নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
শিক্ষক শ্যামলকান্তিরা হেরে গেলে হেরে যায় দেশ, ডুকরে কেঁদে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কষ্টার্জিত বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ললাটে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয় শঙ্কার কালো মেঘ।
.
কেমন সমাজে বাস করছি আমরা? যে সমাজে শিক্ষক ছাত্রকে বকাঝকা করতে পারবে না, ভুল শুধরে দিতে পারবে না? যে সমাজে পরীক্ষার খাতায় নকল করে লেখাকে শিক্ষার্থীরা অধিকার বলেই ধরে নেয়, শিক্ষক কিছু বললেই তাঁকে হ্যানস্থা করা হয়? দেখাদেখি করতে নিষেধ করলে নির্লজ্জের মতো ছাত্রছাত্রীগুলো দাঁত কেলিয়ে অনুনয়ের সুরে বলে, 'স্যার, কিছুই পড়ি নাই, পুরোটা তো দেখছি, এই এক লাইনে ফিনিশিংটা দেখে লিখতে দেন!' ব্যবহারিকে ভালো নম্বর না দিলে যে সমাজে বাবা-মা পাঠান সুপারিশ! পরীক্ষার আগের রাতে বাবা-মাকেই তো দেখি সন্তানকে প্রশ্ন জোগাড় করে দিতে!
.
শিক্ষকদেরও কি দোষ একেবারেই নেই? ক্লাস কি ঠিকমতো নেয়া হয়, শেখানো হয় ভালো করে? মফস্বলে আবার ভালো করে শেখাতে গেলেও নাকি আজকাল শিক্ষার্থীরা অভিভাবক নিয়ে এসে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পরিশ্রম করানোর অভিযোগ তোলে! এ কেমন সমাজে বাস করছি আমরা? আমাদের ছেলেবেলার সমাজটা কোথায় গেলো, যখন স্যারের বকা বা বেতের বারি খেয়ে এসে লজ্জায় বাবা-মাকে সেকথা বলতো না সন্তান, আবার বাবা-মায়ের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে? দেখাদেখি করা তো দূরে থাক, ঘাড় ঘুরানো যেত না স্যারদের ভয়ে অথবা কম্পিটিশনের কারণে ভুল বলে দেবে বলে, আজ সবাই এমন মিলেমিশে দুর্ণীতি কেন করে?
.
আসলে ওদেরই বা কি দোষ? বাবা-মাকে দেখেই আজকাল সন্তান দুর্ণীতি করা শেখে। দুর্ণীতিবাজ বাবা-মা সন্তানকে বকা দিবেন কোন মুখে? আর বাকিরা বাধ্য হয়ে সহপাঠিদের দেখাদেখি বাধ্য হয়ে দুর্নীতি করে। অল্প কিছু শিক্ষার্থীর শেখার আগ্রহ থাকলেও তা পরিবেশের কারণেই মরে যায়। এই সমাজে শিক্ষককে দেখে শিক্ষার্থী শ্রদ্ধাভরে সালাম দেয় না, যদিও কেউ দেয় সেই সালামের ভেতর কোথায় যেন 'দয়া করে দিলাম' ভাবটা থেকে যায়!
.
এমন সমাজে শ্যামলকান্তিদের টিকে থাকা দায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে দেশ গড়তে চাওয়া মানুষগুলো আজ কোনঠাসা। এভাবেই চলছে সমাজ! কতদিন চললে পরে আমাদের টনক নড়বে?
+দেব দুলাল গুহ
২| ২৫ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪২
এম এ কাশেম বলেছেন: ঘুষের মামলায় শিক্ষক শ্যামল কান্তি কারাগারে
======================================
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা ঘুষ গ্রহণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম জানান, শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। বিকেলে তিনি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে দুপুর ১২টায় একই আদালত শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম গত বছরের ২৪ জুলাই আদালতে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে তাকে এমপিও ভুক্ত করে দেবার কথা বলে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করার জন্য বন্দর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ ঘটনা তদন্ত করে গত ১৮ এপ্রিল ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৩ জনকে সাক্ষী এবং একজনকে নিরপেক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বুধবার মামলার ধার্য তারিখে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ১৩ মে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। ওই ঘটনা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা ঘুষ গ্রহণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম জানান, শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। বিকেলে তিনি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে দুপুর ১২টায় একই আদালত শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম গত বছরের ২৪ জুলাই আদালতে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে তাকে এমপিও ভুক্ত করে দেবার কথা বলে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করার জন্য বন্দর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ ঘটনা তদন্ত করে গত ১৮ এপ্রিল ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৩ জনকে সাক্ষী এবং একজনকে নিরপেক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বুধবার মামলার ধার্য তারিখে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ১৩ মে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। ওই ঘটনা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৮
এম এ কাশেম বলেছেন: এক জন ঘুষখোর হেরে গেলে কেন যে বাংলাদেশ হেরে যাবে , কেঁদে উঠবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,
দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে সেটা আমার মাথায় ঢুকছে না।
ঘুষের সাথে চেতনার বা দেশের কোন সম্পর্ক আছে কি?
ঘুষখোরের জন্য কি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?
নাকি তার নাম শ্যামল কান্তি বলে?
http://www.ittefaq.com.bd/court/2017/05/24/114993
৪| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: গতবার সবাই কান ধরেছিল।
এবার কি সবাই শ্যামলকান্তি স্টাইলে ঘুষ খাওয়া ধরবে?
লোভের কাছে শিক্ষকরা হেরে গেলে আসলেই দেশ হেরে যাবে।
৫| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার মনে হয় ব্লগ ও সংবাদপত্রে কুম্ভীরাশ্রু না ফেলিয়া কানবন্ধন করা যাইতে পারে ! গতবার নিজের নিজের কান ধরা হইয়াছিল , এইবার পরস্পরের কান ধরিয়া কানবন্ধন করিলে যথার্থ প্রতিবাদ হইবে , দারুন পাবলিসিটিও হইবে !
(আমারে বাদে !)
৬| ২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
পান্হপাদপ বলেছেন: শ্যামল কান্তি বাবুর ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় বাদীর লিখিত অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে বন্দর উপজেলার এসি ল্যান্ড ডিসির কাছে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কানে ধরানোর ঘটনার ২/৩ দিন পূর্বে রিপোর্ট দেয় । ঘটনা শতভাগ সত্য । মিডিয়া দেখুক তদন্ত করে । কাকতালীয়ভাবে মিলে যাওয়ায় এখন এভাবে বলা হচ্ছে ।
আপনার শিরোনাম এর সাথে একমত হতে পারলাম না । সেই ধরনের শিক্ষক এখন নেই । পরীক্ষার খাতাও তারা নিজেরা দেখেন না। শিক্ষক এর কানে ধরানো যেমন মেনে নিতে পারি না সেরকম শ্যামল ভক্ত এর মত শিক্ষক এর কর্মকান্ড মেনে নেয়া যায় না । তিনি আচার আচরন এর দিক দিয়ে একজন শ্রদ্ধা করার মত শিক্ষক নন । সুত্রমত ভাল শিক্ষক ভাল মানুষদের পাশে আছি ।
৭| ২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩২
পান্হপাদপ বলেছেন: শ্যামল কান্তি বাবুর ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় বাদীর লিখিত অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে বন্দর উপজেলার এসি ল্যান্ড ডিসির কাছে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কানে ধরানোর ঘটনার ২/৩ দিন পূর্বে রিপোর্ট দেয় । ঘটনা শতভাগ সত্য । মিডিয়া দেখুক তদন্ত করে । কাকতালীয়ভাবে মিলে যাওয়ায় এখন এভাবে বলা হচ্ছে ।
আপনার শিরোনাম এর সাথে একমত হতে পারলাম না । সেই ধরনের শিক্ষক এখন নেই । পরীক্ষার খাতাও তারা নিজেরা দেখেন না। শিক্ষক এর কানে ধরানো যেমন মেনে নিতে পারি না সেরকম শ্যামল ভক্ত এর মত শিক্ষক এর কর্মকান্ড মেনে নেয়া যায় না । তিনি আচার আচরন এর দিক দিয়ে একজন শ্রদ্ধা করার মত শিক্ষক নন । সুত্রমত ভাল শিক্ষক ভাল মানুষদের পাশে আছি ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৩
আবদুল মমিন বলেছেন: শ্যামলকান্তিদের কেই প্রথমে শিক্ষক হতে হবে । কেমন শিক্ষক ?
( বাদশা আলমগির , কুমারে তাহার পড়াইত এক মউলভী দিল্লির )
হাঁ এমন শিক্ষক ই চাই যার কাছে নিজ সন্তান কে আমানত রাখা যায় ,
পরিমল জয়ধর, দিয়া যদি শিক্ষা বেবস্থা কে বেহাল অবস্থায় রাখা হয় , তা হলে সেখানে শ্যামলকান্তি কিংবা দিল্লির মাওলানার কোন মূল্য না থাকার ই কথা ।