নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: মালাউন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৩

বাংলাদেশে হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণকারী একটি শিশুকে ছোট থেকেই যে "গালি"টি শুনতে শুনতে বড় হতে হবে, সেটি একটি অতি পরিচিত শব্দ- "মালাউন"। আপনি যদি হিন্দু হয়ে থাকেন, তবে সেটি আপনার দোষ নয়। জন্ম নিয়ে আপনি দেখেছেন, এক হিন্দু পরিবারে এক শাঁখা সিঁদুর পড়া মায়ের কোলে আপনি। তবুও জীবনের প্রতি পদে পদে আপনাকে শুনতে হবে এই শব্দটি। কেউ মুখের ওপর শুনিয়ে দেবে, আবার কেউ একটু চক্ষুলজ্জা দেখিয়ে সামনাসামনি না বলে আপনি চলে গেলে পিছে বলবে। দিন যত যাচ্ছে, সমাজে এই সাম্প্রদায়িক মনোভাব যেন ততটাই বেড়ে চলেছে। কিন্তু এই বহুল ব্যবহৃত শব্দটির অর্থ জানি ক'জন?

"মালাউন" শব্দের অর্থ "অভিশপ্ত" বা "আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত"। এখন সহজেই বুঝতে পারছেন, কেন আপনাকে এই শব্দটি শুনতে হয়! কারণ, আপনি ভিন্ন ধর্মের অনুসারী, ভিন্ন মতাবলম্বী। খুব সম্ভবত ইসলাম এটাকে ভালো চোখে দেখে না।

কিন্তু দাদা, অন্য ধর্মের কেউ এমন গালি দিলে বা ভর্ৎসনা করলেই সেটা গায়ে লাগাতে হবে কেন? স্রষ্টা কিন্তু একজনই, একেকজন একেক নামে তাঁকে ডাকতেই পারে। কে অভিশপ্ত আর কে স্নেহের পাত্র, সেটার বোঝাপড়া তো ঐ সর্বশক্তিমানের সাথেই। বিবেচনার ভার তারই। তিনিই ভালো জানেন, কাকে তিনি ভালোবাসেন, আর কাকে অভিশাপ দেন। এটা বিচারের সাধ্য কি মানুষের আছে?

অতএব, এসব গালি যারা দেয়, তাদেরকে পাত্তা না দেয়াই শ্রেয়। অবুঝের বুদ্ধি-বিবেচনাহীন প্রলাপ ভেবে হেসে উড়িয়ে দিন। আর যারা এসব গালি দেন একসাথে একই মাটিতে খেলেধুলে বড় হওয়া আপনার পাশের হিন্দু বন্ধুটিকে, তাঁরাও একটু বিবেকবান হোন!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: যারা এরকম গালি দেয় তারা জারজ।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৯

মুকতোআকাশ বলেছেন: একজন মানুষ যে হিন্দু পরিবারে জন্ম নিয়েছে সেই জন্য সে দোষী হতে পারেন না। কিন্তু তাঁর কাছে যখন সত্যের বার্তা পৌঁছাবে, তখন সেটাকে গ্রহণ না করার জন্য তাকে দায়ী করা যেতে পারে।

" স্রষ্টা কিন্তু একজনই, একেকজন একেক নামে তাঁকে ডাকতেই পারে। কে অভিশপ্ত আর কে স্নেহের পাত্র, সেটার বোঝাপড়া তো ঐ সর্বশক্তিমানের সাথেই। বিবেচনার ভার তারই। তিনিই ভালো জানেন, কাকে তিনি ভালোবাসেন, আর কাকে অভিশাপ দেন। এটা বিচারের সাধ্য কি মানুষের আছে?"
এই কথা গুলো পুরাপুরি সত্য নয়। আল্লাহর দাসত্ব করার জন্য আল্লাহ লক্ষাধিক প্রিতিনিধি নিযুক্ত করে তাঁর বার্তা মানুষের কাছে ব্যক্ত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেষে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে মনোনীত করেন। তাঁর মাধ্যমে মানব সমাজ কে জানান তাঁর বার্তা। কি ভাবে মানব সমাজ কে জীবন যাপন করতে হবে। কি মানতে হবে কি মানতে হবে না ইত্যাদি। এবং তিনি বলে দিয়েছেন তিনি আল্লাহ। আল্লাহর এই বার্তা অনেকে মেনেছে অনেকে মানেন নি। যারা আল্লাহ কে মানেন নি বা বিশ্বাস করেনি এদের আল্লাহ ই আভিস্মপাত দিয়েছেন। অবশ্য বিচারের ভার সম্পূর্ণ আল্লাহ'র ই। যারা আল্লাহ কে মানেন না তাঁদের কে আল্লাহর অভিস্মপাত প্রাপ্ত বলে অসম্মান করার প্রচেষ্টা করাও মুসলমানের কর্ম নয়। কেননা, মুসলমান নাম ধারীদের মধ্যেও অনেকে আল্লাহর অভিস্মপাত প্রাপ্ত আছে। এদের বলা হয় মুনাফেক।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হুম গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ সবই মালাউন, সবই অভিশপ্ত , শুধু উপরের এই মোকতোআকাশ আর তার তালেবানি দোস্তেরা হচ্ছে আলোক প্রাপ্ত !!!!!

By the way, হিন্দুরাও বহুকাল মোসলমানদের নেড়ে, যবন, খোট্টা এসব সুমধুর নামে ডেকেছে, অতএব "মালাউন" গালিটাকে আপনি একপ্রকারের কর্মফল হিসেবে ভেবে নিতে পারেন ।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

খোচা বাবা বলেছেন: মালাউন শব্দটা কুমিল্লা গিয়ে শুনেছিলাম, অর্থটি জানা ছিল না, আজ জানলাম।

এই ধরনের শব্দ আমাদের পরিহার করা উচিৎ। ইসলাম সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শিখায়।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

মাঝিবাড়ি বলেছেন: প্রিয় দেব দুলাল, তোমার ছোট্ট লিখাটি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে! ভাই দুলাল, আমি কঠিন চরিত্রের মানুষ, তবুও আমার চোখে পাণী এসে গেলো! আমি আমার পাশের বাড়ীর ছোট্ট কালের বন্ধু অর্জুন, জহরলাল, বাহাদুর কে এখনো খুঁজি! জানিনা তোরা কোথায় বন্ধু!! আমি একজন মুসলিম ইমামের সন্তান হয়ে কখনো বিন্দুমাত্র সংকীর্ণতা ছিলনা মনে, যে আমার হিন্দু বন্ধুরা রান্না ঘরে একসাথে বসে আমার মায়ের হাতের বানানো পিঠা খায়! আর পাশে বসে আমার কট্টর মুসলিম বাবাকে বলতে শুনেছি, এই জহরলাল আরেকটা পিঠা খা, না হয় মারবো কিন্তু!! আহা!!

কেন সমাজটা হটাত বদলে গেলো? স্বার্থপর মানুষরা ক্ষমতার লোভে এই জাতীর বন্ধন ধ্বংস করে দিয়েছে! ধিক্কার যারা আল্লাহ্‌র সৃষ্টি জীবকে হেয় করে কথা বলে! আমি দুঃখিত দুলাল ভাই তোমার মনের আকুতির জন্য!!!

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

শুভ্র৯৫রকস বলেছেন: অন্য ধর্মের কাউকে গালি দেয়া ইসলামের শিক্ষা নয়। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে

''তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত। ।
[সূরা আন-আম ~ আয়াতঃ ১০৮]

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: এগুলো রং নম্বর ভাই ,আল্লাহ্‌ কখনো অন্য ধর্মালম্বীদের গালি দিতে বলেন নাই, এগুলো কিছু মুসলিমের বানানো । যারা আল্লাহ্‌কে হেফাজত করার দায়িত্ব নিয়েছেন ।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৮

মোঃ মেহেদী হাসান মিঠুন বলেছেন: ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম।
এটা নি:সন্দেহে সত্যি যে
ইসলামই একমাত্র ধর্ম,
যা জীবনকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক পথ দেখায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.