নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত ভালোবাসা রাখি কই

০৬ ই মে, ২০১৪ ভোর ৪:২৭

রাত জাগাটা আবার নেশায় পরিণত হয়ে গেছে । মাঝে কিছুদিন দূরে থাকতে পেরেছিলাম, আবার যা তাই । বেশী রাত জাগলে শরীর খারাপ হয় । এ কথা আমাকে কে বুঝাবে?



এইতো সেদিন NESM ক্লাসে শ্রদ্ধেয় কামরুল স্যার পাঠদানের মাঝে কাছে এসে একই কথা বললেন । স্যার যেমন দারুণ বোঝান, তেমনি ছাত্রদের প্রতি তাঁর খেয়াল । কঠিন বিষয় একটানা পড়ালে মাথায় ঢুকবে না, তাই মাঝে মাঝে তিনি গল্প বলেন, কাছে এসে জানতে চান- "বুঝতে পরেছ?" সেদিন যেমন জানতে চাইলেন, "দেবু, তুমি দিনদিন এতো শুকিয়ে যাচ্ছো কেন? কি ব্যাপার বল তো? রাত জাগা হয় বেশী?" আমি কি বলব? স্যার আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন, আগের রাতেই ৩ টার দিকে একটা কবিতা লিখে পোস্ট করেছি! স্যারের কাছে কিভাবে লুকাই? তবুও অন্যদিকে তাকিয়ে কোনমতে মিথ্যে কথাটা বলেই ফেললাম- "না স্যার, এখন আর আগের মতো প্রতি রাতে জাগি না, মাঝে মাঝে জাগা পরে । তবে আমার মনে হয় বেশী সমস্যা হচ্ছে, আমি সকালে দেরীতে উঠি, উঠেই ক্লাসে আসার সময় হয়ে যায় । আর, চটজলদি ক্লাসে ছুটতে গিয়ে বেশিরভাগ দিনেই সকালে নাস্তা করা হয় না ।" স্যার বললেন, "এটা ঠিক না । ইউরোপিয়ান কান্ট্রিগুলোতে ওরা কি করে জানো? সকালে আর রাতে ভরপেট খায়, দুপুরে হালকা লাঞ্চ করে । এতে করে সারারাত পেট যে খালি থাকে, সেটা পূরণ হয় । তুমি রাতে খাও কয়টায়?" আমি ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলাম, "স্যার, ১০ টার পরে (আসলে কখনও কখনও ১২ টাও বাজে!)" স্যার বললেন, "আরও আগে খাবে । আমার বাসায় রাতের খাবার খাই আমরা সাড়ে সাতটা থেকে আঁটটার মধ্যে । এতে করে কি হয় জানো? ভালো হজম হয় । ঘুমানোর আগে খেলে হজম হবে কি করে?"



এতো গেলো ক্লাসের কথা । এবার অফিসের কথা বলি । জাহীদ ভাই আগে দেখা হলেই বলতেন, 'ঐ দেখ ছেলেটা না খেয়ে না খেয়ে কেমন শুকিয়ে গেছে! কিরে, এই অবস্থা ক্যান? খাস না?" আমার সোজাসাপ্টা উত্তর- "ভাই, অনিয়ম করি অনেক, তাই এই অবস্থা । ভালো লাগে না খেতে ।" এখন আর তিনি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কিছু বলেন না । বলেন অন্য আরও অনেক কিছু নিয়ে, উপদেশ দেন । এইতো পরশু তাঁর বেশ কিছু পছন্দের বই দিয়ে পড়তে বললেন । পড়ালেখার খোঁজখবর তো নিয়মিতই নেন । তবে হাফ ছেড়ে বেঁচেছি, এখন আর খাওয়া-দাওয়ার কথা বলেন না! আর ফিরোজ ভাইয়ের চোখে আমি নাকি সন্ন্যাসী গোত্রের মানুষ । আমার নাকি কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নাই, শুধু লেখক আর সাংবাদিক হতে চাই । আমিও তাঁর সাথে আপাতত একমত । তবে তিনি কখনও শুকিয়ে যাওয়ার কথা বলেন না, বেঁচে যাই প্রতিবার । তাঁর জন্মদিনে তিনি যে বইগুলো গিফট দিয়েছেন, সেগুলো পড়ি আর এই একটি বিষয়ে জানতে চান না বলে মনে মনে ধন্যবাদ দেই ।



মাঝে মাঝে ভাবি, ঢাকায় তো আমি একা নই! এই যে এতসব আপনজন আমার ভাল-মন্দের খোঁজ নিচ্ছেন, বন্ধুরা দেখা হলেই মিষ্টি হেসে এসে হাত মিলাচ্ছে -এটা ক'জনের ভাগ্যে হয়? বড়দের বকা খাব, শুধরাব, তবেই শিখব এবং ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব । সবার এমন ভালোবাসা আমি সারাজীবন পেতে চাই ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.