নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন শিক্ষক চাই

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক পাঠদান করছেন । স্নাতকোত্তর(মাস্টার্স) শ্রেণীর ক্লাসরুম । ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ৯৫% এরও বেশী । সবাই এক ধ্যানে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে ভাবনার জগতে হারিয়ে গেছে । ফিজিক্স বুঝছে । শিক্ষক একটুও বসছেন না, কোন প্রকার নোট বা বই তাঁর হাতে নেই, টেবিলেও নেই । সবকিছু আসছে ব্রেইন থেকে, পাঠ্যসূচীর ভেতরে ও বাইরে তিনি অনেক কিছুই উপহার দিচ্ছে তাঁর শিক্ষার্থীদেরকে, সহজ করে । কখনও হাত দুলিয়ে, কখনওবা বোর্ডে লিখে, আর কখনও শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে বুঝিয়ে আসছেন । ফিজিক্সের মতো কঠিন বিষয়কে সহজ-সরলভাবে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উপস্থাপন করতে তিনি বদ্ধ পরিকর । তাঁর লেকচারে বাংলার ব্যবহার কম । ইংরেজি ভাষাতেই পাঠদান করছেন, তাতে GRE word আছে অনেক, অথচ কারো বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না । খাতায় ঝর উঠছে । শেষ হচ্ছে পাতার পর পাতা । কোন ক্লান্তি নেই যেন । ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী আর দুষ্টু ছেলেটিও পাশের মেয়েটির সাথে কথা বলছে না, খোঁচা দিচ্ছে না সামনের ছেলেটাকে ।



এভাবেই চলতে থাকলো । হঠাৎ শিক্ষক থেমে ঘড়ির দিকে তাকালেন । দেখলেন, ক্লাসের সময় শেষ হয়েছে আরও মিনিট দশেক আগে । অথচ, কেউ কোন টু-শব্দ করেনি । মুখ ফুটে বলেনি- স্যার, সময় শেষ! বলবে কি করে? ওরাও যে ঘড়ি দেখেনি! মুগ্ধ হয়ে শুধু শিক্ষকের সাথে ফিজিক্স চর্চা করছিল । যেন দুপুরের খাবার না খেয়েও তারা এভাবেই বসে থাকতে পারবে আরও কিছুক্ষণ!



শিক্ষক তাঁর ছাত্রছাত্রীদের এমন মনোযোগে মুগ্ধ না হয়ে পারলেন না । ধন্যবাদ দিয়েই ফেললেন- "You made my day! thank you!" এবং বিদায় নিলেন । আমি যেন একটা ঘোরের ভেতর থেকে জাগলাম । সত্যি বলতে কি, সময়টা কোনদিক দিয়ে যে গেলো, টেরই পাইনি!



প্রকৃত শিক্ষক তিনিই, যার ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা মনের আনন্দে থাকে, ভালোলাগা থেকে থাকে, কিছু শেখার জন্য থাকে; উপস্থিতি কিংবা পরীক্ষায় খারাপ মার্ক পাওয়ার ভয়ে নয় । আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, এমন শিক্ষক আমরা সংখ্যায় খুব কম হলেও পেয়েছি । বিনম্র শ্রদ্ধা তাঁদের প্রতি ।



[ বিঃ দ্রঃ উপরের ঘটনাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ কামরুল হাসানের ক্লাসের বাস্তব ঘটনা ।] Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: খালি হাতে ফ্রি স্টাইল লেকচার দেয়া অসাধারণ একটা সম্মোহনি গুণ। লেকচার দেখে দেখে যে শিক্ষক বোর্ড লিখে, তার পক্ষে মনোযোগ আকর্ষণ সম্ভব হয়না।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

...নিপুণ কথন... বলেছেন: মনোযোগ আকর্ষণের কথা বলছেন? উপস্থিতি কিংবা মার্কের ভয় দেখিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্লাসে আটকে রাখতে পারেন না তাঁরা অনেকেই ।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

মোঃ তায়িফ-বিন-তোফা বলেছেন: এমন স্যার হোলে তো রকেট সাইন্সও পড়ে ফেলা সম্ভব। ভালো লাগলো

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০

...নিপুণ কথন... বলেছেন: অবশ্যই সম্ভব । তাঁর প্রোফাইল সম্পর্কে খোঁজ করলেই বুঝতে পারবেন ।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: ভালো লাগলো। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
তবে ভালো শিক্ষককে মূল্যায়ন করার মতো ছাত্রও থাকতে হবে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ । স্যারের জন্য দোয়া করবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.