নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার বিশ্বাস কি এতটাই ঠুনকো?

০২ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

গালে-কপালে একটু আবির রঙ মাখলেই আপনি হিন্দু হয়ে গেলেন না। পূজার নারু খেলেই আপনার ধর্ম পরিবর্তন হয়ে যায় না। ঠিক তেমনি ঈদে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে সেমাই জর্দা খেলেই আপনি মুসলিম হয়ে যাবেন না। ঢাকের তালে একটু নাচলেই আপনার জাত গেলো না।

ঠিক তেমনি, আজানের ধ্বনি শুনলেই কিংবা যত্রতত্র 'আলহামদুলিল্লাহ' 'সুবাহানআল্লাহ' 'ইনশাল্লাহ' পড়লেই কিংবা বন্ধুর 'খোদা হাফেজ' এর জবাবে আপনিও 'খোদা হাফেজ' বললেই আপনার জাত যায় না।

কেনো যাবে? আপনার ধর্মবিশ্বাস কি এতোটাই ঠুনকো? এই ধরণের অন্ধবিশ্বাস থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা শতবর্ষ ধরে সবাই মিলেমিশে জীবনযাপন করে আসছি, একের উৎসব মানে এখানে অন্যেরও উৎসব। এখানে আমরা হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই। আমরা বাঙ্গালি, বাংলাদেশী।

আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর যিনি, আল্লাহ তিনি, গড তিনি। আমরা একেকজন একেক মতে একেক পদ্ধতিতে তাঁর উপাসনা করি মাত্র। তাঁকে যে নামেই ডাকি, তিনি একজনই। তিনি আমাদের স্রষ্টা, আমাদের পালনকর্তা। এতো বিভেদ এতো জাতপাত মানতে গেলে আমরা নিজেদের কাজ করবো কখন, এগিয়ে যাবো কখন?

আসুন, এসব নিয়ে পরে না থেকে আমরা বরং এমন কিছু করি যাতে স্রষ্টা খুশি হন, স্রষ্টার প্রিয় সৃষ্টির জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। এমন কিছু আবিষ্কার করি, যা আমাদের জীবনযাত্রাকে আরেকটু সুন্দর ও সহজ করে তোলে। এমন কোনো কাজ করি, যাতে আমার ভাইয়ের পাশাপাশি পাশের বাড়ির এমনকি দূরের দেশের মানুষটিরও উপকার হয়। সকল ধর্মের সারকথা তো এটাই- মানুষের কল্যাণ, তাই না?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
যে যে নামেই ডাকি, সব একই ঈশ্বরের কাছেই যায়।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:১৫

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: দেখুন, সুখবরে মিষ্টি মুখ করা একসময় বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ছিল, এখন আর কেউ মিষ্টি না ঝাল খেতে চায় (বিরিয়ানি, পোলাও, চাইনিজ ফুড, কোরমা কাবাব)।
তেমনি সম্প্রীতির মিষ্টতা ছেড়েও এখন বাঙ্গালী ঝাঝালো সাম্প্রদায়িকতাকেই পছন্দ করছে বোধ হয়। এখানে আপনি হিন্দু-মুসলিম-ইহুদী-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান যে কোন এটি ধর্ম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে একটি পোস্ট লিখতেন দেখতেন লেঅকজন এসে সেখানে মতামত দিয়ে ভরে ফেলতো। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক মিলনের পোস্ট লিখেছেন বলেই হয়তো কারো ভাল লাগেনি। প্রায় ৩৩ জন পড়েছে কিন্তু কোন মন্তব্য করেনি। :) B-)

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: যে যার ধর্ম যেভাবে পালন করে খুশি থাকে, থাক।
বাগড়া দেওয়ার দরকারটা কি?

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ...নিপুণ কথন... ,




ভালো লিখেছেন ।
সৃষ্টিকর্তাকে অজ্ঞের মতো ভালোবাসতে গিয়ে আমরা নিজেদের অজান্তেই এক সৃষ্টিকর্তাকে ধর্মে ধর্মে ভাগ করে দিয়ে তার প্রতিদ্বন্ধী সৃষ্টি করেছি যা "শিরক" এরই নামান্তর ।

আমাদের বিশ্বাস যে কতোটুকু তার সামান্যতম ধারনা ছাড়াই আমরা পোষাকী হয়েছি । প্যান্ট পড়ে ভদ্র সেজেছি ঠিকই কিন্তু জীপারটি খোলা ........................................ !:#P

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

বারিধারা ২ বলেছেন: উৎসব কোন ব্যাপার না - আল্লাহ্‌র আদেশ নিষেধ মানা না মানা হচ্ছে ব্যাপার। যারা শিরকে লিপ্ত - তাদের যে কোন উৎসবে যোগদান করতে আল্লাহ্‌র কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। সেটা মূর্তিপূজার মত পাপ কাজই হোক, বা হোলি খেলার মত নির্দোষ মজাদার রং তামাশাই হোক। মুসলিমদের কোন উৎসবে হিন্দুদের যোগদানে কোন বিধিনিষেধ নেই, কিন্তু হিন্দুদের যে কোন উৎসবে মুসলমানের যোগ দেয়া আল্লাহ্‌র আদেশ লঙ্ঘনের মত কবিরা গুনাহ। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.