নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
মাওয়ায় লঞ্চ ডোবার দৃশ্য (ভিডিও) গণমাধ্যমে প্রকাশ করা একেবারেই উচিৎ হয়নি । এটা প্যানিক ছড়াচ্ছে, যে দেখছে সেই শিউরে উঠছে । এই ধরণের দুঃসংবাদ এমনিতেই মানুষকে দুর্বল করে দেয় । তারপর, ঘটনার পর থেকে পদ্মায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে । ঈদের শেষে ঢাকামুখী জনস্রোতকে পার করতে এই অল্প কয়টা ফেরী যথেষ্ট নয় । কাজেই, ঘাটে লেগে আছে দীর্ঘ যানজট! ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে বসে ফেরীর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ।
এবার ঢাকা থেকে ফরিদপুর আসি ঈদের দিন । পদ্মায় সে কী ঢেউ! ফেরীর গায়েই যেভাবে আছড়ে পরছিল, আর যেভাবে পানি ছিটে ছিটে ওপরে আসছিল- লঞ্চের গায়ে সেটা আছরে পরে কি প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা সহজেই অনুমেয় । আজ মাওয়া ঘাটে যা হয়ে গেলো, সেটি নিঃসন্দেহে একটা দুর্ঘটনা । কিন্তু এর জন্য আমরাও কম দায়ী নই । উত্তাল পদ্মায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আমরা কেন রওনা হব? কেন সবার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলব? কেন পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকবে না? আসলে, এমনটাই হয়ে আসছে আমাদের নদীপথে, দীর্ঘদিন ধরে । দেখার কেউ নেই । আবার দেখুন, লঞ্চ ডুবল দুপুরে, অথচ লঞ্চটিকে এই মাঝরাতেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি । আমাদের এতটাই সীমাবদ্ধতা । মানুষগুলো তো মরেই গেছে, এখন লাশটাও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ ।
প্রতিবার পদ্মা পার হবার সময় দেখি, ইচ্ছে করেই অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হয়, প্রতিবাদ করলে দুর্ব্যবহার করা হয় । লঞ্চচালক, মালিকদেরও আছে সিন্ডিকেট । একজনকে কিছু বললে সবাই মিলে তেড়ে আসে । গতবার ঢাকা ফেরার সময় লঞ্চে উঠবো যখন, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি আমাকে অন্য লঞ্চে তুলে দিল । বলল, এটিই গোল্ডেন লাইনের যাত্রীদের জন্য । আমি উঠে কিছুদূর যাওয়ার পর টিকেট চেক করতে এলো । যেই না আমি গোল্ডেন লাইনের কথা বলেছি, অমনি লঞ্চের চালক বাজে ব্যবহার করতে শুরু করল । ওদেরকে বোঝানই গেলো না, যে আমাকে এই লঞ্চেই তোলা হয়েছে । এরপর ভাড়া দিয়ে দিতে চাইলেও কাজ হয়নি । আজেবাজে মন্তব্য হজম করতে হয়েছে । মাঝনদীতে আমার করারই বা কি ছিল? বাস সার্ভিসের মালিকেরাও এদেরকে কিছু বলে না । অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি । সবাই মাসতুতো -পিসতুতো ভাই
আর নিরীহ মানুষের প্রাণহানি দেখতে চাইনা আমরা । আর এমন কান্নার রোল না উঠুক পদ্মায় । এখনই কঠোর আইন করা হোক, যাতে করে অতিরিক্ত যাত্রী উঠালে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া যায় । যেন যথেষ্ট পরিমাণে লাইফজ্যাকেট থাকে প্রতিটি লঞ্চে, লাইফবোট যেন সর্বদা দায়িত্বপালনে রেডি থাকে । ফেরীর সংখ্যা বাড়ানো হোক । আর, সবচেয়ে বড় কথা, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করা হোক ।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বিআইডব্লিউটিএ প্রযোজিত প্রতি ঈদের একটা ধারাবাহিক নাটক এটি। এর কোন শেষ নেই।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বিআইডব্লিউটিসি প্রযোজিত প্রতি ঈদের একটা ধারাবাহিক নাটক এটি। এর কোন শেষ নেই।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উফ কি কষ্ট লাগে এসব দেখে
কোনদিন যে মানুষ সচেতন হবে
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৫
রেদওয়ান খান বলেছেন: সবচেয়ে বড় প্রবলেম, লন্সের গঠনের কারনে ভেতর থেকে বের হতে না পারা।