নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
সন্ধ্যা ৬টায় একটি বাস ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে কিছু যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে রওনা দেয়, দমদমিয়া-সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে অনেক যাত্রী উঠে, হ্নীলা,হোয়াইকং,উখিয়া এর পর লিঙ্ক রোড,চকরিয়া,চট্টগ্রাম থেকে অনেক যাত্রী উঠানামা করে।
রাত ১টা। চট্টগ্রাম শহর ছাড়িয়ে হু হু করে বাস এগিয়ে চলেছে ঢাকার দিকে। সদ্য বানানো মসৃণ রাস্তা। বেশির ভাগ যাত্রী সিটে বসে ঢুলছে। সামনের সিটে এক বৃদ্ধ তাঁর মেয়েকে নিয়ে বসেছেন।
অভিজাত জামাকাপড় পরে আছেন তাঁরা। হঠাত্ উঠে দাঁড়িয়ে অন্য সব যাত্রীর দিকে মুখ করে বলতে শুরু করলেন তিনি ‘প্রিয় যাত্রী মহোদয়, আমার পোশাক-আশাক দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আমি ভিখারি নই।
প্রভু আমাকে অনেক দিয়েছেন, কিন্তু কেড়ে নিয়েছেন আমার স্ত্রী সাবিহাকে। বিধির বিধান কে খণ্ডাতে পেরেছে, বলুন? কিছুদিন আগে আমার ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে সব ছারখার হয়ে যায়।
এর কিছু দিনের মধ্যে আমার এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টের ব্যবসাও লাটে ওঠে। হঠাত্ করে এতটা ক্ষতি আমি সইতে পারিনি।তাই হয়তো কিছুদিন পরই আমার হার্ট অ্যাটাক করে। যেসব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব আগে আমার কাছে এসে বসে থাকত, তারা আমার এই দুর্দিনে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। আমি দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ি। শরীরও খারাপ হতে থাকে।
একসময় ডাক্তার জানায়, আমার জীবনে খুব বেশি দিন অবশিষ্ট নেই। যেকোনো সময় ডাক এসে যেতে পারে। আমার এই যুবতী মেয়ে মিথিলা। দেখতেই পাচ্ছেন আপনারা। সে বেশ সুন্দরী।
আমার অবর্তমানে এই মেয়ে নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে একলা থাকলে তার কী যে দুর্দশা হবে, সে কথা ভেবেই আমি শিউরে উঠি!’ এই কথা কয়েকটি বলতে বলতেই বৃদ্ধের হেঁচকি ওঠা শুরু হয়। মেয়ে মিথিলা বাবাকে ধরে আবার সিটে বসিয়ে দেয়।
এমন সময় বাসের পেছনের সিটে বসা এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে পড়েন এবং বাসে বসে থাকা লোকদের সম্বোধন করে বলা শুরু করেন -ভদ্র মহোদয়গণ, আমি পেশায় ব্যবসায়ী। আমার দুই ছেলে।
বড় ছেলে ডাক্তার, বিবাহিত। এই আমার ছোট ছেলে। দুই বছর হলো ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করছে। আমি এর বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছি। প্রভুর অশেষ দয়া, আমি এই বাসে এক সুন্দরী সুশীলা পাত্রীর দেখা পেলাম।
আমি ওই বৃদ্ধকে অনুরোধ করছি, তিনি যদি আমার ছোট ছেলেকে উপযুক্ত মনে করেন, তবে আমি তাঁর মেয়েকে নিজের পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি আছি। আপনাদের সবার সামনে শপথ করছি, ওনার মেয়ে আমার বাড়িতে আমার পুত্রবধূ নয়, মেয়ে হয়েই থাকবে।’
এ পর্যায়ে সুপুরুষ ছোট ছেলে নিজের সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, ‘মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে। আমি বিয়েতে রাজি।’এক অনাবিল মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে সবার ঘুম গেছে ছুটে! বাসের অন্য যাত্রীরা হাততালি দিয়ে এই সম্বন্ধকে স্বীকৃতি জানাল। এরই মধ্যে নাটকীয়ভাবে এক লোক দাঁড়িয়ে বললেন -আপনাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন! বাসেই যদি এই বিয়ের কার্যক্রম হয়ে যায়, তাহলে এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। আমি পেশায় কাজি। বিয়ে পড়াই। আমি এই বিয়েটা পড়াতে পারলে মনে করব জীবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিয়ে পড়াতে পারলাম।’যাত্রীরা একসঙ্গে বলে উঠল, দারুণ! মারহাবা…সেই উত্সাহপূর্ণ হট্টগোলের মাঝে কাজি সাহেব বিয়ের কাজ শুরু করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সব আচার-অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেল।
এ পর্যায়ে এক মধ্যবয়স্ক যাত্রী তাঁর সিটে দাঁড়িয়ে বললেন -‘অনেক দিন পর আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছি। নাতি-নাতনিরা মিষ্টি পছন্দ করে। তাদের জন্য পাঁচ কেজি রসগোল্লা নিয়েছি।
কিন্তু এই আনন্দের মুহূর্তে এই মিষ্টির সদ্ব্যবহার এই বাসেই হোক। পাত্রী তো আমার কন্যাসম।’ .বক্তব্য শেষ করে ভদ্রলোক কন্যার বাবার দিকে চেয়ে তাঁর অনুমতির অপেক্ষা করতে লাগলেন।
মেয়ের বাবা ড্রাইভারের উদ্দেশে বলেন, ‘ড্রাইভার সাহেব, পাঁচ মিনিটের জন্য গাড়ি থামান দয়া করে। সবাই আগে মুখ মিষ্টি করুন। তারপর আমরা আবার যাত্রা শুরু করব ঢাকার দিকে।’
ঠিক আছে স্যার’ বলে ড্রাইভার বাস থামিয়ে দিলেন। আনন্দে উদ্বেলিত মেয়ের বাবার নির্দেশে সেই মধ্যবয়সী ভদ্রলোক একে একে বাসযাত্রীদের মুখে রসগোল্লা পুরে দিলেন।
ড্রাইভার আর কন্ডাক্টর যখন চোখ মেলে তাকাল তখন ভোর ৫টা। নববিবাহিত বর-বউ, দুই পিতা, কাজি আর মিষ্টি বিতরক বাদে বাসে সবাই আছে।
তবে হ্যাঁ, কারোরই মানিব্যাগ, হাতঘড়ি, গলার সোনার চেইন, হাতের বালা-চুড়ি, স্যুটকেস কোনো কিছুই আর জায়গা মতো নেই!!
(সংগৃহীত)
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫১
মাআইপা বলেছেন: বাহ্ দারুন তো !!!!
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:৩২
রুদ্র নাহিদ বলেছেন: ফেসবুকে কই যেন পড়ছি লেখাটা..
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:০৩
তার ছিড়া আমি বলেছেন: অনেক আগেই ফেসবুকে পড়েছি। পুরোনো খবর কপি পেষ্ট করা।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: গল্পটা দারুন, কিন্তু ঘটনা বাস্তব হলে করুন।।
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪২
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: বাহ
নতুন কায়দা
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: এখানে ও দেশের এগিয়ে যাওয়া টা দোষ!!!! চুরি ডাকাতি সব সময় ছিল..সব সময় থাকবে..। মানুষ সচেতন না হলে, দেশ পিছিয়ে গেলেও এই চুরি ডাকাতি চলতেই থাকবে...।
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
কলাবাগান১ বলেছেন: সবার আগে দরকার ছিল, কনে আর বরকে যাত্রীরা মিলে তাদের মিস্টি দিয়ে মিস্টিমুখ করানো।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯
সুমন কর বলেছেন: ফেসবুকের কপি-পেস্ট পোস্ট আর কতো !!
উনি কিন্তু সংগ্রহ লিখেছিলেন, আপনি লিখলে কি কোন অসুবিধা হতো !!
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কপি ।
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কপি ।
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
প্রামানিক বলেছেন: আহারে!! এরকম কপি করে নিজের নামে - - --
১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
বনসাই বলেছেন: শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত
আগে মোরাল ঠিক করুন, ফেসবুকে যুক্ত কথাটি আজ আর ভালো অর্থে ধরা হয় না।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
...নিপুণ কথন... বলেছেন: কোন অর্থে ধরা হয়? আপনি যুক্ত না হলে কি আপনাকে কেউ হাতে পায়ে ধরে যুক্ত করছে?
১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: অনেকে লেখেই-না, আবার কেউ নকল করে হলেও লেখে ! কি অভিনব লেখা ?
১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
বারিধারা ৩ বলেছেন: কপি পেস্ট আগে খুব বড় ধরণের অপরাধ ছিল - এখন আর নেই। সামুর একজন পক্ককেশ ব্লগার প্রতিদিন ৩/৪টা করে কপিপেস্ট পোস্ট দেন, তিনি আবার প্রোফাইলে লিখে রেখেছেন, "আমার ইচ্ছে আমি কপি পেস্ট করব, কারো ইচ্ছা না হলে পড়বেন না"
তিনি আবার ইসলাম বিদ্বেষীও। উম্মুল মুমিনীন নিয়ে আজেবাজে লেখায় আমি রিপোর্ট করেছিলাম বলে আমার একটা নিক ব্যান হয়ে গেছে - তাই বাঁচতে চাইলে কেউ তার নামে রিপোর্ট করতে যাবেন না।
১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
...নিপুণ কথন... বলেছেন: অনেকেই কপি করা লেখা বলে আমাকে তুলোধুনা করছেন। ভালো, করতেই পারেন। কিন্তু আমার ব্লগের ৯৯% লেখাই নিজের লেখা, বাকিগুলো হয়তো সংগ্রহ করা।
আচ্ছা, কোনোদিন আমার মৌলিক লেখাগুলোর প্রশংসা করেছেন? কিংবা আপনাদের সামুতে কী কী সব পুরস্কার যেন দেন, দিয়েছেন? দেন নি। আমি একজন পুরাতন ব্লগার। দেননি বলেই ইচ্ছা করে এই লেখাটির নিচে 'সংগৃহীত' কথাটি আগে লিখিনি, পরে লিখেছি। ফেসবুকের টাইমলাইন দেখুন, সেখানে আগেই 'সংগৃহীত' কথাটি উল্লেখ করেছি।
আপনারা একটু খুত ধরার জন্য ওঁত পেতে বসে থাকেন, কিন্তু ভালো লেখার প্রশংসা কখনও করেন না। আপনাদের মতো পাঠক আমার দরকার নাই। ভালো থাকবেন সবাই।
১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
...নিপুণ কথন... বলেছেন: আরেকটা বিষয় খেয়াল করবেন, আমার নিজের লেখাগুলোর নিচে আমার নিজের নাম লেখা থাকে এই ব্লগে। এই লেখাটির নিচে কিন্তু আমি আমার নাম লিখিনি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪৮
সোহানী বলেছেন: বাহ্ একেবারে আধুনিক সিনেমা স্টাইলে ডাকাতি........... গুড দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।