নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
বাংলাদেশ বেতারের ধারাভাষ্যে এসেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। বললেন ভারতের বিরুদ্ধে কাইন্ডলি বেশি ভালো খেলে ফেলবেন না। সুন্দর একটা মানুষ।
Anisul Hoque এর স্ট্যাটাসটি খুব মনে ধরেছে। একজন ভারতীয় বাঙ্গালি ক্রিকেট সেন্সেশন হিসেবে সৌরভ না পারেন বাংলাদেশ দল কোয়ার্টারে ভারতকে হারিয়ে দিক -এটা চাইতে, আবার বাংলাদেশের বাজে খেলাটাও কামনা করতে পারেন না। তাই, কী সুন্দর কথার কারুকাজে নিজের মনের কথাগুলি জানিয়ে দিলেন! এই দাদাকে আমার ভালো লাগে। "দাদাগিরি" তাঁকেই মানায়।
ভারতের একজন ক্রিকেটার ছিল, বাংলাদেশ খেলতে নামলেই যার মুখে খই ফুটতো, বাংলাদেশের বিপক্ষে। নামটা সবাই জানেন- নবোজিৎ সিং সিধু। কতদিন যে ভেবেছি, ওকে কাছে পেলে কী কী করব, কতবার যে ওর মাথার বল্টুটা হাতে পাওয়ার পরের দৃশ্য কল্পনা করেছি! আজকাল এই ব্যাটাকে colors চ্যানেলে Comedy Nights with Kapil এ দেখি নিজের অর্থায়নের শোতে নিজেই উপযাজক হয়ে কেবলার মতো শুধু হাসতে। ধারাভাষ্যে আর ডাক পান বলে মনে হয় না। আর, পাকিস্তানিদের কথা নাহয় বাদই দিলাম। একাত্তরের ক্ষত আজও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারে ওদেরকে। হিংসায় পুড়ে অঙ্গার হয়, প্রতিনিয়ত। কমেন্ট্রিতে রমিজ রাজা যেন প্রতি ম্যাচে গাজা খেয়ে নামেন বাংলাদেশকে পঁচানোর চেষ্টায়। কাল ওদের এক অখ্যাত ক্রিকেটারকে দেখলাম আমাদের বিজয় নিয়ে কটাক্ষ করে টুইট করতে। আসলে কুকুরের কাজ কুকুর তো করবেই। আমাদের কি মানায় কুকুরকে কামড়াতে উদ্যত হওয়া? বরং, কিছু বল ছেড়েই খেলা ভালো।
আর এক দাদা আছেন কলকাতার। যিনি সবদিক দিয়ে স্মার্ট। যখন খেলতেন, তিনি ছিলেন বাঙ্গালিদের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ভারতের জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিয়েছেন অনেক সাফল্য। এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়ে পথ চলা। সেখানে পাশের দেশ থেকে আরেক বাঙ্গালি পেসার হার-না-মানা মাশরাফিকে ভিড়িয়েছিলেন দলে। এরপর আর কেউ ডাকেনি, কিন্তু তাতে কি? বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়ে ম্যাশ ফিরে এসেছেন সেরাটা নিয়ে, সাথে এনেছেন গোটা বাংলাদেশকে। এই বাংলাদেশ যখন মাঠে খেলে, কমেন্ট্রিতে তখন বাংলাদেশের কেউ নেই। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলি থাকলে যেন সেই অভাবটা কমই অনুভব হয়। তিনি যে একাই একশ, বাংলাদেশের জন্য উৎসাহ দিতে ভোলেননা কখনো। একাই অন্যান্য ধারাভাষ্যকারদের সাথে লড়ে যান বাংলাদেশের হয়ে। আতহার আলী খান আজ তাঁর পাশে থাকলে আরও ভালো হতো। বাংলাদেশ যেমনটি খেলছে, অচিরেই সেই সুযোগ আসবে। বাংলাদেশকে আর আন্ডারেস্টিমেট করার, দাবিয়ে রাখার সুযোগ নেই।
©somewhere in net ltd.