![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলে আমার নিজের সমন্ধে কিছু বলার নেই । আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ
------------
পর্ব -১
জানিস্ তনিমা
আসছে মাসের পঁচিশ তারিখেই আমার ফ্লাইট ।
একদম পাকাপুক্ত হয়ে গেল ।
তোর ফ্লাইট মানে?
হ্যাঁ, আমার ফ্লাইট ।
মনে হয় তুই আকাশ থেকে পড়লি ।
রুপম তনিমার দিকে তাঁকায়।
কিরে কথা বলছিস না কেন ? কি দেখিস ঐ দিকে ?
দুষ্টুমিরছলে রুপম তনিমার মাথাটায় হাত বুলায়।
তনিমা কাঁদছে-
কিরে কাঁদছিস্ যে ?
হঠাৎ কি হল, বলবি তো ।
তনিমা কিছু একটা বলতে চায়-
মনে মনে খুব রাগ তার উপর । এতো ভাবে আকার ইঙ্গিতের পরও
কেন সে বোঝেনা যে আমি তাঁকে ভালবাসি । ও ছাড়া যে আমার কোন সপ্ন নেই,আনন্দ নেই, নেই বেঁচে থাকার আহল্লাদ ।
এ যুগেও কি এত বোকা ছেলে মানুষ আছে ।
কত স্মার্ট এ যুগে ছেলেরা আর ও কি হয়েছে ।
তবু কেন তার লাগি মন এতো আনচান করে ।
একটা কিছুতো হয়েছেই সে । সরকারি খরচে যে ছেলে বিলাত যায় । তার কি কম যোগ্যতা ?
দেখতে সুদর্শন ।
ঢাকার নামিদামী বিশাল প্রতিপত্যির মালিক বাপের এক মাত্র ছেলে ।
কথায় বলে মেয়েদের বোক ফাটে তো মুখ ফূটে না ।
তাই এতোটি বছর এক সাথে থেকেও তনিমার ভাললাগা
ভালবাসার কথাটি বলতে পারেনি।
তনিমা ভাবছে এবং মনে মনে সংকল্প করছে যে,
আজ আর লজ্জাকে মাথায় রাখবোনা ।
যার জন্যে লজ্জাকে লালন করছি আর তাঁকেই
যদি না পাই জীবনে তবে কি হবে লজ্জা করে ।
তনিমা চোঁখের পানি উড়নার আচল দিয়ে মুছতে থাকে ।
মনটাকে খুবই শক্ত করে বাঁধে আপন কল্পনার দড়িতে।
রুপম হাসছে ।
তনিমার মনটাতেও যেন একটু একটু সস্থ্যির ছোঁয়া লাগছে ।
ভাবছে তনিমা এবার হয়তো রুপম নিজেই বলবে
আই লাভ ইউ তনি আই লাভ ইউ ।
রুপম খুবই হাসছিল ।
কেন এতো হাসছিল সে প্রশ্নটি আমারও ।
যে ছিল নিরবতার উরধশরি। যার মুখখানি ছিল মৌনতার চাঁদরে প্রতিনিয়ত আচ্ছন্ন । যে বই ছাড়া অন্য কোন জগত কে দেখেনি এক মুহুরতও অন্যভাবে । এত বছর বয়সেও যে প্রেম ভালবাসা কি তা নিয়ে একটি বারও ভাবেনি। আজ কি হল যে মেঘ না চাইতেই যেন বৃষ্টির আবির্ভাব ।
হাসিমাখা মুখেই রুপম বলছে-
আচ্ছা তনি, তকে একটা কথা বলবো ?
বল্
তনিমার মনের ঊদ্দ্যানে যেন নানা রংঙের ফুল ফোঁটিতে লাগিল ।
যে রিদয়ে এইতো একটু আগেও বেদনার নীলেরা ঘোরপাক খাচ্ছিল । আর সে নীলের জায়গায় কি করে রজনীগন্ধ্যার ঘ্রাণ লাগিল । তনি তাই ভাবছে আর বিধাতার কাছে প্রার্থনা করছে ।
রুপম মদূ মদূ হেসেই বলছে-
তুই আবার রাগ টাগ করবি না তো ?
আরে না,
কিসের রাগ । তুই যা খুশি তাই বলতে পারিস।
তোর ঊপর কি কোন দিন রেগেছিলাম বলে বলতে পারিস।
তা অবশ্যই ঠিক । তোর মত মেয়ে আমি দিতীয় টি আদৌ দেখিনি
যেমন তুই দেখতে সুন্দর তেমনি তোর সব কিছুই সুন্দর ।
আর তাইতো আমি তোকে এতো পছন্দ করি ।
কেমন পছন্দ করিস ?
বারে কেমন আবার ?
কেমন পছন্দ করি তাকি মুখ খুলে বলতে হবে ?
না বললেই কি নয় ?
না নয় । তকে আজ বলতেই হবে কেমন পছন্দ করিস।
তনিমার যেন কিছু একটা বলার সুযোগ এসেছে ।
ভালবাসিস নাকি ?
রুপম যেন কি এক সপ্নীল সুখএর ঘ্রাণ পাইল ।
একটা সুন্দরী রুপসীর মুখ থেকে ভালবাসা শব্দটি বেরিয়ে আসা আর সে সুরের ঘ্রাণ রিদয় স্পর্শ করা যে কত অনুভবের যে করেছে শুধু সেই বুঝেছে কি মধুর অনুভুতি ।
কি হিমেল হাওয়ার স্পর্শ।
কি বিমোহিত সুখ।
তনিমা পূনরায় মনে করিয়ে দেয়-
কিরে কি জানি বলবি, কই বললি না যে ।
রুপম বলতে চায় কিন্তু লজ্জার আবরনে সে বার বার মূরছা যায়।
তনিমা সত্যিই রুপবতি গুনবতি । সংসারে বাপের পতিপত্যিও তার বাপের তোলনায় কম নেই । ঢাকার ইব্রাহিমপুরে তিন তিনটা বাড়ি । বাপের সু-প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি ব্যবসা । তা ছাড়া তনিমার আব্বা আর রুপমের আব্বা দূ জনেই খুব কাছের বন্ধু ।
আর সে সুত্র ধরেই তাদের
সেই ছেলেবেলা থেকেই
এক সাথে উঠাবসা ।
দুজনেই ভাল ফ্যামিলির সন্তান ।
তাই উছশৃখলতাকে কেউই লালন করেনি ।
ইভেন অন্য কোন ছেলেমেয়েদের সাথেও
তেমন উঠাবসা করেনি তারা ।
কলেজ আঙ্গিনা থেকে দু,জনে কথা বলতে বলতে ঠিক কলেজের
পুকুর পাড়ে সূ-বিশাল বৃক্ষ রাজির ছায়াতলে দাঁড়িয়েছে তারা ।
রুপম গাছের সাথে হেলান দিয়ে দিগন্তের দিকে তাঁকিয়ে
ভাবছে অনেক কথা
তার ফেলে আসা দিন গুলির কথা ।
তনিমার কথা ।
তনিমার ভালবাসার কথা ।
আজ বাদে কাল সে চলে যাবে বিলাতে।
এতোদিন যাকে সে বঞ্ছিত করেছে
সোনালী দিনের সোনালী মুহূর্ত গুলি থেকে।
এতো কাছে পেয়েও যার থেকে নেয়নি মধুর লগ্ন গুলিকে ।
তনিমা তো অনেক ভাবেই বুঝাতে চেয়েছে যে,
সে আমাকে ভালবাসে ।
সেদিন তো আমি তাকে প্রত্যাক্ষান করেছি ।
তার নীরববেদনা আর নিষ্পেষিত ভালবাসা কি আজ আর
আমার ভালবাসা কে মুল্য দেবে ?
তাই সে ভাবছে-
যে রুপ নীরবে কষ্ট আমি তনিমার রিদয়ে লেপন করেছি
ঠিক সে রুপ কষ্ট আমাকেও পেতে হবে পাওয়া উচিৎ।
তাই সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল
ভালবাসার কথাটা সে তনিমাকে বলবে না ।
সত্যি তাই হল-
জোয়ার ভাটার মত
ভালবাসার মত কঠিন শব্দটা যেন-
ঘোরপাক খেতে লাগল দু,টি মনের সবুজ আঙ্গিনায় ।
ছেলেরা এমনি হয়। কিংবা কিছু কিছু ছেলেরা এমনি হয় যারা অধিক ভালবাসলে তার বহিঃপ্রকাশটা দেখায় উলটো।
যারা বুঝতে পারে ঠিক তাঁদের জীবনটাই হয় সুখের।
রুপম কি জানি কি একটা ভেবে চিনতে তনিমা কে বলল-
তনি চল্ বাসায় ফিরবো ।
হঠাৎ কি হল তোর,তনি জানতে চাইলে-
রুপম যেন একটু আঘাত সুলভ কথাই বলল ।
তনি যেন বুঝতে পারল তার মনের কথা ।
যে কথার বদৌলতে দেওয়ার কথা ছিল বেদনার বান ।
কিন্তু তা না দিয়ে তনি যেন দিল তারে বোক ভরা গান।
দূ,জনের মনেই হাজারো কথার মালা ।
শুধু না বলার ভুবনেই ঘোরপাক খাচ্ছে না বলা
হাজারও কথামালা ।
কেঊ কারো সাথে খুব একটা কথা বলছে না ।
সোজা চলে এলো কলেজের গেইটে।
রুপমের গাড়ির ড্রাইভার অপেক্ষা করছিল ।
রুপম শেষ কথাটি বলেই গাড়িতে বসল ।
আর, তনিমা নিজেই ড্রাইভ করে চলে গেল
নব নিরমিত চারতলা বিলাস বহুল বাড়িটিতে।
Next tomorrow……………
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: ঠানকস
তুমি বললে জানও দেব
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: জান লাগবে না বাবা শুধু লেখা দিলেই হয়ে।
মরা মেরে খুনের দায় হতে চাই না
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: Thanks
:-& :-&
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
বাংলার পাই বলেছেন: শেষ পর্যন্ত রূপম তনিমাকে কিছু বলে কিনা বা তনিমা রূপমকে কি বলে তা জানতে চাই। আশা করি আগামীকাল পাব।
সুন্দর হচ্ছে। চালিয়ে যান।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন:দোয়া করবেন
আপনার সুদীর্ঘ ও উন্নত জীবন কামনায়......নূর
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চালিয়ে যান । তবে অনেক টাইপো আছে লেখায় !
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: আমার লিখা যারা পরে
সত্যি তাদের জন্যে প্রান খুলে ভাল্বাসা ও দোয়া আসে
অনেক আশীর্বাদ আপনার জন্যে
ভাল থাকবেন
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
আরজু মুন জারিন বলেছেন: একদম পাকাপুক্ত হয়ে গেল ।
তোর ফ্লাইট মানে?
হ্যাঁ, আমার ফ্লাইট ।
মনে হয় তুই আকাশ থেকে পড়লি ।...
অসাধারন।অনেক ভালবাসা।
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: এই
তুমি তুমি কেমন আছ...?
তোমার উপর আমার অনেক অভিমান আছে
শুনতে চাইলে বলবো
অনেক অনেক ভালবাসা ও
শুভ কামিনা তোমার জন্যে
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: সুন্দর হচ্ছে
কাল দিবে কিন্তু নতুন পর্ব