নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
সবাইকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানালেন ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট, এটা তাদের কালচার। শুধু চুমু খেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে। তবে এভাবে ভালো খেলেও হেরে যাওয়ার পর তাঁর সবকিছু সহজভাবে নেওয়ার এবং এতোকিছুর পরেও হাসিমুখে থাকার চেষ্টাটা আমার ভালো লেগেছে। কিন্তু লুকা মদ্রিচকে কাছে পেয়ে তিনি আর আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না, তাকে স্বান্তনা দিতে গিয়ে জড়িয়ে ধরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। তাঁর কান্নার সাথে গ্যালারির ৮০%+ ক্রোয়েশিয়ান দর্শকদের কান্নার জল মিলে মস্কো ভাসলো বৃষ্টিতে, না-পাওয়ার হাহাকার জড়ানো বৃষ্টি!
.
বৃষ্টিটা যখন প্রথম নামলো, ঝুম বৃষ্টি, একদম সোজা ওপর থেকে, সবাই গেলেন ভিজে। ওখানে ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পুতিন, যার মনেও আছে ভালো খেলেও নিজের মাঠে পরাজিত হওয়ার কষ্ট। বৃষ্টি নামতেই তাঁর বডি গার্ড সর্বপ্রথম তাঁর মাথায় ছাতা ধরলো। এরপর একে একে ফিফা প্রেসিডেন্টসহ বাকিদের মাথায় ছাতা উঠলেও ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভিজলেন, ভিজলো তাঁর সাদার মাঝে লাল ক্রসের জার্সি আর সাদা প্যান্ট, ভিজলো সোনালী চুল!
.
ক্রোয়েশিয়ানদের কান্নাভেজা এই বৃষ্টিই ফ্রান্সের জন্য নিয়ে এলো আনন্দের আতিশয্য। কেউ কেউ দুই স্টার খচিত জার্সিও পরে ছিলেন, খেয়াল করেছেন? তারা মাঠে স্লিপ কেটে ট্রফি হাতে পোচ দিলেন ক্যামেরার জন্য। ফ্রান্সের দলটার ৭ জনই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত! কী অদ্ভূত! আমার তো দেখে মনে হচ্ছিলো আফ্রিকার হাতেই গেলো বিশ্বকাপ! এর চেয়ে ক্রোয়েশিয়ানদের হাতে গেলে খুশি হতাম, কারণ তাদের মাঝে ভেজাল নেই এবং তারা খেলেছেও নির্ভেজাল ভালো। শুধু আজ ডিফেন্সটা ভালো হয়নি। তাই পাসের সংখ্যা, বলের পজেশন ইত্যাদি সব দিক দিয়ে এগিয়ে থেকেও হেরে গেলো ওরা। হেরে গেলাম যেন আমরাও, ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যারা আবার আশায় বুক বেধেছিলাম দুঃস্বপ্নময় পরাজয়ের পর!
.
রাশিয়া বিশ্বকাপ অনেক কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার দৃষ্টিতে এটা সেরা বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে VAR, নতুন নতুন দল ভাল খেলেছে, প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে গোল্ডেন বল জিতেছে ক্রোয়েশিয়ার মতো দল। এই বিশ্বকাপেই অন্যতম সর্বোচ্চ গোল হয়েছে ১৬৯টি। হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ প্যানাল্টি। সর্বোচ্চ নৈপূণ্য না দেখিয়েও প্যানাল্টির কল্যাণে সর্বোচ্চ গোল স্কোর করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন হ্যারি কেন। আবার ফ্রান্সের জিরাড বল একবার পোস্টে না মেরেও হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার!
.
পেলের পর এই প্রথম এতো অল্প বয়সে ফাইনালে গোল পেয়েছে এমবাপ্পে, পেলে পেয়েছিলেন ১৭ তে, সে পেলো ১৯ এ। আবার ব্রাজিলের মতো গোছানো দলটাকেও হেরে বিদায় নিতে হয়েছে রেড ডেভিলদের কাছে, গোল্ডেন গ্লোভজয়ী কার্তোয়াকে বিশ্ববাসী মনে রাখবে। শরণার্থী থেকে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়া দলের অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ এর হাতে উঠলো না শেষমেষ বিশ্বকাপ, গোল্ডেন বল পেয়েই চোখ মুছতে হলো। বিদায় নিয়েছে মেসি রোনালদোর মতো তারকারা। আশা করেছিলাম নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবো, সে আশা পূরণ হলো না। এই কষ্টটা রয়ে যাবে।
.
আমার জীবনে বিনোদনের উৎস কম। সময়টাও খারাপ যাচ্ছে। তাই বিশ্বকাপে মেতে সময়টা ভালো কাটানোর চেষ্টা করেছি। অনেক ফান করেছি, অনেক লেখারও চেষ্টা করেছি। বানিয়েছি আলাদা অ্যালবাম ছবির। হয়তো মজা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মনে ব্যথাও দিয়েছি। আগেও এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছি, আবারও করছি। আবার দেখা হবে ৪ বছর পর, যদি বেঁচে থাকি। ততদিন পর্যন্ত আর বিরক্ত করছি না খেলা নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন। আমাদের জন্যও প্রার্থনা/দোয়া করবেন। শুভকামনা।
.
দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সত্যি গতরাত ক্রোয়েশিয়ার জন্য খারাপ লেগেছে। পুরু টুর্নামেন্টএ অসাধারণ খেলেছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন না হলেও ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
রাজীব নুর বলেছেন: বাফুফে!!!
দেখছো, এদেশের মানুষ কেমন পাগলের মতো ফুটবল ভালবাসে? অথচ তোমরা ভালবাসো না। তোমরা লুলামি করো।
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
ক্স বলেছেন: বাফুফের পশ্চাদ্দেশে কষে একটা লাত্থি মারলে হয়তোবা তাদের জ্ঞান ফিরবে।
ফ্রান্সকে দেখে আফ্রিকার দল বলেই মনে হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি, তাঁর ভিজে কাক হবার দৃশ্য খুব উপভোগ্য হয়েছে।
একুশটা বিশ্বকাপে আটটা চ্যাম্পিয়ন - কম না। ক্রিকেটে ১১টা বিশ্বকাপে ৫টা চ্যাম্পিয়ন - অস্ট্রেলিয়া একাই ৫ বার।
ইউরোপ বিশ্বকাপ অধিকার করেছে বলা চলে। ২০০২ এর পর বিশ্বকাপ ইউরোপের বাইরে যেতে পারেনি। এবার ১৪টি দল কোয়ালিফাই করেছে, যার মধ্যে ১০টিই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে।
তাই বলা চলে, ফুটবলের উপর ইউরোপের কর্তৃত্ব । আর ক্রিকেটের উপর এশিয়ার থুক্কু সাউথ এশিয়ার কর্তৃত্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১০ দেশের মধ্যে অর্ধেকই সার্কভুক্ত দেশের। বাকী ৫টির মধ্যে দুটি ওশেনিয়া, আর একটি করে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
গরল বলেছেন: আমারো মনে একটা কিঞ্চিৎ আশা ছিল যে ক্রোয়েশিয়া হয়ত জিততে পারে, কয়েকটা পোষ্টে কমেন্টও করেছিলাম কিন্তু সবাই আমাকে ফুটবলদ ভেবেছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
রাকু হাসান বলেছেন: তাঁর হারিয়েও আবেগ ধরে রাখার ক্ষমতা টা খুব ভাল লেগেছে । শিখছি ..এই দৃশ্যটা আমার অনেক দিন মনে থাকবে । ক্রোয়েশিয়া সমর্থকদের ভাল লাগলো ....দল যখন হারার শেষ প্রান্তে তখনও তারা হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিয়েছেন । শেষে যতটুক আবেগ প্রকাশ করার কথা তত টুকু করেন নি ।