নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসলে আমার নিজের সমন্ধে কিছু বলার নেই । আমি অতি সাধারণ একজন মানু------------------

নুরএমডিচৌধূরী

আসলে আমার নিজের সমন্ধে কিছু বলার নেই । আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ

নুরএমডিচৌধূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সিপাহী ঠান্ডূ মিয়া ও তার সুখ দুঃখ

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

১ম পর্ব-
সিপাহী ঠান্ডু মিয়া। ভালবেসে বিয়ে করেছেন। নাম তার আনোয়ারা। দেখতে বেশ সুন্দর মিষ্টি একটি মেয়ে। সবাই তাকে পূর্ণিমার চাঁদ বলে ডাকে।লেখা পড়াতেও আনোয়ারা বেশ ভাল। বাবা আনসার আলী দিন মজুর। পেট ভাত আর পরনের কাপড় জোগাতেই তাকে হিমশিম খেতে হয়। তাই বিয়ের পরপরি চক্ষু লজ্জা না করে একদিন জামাই বাবুকে বলেই দিলেন মেয়েকে আর পড়াতে পারবোনা বাপু। তুমি তো সবি জান।
সংসারে আমার বড়ই অভাব ।
দিন এনে দিন খাই। তাছাড়া তিন তিনটা ছেলে ছিল বিধাতা তিনটা ছেলেকেই নিয়ে নিলেন।
কথাগুলি বলতে বলতে আনসার আলী কেদেই ফেললেন।
জামাই বাবু কোন দি-মত করলেন না। বরঞ্চ শশুরের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, বাবা আমি আপনার ছেলের মত। সংসারে আপনার যেমন ছেলে নেই তেমনি আমারও বাপ নেই মা নেই। ভাই বোন যারা ছিল তারাও তো দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। তাই এখন থেকে আমি আপনার ছেলের মত। শুধু আনোয়ারার পড়ার খরচ কেন আমি আপনাদেরও দেখাশোনা করব। কথাগুলি বলতে বলতে ঠান্ডু মিয়ারও চোখে জল এসে গেল।

দিন যেতে লাগল। আনসারর আলীর সংসারে সুখের বাতি মৃত্তিকার মত প্রজ্জলিত হতে লাগল। দিনে দিনে জামাই বাবুর অক্লান্ত চেষ্টায় ছনের চালে টিন বসল।চার চালের ঘর হল। অনেক বড় বাড়ি হল,উঠান হল। বাড়ির সামনেই পুকুর হল,পুকুরে নানা জাতের মাছ ছাডা হল। চার পাশেই নানা জাতের ফলের গাছ ফুলের গাছ সারি সারি করে রোপন করা হল। গোয়াল ভরা গরু হল,বছর মানি কামলা হল। দিন মজুর রোজ চার পাচটা ক্ষেতের কাজে লেগেই থাকতে হল। একদিন আনসার মিয়া মেম্বার নির্বাচন করলেন এবং বিপুল ভোটে নির্বাচনে পারও হলেন। চারদিকে নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ল। আনসার আলী থেকে হয়ে উঠলেন আনসার মিয়া। এক সময় দালান কোঠায় ভরে উঠল। বাড়িটিও মিয়া বাড়ি নামে খ্যাত হল।

আর ঐ দিকে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী আনোয়ারাও মেট্রিক এ স্ট্যান করে যে নাম ডাক ছড়িয়েছিলেন ইন্টারমিডিয়েটেও তার বিন্দুমাত্র কম করলেন না। এবারেও সবার মুখে মুখে নাম ডাক ছড়িয়ে দিলেন। মুখরিত করে তোললেন ঠান্ডু মিয়ার প্রত্যাশিত মনকে। ঠান্ডু মিয়া মৃদু হাসলেন,বিধাতাকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন বিধাতা আমার মনের বাসনা কিছুটা হলেও তুমি পূর্ণ করলে। সপ্নীল সোনালী ডানায় ভর করে দু-চোখে সপ্ন দেখলেন ঠান্ডু মিয়া।মনে মনে ভানলেন একদিন তার মনবাসনা নিশ্চই বিধাতা পূর্ণ করবেন। পূর্বেই জানিয়ে ছিলাম ঠান্ডু মিয়ার সরকারী চাকরি করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সিপাহী। তার সততা আর একনিষ্ঠ কর্ম দক্ষত আর গুনে জুনিয়র অফিসার থেকে শুরু করে সিনিয়র অফিসররা পর্যন্ত ঠান্ডু মিয়াকে যথেষ্ট আদর করতেন,ভালবা্সতেন। স্ত্রীর এমন অসম্ভব রেজাল্ট হবে ঠান্ডু মিয়া যেন আগে থেকেই কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। তাই মাঝে মধ্যেই আনোয়ারার গুনের কথা অফিসারদের কাছে বলতেন। অফিসারগনও মনযোগ সহকারে তার কথা গুলি শুনতেন।এবং তাকে ধন্যবাদ দিতেন।অনেক ভালভাল পরামর্শ দিতেন যা কিনা ঠান্ডু মিয়ার জীবনে অনেক পাথেয়। নিজে বেশী পড়া লেখা করতে পারেননি বলে মনে তার অনেক কষ্ট।তাই সে স্ত্রীর মাঝে সেই কষ্টের পরিসমাপ্তি দেখতে চায়।
পৃথিবীতে মানূষ নানা ভাবে খুশি।কেঊ পেয়ে খুশি,কেউ দিয়ে খুশি,কেউ চেয়ে খুশি আবার কেউ কেউ হারিয়েও খুশি। ঠান্ডু মিয়ার খুশি ছিল স্ত্রী আনোয়ারাকে যোগ্য করে গড়ে তোলা। তাই সময়ের কথা না ভেবে তিনি সন্তান নেওয়ার কথাও নিজে থেকেই স্ত্রী আনোয়ারাকে বলেছিলেন।আগে তুমি মানুষের মত মানূষ হও তারপর সংসারে সন্তান সন্ততির কথা ভাববো।

ঠান্ডু মিয়ার অনেক বড় সপ্ন যা না বললেই নয়। স্ত্রী কে সে মনের মত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে। অতীত দিনের সকল স্মৃতিকেই দিনে দিনে ঠান্ডু মিয়া মলিন করে দিয়েছে। কিন্তু একটি স্মৃতি যতই দিন যায় ততই যেন নতুন করে আচ্ছাদিত হয়। নতুন করে বাঁজে হৃদয়ের মনঃকোঠায়। কি সেই সপ্ন। মানূষ তো দিনে দিনে অতীত ভুলে,অতীত কে কবর দিয়ে পাড়ি জমায় হিমালয়। কিন্তু কি তার সপ্ন,কি তার অভিপ্রায়। জানা মুসকিল।এমনি একটা স্মৃতি তার রয়েছে যা কাউকেই বলেনি কখনও। মনের কষ্টকথা মনের মাঝেই চাপা দিয়ে রেখেছে ঠান্ডু মিয়া।
NEXT……

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মানূষ তো দিনে দিনে অতীত ভুলে,অতীত কে কবর দিয়ে পাড়ি জমায় হিমালয়।

শুভকামনা জানবেন ভাই। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: গল্প লিখার অভ্যাস নেই
তবু চেষ্টা করছি
শুরুটাইয় কিছু না পেলেও
শেষটায় ভাললাগবে
আশা করছি কষ্ট করে
আরেকটা বার চোখ রাখবেন
শুভ কামনা

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:


বেশী সহজ, মনে হচ্ছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: কথা সহজ বলে মনে হলেও ঘটনাটি
এতোই মর্মস্পর্শী যে
ভাবতেই চোখে জল এসে যায়।
একান্ত বাস্তব একটি ঘটনা
আশা করি বাকি টুকু
পরবর্তীতে পড়বেন
ভাল লাগবে।
শুভ কামনা রইল

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আরো লিখুন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: গল্প লিখার অভ্যাস নেই
তবু চেষ্টা করছি
শুরুটাইয় কিছু না পেলেও
শেষটায় ভাললাগবে
আশা করছি কষ্ট করে
আরেকটা বার চোখ রাখবেন
শুভ কামনা

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

কাবিল বলেছেন: ভাল

আরও আশা করছি +

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: চেষ্টার ত্রুটি করবোনা
অনেক শুভকামনা
ভাল থাকা হোক

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে
আমার ব্লগে আপনার মাঝে মধ্যে পদার্পণ
আপনার মুল্যবান কমেন্টস এর প্রতি
অনেক শ্রদ্ধা ও
আশীর্বাদ
শুভ কামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.