নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কত নাশকতা, আর কত রক্ত ঝরলে থামবে তুমি?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৪

রাজনৈতিক কর্মকান্ড বলতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিলকেই বুঝি। আন্দোলনের নামে নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও করা রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বহির্ভুত। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাবিধানে কোন ছাড় দেয়া চলবে না। পাশাপাশি, ক্ষমতা হাতে পেয়েই আপনি একরোখা আচরণ করবেন, এটা ঠিক নয়। দেশে যদি গণতন্ত্র থেকে থাকে, তবে সবার মতামত শোনা আপনার কর্তব্য। আবার গণতন্ত্র রক্ষার কথিত সংগ্রামে নেমে আপনি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলতে পারেন না।

এভাবে দেশ চলতে পারে না। এভাবে কোন উন্নয়ন হয় না। আতংকে কাটছে দিনকাল। কবে মিলবে মুক্তি, তার নিশ্চয়তা নেই। রাস্তায় নামলেই জীবনটা হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে। প্রাইভেট কার নিয়ে বের হবেন, এত দামের সাধের গাড়িটি হয়তো পুড়িয়ে দেয়া হবে। গণপরিবহণে চড়বেন, তো কিছুদূর যাবার পর হয়তো দেখবেন চারদিক থেকে পিকেটারদের ইট-পাথর নিক্ষেপে অবস্থা বেগতিক, আহত নাহয়ে নেমে আসাটাই তখন চ্যালেঞ্জ। আর যদি পিকেটাররা আরেকটু ডিজিটাল হয়, তবে কাঁচের বোতলে পেট্রল ভরে ব্যাগ অথবা জ্যাকেটের ভেতরে লুকিয়ে নিয়ে আসবে, তারপর সুযোগ বুঝে সলতেয় আগুন ধরিয়ে ছুঁড়ে দেবে বাসে। আপনি বুঝে ওঠার আগেই দেখবেন, জীবন্ত পুড়ে গেছেন!

এই ধরণের নাশকতা সৃষ্টিকারি এবং এদের মদদদাতাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব কি রাস্তায় বের হন না? তাদের ছুঁড়ে দেয়া পেট্রলবোমা বা ককটেলে কি তাদের সেই আপনজন আহত বা নিহত হতে পারেন না? এভাবে তো দাবি আদায় হতে পারে না, অন্তত এটাকে কোন গণতান্ত্রিক উপায় বলা যাবে না। নিজেদের ভুলে (হ্যাঁ, ভুলেই) আপনারা এখন সংসদের বাইরে। নির্বাচনে অংশ নিলে অনেকটা সম্ভাবনা ছিল জয়ের। একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন, প্রতিপক্ষের দেখিয়ে দেয়া পথেই হাঁটলেন। এখন সংসদে বসে কথা বলতে না পেরে রাস্তায় জ্বালাও-পোঁড়াও করাটাকে কি জনগণ ভালো চোখে দেখে বলে আপনাদের ধারণা? আপনাদেরকে বিকল্প আন্দোলনের পথ খুঁজতে হবে। নয়তো সমাধান মিলবে না। আর, সবার আগে জঙ্গী, ধর্মান্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধিদের সঙ্গ ছাড়ুন। নাশকতা ছেড়ে গঠনমূলক আলোচনায় বসুন। আপনার-আমার সবার জন্যই ভালো হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

নিলু বলেছেন: মনে আছে , জনাব মান্নান ভুঁইয়া ও আব্দুল জলিল সাহেবের আলোচনার কথা ?

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

নিলু বলেছেন: মনে আছে , জনাব মান্নান ভুঁইয়া ও আব্দুল জলিল সাহেবের আলোচনার কথা ?

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর কত মৃত্যু হলে আর কত ধ্বংস হলে স্বৈরাচারের বোধোদয় হবে?
বন্দুকের নলের মূখে আর কতদিন ক্ষমতা আকড়ে থাকবে?
অনির্বাচিত ১৫৪ সদস্য (১৫১ হলে সরকার গঠিত হয়) নিয়ে এ কোন ভুতের সরকার?
এক বছরে ৪ বার বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়ে অর্থনীতির মুদ্রস্ফিতিতে নাভীশ্বাস তুলে..
হলমার্কের ৪৫০০ কোটি টাকা লুটপাট
হত্যা গুম খুন
এগুলো যাদের চোখ এড়িয়ে যায়...তাদের দলান্ধ সমর্তনে আর কত সহিংসতা ঘটাতে চাও!

আর কত মিথ্যা বলে .. বালূর ট্রাক দিয়ে প৩ বারের প্রধানমন্ত্রীকে আটকে রেখে..
অন্যের প্রতি অসভ্যতা অথ্যাচার আর জুলুম করে কাঁচের ঘরে বসে কিভাবে সুশীলতা আশা করো!
মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম যাদের চোখে পড়েনা - সেই দলান্ধদের কাঁধে কি ক্ষমতা সুসংহত?
তোমার পিতার পাশের চামচা চাটুকাররা কিন্তু কেউ শহীদ হয় নি!
তারা দাফণ না করেই মন্ত্রীসভায় শপথ নিতে গিয়েছিল!!!

তাই চাটুকাদের তোষামুদি ভুলে আমজনতার ডাকে সাড়া দাও!

দেশটা মুক্তি পাক- জগদ্দল স্বৈরাচার থেকে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.