নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিকুচি করি

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৮

যে ধর্ম মানুষের মনের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্মীয় গোড়ামি আর কুসংস্কারের বেড়াজালে আষ্টেপিষ্টে বেধে দিনকে দিন আরও কাবু করে ফেলে, সে ধর্ম আর যার হোক মানুষের ধর্ম হতে পারে না। এমন ধর্ম এবং ধর্মীয় কুসংস্কারকে আমি ঘৃণা করি এবং মুখে যে ভাষা আনা যায় না, সে ভাষাতে গালিও দেই। এর চেয়ে ভালো কিছু আমার বিবেচনায় আসে না। এজন্য আপনি যদি আমাকে গালি দেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

অসময়ে স্বামী হারালেই কোন মহিলা অপয়া হয়ে যায় না। কে কখন চলে যাবে, কেউ বলতে পারে না। এজন্য অন্যকে দোষ দেবেন কেন? স্বামী মারা গেলে তাতে স্ত্রীর কি দোষ? তিনি কজ চেয়েছিলেন, স্বামীর অবর্তমানে খাওয়া-থাকার কষ্ট করতে, একা হতে? নিশ্চয়ই না। তবে আপনি, আপনার সমাজ এবং আপনার ধর্মীয় কুসংস্কার কেন তাকে মারার ফন্দি এঁটেছেন? কেন তাকে বছরের এতগুলো দিন না খেয়ে উপবাস থাকতে হবে? কেন তার আমিষ খাওয়া নিষেধ? কোন অধিকারে আপনি তার চলাফেরা-খাওয়া না খাওয়ার ওপর ফতোয়া দেন? যার শরীর, তাকেই বুঝতে দিন না! কেন তাকে অযথা পরপর তিনদিন "আমাবতী" পালন করতে হবে? কেন সেই দিনগুলিতে শুধু ফল খেয়ে থাকতে হবে, কেন কাউকে ছোয়া যাবে না, কেন এটা শেষ হবার পর বাড়ির সবকিছু ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে? এসব সুচিবাঈগিরি আপনাদের কে শেখালো? কেন মানেন আপনারা এই যুগেও? কোন কেতাবে লেখা আছে, দেবতার তুষ্টির জন্য সারাটা দিন, হ্যাঁ টানা ২৪ ঘন্টা একেবারেই কিছু না খেয়ে উপোষ থাকতে হবে? কোন *লের মনিষী এই বিধান দিয়েছে? তাকে সামনে পেলে আমি তাকে ধর্ম শেখাতাম, মনের জ্বালা আর বুকের কষ্ট সব ঝারতাম। *ল আমার, খেয়েদেয়ে আর কাম পাও না বাপু?

যদি সৃষ্টিকর্তা একজন থেকে থাকেন, তবে তিনি যেন আমার সামনে আসেন। তিনি যেন আমাকে জবাব দেন- পৃথিবীতে ভালো মানুষ কেন অসময়ে চলে যায়? যিনি থাকলে আর দশজন ভালো থাকবে, তাঁকে কেন আগে চলে যেতে হয় হঠাৎ? ইতরগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে স্রষ্টা কী তামাশা দেখেন? কেন দেখেন? কেন তিনি সৎপথে থাকা মানুষকে কষ্ট দেন? পরীক্ষা নেন? এমন পরীক্ষার নিকুচি করি আমি। স্রষ্টা, আপনি কেন সমাজে এত কুসংস্কার ছড়িয়েছেন? কেন একজন বিধবাকে সমাজে এমন চোখে দেখা হবে? কেন সে অসময়ে এমন হবে? কেন সারাজীবন তাকে ধুকতে হবে? কেন সে শেষ জীবনেও কষ্ট করে কিছু না পেয়ে মরবে? কেন মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ? কেন স্বার্থের জন্য এত হানাহানি? আপনি যদি বলেন এসব মানুষের সৃষ্টি, তবে আমি বলব, আপনি এগুলো থামান না কেন? যদি থামাতে না পারেন, তবে আপনি কোন *লের ঈশ্বর? মুর্তি বানিয়ে আপনাকে ঘরে সাজিয়ে রেখেই বা কি লাভ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৬

ফিল্ড মার্শাল গালিব বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার যত প্রশ্ন যুক্তির পক্ষে আমার একটি কথাই, আমরা শুধু লেখার মাধ্যমেই নিজেদের যত ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারি।। কিন্ত সমাজের তাতে বিন্দুমাত্রও ভ্রুকুটি নেই ও থাকবেও না।।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০

তামিম89 বলেছেন: আসলে ধর্মীয় কুসংস্কারের চেয়ে সামাজিক কুসংস্কার গুলোই জঘন্য।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল বলেছেন| এই একুশ শতকেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.