিরাপুল ছূটলাম, অন্য একটা 'কোনোরকম' পরিবহনের টিকিট ম্যানেজ করে ফেললাম।

পরদিন ভোরে সিলেট পৌছালাম... হামিদ ভাইয়ের মাইক্রো আগেই রেডি ছিল। দুই মাইক্রোতে আমরা ১৩ জন রওনা দিলাম। এক ঘন্টার মধ্যেই রাতারগুল পৌছালাম... দুই নৌকাই করে বনের মধ্যে ঢুকলাম। বা: কি সুন্দর! কি অপরূপ... চারিদিকে পানিতে থৈ থৈ....তার মধ্যে গাছ গুলি দিব্যি দাড়িয়ে আছে। সত্যিই 'আমাজন', বাংলাদেশের 'আমাজন'!

অমর মাঝি হটাৎ গাছের গর্তে সবুজ রংয়ের সাপ দেখালো..

বাপরে বাপ... এই সাপ আমি তো ডিসক‌ভারি চ্যানেলে দেখেছি।

রাতালগুল ভ্রমন শেষ করে রওনা দিলাম লালাখালের দিকে.

ইন্জিন নৌকা ভাড়া করে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত গেলাম। সারি নদীর দুই ধার দিয়ে জঙ্গল আর সোজা তাকালে মনোমুগ্ধকর পাহাড়। পাহাড়ের মাথায় আকাশ আর মেঘের লুকোচুরি খেলা। আমাদের টিমের কেউ কেউ পারলে

নৌকা থেকে নেমে পাহাড়ের মাথায় চড়তে রওনা দেয়। তখন বুঝলাম ক্যান প্রতি বছর মাথায় আমাদের পাহাড়ে ওঠার নেশা চেপে বসে, আর ক্যান প্রতি বছর বান্দরবান ছুটে যায়

যাইহোক.... ফিরে এসে ২৫ কিলোমিটার দূরে জাফলং গেলাম... আগেও জাফলং গিয়েছি... তবে এবার একটু বেশিই ভাল লাগল। ভাল লাগার কারন মনে হয় এবার জাফলং এর বরফ শীতল পানিতে জিরো পয়েন্টে গোসলে নেমে পড়ে ছিলাম।

শ্রী-মঙ্গল আসতে আসতে রাত ৯ টা বেজে গেল।

পরদিন সকালে জীপে করে রওনা দিলাম আমাদের আসল ডেসটিনি হামহামের উদ্দেশ্যে। ২ ঘন্টা জীপে গিয়ে পৌছালাম খার্মুপাড়া। গাইড নিলাম আতাউর ভাইকে। চমৎকার মানুষ। ঘন্টা খানেক হাটার পরে শুরূ হল পাহাড়ি বর্ষন্, হাইরে ভয়ংকর রাস্তা। পা পড়ে এখানে স্লিপ করে পড়ি অন্যখানে। তাজিংডং এর রাস্তায় উঠতে কষ্ট হয়েছে কিন্তু এরকম বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি কখনো। কিছুক্ষন পর শরীরে প্রথম জোঁক এর উপস্থিতি আবিষ্কার করলাম। একে একে তিন তিনটি জোঁকের কামড় আর ছয়টি আছাড় খেয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে সাড়ে তিন ঘন্টা হেটেঁ হাম হাম পৌছালাম।

পৌছে যা দেখলাম তা অবিশ্বাস্য। সত্যিই অবিশ্বাস্য! এত বড় জলপ্রপাত।

এখানে বেশ কিছু সময় কাটালাম। বুনো গোসল করলাম। অসাধারণ কিছু ছবির অংশ হলাম।এরপর জীপের কাছে ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধা ঘুরে গেল।

পরদিন অর্থাৎ ১৭ তারিখে ঘুরলাম লাউয়াছড়া উদ্যান। সরি.... এইটা একটা বোরিং জায়গা (ব্যক্তিগত মত)।

মাধবপুর লেকে গেলাম। চমৎকার জায়গা। কেউ বগা লেকে যাওয়ার সুযোগ না পেলে এক বার হলেও এখানে ঘুরে আসতে পারেন। ভালো লাগার মত জায়গা।

শ্রী-মঙ্গল ফিরে 'গোবিন্দাস' রেষ্টুরেন্টে লান্চ করলাম। পরিছন্ন খাবার খেলাম। ট্রেন ছিল বিকাল ৫.০৮ মিনিটে, হাতে সময় প্রায় দুই ঘন্টা। টায়ার্ড ছিলাম, ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত! ধূর কিসের ঘুম... এইটা তো শুক্রবারও করা যায়। গেলাম শীতেস বাবুর পশু সেবাশ্রম দেখতে। ব্যাক্তিগত সংগ্রহশালা। সংগ্রহ খুব বেশি না। তারপরও বলব....বেশ ভালো লাগল।

ষ্টেশনে ফিরছি। টু্র প্রায় শেষের দিকে। বিদায়ের ঘন্টা বাজছে! ছাড়লো পারবাত এক্সপ্রেস। আকাশটা একটু ঘোলাটে......ব্ন্ধুর ডিএসএলআর ক্যামেরার সাটার তখনো খুজে ফিরছে চলন্ত ট্রেনের বিভিন্ন এন্গেলের ছবি।

ও ছবির কথা বলছিলাম!!!! হ্যাঁ ছবি আমরা তুলেছি প্রায় আড়াই হাজার।



মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ লাগল ভাল ভ্রমন অভিজ্ঞতা
আসলেই সুন্দির সিলেটের অভয়ারণ্য
মন ঠানে বারবার
সব যেন মনোরম দৃশ্য আঁকা , কঠিন বাস্তবতা ।।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

নীল সুমন বলেছেন: মনটা আর একটু শক্ত করূন। রূঢ় বাস্তবতা সহজ হয়ে যাবে।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯

মৃত্যুপথের যাত্রী বলেছেন: হামহামে যাওয়ার রাস্তায় পানি কেমন ছিল ভাই

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০২

নীল সুমন বলেছেন: শেষের দিকে প্রায় কোমর সমান পানি ছিল। তাতে সমস্যা হয়নি, যতটা সমস্যা হয়েছে বৃষ্টির পানিতে পিচ্ছল রাস্তা।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

C/O D!pu... বলেছেন: কঠিন একটা জিনিস মিস করেছেন, আমি যাবো ভেবেছিলাম কিন্তু এক্সামের কারণে হলো না...

বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর গ্রাম - পাংথুমাই

তবুও অনেককিছুই একবারে দেখে এসছেন... কিছু ছবি দিন...

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৪

নীল সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ। পাংথুমাই যাওয়ার ইচ্ছা আছে। এবার সময় মাত্র তিন দিন ছিল। আর কত বলেন? তার পরও সবকিছুর টাইমিং ঠিকঠাক মত হয়েছে তাই এতটুকু দেখে আসতে পেরেছি।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৩

গোর্কি বলেছেন:
-ঘুরান্তিস পোস্ট ভালো পাই।
-ছবি থাকলে আরও দারুণ হত।
-পোস্টে +++++++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭

নীল সুমন বলেছেন: ++++ এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবি দেওয়ার ট্রাই করছি শুধু আপনার জন্য।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: পরদিন সকালে জীপে করে রওনা দিলাম আমাদের আসল ডেসটিনি হামহামের উদ্দেশ্যে। ২ ঘন্টা জীপে গিয়ে পৌছালাম খার্মুপাড়া।

এটা "খার্মুপাড়া" নয় কুরমা চা-বাগান হবে।

আশা করি ঠিক করে নেবেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

নীল সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু গাইডের মুখে 'খার্মু' শব্দটা শুনেছি।
নামে কিবা আসে যায়।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

ইরাজ আহমেদ বলেছেন: ছবির অভাব বোধ করছি।

পোস্টে পিলাচ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

নীল সুমন বলেছেন: ছবি দিলাম শুধু আপনারই জন্য....
কিল্কান...
Click This Link

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

ভবঘুরে মানব বলেছেন: চা বাগান, স্বচ্চ নীল জল রাশি, উঁচুনিচু জনপথ, আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। যারা নিজের দেশের সিলেট না ঘুরে বিদেশ যায়, তারা এই অপরূপ সৌন্দর্য মিস করবেই করবে!

যারা এখনো সিলেটে ঢুঁ মারেন নি তারা সিলেটের কিছু আকর্ষণীয় জায়গাগুলোতে ঘুরে আসার বেশ কিছু ট্যুর প্যাকেজ দেখে নিতে পারেন যাওয়ার আগে http://bit.ly/29Ikjjk

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.