নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
কোলকাতার রাস্তাগুলো সুন্দর, ছিমছাম, পরিষ্কার। গাড়িগুলো সব ট্রাফিক আইন মেনে চলেছে, বাতি লাল হলে থামছে আবার সবুজ হলে চলছে। ধুলাবালি নেই বললেই চলে, দূষণ নেই! যানজট খুব একটা চোখে পড়ছে না এদিকটায়। বাস সার্ভিস খুবই সস্তা বলে মনে হলো। মানুষগুলো অধিকাংশই হেল্পফুল। তবে ওদের বাংলা আর আমাদের বাংলার যে পার্থক্য, কথা শুনে তা বুঝতে পারা যায়। বাটপারগুলো এটা বুঝে ফেললেই সমস্যা, নানাভাবে বিপদে ফেলে টাকা ঝারার ধান্দা করবে!
এই শহরে কেউ মনে হয় শুয়ে বসে থাকে না। সবাই আছে দৌড়ের ওপর। সবাই কাজপাগল। বাসে ভিড়ের মধ্যে বয়ষ্ক মহিলারাও রড ধরে ঝুলছে। জিন্স টিশার্ট পড়া স্মার্ট আর সুন্দরী মেয়েগুলোর পরাণে কোনো ভয়-ডর নেই। যেখানে খুশি একা একা চলে যাচ্ছে, অনেক রাতেও একা একা হাঁটছে। ওদের স্বাধীন চলাচল দেখতে ভালোই লাগে। বাসের কন্ডাক্টর নতুন মানুষ পেয়ে এক টাকাও বেশি রাখছে না। কেউ টাকা না দিয়ে বাসে চড়ছে বলে মনে হলো না। সবাই নিজ দায়িত্বে টিকিট কাটছে।
কোলকাতার মেয়েরাও সুন্দর। স্মার্ট, চেহারায় যেন বংশের আভিজাত্যের ছাপ। আজ একটি মেয়ের আচরণে রীতিমত মুগ্ধ হলাম। নিতান্তই অল্পবয়সী, স্কুল বা কলেজ থেকে ফিরছিলো। নিউ টাউনের শঙ্কর নেত্রালয় থেকে ফেরার পথে মা আর আমি ভাবলাম, যাবার সময় তো ট্যাক্সিতেই গেলাম, এখন নাহয় বাসে গিয়ে দেখি।হাসপাতালের অভিজ্ঞতা আরেকদিন শেয়ার করবো। তো, বেশ কিছুক্ষণ পর ডিএন ২ বাই ১ বাসটি এলো। উঠলাম। ওমা, বাসে সে কী ভিড়! এমন ভিড়ে আমি অভ্যস্ত হলেও মা তো নয়! বসার জায়গা নেই। রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এমনিতেই শরীরটা খারাপ, তার ওপর আবার চোখের সমস্যা। মাকে আমিই ধরে রাখছিলাম। এই দেখে আমাকে অবাক করে দিয়ে মায়ের সামনে বসা স্কুলপড়ুয়া (নাকি কলেজ?) মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে মাকে সিট দিলো। ড্রেসটা সুন্দর-- সাদা টাইটফিট জামা, ব্লু প্যান্ট ইন করা আর একটা টাই গলায়। আমি শুরুতে ভেবেছিলাম ও মনে হয় নেমে যাবে। পরে দেখি তা নয়, উঠে গিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে গুরুজনকে জায়গা করে দিলো। আমি মুগ্ধতা নিয়ে তাকালাম এবং মনে মনে ওকে ধন্যবাদ দেয়ার উপায় খুঁজতে লাগলাম। এমনিতেও মেয়েটি একটু পরপর আমার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছিলো। এখন আমি আগ বাড়িয়ে ধন্যবাদ দিলে ও হয়তো অন্য কিছু ভেবে বসতেও পারে।তাই চুপ রইলাম।
কিছুক্ষণ পর আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, তার সামনের সিটটা খালি হলো। এখানে আশপাশ থেকে সিট দখলের জন্য ঠেলাঠেলি দেখলাম না, সামনের জনকেই সিট ছেড়ে দেয়া হয়। আমি করলাম কি, নিজে না বসে আমার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম, 'তুমি বসো'। ওদের ওখানে অপরিচিতকে 'আপনি' না ডেকে 'তুমি' বললে ওরা কিছু মনে করে না, বরং আরও আন্তরিক মনে করে খুশি হয়। মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরে সিটে গিয়ে বসলো।
এভাবেই আমি ওকে ধন্যবাদ জানালাম। পরে ওর ফোন আসাতে বুঝলাম, ও আসলে হিন্দিতে কথা বলে, হয়তো বাংলাটাও বোঝে। বাকিটা পথ মেয়েটি আমার মায়ের পাশে বসে আর আমি সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম। কোলকাতার মেয়েদের সম্পর্কে খুব সুন্দর ধারণা দিলো ও আমাকে। নাম জানা হয়নি। আর কোনো কথাও হয়নি।
ও কোলকাতার মেয়ে্
তোমায় ধন্যবাদ।
[ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নাই, তাই ছবি তুলতে পারছি না। মনটা খারাপ। ]
লেখাঃ দেব দুলাল গুহ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭
...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনাকে সবার আগে করতে চাই। আপনার কিছু শিক্ষা দীক্ষার দরকার আছে গাজী সাব!
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০৩
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: যশোরের মেয়েরাও সুন্দরী হয়, আমি শুনেছি, কলকাতায় কখনও যায়নি তাই কলকাতার মেয়েও দেখিনি তাই মন্তব্যও ঠিকমত করিনি।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৩
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর অভিজ্ঞতা
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১০
Sujon Mahmud বলেছেন: অনুপম তো রিতিমত বাংলাদেশের মেয়ে নিয়ে গানই গাইলেন.........এবার আপনি কলকাতার মেয়ে নিয়ে গল্প.....
দারুণ
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি বলতে কি বাংলাদেশ ও আফ্রিকার কিছু দেশ ছাড়া আর সব দেশই সভ্যতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪২
ক্স বলেছেন: দিনের কোলকাতা খুব পরিপাটি ছিমছাম হলেও রাতে কিন্তু এই রূপ থাকেনা। তখন দেখা যায় এর অন্য রূপ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
...নিপুণ কথন... বলেছেন: কী রুপ?
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যনাদ আপনাকে, সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।তবে শুধু কোলকাতা বলে কথা নয়,এমন ব্যবহার মূল্যবোধের পরিচয়,সেটা সব জায়গাতেই কমবেশি পাওয়া যায়।
তুমি বলা প্রসঙ্গে , বর্তমানে কলকাতা সন্নিহিত অঞ্চলে ইংরেজি মাধ্যম স্কু্লের ব্যাপক রমরমা। এদের যেহেতু you বা তুমি বলা কালচার, সেহেতু এরা যেমন অপরিচিত সকলকে তুমি বলে, এদের দেখাদেখি বাংলা মাধ্যমের ছাত্ররাও এখন আপনি বলার কালচারটি তুলেই দিয়েছে।আপনি বলার মধ্যে নাকি একটু সেকেলে থেকে যায়।
শঙ্কর নেত্রালয় ভাল,তবে টাকাটা অনেক বেশি নেয়।ভবিষৎ এ আপনি বারাকপুর দিশাতে দেখাতে পারেন।এটুকু বলবো খুব ভালো।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা অনন্ত।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনি কি কোলকাতায় এখন? সম্ভব হলে সন্ধ্যার পর একটা কল দিয়েন ৮০১৭৫৮৫৫৪৭ ।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রীত হইলাম ! শিষ্টাচার অবশ্যই প্রশংসনীয়, যাহার অভাব আমাদের আছে ! শিষ্টাচার হইল মেকাপের মতন। ভণ্ডামি, কদর্যতাও ঢাকিয়া যায় !
কলকাতার মেয়েকেও ধন্যবাদ আপনার মাকে সৌজন্যতা দেখানোর জন্য !
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে ইচ্ছা করছে এখনই কিছুদিন কোলকাতা গিয়ে থেকে আসি।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
...নিপুণ কথন... বলেছেন: চলে আসুন। আমারও একজন সঙ্গী দরকার। একা ঘুরে মজা নেই।
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাই আপনাকে।তবে আমার বাস বারাসাতে। আপনি যদি,কোন প্রশ্ন রাখেন,পরে ব্লগে এসে উত্তর দেব।আপনার ফোন নং তো আছে।পরে সময় মত কথা হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের কিছু লোকজনকে কোলকাতায় এক্সপোর্ট করা যায় নাকি?