![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হারিয়ে গিয়ে ছোট্টোবেলা ছোট্ট খেলার সাথী, একলা আমি দেশ বিদেশে পুরান সে ঘর খুঁজি। শলার হাতের, কাপড় পরা মায়ের দেয়া পতুল, টিন পিতলের মিথ্যে ঘরের খেলার সে সব দুপুর।
-"এই এই! দু'কদম গিয়েছো? আমার তো তাহলে চার কদম এগিয়ে যেতে হবে।
-"কী সব ছেলেমানুষী করছো। মানে কী এসবের?"
-"মানে আবার কী? আমি যাবো আগে আগে, দুনিয়া আমার পিছে।"
-"সেটা সম্ভব না।"
-"সম্ভব।"
লিনা দৌড়ে গিয়ে রফিকের চেয়ে দু'কদম আগে হাঁটতে লাগলো। ব্যাপারটা রফিকের কখনোই ভালো লাগে না। একসাথে হাঁটলে সমস্যা কী? আর তা ছাড়া এমন জায়গায় এসেছে যেখানে লিনার পরিচিত কেউ দেখবে না রফিককে। ভর দুপুরে সোমবার দিন বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয় জনই বা আসে? তারপরও খারাপ লাগেছে না পেছন থেকে লিনাকে দেখতে। ছেলেমানুষী উচ্ছাস নিয়ে সামনে হেঁটে যাচ্ছে আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
-"এই গাছটার নাম কী বলো তো?"
-"জানি না।"
-"ওমা! গ্রামের ছেলে গাছ-পালার নাম জানে না! লজ্জা লজ্জা।"
লিনা ভেংচি কেটে মুচকি হেসে আবার সোজা হাঁটতে লাগলো। রফিকের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো হঠাৎ করে। গ্রামের ছেলে মানে কী? সে গ্রামে থেকেছে বলে তাকে সব গাছের নাম জানতে হবে? যতো সব স্টেরিওটাইপদের মাঝে লিনার নামও লিখিয়ে দেয়া উচিত।
-"দুনিয়ার সব গাছের নাম জানা থাকলে তো গ্রামের ছেলে গ্রামেই থেকে যেতাম। ওখানেই বড়-সড় কিছু একটা করে ফেলতাম। তোমাদের ধুলোয় মোড়ানো, যানজটের এই ঢাকা শহরে আর আসতাম না।"
-"আরে বাহ্! তুমি না এলে আমার দুপুরটা তো এ্তো মিষ্টি হতো না!"
লিনা খিলখিল করে হাসতে লাগলো। এ ধরণের পনীর মাখানো ঢঙ্গের কথা-বার্তা রফিকের একদমই ভালো লাগে না। তারপারও কেনো যেনো হাসি পেয়ে গেলো। রফিক ঠৌঁটের কোণের হাসি লুকিয়ে চেষ্টা করতে লাগলো মুখে একটা গাম্ভির্য ধরে রাখতে। মেয়েটা বড্ড জ্বালায় ওকে। তবুও দিনশেষে ঠিকই কিভাবে যেনো মন ভালো করে দেয়।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫০
নিনকা বলেছেন: এই ব্লগে আমার প্রথম লেখায় প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: তোমাদের ধুলোয় মোড়ানো, যানজটের এই ঢাকা শহরে আর আসতাম না।"
-"আরে বাহ্! তুমি না এলে আমার দুপুরটা তো এ্তো মিষ্টি হতো না!"
সুন্দর।