নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
আমাদের অনেক জাত থাকতে পারে, আলাদা ধর্ম থাকতে পারে, আমরা ভিন্ন ভিন্ন মতের ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ হতে পারি, কিন্তু আমরা বাংলাদেশের বাসিন্দারা সবাই বাংলাদেশী। এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিত। জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ কাম্য নয়। আজ আমরা বাঙ্গালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই আমরাই সব, বাকিরা কিছু না, এইরকম চিন্তাভাবনা নীচু মানসিকতার প্রকাশ। আমরা নিশ্চয়ই নীচু জাতি হিসেবে পরিচিত হতে চাই না।
.
মাননীয় প্রধান বিচারপতি একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ। অনেক দিন ধরেই তিনি বিচারকার্যের সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই সরকারের আমলেই তিনি এই সম্মানজনক পদটি পেয়েছেন। আমি মনে করি তিনি এই পদের জন্য যোগ্য না হলে তাঁকে সরকার বা মাননীয় রাষ্ট্রপতি এই চেয়ারে বসাতেন না। এখন যে কথা উঠছে, তিনি নাকি রাজাকার, তিনি নাকি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, এই অভিযোগগুলো সত্য হলে তা তাঁকে নিয়োগ প্রদানের আগেই ভাবা উচিত ছিলো। এখন এসব নিয়ে কথা বললে বরং জনগণ বলবে রায় বিপক্ষে গেছে তাই এমন বলছে। সরকারের এতোসব সাফল্যে কালিমা লেপন হোক, সেটা নিশ্চয়ই চাই না আমরা। প্রতিপক্ষ আরও সুযোগ পাচ্ছে সরকারের সমালোচনা করার, যা কাম্য নয়।
.
আমি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়টি পুরোপুরি পড়িনি। তবু যতটুকু জেনেছি, তাতে মনে হয়েছে, প্রধান বিচারপতি আসলে রায়ের বিষয়ের বাইরে গিয়েও অনেক কথা বলেছেন, যাতে অনেকবার জাতির পিতার প্রশংসা থাকলেও এবং বিএনপির সমালোচনা থাকলেও কিছু কথা সরকারের বিপক্ষে গেছে এবং তার জন্য সরকার বিপাকে পড়েছে, বিএনপি এতোদিনে একটা ইস্যু পেয়েছে আন্দোলন করার। আমার নিযুক্ত লোক, তিনি যত মেধাবি আর যোগ্য হন না কেন, আমারই সমালোচনা করলে আমার খারাপ তো লাগবেই, অন্তত এই দেশের প্রেক্ষাপটে। এজন্য নির্ধারিত সাংবিধানিক পন্থায় প্রতিবাদ জানানো যায়। কিন্তু তাই বলে আমরা যেন তাঁকে মালাউন বলে গালি না দেই, তাঁর জাতিস্বত্বা নিয়ে কটু কথা না বলি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এই মানুষটির দৃঢ় অবস্থান, সাহস ও মেরুদন্ড আছে বলেই স্বাধীনতার এতো বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ হয়েছে, দেশবাসীর আকঙখা পূরণ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এজন্য তাঁকেও অনেক রিস্ক নিতে হয়েছে, এমনকি গোটা মনিপুরী জাতিই রিস্কে আছে। আবার বলা হচ্ছে, তিনি নাকি পাকিস্তানের তুলনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হটিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ এমন কিছু তিনি বলেননি, ভুলভাবে এসেছে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল। তিনি একটা উদাহরণ দিয়েছেন মাত্র। প্রথম আলোর নিউজে একজনের মন্তব্য তুলে দেই, 'উনিতো পাকিস্তানের সাথে তুলনা করেননি,
পাকিস্তানের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সাথে তুলনা করেছেন...'
.
আমার মনে হয়, সব ভেদাভেদ ভুলে নির্বাহী বিভাগ আর বিচার বিভাগের ভেতর সম্প্রতি সৃষ্ট এই অসন্তোষ অচিরেই দূর হয়ে দেশ গড়ার কাজে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজে মনোনিবেশ করা দরকার।
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১০
আজাবুল মরফুদ বলেছেন: হিন্দু নন তিনি অপকোপা ধর্মের।
আমি সাম্প্রদায়িকতা এবং বর্ণবাদের ঘোর বিরোধি। একজন ব্যক্তির পরিচয় সবার আগে তিনি মানুষ। কয়েকদিন থেকেই একটি বিষয় নজরে আসলেও এড়িয়ে গিছি। যারা এতদিন বলে আসছেন প্রধান বিচারপতি একন হিন্দু তারা ভুল জানেন। প্রধান বিচারপতি একজন মনিপুরি । মণিপুরী জনগোষ্ঠী দুটি গোত্রে বিভক্ত। মৈতৈ এবং বিষ্ণুপ্রিয়া। এস কে সিনহা বিষ্ণুপ্রিয়া গোত্রের। বাংলাদেশে মনিপুরি ,সাওতাল , চাকমা , ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে, মনিপুরি তার অন্যতম।
মণিপুরীদের নিজস্ব লৌকিক ধর্মের নাম "আপোকপা" যা অত্যন্ত প্রাচীন, আধ্যাত্মিকতায় গভীর ও দার্শনিকভাবে উচ্চস্তরের। প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা নিজের প্রতিকৃতি থেকে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রতিটি মানুষ সৃষ্টিকর্তার একেকটি ছায়া। এখনো মণিপুরী মৈতৈদের অনেকে এই ধর্মের অনুসারী। মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়াদের একাংশের মধ্যের "আপোকপা" পূজার প্রচলন রয়েছে।
সৌজন্যে: Ratan Kumar Majumder
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২১
আজাবুল মরফুদ বলেছেন: পাকিস্তানের বিচার বিভাগের সাথে তুলনা মানেইতো পাকিস্তানের সাথে তুলনা। তিনি আমেরিকার সাথে তুলনা করতে পারতেন। অসভ্য ও বর্বর পাকিস্তানকে আমরা ছেচল্লিশ বছর আগে গুডবাই জানিয়েছি। পাকিস্তান কোন তুলনার বস্তু হতে পারে না।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ আজাবুল মরফুদ হিপোক্রসি না করলেই চলে না ... তাই না..
আজ একটা তুলনামুলক কথায় বিচারপতি পাকিস্তানের বিচার বিভঅগের উদাহরণ দেয়ায় যাতা বলতেছেন
আপনাদেন নেত্রীর যথন ইয়াহিয়ার বই পড়ে মুজিব সম্পর্কে জানতে বলে তখন কোথায় থাকে চেতনা?????
শেইম ম্যান! সবচে ঘৃনিত জঘন্য লোকের রেফারেন্সের বঙ্গবন্ধুকে মূর্যায়িত করেন তারই মেয়- তখন কি ছেচল্লিশ বছর আগের বাই ভুলে যান!!!!!!!!
নোংরামোর একটা শেষ থাকা উচিত। আওয়ামীরীগের এই তালগাছবাদী মানসিকতা পুরা জাতিকে ভোগাচ্ছে!
ইয়াহিযার বই পড়ার আহবান :
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি। তারা কি ইয়াহিয়ার বক্তব্য পড়েননি? এই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য পাকিস্তানের সে সময়কার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সবসময় একজনকে সবচেয়ে বেশি দোষারোপ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে দায়ী করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই যারা এখন বলছেন তার একক নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি তাদের ইয়াহিয়ার বক্তব্য পড়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
আজাবুল মরফুদ বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু; ভালই দিয়েছেন! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ইয়াহিয়ার বইতে চুমু খেতে বলে নাই। ঘৃণিত ইয়াহিয়ার বই ঘৃর্ণাভরে পড়ে দেখবেন, সেখানে জিয়ার নাম-গন্ধ কোন জায়গায় আছে কি-না?
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কিছু কথা সরকারের বিপক্ষে গেছে এবং তার জন্য সরকার বিপাকে পড়েছে, বিএনপি এতোদিনে একটা ইস্যু পেয়েছে আন্দোলন করার। "
-বিএনপি ইস্যু বা পিস্যু কিছুই পায়নি; আওয়ামী লীগ অনেকদিন চীৎকার দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না; এখন নিজের পায়ে লাথি মেরে গন্ডগোল করতে চায়, এটা ছাত্র রাজীিতি থেকে পাওয়া জেনেটিক্যাল ফিচার।