নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
দিল্লির মসনদ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে "ভুল" করেছিলেন, দেরীতে হলেও সেই "ভুল" বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, আবার সকলের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি অবশেষে বুঝেছেন, প্রতিবাদ করতে হলে ক্ষমতায় থেকে করাটাই কার্যকর। অন্যের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বাইরে থেকে চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে লাভ খুব কমই হয়, সুযোগ থাকলে নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নিজের হাতেই পরিবর্তন আনতে হয়। এই পরিবর্তন চান বলেই তো দিল্লির মানুষ বেছে নিয়েছিলেন অরবিন্দর আম আদমিকে। তবে, "ভুল" বুঝে ওঠা এবং তা শুধরাতে খুব বেশি দেরী করে ফেলেননি অরবিন্দ। তিনি আবার নির্বাচনে লড়েছেন এবং কংগ্রেসের ভরাডুবি ও বিজেপির জয়ের জোয়ারের মাঝেই তিনি আবার ক্ষমতায় এসেছেন। শুধু এসেছেন বললে কম বলা হবে, তিনিতো তাঁর ঝাড়ু দিয়ে সবকিছুই ঝেড়ে দিয়েছেন! দিল্লির ৭০টি আসনের ৬৪টি আসন পেয়েছে একাই আম আদমি, ভাবা যায়? কংগ্রেস কি অস্তিত্ব হারাতে বসলো? পায়নি কোন আসন! আর ক্ষমতায় থেকেও বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১ আসন!
ওদের নির্বাচনের প্রশংসা না করে পারিনা। ৮০ কোতি ভোটার নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ওদের, নির্বাচন গ্রহণ এবং তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা অবশ্যই অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। History Tv 18 এ একটা অনুষ্ঠানে ওদের নির্বাচনের ওপর বাস্তব প্রতিবেদন দেখে অবাক হই। তুষারাবৃত দূর্গম পাহাড়ের পাদদেশে অল্প ক'জন মানুষ, তাদের ভোটাধিকারও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কত কষ্ট করে হেলিকপ্টার নিয়ে সেখানে গিয়ে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়! আর ভোট শেষে গণনাসহ সকল কাজ করা হয় কঠোর নিরাপত্তা ও সতর্কতায়। প্রতিটি ধাপের ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে রাখা হয়, নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা ঠিক রাখতে। আর, গণনা শেষে যেই জিতুক, অপর পক্ষ তাকে স্বাগত জানাবেই। এমন মেনে নেয়ার কালচারটা ভালো।
অভিনন্দন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার একটি বিষয়ের সাথে একমত হতে পারলাম না। তার যুক্তি হচ্ছেঃ
হঠকারিতা করে কেজরিওয়াল ক্ষমতা ছেড়ে দেয়াকে আমি এখন রাজনৈতিক ভুল মনে করিনা কারণ। সেসময় কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় যেতে হয়েছিল যার ফলে কংগ্রেসের একটা চোখ রাঙ্গানি ছিল ফলে কোন কিছুই সুষ্ঠভাবে করা যেত না যার বড় প্রমাণ হচ্ছে সেসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লোকপাল বিল পাশ করতে না পারা। কারন সেসময় দেশের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস এছাড়া বিধানসভায় তাদের সাহয্য নিয়েই ক্ষমতায় যেতে হয়েছিল এবং কংগ্রেসের অসহযোগিতের জন্য লোকপাল বিল পাশ করতে পারেনি আম আদমি।
আর দ্বিতীয়ত তারা ৪৯ দিনের মাথায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এটাই প্রমাণ করেছে যে প্রথম ক্ষমতায় এসেই তাদের মধ্যে সব কিছু বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার ইচ্ছা ছিল না। বরং এই নতুন নির্বাচন হয়ে ভাল হয়েছে। আম আদমি পার্টি তাদের পুরস্কার পেয়েছে দিল্লীর মানুষের কাছ থেকে। এবং নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিয়ে এবং কারো উপ নির্ভর না করে তারা ক্ষমতায় এসেছে যার ফলে অনেক ডিসিশন বা বিল পাশ করা তাদের জন্য সহজ হবে এছাড়া অন্যের কাছেও একটা বার্তা পৌছাবে যে আম আদমি পার্টি কোন চমক ছিল না। তারা টিকে থাকার জন্যেই এসেছে।