নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নিউজিল্যান্ডে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি অনাকাঙখিত একটি ঘটনা। এজন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজে বারবার দুঃখপ্রকাশ করেছেন, শোক জানিয়েছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে নানা চার্জ দাখিল করা হয়েছে। আদালতে হাজির করা হলে আরও করা হবে। তার নাম মুখে আনবেন না কোনোদিন এমন ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নারী প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন উগ্রবাদের বিরুদ্ধে। এই একটা ঘটনায় দেশটির অস্ত্র আইনেও আনা হয়েছে সংশোধন!
.
এমনকি খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে সেদিন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়েছে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী মসুলিম স্টাইলে সালাম দিয়ে বক্তব্য শুরু করেছেন। সেদেশের একজন ফুটবলার মসুলিম নাহয়েও মাঠে নামাজ পড়ার মতো করে মাটিতে মাথা রেখে এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুসলিম নাহয়েও বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এই প্রধানমন্ত্রী মাথায় কাপড় দিয়ে গিয়ে নিহতদের স্বজনদের জড়িয়ে ধরেছেন; পার্লামেন্টে বিশ্বমিডিয়ার সামনে উন্মুক্ত কণ্ঠে বলেছেন, 'They are us'. অর্থাৎ, শরনার্থী হলেও 'তারা আমাদেরই একজন, আলাদা নয়। তারা অন্য দেশ থেকে এলেও আমাদের দেশটাকে আপন ভেবে নিরাপদ ভেবেই এসেছিলো'। সন্ত্রাসীর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন বারবার। সেই মসজিদের সামনে স্থানীয় সবাই ফুলে ফুলে ঢেকে দিয়েছে, জড়িয়ে ধরছে নিজতদের স্বজনদেরকে। আর কতভাবে ক্ষমা চাইবে তারা? এতোকিছুর পরেও নিউজিল্যান্ডকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট!
.
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এক জনসভায় ধৃত সন্ত্রাসীর বিচারের অপেক্ষা না করে আগেই নিউজিল্যান্ডকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছেন, তারা যদি বিচার না করতে পারে তাহলে তার দেশ এই ঘটনার বিচার করবে। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হুংকার ছেড়ে বলেন, সেসব যেন তারা ভুলে না যায়! এমনকি, তার দেশে এসে কেউ ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালে তাকেও প্যাকেট করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান! যেন নিউজিল্যান্ড দেশটা ইচ্ছা করে জেনে শুনেই ঐ ব্যাক্তিকে দিয়ে হামলা চালিয়েছে! এমন কোনো প্রমাণ কি দেখাতে পারবে তুরস্ক? তাহলে আমরাও দেখতে চাই।
.
অপরদিকে, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া শুধু তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েই চুপ হয়ে গেছে। পালটা হুমকি কিন্তু দেয় নি! এখানেই তাদের থেকে ভদ্রতা শিক্ষণীয়।
.
একটা দেশ বিভিন্ন দেশের গরিব ও উদ্বাস্তু অভিবাসনপ্রার্থীদেরকে নিজ দেশে ডেকে নিয়ে থাকার জায়গা দিচ্ছে, কাজ দিচ্ছে, বাঁচার উপায় করে দিচ্ছে। সেখানে একটা অনাকাঙখিত ঘটনা দিয়ে আপনি তার আতিথেয়তা উদারতাকে ছোট করবেন? অহরহ তো আর এমনটা হয় না সেখানে। কই, আপনি তো তাদেরকে নিজের ধর্মের ভাই বলে জায়গা দেননি! সিরিয়ায় তো আরও কত ভাই মরছে আপনার, না খেয়ে কত শিশু প্রতিদিন শুকিয়ে যাচ্ছে! কই, সেসব বিষয়ে কেন আপনি ব্যবস্থা নেন না?
.
এইসব ধর্মীয় রাজনীতি বাদ দেন এরদোগান ভাইসাহেব। সহযোগিতার হাত বাড়ান নিউজিল্যান্ডের দিকে, তারা যেন সন্ত্রাসীর সঠিক বিচারটা করতে পারে সে ব্যাপারে পাশে থাকুন। আমার ভয় হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে এই রোহিঙ্গাদের ওপর কোনো হামলা হলে বা এদের হামলার জবাব দিতে গেলে তো আপনি এই আশ্রয়দাতা বিপদের বন্ধু বাংলাদেশকেও হুমকি দিতে ছাড়বে না, এমনকি যুদ্ধও ঘোষণা করে দিতে পারেন!!
.
এই লেখাটিও পড়বেনঃ Click This Link
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৫৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কোন কথা বলার আগে আমাদের দশবার ভাবা উচিৎ।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিক দেশ গুলো সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে মানসিকতায় বিরাট সমস্যা।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবই বিশ্ব রাজনীতির অংশ...
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৫৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম।